মার্ক উইন্স আমার দেখা সেরা খাদ্যরসিক*। খাদ্য এবং রেসিপি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমি নানা দেশ বিদেশী খাবার এবং রেসিপি তথা রান্না দেখে থাকি। রান্নায় নিজের জ্ঞান বাড়ানোর জন্য বা নানান দেশের রান্না দেখেও আমি শান্তি পাই। তবে আমি আগেই বলে দেই, আমার পছন্দে খাবার হচ্ছে, স্থানীয় খাবার, সেটা যে দেশের হউক না কেন! আরো খোলাসা করে বলতে গেলে বলা যায়, নানা দেশের স্ট্রীট ফুড! রাস্তার ধারের খাবারে আমার একটা মোহ আছে তবে বাংলাদেশে রাস্তার ধারে ভাল খাবার পাওয়া যায় না বলে মরার আগেও একটা আফসোস থেকে যাবে! যাই হোক, মার্ক উইন্স আমার মতই একজন স্ট্রীট ফুড লাভার্স!
চলুন মার্ক উইন্স নিয়ে কিছু কথা জেনে নেই। মার্ক মুলত আমেরিকান নাগরিক তবে এখন তিনি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যংককে থাকেন। গ্রোবাল স্টাডিজ এর উপর গ্রজুয়েশন করে সাউথ ইষ্ট এশিয়াতে চলে আসেন এবং ব্যাংককে তিনি খাবার খেতেই থেকে যান বলে জানা যায়। ব্যাংককের রাস্তার ধারের খাবারের উপর উনাকে এখন একজন বিশেষজ্ঞ বলা চলে। ২০০৯ সাল থেকে তিনি এখনো এই রাস্তার খাবার খেয়েই চলছেন। ইউটিউবে তার আপলোড করা ভিডিও গুলো না দেখলে বিশ্বাস করা মুস্কিল (এই কাজে তাকে তার এক বন্ধু হেল্প করে থাকে)। পরের ইতিহাস আরো মজাদার, তিনি কিছুদিন আগে এক থাই সুন্দরীর প্রেমে পড়ে যান এবং তাকে বিবাহ করে ফেলেন। মানে এই দাঁড়ায় যে, তিনি আর থাইল্যান্ড ছেড়ে কোথায়ও যাবেন না! আর খাবেন শুধু থাই স্ট্রীট ফুড!
মার্কের একটা নমুনা ভিডিও আপনাদের জন্য দিয়ে গেলাম, এর পর আপনারাই ইউটিউবে খুজে বের করতে পারবেন।
সদা হাস্যজ্জ্বল মার্কের একটা উল্লেখ যোগ্য ব্যাপার হল, খাবার খেয়ে তিনি যে একটা মুখাভঙ্গি করেন তা মনে রাখার মত! তার এই মুখাভঙ্গিই তাকে খাদ্যরসিক বানিয়ে দেয়, আমি এইজন্যই তাকে সেরা মানি। সবাই সব কিছু খেতে পারে না, আর খেলেও সব খাবারকে ভাল বলতে পারে না, প্রশংসা করতে পারে না। মার্ক এই ব্যাপারে সেরা, তার কাছে যে কোন খাবারই সেরা এবং আনন্দদায়ক।
বয়স কম হলে মার্ক বনে যেতাম, এখন শুধু আফসোসই করি এবং মার্কদের দেখি!
*খাদ্যরসিক শব্দটা নিয়ে আর একদিন নুতন কোন ব্লগে খোলামেলা আলোচনা করে যাব।
রেসিপি লাভার্স সবাইকে শুভেচ্ছা।