কোন এক অতি নিরিহ গোবেচারা ব্যক্তি হেডফোন কানে দিয়ে গান শুনতেছিল আর গান গাইতেছিল...
আজ কোন অনুভূতির গভীরে যেতে চাই না আর কখনো
যেখানে নিঃশব্দ কান্নায় স্বরচিত হয় একান্ত শোক
যা কিছু তার নির্দয় স্পর্শে দিয়েছে সৃষ্টি
নিভৃতে আমার প্রশান্ত কল্পনার ঘর
আর, যন্ত্রণার শিবিরে যে অবাদ্ধ কান্না দেয়
..............(পাশের কেউ একজন) ওই কি কইলো!! শিবির!!! ওই শিবির কইসে!!!
হালারে ধর তো!! ওই ওই হালারে ধইরা টেংরি ভাইঙ্গা দে...
ইয়া টিশুম! টিশুম!!!
(হঠাৎ একজন ছুটে এসে)
-এই এই ভাই!! কি করেন!!! কি করেন!!! এমনে ছেলেটারে মারতেছেন ক্যান!!!
-এই শালায় শিবির।
-তাই নাকি!! ওই ধর ধর!! শিবির হালায়, মার ধইরা
ইয়া টিশুম! টিশুম!!!
(হঠাৎ আরও একজন ছুটে এসে)
-এই এই ভাই!! কি করেন!!! কি করেন!!! এমনে ছেলেটারে মারতেছেন ক্যান!!!
-এই শালায় শিবির।
-মানে! আপনে ক্যামনে জানসেন?
-এই শালায় নিজের মুখে কইসে শিবির
-কই দেখি
(গানশ্রোতাকে)
-ভাই, আপনে শিবির করেন!!
-আরে না ভাই, আমি গান শুনতেছিলাম, অইখানে একটা কথা ছিল, যন্ত্রণার শিবির।
-কই দেখি!! (কানে হেডফোন দিয়ে) হুম, তাই তো
(মারধরকারীদের প্রতি)
-আপনেরা এত পণ্ডিত ক্যারে!! হুদাই মারলেন পোলাডারে!!!
-সরি ভাই, আমরা বুঝি নাই।
-এমনে যদি আপনাদের কেউ মারত তাইলে কি করতেন?
-ইয়ে মানে (গানশ্রোতার প্রতি) ভাই ভুল হয়ে গেছে মাফ করে দেন। আমরা আসলে বুঝি নাই
অতঃপর সে যার যার কাজে চলে গেল... আর এই দিকে গানশ্রোতা ফাও ফাও মাইর খাইল...
(এরপর মারধরকারীরা তাদের কোন এক আকড্ডায়)
-বুঝলি দোস্ত! অইদিন এক সালারে রাস্তায় পাইয়া দিসি মাইর
-তাই নাকি! কি করছিল?
-আরে কিছু না, হুদাই ধইরা দিসি, হালায় বলদ কোনহানকার আছিল
-ও তাই!! হাহাহাহা হোহোহোহোহো...।
এইরকম কিন্তু হচ্ছে অহরহ... একটা কাল্পনিক ঘটনা দিয়ে আপনাদের সামনে ক্ষমতার অপব্যবহারের একটা উদাহরণ তুলে ধরলাম।
এই মউকায় প্রভাবশালীরা এইসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায়ই স্বার্থসিদ্ধি করে নিচ্ছেন। নিরীহ অনেকেই এর থেকেও খারাপ পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছেন।