somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল্লাতু এবং দেবতাদের মৃত্যু

২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ৯:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্যবিলনীয়দের মৃতের দেবী আল্লাতু, অনেকদিন পর নামটা খেয়াল হল দশদিনের ছুটিতে পড়ার জন্য বই ঘাটতে গিয়ে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমী আশির দশকে শিশুদের জন্য একটা ভালো, বেশ মোটাসোটা বই বের করেছিল, নাম রেখেছিল "জ্ঞানের কথা", এরশাদ সরকার পরে অবশ্য বইটা ব্যান্ড করে দেয়, সম্ভবত বিবর্তনবাদ নিয়ে তথ্য ছিল বলে। এর আগে পরে বাংলা ভাষায় ওরকম বই চোখে পড়ে নি। যাহোক ব্যান্ড করার আগেই আমার কেনা ছিল ওই বইটা, ওখানে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো মহাকাব্য গিলগামেশ সংক্ষেপে গদ্য আকারে ছিল। উরুকের (এখনকার দক্ষিন পূর্ব ইরাকে) রাজা গিলগামেশকে নিয়ে চমত্কার কাহিনী। আরেকটা সমসাময়িক কাব্য যেটা গিলগামেশের মত পপুলার নয়, সেটা হচ্ছে "ইসথারের অবতরণ"। ইসথারের কাহিনীটা তার সাথে মৃতের দেবী আল্লাতুর শত্রুতা নিয়ে। ইসথার আল্লাতুর সাথে পাতালে দেখা করতে গেলে আল্লাতু তাকে নানাভাবে অপমানের চেষ্টা করে শেষমেশ ব্যর্থ হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।

ব্যবিলনীয়দের (অথবা ইরাকীদের পুর্বপুরুষদের) ধর্ম বিশ্বাসের সাথে এসব কাহিনী জড়িয়ে ছিল। কোন সন্দেহ নেই আজকের যুগের ধর্মীয় কাহিনী আমরা যেভাবে বিশ্বাস করি পাচ হাজার বছর আগে উরুক, বা সুমেরের লোকজন সেভাবেই গিলগামেশ, ইসথার বা আল্লাতুর কাহিনী বিশ্বাস করত। ধর্মীয় এসব কাহিনী মজাদার এবং যথেষ্ট কৌতুহলোদ্দিপক সন্দেহ নেই। অনেক ক্ষেত্রে কাহিনীর পেছনে বেশ কিছু বক্তব্যও লুকিয়ে আছে। কিন্তু বক্তব্যের বাইরেও সুমের বা উরুকের লোকেরা নিশ্চয়ই বিশ্বাস করত পাতালে আল্লাতুর সত্যই অস্তিত্ব আছে। সে মৃতদেরকে পাহারা দিচ্ছে। গ্রীক বা রোমানদেরও এরকম অসংখ্য কাহিনী, দেব দেবী ছিল। দেবরাজ জিউস ছিলেন (এখনও আছেন কি?) বজ্রের দেবতা, ভীনাস ভালোবাসার, অথবা পসাইডন সমুদ্রের ইত্যাদি।

তো এসব দেবদেবীরা এখন কোথায়। জিউস কি এখনও ঝড়বৃষ্টি নিয়ন্ত্রন করছেন, নাকি সময়ের পরিবর্তনে এসব দ্বায়িত্ব এখন মাইকেল (মিকাইল?), গ্যাব্রিয়েলদের হাতে। ক্ষমতার এই হাত বদল কবে হল, এই কাহিনী কোথায়, অন্তত কোন ধর্মগ্রন্থে জিউসের কাছ থেকে মাইকেল দ্বায়িত্ব নিচ্ছে এমন বৃত্তান্ত চোখে পড়ে নি। আর পাচ হাজার বছর পর আল্লাতু এখন কোথায়, পাতালে কি সে এখনও মৃত্যুর দেবী, না কি আজরাইল সেই দ্বায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে।

আমার কেন যেন মনে হয় এসব অজস্র দেব-দেবী-দেবদুতদের অনেকেরই আসলে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের দেবী আল্লাতু বহু আগে নিজেই মারা গেছে। আর ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছে যখন শেষ সুমেরিয় আল্লাতুর পূজা বাদ দিয়ে মাইকেল-গ্যাব্রিয়েলের কাহিনীতে নাম লিখিয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে দেবতারাও আসলে অমর নন, দেবরাজ জিউসকেও ইতিহাস রেহাই দেয় নি, আজকে আর পূজা মন্ডপে, টেম্পলে জায়গা হয় না জিউসের, গল্পের বইয়ের কল্পকাহিনীতেই জিউস সীমাবদ্ধ।

কিন্তু দেবতারা কেন মরল? আমার[link|http://www.somewhereinblog.net/utsablog/post/5065|GKUv
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:০০
১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×