somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফ্রি বিরিয়ানীর উচ্ছিষ্টে কালো কুকুরদের লালা ঝরছে (ফিচারিং ইমরান সরকার ও কালা জাম্বু)

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনা কাল: এপ্রিল ২১১৩
চরিত্র: কাল্পনিক ও মনগড়া



১.

ইমরান সরকারের মুখে ইদানিং দলা দলা থুথু আসে। এমন থুথু না গেলা যায় না ফেলা যায়। এমন একদলা থুথু নিয়ে কথাও বলা যায় না। ইমরান সরকার এ এক ভীষন অসুবিধায় পরেছেন। মাঝে মাঝে এই দলা দলা থুথু গুলো তার আশে পাশের কদাকার মুখগুলোর উপর ফেলতে ইচ্ছা করে। কিন্তু পারেন না শেষে আবার শ্লোগান তুলে ই-তে ইমরান, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার।

সেদিন মাইক্রোফনটা হাতে নিয়েছেন অমনি মুখের মধ্যে দলা দলা থুথু জমা হলো। ঠিক মতো কথা বলতে পারছেন না। তবে থুথু'র চেয়ে বেশী অসুবিধা করছিলো দুই পাশে দুইটা কালো কুত্তা মেউ মেউ করায়। ইচ্ছে হচ্ছিলো তাদের মুখের উপর এই দলা দলা থু থু ফেলে দিতে। তাছাড়া কুত্তা করবে ঘেউ ঘেউ কিন্তু এরা করে মেউ মেউ। এই দুই কুত্তার নাম নাসির বাচ্চু ও নাজমুল সিদ্দিক। একটা বুইড়া কুত্তা নামটাও বাচ্চু রাজাকারের মতো এই জ্ঞান পাপীটা মাঝে মাঝে এতো কুজ্ঞান দেয় যে মনে হয় চিৎকার দিয়ে বলেন তুই রাজাকার, তুই রাজাকার। আর অন্যটা হচ্ছে ভোৎকা কুত্তা। তার বুঝে আসেনা কিভাবে এট মোটা, ভোৎকা, কদাকার, কুৎসিত চেহারা, কুতসিত চিন্তন ও মননের কুত্তা ছাত্রলীগ নামক একটা সংগঠনের সেক্রেটারী হয়। ছাত্রলীগের সেক্রেটারী হবে উনার মতো সুদর্শন কুত্তা। যেমন ছিলো অজয় কর খোকন। খোকনের নাকি অনেক গুলো রক্ষিতআ ছিলো সে সময়। মুন্নী সাহা নামের একজনও নাকি ছিলো। আহা! কি আবেদনময় সে জিবন। ছাত্রলীগের সভাপতি/সেক্রেটারী হবে উনার মতো হিরোরা। আর নাজমূলের মতো হোৎকা কুত্তাগুলো হবে বাংলা সিনেমার জাম্বু। নাজমুল যদি সিনেমা করতো তাহলে পরিচালক নির্ঘাত তার নামকরন করতেন কাইল্যা জাম্বু।

ইদানিং থু থু জমা সমস্যা বেড়েই চলছে। এর একটা কারন ইমরান সাহেব বের করেছেন সেটা হচ্ছে রাজাকারের নাতি হয়ে দ্বিতীয় বংগবন্ধু ব্যাপারটা তার হজম হচ্ছেনা। ডাক্তার হিসেবে তার মনে হচ্ছে এটা একটা হজম জনিত কারন। আওয়ামীলীগ কি বলদের দল। দুনিয়াতে আর মানুষ পেলনা বংগবন্ধুর সাথে তুলনা করার। তবে এদের দ্বারা সবই সম্ভব রাজাকারের ঘরে মেয়েকে বিক্রি করে দেয়া, ধর্মবিদ্বেষী রাজিব কে ধর্মেরই সর্বোচ্চ সম্মান শহীদ উপাধী দেয়া যদি তাদের দ্বারা সম্ভব হয় তাহলে উনার মতো একনিষ্ঠ ছাত্রলীগ নেতাকে দলের প্রয়োজনে দ্বিতীয় বংগবন্ধু উপাধী দেয়া কেন অসম্ভব হবে?? তবে ইমরান সাহেবের সমস্যা হচ্ছে রাজাকারের নাতি হিসেবে এই ব্যাপারটা হজম হচ্ছেনা।

২.

ইমরান বসে আছেন তাজুলিয়া কবিরাজ মহলে। কবিরাজ কাজি তাজুল ইসলাম খানের সামনে। কবিরাজ সাহেব কিছু বলছেন না শুধু কিছুক্ষন পরপর তার দিকে তাকিয়ে থাকেন। এমন ভাবে তাকাচ্ছেন যা মানুষ কে খুব অস্বস্থিতে ফেলে দেয়। তেমনি ইমরান সরকারের খুব অস্বস্থি হচ্ছে। এখানে আসার তার কোন ইচ্ছাই ছিলো না। আসতে হয়েছে আরিফ জেব্তিক এর প্রতি সম্মান দেখিয়ে। তিনি অত্যন্ত প্রগতিশীল মানুষ। অতি প্রগতিশীল মানুষ যখন কিছু বলে তখন তা শুনতে হয়, তা নাহলে অমঙ্গল হয়। তিনি কানে কানে বলেছিলেন তার নাকি মনে হচ্ছে একটা লাশ পরবে দিনের শেষে দেখা গেলো সত্যি সত্যি রাজিবের লাশ পরে গেলো। তিনি হচ্ছেন প্রগতীশীল পীর।

কবিরাজ সাহেব মুখ অস্বাভাবিক রকমের গম্ভীর করে বললেন,
- ইমরান সাহেব ডান হাতটা দেন। প্রথমে আমি আপনার হাত দেখবো।
-আমিতো হাত দেখাতে এখানে আসিনি। আমি এসেছি বদহজম এর সমস্যা নিয়ে। আমার মুখে খালি থুথু জমে।
- আমার মহলে চিকিৎসা শুরু হয় হাত দেখার মাধ্যমে। এটাই নিয়ম। আমার ভিজিট ১০০০ টাকা। হাত দেখার জন্য পয়সা নেই না কারন আমি শুধু হাত দেখি ভবিষ্যত বলি না। এটা আমার শখ।
- দেখুন আমি এসব হাত টাতে বিশ্বাষ করিনা। আমার বিশ্বাস প্রজন্মে। তারুন্যের শক্তিতে।
- বুঝতে পেরেছি। তবে এখানের নিয়ম মানলে চিকিৎসা হবে না মানলে বিদায় হোন জনাব।

অগত্যা ইমরান সাহেব তার ডান হাত বাড়িয়ে দিলেন। কবিরাজ তাজুল কোন কথা না বলে খুঁটে খুঁটে সময় নিয়ে হাত দেখে বললেন। দাওয়াই দিচ্ছি। ঠিক মতো খাবেন। হজম শক্তি বাড়বে। দলা দলা থু থু জমা হবে না। আর শুনেন মাঝে মাঝে কিছু জিনিস ভুলে থাকার চেস্টা করবেন।আপনের দাদার মতো আমার দাদাও রাজাকার ছিলেন। ড. জাফর ইকবালের নানাও রাজাকার ছিলেন। আমরা এসব ভুলে থাকার চেস্টা করি। আপনিও একটু ভুলে থাকার চেস্টা করেন। ইমরান সরকার ক্ষোভে ফেটে পরলেন।

- শোনেন আমার দাদা মোটেও রাজাকার ছিলেন না। আমার দাদা একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
- আরে ইমরান সাহেব চেতেন ক্যানো। সে হিসেবে আমার দাদা আরো বড় মুক্তি ছিলেন কারন আমার দাদাকে পাইক্কারা হত্যা করেছে।

ইমরান আর কথা বাড়ালেন না। দাওয়াই হাতে নিয়ে একহাজার টাকার বান্ডিল থেকে ২ টা নোট বের করে দিলেন।
- ইমরান সাহেব এক হাজার টাকা আমার ভিজিট। আপনি দিচ্ছেন দুই হাজার টাকা। আমি হালাল খাই। হালাল রুজিতে বরকত। আপনার বাকী এক হাজার টাকা নিতে পারি যদি আপনি আমার একটা কথা শোনেন।
- হ্যা বলুন কি কথা?
- " আপনার সামনে মহাবিপদ। আপনি কালো কুত্তা থেকে সাবধান থাকবেন।"

ইমরান সরকার মুচকি হেসে বের হয়ে গেলেন। বিশ্বাষই করলেন না কথাটা।

৩.

চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভেতরে একটা পুকুর মতো জায়গা আছে। জামায়াতিরা এটাকে নাকি বলে কুফা পুকুর। এতো গভীর পুকুর তবুও বারো মাস শুকনো থাকে। শীতের সময় পোলাপাইন এখানে ব্যাডমিন্টন খেলে। সেই পুকুড়ের পাশে একটা চেয়ারে বসে আছেন ইমরান সরকার। চিন্তিত মনে পাইপ টানছেন। পাইপের প্রতি টানেই এক ধরনের সুখটান আছে। দ্বিতীয় বংগবন্ধু হবার পর থেকে তিনি পাইপ টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবশ্য এ সিদ্ধান্ত নেয়ার পেছনে কর্নেল বি বি সিং এর বিশেষ সহায়তা রয়েছে। মুলত আরিনমো তামাক আর পাইপের ব্যাবস্থা তিনিই করে দিয়েছেন। গতকালও কর্নেল সাহেব এসেছিলেন। অনেক দরকারী ও জরুরী দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। বংগবন্ধু শেখ মুজিব যেসব ভুল করেছিলেন বংগবন্ধু ইমরান সেসব ভুল করতে পারবেনা। খুব সজাগ থাকতে হবে। কর্নেল বি বি সিং এর প্রতিটি নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে।

আশে পাশে কতগুলো আধ খাওয়া বিরিয়ানীর প্যাকেট পরে আছে। একটা কালো কুকুর ঘুর ঘুর করছে। সেসব বিরিয়ানির উচ্ছিষ্ট ভোগের চেস্টা করছে কুকুরটি। খুব বিরক্ত মনে ইমরান সরকার ভাবছেন, বাঙালীর এই এক সমস্যা কোন কিছু ফ্রি পেলে সেটার মুল্য আর জিবনেও বুঝার চেস্টা করে না। যখন খাবার ও টাকা পয়সা আসা বন্ধ হয়ে যাবে তখন বুঝবে এই আবালের জাত। শাহবাগে তখন ২০০ মানুষও থাকবে না। আন্দোলন চলবে কিভাবে? কালো কুকুরটি ইমরান সরকারের ঠিক পাশেই একটা কাচ্চি বিরিয়ানির বাক্সের উচ্ছিস্ট খাচ্ছিলো। ইমরান সাহেব বাঁধা দিলেন না। তার খুব মায়া হলো ক্ষুধার্ত কুকুরটির জন্য। হঠৎ তার মনে পরলো তিনি এসেছেন দরিদ্র পীড়িত উত্তারঞ্চল থেকে যেখান প্রতি বছর মঙ্গায় খাদ্যাভাবে মানুষ মারা যায়। তাদের ভাগ্যে তো এই কুকুরটির মতো বিরিয়ানির উচ্ছিস্টও জুটে না। না এগুলো এখন ভাবা যাবে না। আগে রাজাকার নিধন তার পরে অন্য কিছু। দেশে যদি শতকরা পাঁচভাগ রাজাকার বা জামায়াত শিবির থাকে
তাহলে তাদেরকে শেষ করা বিরাট কিছু নয়। জবাই করে ও বস্তায় ভরেই এদের শেষ করা যাবে তার পরেই ধরবো বিরোধী দলীয় নেত্রীকে। ভাবতে ভাবতে কুকুরের প্রতি তার একটা ভালোবাসা জন্ম হলো। কালো কুকুরটি লেজ নাড়িয়ে নাড়িয়ে একমনে খেয়ে চলছে। এমন সময় আরো কয়েকটি কুকুর এসে জড়ো হলো। ওরাও কাচ্ছি বিরিয়ানীর উচ্ছিস্ট খেতে চায়। কালো কুত্তাটি ঘেউ করে একটা আওযাজ করলো। তখনি ইমরান সাহেবের মুখে একদলা থুথু জমা হয়ে গেলো। ইমরান সাহেব মনে মনে কবিরাজের গুষ্ঠি উদ্ধার করছেন। শালা একটা ভুয়ার ভুয়া।

ইমরান সাহেব পিচিক করে একদলা থুথু ফেললেন। তার মনে পড়লো ভুয়া কবিরাজের ভুয়া সতর্কবানীর কথা। তিনি চিন্তা করে পান না আরিফ জেব্তিকের মতো প্রগতীশীল একটা পীর কিভাবে এমন ভুয়া লোকের কাছে পাঠাতে পারে! ইমরান সাহেব নিশ্চিত যে হাজার টাকার নোট দেখে লোভ সামলাতে পারেনি শালা জামায়াতি রাজাকার কবিরাজ। এবার একটু শাহবাগের দিকে যেতে হবে। ইমরান সাহেবের মনে আজ কাল কবিতা আসে। যেমন এখন আসছে:
শিবির শিবির কোথায় যাস
যাওয়ার জায়গা হাজত বাস
আয়রে শিবির শাবাগ আয়
ফ্রি বিরিয়ানী কু্ত্তায় খায়

৪.

অদ্ভুত একটি স্বপ্ন দেখে হুড়মুড় করে সজাগ হয়েছেন ইমরান সরকার। দেখেছেন একদিকে কয়েদীদের পোষাক পড়া হাজার হাজার লোক সারাদেশে কুকুর নিধন করছেছে। আবার অন্যদিকে কুকুর কুকুর লড়াইও চলছে। চারুকলার কুফা পুকুড়ের পাশে বিরিয়ানীর প্যাকেট নিয়ে লড়াই করছে দুইটা কুকুর। একটা মোটা সোটা স্বাস্থবান কালো কুকুর আরেকটা সাধারন গড়নের। হঠাৎ করে কালো কুত্তাটা কোত্থেকে একটা চাপাতি নিয়ে কোপ মারলো। আর ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরুলো ছোট কুত্তার শরীর থেকে। ইমরান সরকারের নাকে মুখে সেই ফিনকি দেয়া রক্ত এসে পরলো।

ইমরান সরকার হাঁপাচ্ছেন। তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না ক্যানো এই কুকুর নিধন ছলছে দেশে আবার কেনইবা কুকুরে কুকুরে বেঁধেছে লড়াই। যাইহোক স্বপ্নটা বিশেষ কিছু না। কারন স্বপ্নের সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই। তবে তার মুখের মধ্যে ফিনকি দিয়ে রক্ত এসে পড়ায় খুব ঘেন্না ঘেন্না ভাব হচ্ছে। আবারো ইমরান সরকারের মুখে একদলা থুথু জমা হয়েছে।

- শালা জামাতি কবিরাজ। ইমরান সরকার এবার মনে মনে কবিরাজ তাজুলের বাবা-মা, বোন তুলে গালি দিলেন।

সন্ধ্যেবেলা ইমরান সরকার বসে আছেন শাহবাগ চত্বরে। হঠাৎ আকাশে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে। মেঘের কুন্ডুলী পাকানো দলা গুলো অস্থির ভাবে হাঁটছে। ইমরান সরকার ভাবছেন তার দলা দলা থুথুও মাঝে মাঝে এমন অস্থিরভাবে পায়চারী করে তার মুখের ভিতর। মনে হচ্ছে একটু পরেই এই মেঘের পাহাড় লাফ দিয়ে তার মাথার উপর পরবে। ছারদিক অন্ধকার হয়ে আসছে। ইদানিং সন্ধ্যের সময় ইমরান সাহেবের অস্থিরতা বেড়ে যায়। ইমরান একটু স্থির হওয়ার চেস্টা করেন, মনে করার চেস্টা করছেন দিনের কাজগুলি। পাশাপাশি কাল কি বলতে হবে মনে মনে ঠিক করছেন। আগামী কাল টাকা পয়সা বিষয়ক কিছু বিষয় সুরাহা করতে হবে। ম্যানেজমেন্টের মুল থিওরী হচ্ছে মটিভেশন। আর ধর্ম নিরপেক্ষ চেতনায় মটিভেশন কেবলই আসে টাকা পয়সা থেকে। তাই তিনি মনে মনে ঠিক করছেন। ঘোষনাগুলো নিম্নরূপ
১. ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা শাহবাগ চত্বরের কর্মীদের দিতে হবে।
২. শাহবাগ আন্দোলনকারীদের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট দিতে হবে।
৩. সরকারী চাকরীতে শাহবাগ কোটা চালু করতে হবে।

নামটা পরিবর্তনের কথাও তার মাথায় এসেছে।নাম হবে ইমারানর রহমান, এই পরিবর্তন কে বলে ইষৎ পরিবর্তন। মুজিবর রহমানের সাথে মিল রেখে এই পরিবর্তন টা হবে। মুজিবর কে বাঙালী মুজিবুর বলে ডাকে এই বিষয়টা আগামীতে ক্লিয়ার করতে হবে। মসজিদ মক্তবের তাজবিদ শিক্ষার মতো একটা বই বের করতে হবে। যেখানে আওয়ামী-বাম ধর্মের বানীগুলো শুদ্ধ করে পড়ার শাবাগী পদ্ধতি থাকবে।

-ইশ হুমায়ুন আজাদ বেঁচে থাকলে তাকে দিয়ে অনায়াসে একাজটা করানো যেতো। কিন্তু মদ খাইয়া শালায় মইরাই গেলো। আপাতত চটি পিয়ালকে দিয়ে এটা করাতে হবে। তবে সমস্যা, একটা কিছু অশ্লীল শব্দ ঢুকে যেতে পারে। অসুবিধা নাই। ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদে এসব মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর ব্যাপার। তবে সবচেয়ে বড় কথ নির্মগান্ডু গু কে খবর দিয়ে চট পট একটা কবিতা লিখিয়ে ফেলতে হবে। কবিতাটি হবে এরকম

যতদিন থাকবেনা বাঙালী জাতির কান্ডজ্ঞান
ততোদিন রবে কীর্তি তোমার ইমরানর রহমান


৫.

মোবাইলটা বেজে উঠলো। ৭ই মার্চের ভাষনের রিংটোন। এইটা বদলাতে হবে। ৭ই মার্চ ১৯৭১ থেকে ৭ই মার্চ ২০১৩ এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশী। ২০১৩ র ৭ই মার্চের ভাষনের রিংটোন লাগাতে হবে। তবে ভাষনটা বংগবন্ধুর মতো হয়নি। হবেই বা কেমন করে। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ শেখ মুজিবের মুখেতো আর দলা দলা থুথু ছিলোনা।

ফোনটা এসেছে কাইল্যা জাম্বুর নাম্বার থেকে। যখন তখন ফোন দেয়, ভাল্লাগেনা কালো শুওরের এমন আচরন।
-হ্যালো। নাজমুল ভাই। মনে মনে বলে, কালা শুওর।
- হ্যালো ইমরান তুমি এখনি চলে আসে সোহেলের সাথে। কর্নেল বিবি সিং, নাসির বাচ্চু, শারিয়ার কবির, মুনতাসির মামুন সবাই এখানে আসবেন। গোপন দিক নির্দেশনামূলক মিটিং হবে। সোহেল তোমার জন্য চারুকলার গেটে ওয়েট করছে।
- ঠিকাছে আসতেছি।
- থ্যাঙ্ক ইউ নাজমুল ভাই।
- ওকে দ্বিতীয় বংগবন্ধু।
- জয় বাংলা
- জয় বাংলা

ইমরান সরকার শাহবাগ মঞ্চ থকে চারুকলা অভিমুখে হাঁটছেন। লোকজন আর আগের মতো শাহবাগে আসছেনা। বিষয়টা চিন্তনীয়। রাজীব হারামজাদা মারা যাওয়ায় কোথায় একটু লাভ হবে না উল্টা আরো ক্ষতি হয়ে গেলো। শাহবাগের চেহারাটা কেমন জানি কদাকার হয়ে গেছে। ইমরান সরকার ভাবেন শুরু থেকেই কানতাসি মামুন, মুরগী কবির কিংবা খবিস বাচ্চুরে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন কিন্তু হলোনা। এই শুওরগুলোর নাম মনে হওয়ার সাথে সাথে আবারো দলা দলা থুথু জমা হয়ে গেলো।

দু একজন এসে হাত মিলাচ্ছে। থুথু সমস্যার কারনে ইমরান সরকার কথা বলছেন না। একটু মাথা ঝুঁকিয়ে ভাব বিনিময় করছেন।

সোহেলের মোটর বাইকে বসতেই অদ্ভুত একটা শব্দে বাইক চালু হলো। সেই শব্দ শুনে পাশ থেকে একটা কুকুর ঘেউ করে উঠে দৌড়ে চলে গেলো। একই সাথে বৃষ্টিও শুরু হয়ে গেলো। সোহেল বাইক চালিয়ে ইউনিভার্সিটির দিকে চলতে লাগলো। ইমরান সাহেবের মনে একটা রবীন্দ্র সংগীত আসলো তিনি গুন ঘুন করে গাইছেন,

আহা আজি এ বরষায়
এতো ফুল ফুটে এতো পাখি গায়....।


ঘ্যাচ করে বাইক থামলো বাংলা একাডেমীর উল্টা পাশে। এখানে ছোট্ট একটা গেট আছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকার। ভেতরে একটা খুপরি মতো দোকান ছিলো। পোলাপাইন গাঁঞ্জা টাঞ্জা খায় এসব জায়গায়। শাহবাগ মঞ্চ হওয়ার পরে এটি একটু জনপ্রিয় জায়গা হয়েছে। কিন্তু আজ কোন জনমানুষ নেই এখানে। হয়তো বৃষ্টির জন্য খালি হয়ে আছে জায়গাটা। ইমরান সাহেব বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়ে গেছেন। খুপরি মতো ঘরটা থেকে কালা জাম্বু বের হয়ে আসছএ। কালা জাম্বুকে দেখেই ইমরান সরকারের মনে হলো এতক্ষন যে গানটা তিনি গেয়েছিলেন তা ভুল ছিলো।

গানটা আসলে হচ্ছে,

আহা আজি এ বসন্তে....

ইমরান সাহেব খুব উৎসাহ নিয়ে জিজ্ঞেস করছেন নাজমূল ভাই কর্নেল দাদা ও অন্য দাদারাও কি এখানেই আসবেন?

নাজমুল নিরস কন্ঠে জবাব দেয়
- এখানে কেউ আসবেন না।
ইমরান সাহেবের মুখে হঠাৎ করে আবারো একদলা থুথু জমা হলো।
নাজমুল বলছেন তুমি কি জানো তোমাকে এখানে কেনো ডেকে আনা হয়েছে? ইমরান সাহেবের মন একটা অজানা আশংকায় হঠাৎ শংকিত হয়ে উঠলো। কারন তিনি এখন বুঝতে পারছেন ভয়ংকর একটা কিছু ঘটবে। এমন সময় কেউ একজন একটা কিরিচ দিয়ে সোহেলকে আঘাত করলো।

কাইল্যা জাম্বু আস্তে করে কানে কানে বললো, আসলে আমাদের আরেকটা ১৫ই আগস্টের খুব প্রয়োজন। রাজনীতির জুয়ায় আমরা হেরে যাচ্ছি। ইমরান বিশ্বাস করতে পারছেন না কি হচ্ছে??
ইমরান তার সমস্থ থুথু ছুড়ে মারলেন কালা কুত্তার মুখের উপর। ঠিক তখনি কেউ একজন একটা চাপাতি দিয়ে কোপ দিলো। জ্ঞান হারানোর পুর্বে ইমরান সাহেব তিনটি বিষয় খেয়াল করলেন।

১. এক ফিনকি রক্ত কালা জাম্বুর মুখে পড়েছে।
২. জামাতি কবিরাজ তাজুল মিথ্যে বলেনি।
৪. মরিচিকার জিবনে হারিয়ে যাওয়া প্রিয় সে মায়ের মুখ।

[বি. দ্র : এটা সম্পূর্ন একটি কাল্পনিক গল্প। এর সাথে বাস্তবের কোন চরিত্রের মিল নেই।]
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৭
২৩টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×