বিরহের কবিতা।
তোমারে রেখেছি আমি মনের অতলে
পুষেছি আমি তিল তিল ভালবাসার রক্তবিন্দু দিয়ে,
আর তুমি হয়ত তোমার মনের আকাশে শকুন চড়িয়ে দিয়ে
আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছ বিস্মৃতির অতলে।
আমিতো আমিই
আমার মত করে সাজিয়ে নিয়েছি
আমার মনের বাগান,
হায়,তুমি যদি চিনতে!
লৌকিকতার মুখোশ ভেদ করে
আমার মনের বাগানে প্রবেশ করতে,
সমস্ত পৃথিবীকে এক পাশে সরিয়ে রেখে
আমি তোমারি করি যতন,হৃদয়ে ধারণ
তুমি জানো কি তা!
আমি উদ্বাহু বাড়িয়ে অপেক্ষায় থাকি
যদি কোনদিন ডুবুরী হয়ে
আমার হৃদয় সাগর সেচে
জয় করতে সেই যতন মনি,
চাতক পাখির ন্যায় অপেক্ষায় থাকি
মহাসমুদ্রের এক চিলতে কিনারায়।
আদিগন্ত বাতাসে ছড়িয়ে দিই
আমার ভালবাসার সৌরভ,
তোমার বিরহ কাতরতা স্বাক্ষী!
উত্তরের মৃদু হিমেল বাতাসের পরশে
তোমার চোখের পাপড়ি নেচে উঠেছিল
রোমকূপ শিহরণে জেগেছিল অস্ফুট আবেগে,
অথচ তুমি বুজতেও পারলেনা
আমাকে ছুয়ে গেলে তুমি।
যোজন যোজন দুরত্ব নিমিষে ঘুচে গেল
হংস মিথুনের বন্ধনে টলমলে চোখের সরোবরে
হ্যা,আমিই অশ্রু হয়ে ঝরি তোমার চোখের মনি থেকে।
হায়,দুর্ভাগা আমিও তো কম নই!
শরতের রঙ্গে সেজে আমার হৃদয় তলে
শুকিয়ে চূর্ণ হয়ে দুমড়ে মুচড়ে কালশিটে
তোমার হৃদয় নিবেদন,
হয়ত হৃদয়াহত হয়ে আমি বিলাপ করে চলছিলাম
জানতেও পারলামনা প্রতিনিয়ত
তোমার স্পর্শে আমাকে ক্ষয়ে যাও,
ক্ষয়ে যেতে যেতে হয়ত আমরা দুজনেই পৌছে যাব
নি:শেষের শেষ সীমায়
যেথায় আর কোনদিন আমরা লিখবনা বিরহের কবিতা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৫১