somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

উপনাম
নাম -রিয়াদ খন্দকার। বয়স -কৈশোর থেকে তারুণ্য পার করে যৌবনে পা দিয়েছি । পেশা- ছাত্র, টিউ ডার্মস্টার্ড, জার্মানী। শখ- মটর সাইকেল চালানো। ঠিকানা- পুরাতন বাংলাদেশের পুরাতন ঢাকা, বাংলাবাজার, নতুন জার্মানীর ডার্মস্টার্ড। ব্লগ নাম- উপনাম।

কোরআন পড়তে হবে সুপারসনিক গতিতে, যাতে কোয়ান্টম কম্পিউটারের প্রসেসিং এর স্পিড হার মানে...।

১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আস-সালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

রমজান আমার জন্য সবচেয়ে আনন্দের মাস হয়। পরিবার ছাড়া হতভাগার ছাত্র হোস্টেলে অন্যপরিবারের সাথে, মসজিদের অন্য পরিবারের সাথে আমার রমজানটা আল্লাহর রহমত ও বরকতে সুন্দর ভাবেই অতিবাহিত হয়। এখানের মসজিদে দেখছি তারাবির সময় কোরআন সুপার সনিক গতিতে না পড়েও, মধুর কন্ঠে সঠিক ভাবে সঠিক সময় পুরো কোরআন সুন্দর ভাবে শেষ করা যায়। গত কাল ২৮ রোযা ছিল, আমাদের এখানে পুরো কোরআন শেষ করলো। আল্লাহ সকল নেক মুসলিম বান্দা বান্দীদের মাফ করে দিক (আমিন)। আলোচ্য বিষয়, আমি যখন বাংলাদেশে তারাবি পড়তাম ঘটানচক্রে, তখন তারাবিতে মনোযোগ কম দিয়ে, মনোযোগ দিতাম দুনিয়ার আজে বাজে সব ধরনের কাজে।কারণটা কি? এখানে তারাবিতে দাড়ালে কোরআন না বুঝেলেও, শুনার উপর এতটা ধ্যান চলে আসে যে সব ভুলে যাই। কারণটা বলছি।
আমাদের হাফেজ সমাজের কাছে প্রশ্ন, আমরা যারা কোরআন তেমন বুঝি না (এটা আমাদেরই অন্যায় এটা মানছি), তারা যখন তারাবি পড়ে আপনাদের পিছনে, আপনিকি বলতে পারবেন তাদের মনোযোগ থাকে আপনার তিলোয়াতের উপর? আপনারা কেন কোরআন এভাবে পড়েন, কোথায় আছে এভাবে সুপার সনিক গতিতে কোরআন পড়তে হবে। আমরা যারা খারাপ, দুর্বল ইমানের বান্দা , ইসলামের ছাত্র না, তারা যখন কোরআন এভাবে পড়া শুনি তখন কিন্তু আমাদের মনে আপনাদের প্রতি ভালবাসা তো আসে না বরং অনেকসময় কোরআন বিমুখ হয়ে যাই। আমি জানি না, তবে কোরআন আল্লাহ বানী এর প্রতি ভালবাসা আল্লাহ সকল মানুষের কলবে দিয়ে দিয়েছি, এই কোরআনকে এভাবে পড়ার যুক্তি কি? কোরআন না বুঝে অনেক সময় গোনাগার বান্দারা কোরাআন তিলয়াত শুনার পর চোখের পানি ধরে রাখতে পারে না। আমি সঠিক না , শুনেছি কোন এক হাদিসে আছে, জাহান্নাম যখন ক্ষিপ্ত হয়ে ঠকবগ করতে থাকবে, তখন নাকি মহান রব্বুল আলামিন, কিছু পানির ছিটে দিয়ে জাহান্নামকে ঠান্ডা করবে, তখন ফেরেশতারা/সবাই জানতে চাইবে কি এই পানি যে এই জাহান্নাম কে স্থির করলো। তখন আল্লাহ বলবে এই পানি হচ্ছে আমার সেইসব গোনাগার বান্দার চোখের পানি যারা গোনা করার পর আমার ভয়ে কেদেঁছিল। ( এটা আমি কোন এক ইউটিউব বক্তার ভিডিও থেকে শুনেছিলাম, আল্লাহ ভুল হলে মাফ করে দিক, আমাকে। আর যদি সঠিক হয় দয়াকরে কোন ভাই/বোন এই হাদিসটার রেফারেন্স দিবেন কি?)
দেখেন আপনি যদি একটু মধুর করে কোরআন পরেন কত গোনাগার বান্দা আছে যারা আপনার পিছনে নামায পড়ে, তাদের চোখে বৃষ্টি জড়তে পারে আল্লাহ চাইলে, আর আল্লাহর ভান্ডার অসীম, আপনি কত হাসানা অর্জন করতে পারবেন, আপনি ভাল জানেন আমার থেকে?
আরেকটি যুক্তি হল ২৬/২৭ এর ভিতর খতম করতেই হবে। এটা কি কোন দলিলে আছে যে তারাবি ২০ রাকাতই করে পরে ২৬/২৭ এর মধ্যে শেষ করতে হবে। দেখেন আপনারা যারা হাফেজ আছেন তারা দীর্ঘ সময় নিয়ে তারাবি পড়ান, এতে মানুষের মনোযোগ নষ্ট হয় এটা বিজ্ঞান সম্মত কথা, যে মানুষ এর মনোযোগ এক বিষয়ে বেশী সময় থাকে না । ২০ রাকাত, ১২ রাকাত, ৮ রাকাত তারাবি নিয়ে আবার অনেক মতানৈক্য আছে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক। তারাবি কোন ফরয নামায না, কিন্তু আমরা মুসলিমরা এটা ফরযের মত ২০ রাকাত করে ফেলেছি। হয়ত অনেকে দলীল দিবেন যে ২০ রাকাতই। যেহেতু আমি ইসলামের ছাত্র না আমি বেশি দলিল নিয়ে কথা বলতে পারবো না। তবে আমাদের রহমানুর রাহিম রাব্বুল আলামিন দয়ার সাগর আমি ২০ রাকাতের কম পড়লে আমাকে পাকড়াও করবে আমাকে শাস্তি দিবে কি?না আমি নবী(সা: ) এর কোন সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ করছি ২০ রাকাতের কম পরে, বরং আমি এক বক্তার মুখে শুনেছিলাম আমাদের প্রিয় নবী (সা: ) নাকী ৮ রাকাত পড়তেন ২ রাকাত ২ রাকাত করে পরে ৩ রাকাত পরতেন বিতর সহ,, আয়েশা (রা: ) বলেছেন ( আমি আবারো কোন রেফারেন্স দিতে পারছিনা বলে দু:খিত, ভুল হলে আল্লাহ মাপ করে দিক, এবং কোন ভাই/বোন যদি সঠিক করে দেয় আমাকে চির কৃতজ্ঞ থাকবো, হাদীস রেফারেন্সটাও দিয়েন দয়াকরে) ।
আমি একটি ছোট হিসাব দিচ্ছি, দেখেন এভাবে আপনি কোরআন সঠিক সময়ে সুন্দর তিলায়েতের মাধ্যমে শেষ করতে পারবেন। কোরআনের আয়াত সংখ্যা নাকি ৬৬৬৬। যদি প্রথম ২০ দিন ১২ রাকাত করে পড়ান তারাবি তাহলে সংখ্যা দাড়াচ্ছে ২০ গুন ১২ = ২৪০ রাকাত। এবং প্রত্যেক রাকাতে যদি সর্বনিম্ন ১৫টি করে আয়াত পড়েন। তাহলে সংখ্যা হবে ২৪০ গুন ১৫ = ৩৬০০। বাকি থাকে ৩০৬৬। বাকি ৭ বা ৮ দিন , ৭ ধরলে ২৬ রমজান হয় আর ৮ ধরলে ২৭ রমজান হয়, ধরুন ৮, এই শেষ ৮ দিন যেহেতু কদরের সময় রাকাত একটু বাড়িয়ে দিন, সাথে আয়াত সংখ্যা। যেমন ৮ দিন ১৬ রাকাত করে পড়ালে রাকাত হয় ১৬ গুন ৮ = ১২৮ রাকাত । এই ১২৮ রাকাতে সর্বনিম্ন ২৪ টা করে্ও আয়াত যদি পড়ান তাহলে্ও হয় ১২৮ গুন ২৪ = ৩০৭২ , কিন্তু আমাদের দরকার ৩০৬৬, প্রথম ২০ দিন ৩৬০০ এবং পরের ৮ দিন ৩০৬৬ টি আয়ত পড়লে পুরো কোরআন সঠিক সময়েই শেষ হবে ইনশাআল্লাহ। এটাকে কোন ফতুয়া ভাববেন না, আমি বলছি এভাবে কি তারাবি পড়া যায় কি? কারণ আমি যেখানে তারাবি পড়লাম তারা এভাবেই তারাবি পড়েছে। এভাবে তারাবি পড়লে কি কোন দোষ বা গোনাহ হবে?

সবাইকে অনুরোধ করছি এটা আমার নিজস্ব মতামত, কেউ দয়াকরে ফতুয়া দিয়ে না। আমার কাছে মনে হল যে এত সুন্দর জীবন বিধান কে খুব কঠিন করে ফেলছে বাংলাদেশে। আপনারা যারা কোরআনের তারা আপনাদের উপর অনেক দায়িত্ব, আমাদের মত দুর্বল ঈমানের লোকদের আলোর পথে চলার সহজ পন্থা দেখানো। আশাকরি আমার পোষ্টটি কারো ব্যক্তিস্বার্থে আঘাত আনবে না। যদি আনে দয়াকরে ক্ষমা করে দিবেন। ইসলাম সহজ একে কঠিন করবেন না। আর দয়াকরে আমার ভুলগুলো লিখবেন তাহলে আমি শিখতে পারবো।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×