রক্তের ঋণ।
তোমারে প্রসেবিয়াছিলো যেই বাংলা গরবিনী
কালের আবর্তে ও চিরদিনিই রইবে ঋণী,
নিজেরে উজাড করিয়া দান করিলো তোমায়
রক্ত মাংস অবয়ব পাইয়া ছিলে তুমি তাহায়।
তিল তিল করিয়া তোমায় গড়িয়া তুলিলো
প্রথম যেইদিন ধরায় কুড়িটি ফুটিয়া ছিলো,
বিশাল এক অথৈ সাগরে পড়িয়া ছিলে তুমি
সাতার ছিলো না জানা আকড়াইয়া ছিলো মমতাময়ী।
হাত পা ছুড়িয়া করিয়া ছিলে যত সারা
অতলে তলাইয়া যাইতে ছিলে পাগল পারা,
নিজেরে ভিজাইয়া সদা রাখিলো তোমায় উষ্ণ
অঙ্গার, জল , বিকিরণে হইয়াছিলে তুমি পুষ্ট।
তার বাহু ডোরে উপনীত হইলে মহি সোপানে
পাড়ি দিতে হইবে একা এখন, সবাই জানে,
লক্ষ্য রাখিয়া স্থির যদি চাও সমুখ পানে
নিশ্চিত খুজিয়া পাইবে একদিন জীবনের মানে।
পিছনের পথ চাহিয়া দ্যাখো কেমন দীনহীন
ভুলিয়া যাইওনা শুধিতে তোমার রক্তের ঋণ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:০৯