দেশটা প্রায় দীর্ঘ দুই মাস থেকে অস্থির হয়ে আছে। আমরা কেমন যেন সয়ে যাই। যত অস্বাভাবিকতা, বিশৃংখলা সময়ের সাথে সাথে আমাদের কাছে অভ্যাসে পরিনিত হয়। রাজনীতির এমন গোয়াড়-একগুয়ে আচরন দেখে আমরা বিজ্ঞের মত বলি, জানিতো নোংরা রাজনীতি দেশটা ধ্বংস করে দেব। কিন্তু কিছু না করে আমরা অপেক্ষায় থাকি কবে সেই কেয়ামত আসবে!
তবে কি আমরা ঐতিহাসিকভাবেই ধ্বংসপ্রবন জাতি? দু-চার বছর স্বাভাবিক থাকলেই আমাদের উশখুশ লাগে। দেশের কোন স্কুলের বেঞ্চেই পরিস্কার থাকে না, যত সৃষ্টিশীলতা; গান-গল্প-কবিতা সবই পাবেন সেখানে। সুন্দর-চকচকে একটা দেয়াল পাবেন না এলাকায়, পোস্টার আর চিকামারায় ছেয়ে গেছে সব। চেয়ার-সোফা অথবা মোটর সাইকেলের সীটকভার/ফোম যাই বলি না কেন, কোন কারনে একটু ছিড়ে গেলে কিছুদিন পর দেখবেন ছেড়া অংশ বেড়েই চলেছে। মনের অজান্তেই হয়তো আমি-আপনি-আমরা একটু করে ছিড়ে নিচ্ছি। পার্কে, ক্যাম্পাসে বা নিজের বাগানে বন্ধু-পরিজন নিয়ে আড্ডা শেষে ছায়ায় বসে থাকা গাছটির একটি পাতা ছিড়ে নিচ্ছি অবলীলায়! এমন আরও অসংখ্য উদাহারন দেয়া যাবে। এমনটা নয় যে আমরা ইচ্ছে করেই করছি। স্বাভাবিক ভাবেই করি, অভ্যাসেই করি। গিজগিজ করা মৌমাছি দেখলে কেন মৌচাকে ঢিল মারতে ইচ্ছে করে?
তারপরও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। মাত্র ৪৪ বছরে ১৫ বার সংবিধান সংশোধন, গড়পড়তা প্রতি পাঁচ বছর পর রাজনৈতিক ধাক্কার পর দেশ এগিয়ে আছে। প্রাকৃতিক খরা-জলোচ্ছ্বাস-বন্যায়ও দেশ তলিয়ে যায় না। আমরা ভেসে চলি আগামীর দিকে।
কি অদ্ভুদ প্রাণশক্তি! কি অস্বাভাবিক অভিযোজন ক্ষমতা!!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:০১