somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুহম্মদ জাফর ইকবালের " ওদের নিয়ে কেন স্বপ্ন দেখব না ?" জবাবে কেন আপনি/আপনারা আমাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবেন ?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই লেখাটি পড়ার আগে অনুগ্রহপূর্বক " ওদের নিয়ে কেন স্বপ্ন দেখব না ? " লেখাটি পড়ুন ।
কেন আপনি/আপনারা আমাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবেন ?
একটি দেশ ভবিষ্যতে কতটুকু সাফল্য অর্জন করবে তার অনেকটাই নির্ভর করে সেদেশের তরুন প্রজন্মের উপর। তাই ঐ দেশ স্বপ্ন দেখে তার তরুন প্রজন্মকে নিয়ে। এজন্য দেখা যায় উনবিংশ/বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত লেখক,কবি-সাহিত্তিকদের তারুণ্যের গান গাইতে, পাঞ্জেরী'র প্রশংশায় পঞ্চমুখ হতে । তাই তরুণদের উপর জাতি'র অনেক আশা-ভরসা ও স্বপ্ন । এদেশের তরুণদের এখন পর্যন্ত এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা । কিন্তু ৭১ এ যারা তরুন ছিলেন এখন আর তারা তারুণ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন না, এখনকার তরুণদের বেশিরভাগই ৭১ পরবর্তী প্রজন্ম। তরুন বয়স থেকে মানুষ সাধারণত সব ন্যায়-অন্যায়, ভাল-মন্দ বোঝা শুরু করে, সিধান্ত গ্রহন করতে পারে, নেতৃত্ব দেয়ার গুনাবলী অর্জন করা শুরু করে । কিন্তু এসব গুনাবলী অর্জনের বীজ বপিত হয় কৈশোর থেকেই । আমাদের তরুণদের নিয়ে আপনি/আপনারা হয়তোবা হতাশ হন যে, এখনকার তরুণরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঠিকভাবে জানে না । কিন্তু এ ব্যর্থতা আপনাদেরই । আপনারা তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বলেননি। আপনারা আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শুনিয়েছেন আওয়ামী ভাষায় অথবা বিএনপি'র ভাষায় । আপনারা আমাদেরকে নিয়ে হতাশ হন যে, আমাদের অনেকেই কওমী মাদ্রাসায় ফ্রি পড়ে, আমাদের অনেকেই পড়ালেখা না করে রাস্তাঘাটে,কিংবা ট্রেনে ফেরিওয়ালার কাজ করে , কিন্তু মূলত ব্যর্থতা আপনাদেরই, গত ৪০ বছরেও আপনারা তাদের সঠিক কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেন নি ।
এখনকার তরুন প্রজন্ম মানে শুধুই টি-শার্ট পরা সুদর্শন কিছু তরুণ ও উজ্জ্বল রঙের ফতুয়া পরা হাসিখুশি কিছু তরুণী নয় , এখনকার তরুন প্রজন্ম আরও অনেক কাজ করাকে তাদের প্রাত্যহিক গুরুদায়িত্ব মনে করে, যেমন , নেশার জগতে নিজেদের দানবীয় পদচারণ , দেশের প্রতিটি হল,মেস কিংবা পাবলিক আড্ডাতে গাঁজাসহ অন্যান্য নেশা এখন স্মার্টনেস , এখনকার তরুণরা বড় কোন খুশির খবর সেলিব্রেট করে পার্টি দিয়ে ( যা মূলত মদের পার্টি ), এখনকার তারুন্য মানেই হিন্দি গানে নিজের কৃষ্টিকে খোজা, তরুণীদের একটি ভাল অংশ দিনের অনেক কাজ ত্যাগ করতে রাজি থাকলেও রাতের হিন্দি সিরিয়াল দেখা মিস করতে রাজী নয়। এখনকার তারুন্য মানেই তরুণ-তরুণীদের অবাধ মেলামেশার ফলস্বরুপ মেসে মেসে রুম-ডেটিং ও তার ফলস্বরুপ নগ্ন ভিডিও'র ইন্টারনেটে ছাড়পত্র প্রদান । এখনকার তারুন্য মানেই মুখটাকে একটু বেকিয়ে যথেস্ট ইংরেজি শব্দের প্রাচুর্যে অল্টার করে কথা বলা । যাই হোক, উপরোক্ত বিষয়গুলোর কোন একটি শুনেও হয়তোবা আপনি/আপনারা আঁতকে উঠেননি। কারণ এগুলো হয়তোবা আপনাদের কাছে যৎসামান্য নগণ্য ব্যপার যা আধুনিকতারই নামান্তর ।
এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা অন্যান্য উন্নত দেশের মত উন্নত না হলেও এখানে অতি ক্ষুদ্র হলেও একটি অংশ তুলনামূলক উন্নত শিক্ষা পায় । মূলত তাদেরকে নিয়েই আপনি / আপনাদের সবার স্বপ্ন, আপনাদের উচ্ছ্বাস, আপনাদের গর্ব আর অহংকার। কিন্তু এই অতি ক্ষুদ্র অংশের একটি বৃহদাংশই বিদেশে পাড়ি জমায় উচ্চ শিক্ষার নাম করে । তারা ওখানে গিয়ে উচ্চ থেকে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহন করে , ওখানে গিয়ে অনেকে প্রশংসনীয় কিছু করে ফেলে , আমরা তাদেরকে নিয়ে গর্ব করি । কিন্তু আমাদের দেশের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় না , কারন তাদের শতকরা ৫ ভাগও দেশে ফেরে কিনা সন্দেহ (অনেক ক্ষেত্রেই তাদের উচ্চশিক্ষার সিঁড়ি বাড়তে থাকে মূলত পি.আর পাওয়ার সুবিধার্থে )। এক্ষেত্রে ঐ সকল তরুণদের যথেষ্ট যুক্তিও আছে , তাদের উপযোগী কর্মসংস্থান এদেশে নেই, তাদের উপযোগী গবেষণা সুবিধা এদেশে নেই । এদেশে এখনো উন্নত গবেষণার সুবিধা নেই, এ ব্যর্থতা কার ? আপনি/আপনারা উন্নত গবেষণাগারে জীবনের সুদীর্ঘ সময় কাটিয়ে এসেছেন, কিন্তু পারেননি দেশে সেরকম একটি তৈরির প্রচেষ্টা নিতে কিংবা অন্তত সরকারকে চাপ দিতে ? হিসাব নিকাশে দেখা যায় , ঐসব অতিশিক্ষিত তরুণদের চাইতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী( পি.আর প্রাপ্ত নয়) অর্ধশিক্ষিত তরুণদের দেশের জিডিপিতে অবদান বেশি । আপনার/আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন , দেশের কাজে ঐ সব অতিশিক্ষিত তরুণদের তুলনায় ট্রেনে সেই ফেরি করা যুবকটির ভূমিকা কি নিতান্তই তুচ্ছ? প্রবাসে বসে নিজের আখের গুছিয়ে অবসরে দেশের সমস্যা ভারাক্রান্ত দিক গুলো নিয়ে শুধুমাত্র ব্লগিং করে ঐসব অতিশিক্ষিত তরুণরা দেশের কতটুকু পরিবর্তন করতে পেরেছে ? জাতি কি তাদের কাছে আরও বেশি কিছু আশা করেনি/করেনা ?
এত কিছুর পরেও আমি তরুণদের দোষ দিতে ইচ্ছুক নই। কারণ এর ব্যর্থতাও মূলত আপনাদেরই , আপনারা স্বাধীণতার ৪০ বছর পরেও এদেশের তরুণসমাজের মাথা থেকে উপনিবেশবাদী চিন্তাভাবনা দূর করতে পারেননি।
এটা ঠিক যে, ‘ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’ বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী (হ্যাঁ, হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ) ধুঁকে ধুঁকে শেষ হয়ে যাচ্ছে । শিক্ষক সঙ্কট , ক্লাসরুম সঙ্কটে তাদের শিক্ষাজীবন নিম্ন মানের হয়ে যাচ্ছে । কিন্তু অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি আসলেই এ ধরনের সমস্যা নেই ? আপনি/আপনারা যে কাজে নিয়োজিত সে কাজ কি ঠিক মত পালন করছেন? আপনি/আপনারা যদি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিভাগের দায়িত্বে থাকেন, সে বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা কি সঠিক সময়ে তাদের সার্টিফিকেট পাচ্ছে ? তারা কি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে তাদের শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করতে পারছে ? এ ব্যর্থতা কার ?
তারপরও ধুঁকে ধুঁকে শেষ হয়ে যাওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐসব লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী দেশেই কিছু একটা করার চেষ্টা করছে, দুর্নীতি ও লবিং এর বিরুদ্ধে তুমুল যুদ্ধ করে শেষমেস একটি ছোটখাটো চাকরি যোগার করছে ,কেউ কেউ পরিশ্রমকে পুঁজি করে সিভিল সার্ভিসের মত পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়ে দেশের কাজে অংশগ্রহন করছে। শত হলেও তাদেরতো ঐসব তরুণদের মত বাইরে পড়তে যাওয়ার সুযোগ নাই , যে সব তরুণদেরকে নিয়ে আপনি/আপনারা স্বপ্ন দেখেন , গর্ব করেন।
আপনি/আপনারা মাদ্রাসা শিক্ষার কথা বলেন, এ দেশে এমনও বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেখানে নিয়ম করার চেষ্টা করা হয় যে, আলীয়া মাদ্রাসা থেকে ভাল ফলাফল নিয়ে পাশ করে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও নিজের পছন্দমত বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেনা । অথচ তারা দেশের অনেক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও এমন কোন আইন নেই যে, আলীয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা থাকা সত্বেও তাদের পছন্দানুযায়ী বিষয়ে পড়তে পারবে না । ঐ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কী দোষ ? এই স্বাধীন দেশে এ বৈষম্য কারা তৈরি করে ? এ ব্যর্থতা কার ?
এতগুলো কথা বললাম, হয়তোবা তারপরও আপনারা আঁতকে উঠেননি। তবে আমি নিশ্চিত এখন আঁতকে উঠবেন । এদেশের তরুণ সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এখন দাঁড়ি-টুপি পড়ে, কিংবা বোরকা-হিজাব পড়ে এবং আপনি/আপনারা তাদেরকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন, তাদের সাথে কাজও করেছেন । আপনাদের জন্য অতি ভয়ঙ্কর তথ্য হচ্ছে তরুণপ্রজন্মের এ অংশের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে ৯/১১ এর পর যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ সারাবিশ্বেই এখন এদের সংখ্যা বাড়ছে । ৬০ বছর আগে এদেশের মেয়েরা এখনকার মত বোরকা-হিজাব পড়ত না এর অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে, তবে এ কথা মানতেই হবে যে, এখনকার নারীরা আগের চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষিত অনেক বেশি স্বাধীনচেতা । আগে তারা ধর্মহীন থাকলেও থাকতে পারে , তবে এখনকার নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশ ধর্মভীরু এবং যথেষ্ট যৌক্তিকভাবেই তারা ধর্মভীরু , কোন ধর্মব্যবসায়ীদের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে এমনকি অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক সংস্কৃতি লঙ্ঘন করেও তাদের অনেকেই বোরকা-হিজাব পড়ে । বাংলাদেশের ইতিহাস পড়লে জানা যায়, এ দেশে ধর্মব্যবসায়ীরা তো নয়ই ধর্মভিত্তিক রাজনীতিও কখনও এককভাবে সফলতার মুখ দেখেনি ( সেই ভাষা-আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের আমল থেকে মুক্তিযুদ্ধ থেকে এখন পর্যন্ত ) । আর যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে তাদেরকে যতটা না দাঁড়ি টুপি কিংবা বোরকা-হিজাবে দেখা যায় তার চেয়ে ঢের সংখ্যক রাজনৈতিক দলহীন (তবলীগ জমাতের) লোকজনকে দেখা যায় । এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক মহলেও এখন অনেক দাঁড়ি টুপি কিংবা বোরকা-হিজাবের লোক পাওয়া যাবে , তাদের অনেকেই শিক্ষাদানের পাশাপাশি গবেষণায় ব্যস্ত। তাদের অধিকাংশই অন্যান্য শিক্ষকদের মত রাজনৈতিক লেজুড়েবৃত্তিতে নেই ।
তারপরও কেন আপনি/আপনারা আমাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবেন ?
এতকিছুর পরেও আপনি/আপনারা আমাদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবেন কারণ, আপনি/আপনারা তরুণ প্রজন্মের যে অংশকে নিয়ে আতঙ্কিত তারা দাঁড়ি টুপি কিংবা বোরকা-হিজাব পরলেও কিংবা তারা ছারাও এখনকার তরুণ সমাজের তথাকথিত স্মার্ট জীবনব্যবস্থার বাইরে সাদামাটা জীবনযাপনকারীরাও তাদের দেশকে অনেক ভালবাসে , আপনি/আপনারা যে ক্ষুদ্র অংশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন কিংবা যারা আপনাদের গর্ব আর অহংকার তাদের চাইতে কোন অংশ কম ভালবাসে না । কিছু না হলেও অন্তত তারা জীবন, মৃত্যু ও কর্মস্থল হিসেবে এ দেশকেই প্রথম,শেষ ও একমাত্র পছন্দ মনে করে। তারা মানবতার পথ খুজে পেয়েছে তাই তারা এখনকার অধিকাংশ তরুণদের মত নেশা করাকে স্মার্টনেস মনে করে না, তারা এখনকার অধিকাংশ স্মার্ট তরুণীদের মত নিজের শরীর দেখিয়ে রাস্তাঘাটের ছেলেদের কাছ থেকে গরম কোন কমেন্টস শুনতে চায় না,তারা রুম ডেটকে ঘৃণা করে,তারা হিন্দি ভাষা বোঝে না , তারা অল্টারহীন শুদ্ধ বাংলাতেই কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে । সততা ও নিষ্ঠার সাথে কোন কাজে আপনি/আপনারা তাদেরকে অন্য যেকোনো তরুণদের চাইতে বেশি বিশ্বাস করতে পারেন । এদের ব্যক্তি জীবনের সাফল্য আপনি/আপনারা স্বচক্ষে দেখছেন, তারা ক্লাসে প্রথম হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছে, হার্ভার্ড/অক্সফোর্ডের মত বিশ্বের নামীদামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পড়তে যাচ্ছে এবং অবশেষে সেখানে স্থায়ী না হয়ে দেশে ফিরে আসছে । তারা দেশে থেকেই ঈমান,তাক্বওয়া'র সহিত মরতে চায়। তাই বলা যায় দেশের প্রতি তাদের ভালবাসা শুধুমাত্র কোন ব্লগিয় কিংবা ফেইসবুকিয় ভালবাসা নয়, দেশে থেকে তার সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হওয়া । সমস্যা ভারাক্রান্ত এই দেশে সমস্যা দেখে বাইরে পালিয়ে গিয়ে নয় , সমাধানে সচেষ্ট হয়ে এ তরুণসমাজ একদিন না একদিন তারুণ্যের সব কলুষতা দূর করবে, মাদক-বেলেল্লাপনা মুক্ত সমাজ গঠন করবে , উপেনশবাদী ধ্যানধারণা বাদ দিয়ে এদেশকেই নিজের সাফল্যমণ্ডিত কর্মস্থল বানাবে। এমন একটি দুর্নীতিমুক্ত , সৎ ও আদর্শ সমাজ গঠিত হবে যে সমাজে প্রতিটি মানুষ তার নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে, ধর্ম কিংবা ' অধর্ম ' নিয়েও কেউ ব্যবসা করতে পারবে না , কেউ কাউকে গালি দিবে না ।
এই স্বপ্নবাজ তরুণরাই একদিন দেশের হাল ধরবে , একটি সুন্দর দেশ গড়বে, একটি সুন্দর সমাজ গড়বে, ইনশাল্লাহ সেখানে পরবর্তী প্রজন্ম এসে নিজ জাতিকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি বলতে দ্বিধাবোধ করবে না ।
তাই এখনই সময়, নতুন করে স্বপ্ন দেখার , তারুণ্যের স্মার্টনেসকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৫
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×