সবাই চলে গেছে,
শহরতলীর ভবঘুরে,
গলায় শেকল পড়া নাকউচু কর্পোরেট দাসেরা,
রোজসন্ধ্যায় প্রসাধনীর পরতে মুখলুকোনো মেয়েগুলো,
সবাই চলে গেছে।
চলে গেছে স্কুলের হাসতে না জানা গনিত শিক্ষকও।
অবসরপ্রাপ্ত বদমেজাজী সরকারী কর্মকর্তা
রোজকার অভ্যেসমত খবরের কাগজ না খুলেই
সাতসকালে বউএর হাত ধরে চলে গেছে।
বুড়ি নাকি সেদিন ন্যপথালিন এর গন্ধওয়ালা
লাল শাড়ী পরেছিলো দুইযুগ পর।
তরুনীরা দলবেধে ফেলে দিয়ে গেছে প্রসাধনীর-রং।
আর যুবকেরা,
সেই ভোড়ে জানলা খুলে টেনে নিয়েছে ঝলমলে রোদ।
তারপর একসাথে ভলতেয়ার-তলস্তয় হাতে হেটে
গেছে একদল আলোকিত মানুষ।
কি এক অভিমানে সেদিন
বাড়ি ফেরেনি অফিস শেষে বাসে ঝুলতে থাকা
ভ্রু-কুঁচকানো মানুষগুলো।
গলির মোড়ের ফেরিওয়ালাকে
কবিতা আবৃত্তি করতে দেখেছে বললো কে যেন।
সবাই চলে গেছে,
প্রচন্ড ক্ষোভে,
প্রচন্ড ভালোবাসায়,
প্রচন্ড পরিবর্তনের লোভে।
বেকার যুবকেরা প্রমিকার নরম হাত ছেড়ে
লাংগল চেপে ধড়েছে।
তাদের হাতজুড়ে এখন সোনা ফলানী ফোসকা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:১০