মনে করুন, এক মদনের কাছে ২৫টি কলা রয়েছে। জনৈক মধু এসে বললো, না এই কলাগুলি আমার। কাজেই আইনের পরিভাষায় এই ২৫টি কলা হয়ে গেল ডিসপুটেড বা বিরোধপূর্ণ । এক সালিশবোর্ড এসে কলা গুলি সমতার ভিত্তিতে মদন আর মধুর মধ্যে ভাগ করে দিল। মদন পেল ১৯টি কলা এবং মধু পেলো ৬টি কলা।
নেহায়েত চাপা ও মেধার জোরে মধু এই ৬ টি কলা অতিরিক্ত পেয়ে গেছে । মদন এখন খুশীতে ডুগডুগি বাজাচ্ছে কারন সে মধুর চেয়ে ১৩টি কলা বেশি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, এই রায় খুশী মনে মেনে নেয়ার জন্যে মধুর প্রতিক্রিয়া প্রকাশের আগেই মদন তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেলেছে।
প্রকৃত ঘটনা জেনে নিন
২৫ হাজার ৬০২ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের ন্যায্য ২৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার থেকে ভারত ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার পেয়েছে। যেখানে ভারতের এক সেন্টিমিটার পরিমানও অধিকার নেই সেখান থেকে ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার নিয়ে গেলো। আর হে প্রিয় বাঙালী বগল বাজাচ্ছে জননেত্রী হেন করেছেন, জননেত্রী তেন করেছেন বলে। আফসোস আমরা না দেশপ্রেমিক, না বিপ্লবী।
যে দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি নিয়ে প্রধান বিরোধ সেই দ্বীপটিও পেয়েছে ভারত। অথচ ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত দক্ষিন তালপট্টি দ্বীপটিতে বাংলাদেশ নেভীর অবস্থান ছিলো।
এগুলো অফ টপিক
বাই দ্যা ওয়ে ট্রাইবুনালের মেম্বারদের মধ্যে একজন আবার সরাসরি ইন্ডিয়ান। নাম: মি. পি এস রাও। যদিও ভিন্নমত পোষন করেছেন।
বাংলাদেশের রিপ্রেজেন্টেটিভদের মধ্যে একজন ইন্ডিয়ান বংশদ্ভোত নাম মি. ভিভেক কৃষ্ণমুর্তি।
দৃশ্যত বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের মতোই আরেকটি ট্রাইবুনাল মনে হচ্ছে। আমরা আমরাইতো। "আমি দাঁড়াইয়া যামু আপনে বসাইয়া দেবেন।"
শংকিত ভবিষ্যৎ, তবুও দে তালিয়া
না বুঝে ব্যাঙের লাফ দেয়া বাঙালীর পুরানা স্বভাব। ফি বছর এভাবে আমরা নাচতেই আছি। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, মিয়ানমার ও ইন্ডিয়া যেভাবে আিল ঠেলাঠেলি করছে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমানায় সেভাবে চলতে থাকলে এ অঞ্চলে বাংলাদেশকে ফিলিস্তিনের পরিনতিই ভোগ করতে হবে।