"শয়তানের আয়াত (Satanic Verses)"
"তোমরা কবিদের অনুসরণ করিও না
দ্যাখোনি তাহারা বিভ্রান্তিতে
উদভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিয়া বেড়ায়
তাহারা যাহা বলে, তাহা করেনা"
তাহারা যাহা করে, তাহা বলেনা।
তবে কি, কবিরা কখনো দৃষ্টান্ত হইতে পারিবে না!
মুসলমানদের নবী করিম(সা) এর
রাজকবি ছিলেন নাকি আঞ্জা শাহ!,
নবীর(সা) সাথে কাফেলায় আঞ্জা শাহ
যখন কবিতার পংক্তি আবৃত্তি করতেন
তখন নবী(সা) বলতেন, খুব সুন্দর খুব সুন্দর
আরো বলো আরো বলো।
কবি,মনীষী, দার্শনিক, পন্ডিত, নেতা এবং নবীদেরকে
আল্লাহ অশেষ রহমত দান করেছেন,
বিশ্ব ব্রম্মান্ডের অনেক গূঢ় রহস্য
আগেই তিনি তাহাদের মধ্যে প্রোথিত করেন।
নয়তো কবি কাজী নজরুল ইসলাম একশত বছর পূর্বেই
কি করে লিখলেন "বিশ্ব জগত দেখবো আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে"
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কি করে বললেন
"আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি, তোমাদের যা কিছু আছে
তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা কোরো",
পাঁচশত বছর পূর্বে কি করে নস্ট্রাডমাস
বর্তমানের ঘটনা সমূহ ভবিষ্যত বাণী করিয়াছিলেন।
আমি কিন্তু কবির পরিচিতি চাই না
কেননা অনেকেই অহমিকায় কবিদের উন্মাদ বলিয়া চিহ্নিত করে,
কিন্তু আমার মধ্যে কে কবিত্ব সেঁধে দিলো
আমি তো চরণে চরণে যাহা লিপিবদ্ধ করি
তাহা আমার মস্তিস্ক প্রসূত, দেখে দেখে লেখা নয়
মাঝে মাঝে তো মনে হয় কেহ আমার কানে উচ্চারণ করে চরণ সমূহ
তাই ভালো মন্দ যাহা কিছু উত্সারিত
উত্স নয় নিজের, বরং অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা।
কবিরা অন্তত: নিজে কিতাব রচনা করিয়া
বলেনা "ইহা আল্লাহর নিকট হইতে বিধান"
আমাদের নবী করিম (সা) ও কি একজন কবি ছিলেন!
কখনই কি ভাবিয়া দেখিয়াছ মন
একজন নিরক্ষর মানব, ঊষর মরুভূমিতে বসবাসকারী
গুগল, ইন্টারেনট, টেলিফোন, রেডিও, সংবাদপত্র
ব্যতিরেকে বিশ বছরে ১১৪ টি সূরা সংকলিত করলেন
কে তাহাকে ইথারে তাহা প্রোথিত করিলেন?
তাই যদি হয়, তবে কি জগতের মহান কবিরা
অন্য উত্স হইতে প্রোথিত হন,
হইতে পারে তাহা শয়তানের নিকট হইতে
আসলে কি তাহা সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য!
যদিও রাসূলের নিকট নাকি
শয়তান হইতে একটি আয়াত নাযিল হইয়াছিলো,
পরে রাসূল তাহা বাতিল করিয়া দেন।
যাহা সালমান রুশদীর স্যাটানিক ভার্সেসের মূল উপজীব্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১৯