somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধ্রুবসব শীৎকারাবলি {{কবিতাব্লগ ,১৮++}}

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কি আছে বল এমন প্রলয়ঙ্করী
মুখ ই তোমার ইস্রাফিলের
শিঙা ;
তোমার জঙ্ঘায় প্রবল মহাযুদ্ধের
দামামা
শুধু দু চোখ ভাসায় অনুকূলতার
ডিঙা।
চোখের প্রশ্রয়ে নেশাতুর
বিভাবরী,
প্রলোভোন পেয়ে ঘ্রাণ
খোলে কস্তূরী,
কেয়ামত আজ ঘোর কিয়ামত
উথাল পাথাল ভেরী,
আ...হ......উ...হ......ই...শশ......মরি মরি!!



সেই তো লাঙল জোয়াল
দিয়ে চাষবাস করা ক্ষেত
হেই হেই
ঠাঠো ঠাঠো ডাইনে হেইয়া বাঁয়ে!
সেই তো চাঁদের খাল
সেঁচে দেয়া জল
যেন সেই
ঘাসে ঢাকা মেঠো পথ গায়ে!
ও পথেই চোরাকাঁটা, ও পথেই
সর্পদংশন
তবু এ পথেই আসি ঘুরেফিরে
এ পথেই দু মুঠো খাবার প্রলোভন,
তাই এ পথেই প্রিয় আদর
ডাকে শরীরেরে!
সেই ডাক একবার
যে কানে শুনেছে
মরিবার ক্রোশ নিজ
কড়ে গুনেছে!
কি যে ডাক শঙ্খের ,
উলুধ্বনিতে
আ......হ...উ......ম...উফফ...উহ...শীৎকার,
শোণিতে!



আমার পোষা এক লক্ষ
প্রজাপতি তোমার বুকের উপর
ছেড়ে দেব
তারা পায়ে পা মিলিয়ে মার্চপাস্ট
করে যাবে তোমার বুক
পিছনে ঢাকঢোল হাতে তাল
দেবে ফড়িং এর স্কাউট দল
ডান বাম ডান, বাম ডান বাম,
শাই শাই চাবুক!
তোমার
নিঃশ্বাসে মিশিয়ে দেব
আমার পোষা এক লক্ষ দীর্ঘশ্বাস
তারা বিজয়ের
ডিসপ্লেতে তোমাকে শোনাবে নদীর
ধারের শ্যামল
জনপদের মত ভালোবাসার
বাঁধা বুলি , রঙধনুর রুপ
মাখানো রূপসা ব্রিজ
সুপারমুনের হাহাকার সব ই
খসে পড়ে , খসে পড়ে আঁচল!
তোমার
সরবাঙ্গে মাখিয়ে দেব
ধনে পাতার ঘ্রান
আউশের
কাটা ধানে হবে বিজয় দিবস
প্রীতি ফুটবল ম্যাচ
আসলে নিয়ন আলো,
রোডল্যান্ডের জলোদগিরন
বা একতারা হাতে ঘরছাড়া হয়ে যাওয়া তারা
এসবই ঘোর দুর্বোধ্য, গাঁয়ের
ছেলে ,
মানে রাখে বরং খাটের
ক্যাঁচক্যাঁচ!
এবং আমার পোষা এক লক্ষ
প্রজাপতি, গৃহপালিত এক লক্ষ
দীর্ঘশ্বাস
এবং উঠোনের এক
কোটি ধনে পাতারা তোমার
নাভিমূল পেরিয়ে অতল গহনে
নেমে একসাথে এক
কণ্ঠে বলে উঠবে “চেক আপ!”
তার উত্তরে তোমার সেই
গগনবিদারী শীৎকার
আআআআআ........................
উউউউউউউউউ.....................
ইইইইইইইইইইইইইইইই...............
ইশশশশশশ.....................
উফফফফফফফফফ............
উমমমম.....................
আআআ...হহহহ.........
আআআআআআআআআহ!
উহহহহহহহহহহ!!
আরও জোরে............
দে ঠাপ.....................দে ঠাপ!!
রামঠাপ..................আহ!



কেননা এটা প্রস্তরযুগ নয়, পাথর
বলতে বুকেজমাই বুঝি
সকালদুপুর বাসন মাজার মত
সযতনে আলতো করে মাজি!
বুকের পাথর দুঃখলোভী ভীষণ
একটু ছুঁলেই ব্যাথায় কাতরায়,
ঘরের শত্রু বুকের বিভীষণ, রাম
থাকতেও রাবণ নাম জপে যায়!
তবুতো হয় আলোর প্রয়োজন,
বীণবাঁশিতে নাচে ষড়রিপু
তোমার হাতে আত্মাভরাট
করে ,তুলে দিলাম আমের আঁটির
ভেঁপু
কাকে দেব আলোর বায়না,
ডাক দিয়েছে জোণাক
জ্বলা রাত
বুকের পাথর বৃথাই ঘষাঘষি,
আগুণের নামে তাদের জোড়
করে রাখা হাত!
ফেরতো হয় আলোর প্রয়োজন,
আগুনের খোঁজে তোমার
কাছে আসা
তুমি বল জোণাকবাতির
সলতেটাকে নামাও, গোপন
থাকুক অভিসারের ভাষা!
আমি শুধুই অবাক
চেয়ে থাকি বাড়ে অন্ধকার
বাড়ে শীতলতা আরও
তুমি খোলা কণ্ঠ
মেলে দিয়ে ট্যাপের মত উষ্ণ
শ্বাস ছাড়!
সে নিশ্বাসের
ছন্দে বসে জলসা, পুরনো রাজ
বাড়ির আসর মাতাও
নব আসরে রাজা শুধু আমি,
বাইজী রানীর ঘুঙুরের মত
উফফ...আহ...ইশ...আউ!



জোরসে বল হেইয়ো! আরও
জোরে হেইয়ো!
যুদ্ধসাজে সাজিয়ে দিলাম
ভালোবাসা প্রিয়!
ইদানীং শহরে যে সকল শব্দ
শোনা যায় তার অধিকাংশ ই
ভায়োলিন
গল্প করতে করতে কখন পাড়
হয়ে এসেছি ১৭/এ
তার মাঝে দু চারটে বোমাও
পড়েছে
তবু জীবন চলছে খুব স্বাভাবিক
জীবনের মত প্রতিদিন!
গলির মোড়ে ট্রাক
থেকে বেচা হচ্ছে ন্যায্য
মুল্যে চাল
ওদিকে কাশবনে হাওয়া লেগে আঁচল
বেসামাল ,
বেড়িবাঁধের
ওপারে নৌকা থেকে মাল
খালাস করছে মাঝি মাল্লা
প্রেমিকার স্তনের ওজন
মাপছে প্রেমিকের হাতের
দাঁড়িপাল্লা ।
বা পাশের টা দেড়কেজি,
ডানের ওজন দুই
ধুর সব কি নিরামিষাশী!
বরং মুখ ডুবিয়ে শুই!
এতসব যুদ্ধেমোড়াজীবন যাপন
দেখে প্রতিদিন
ঘরে আসি একরাশ
ক্লান্তি নিয়ে
ভাগ্যিস তুমি এখনো যাও রোজ
রোজ ঘুম পাড়ানি গান শুনিয়ে
আমি সারাদিন
দেখা মাঝি মাল্লার মত
হেঁইয়ো হেঁইয়ো বলে করি মাল
খালাস
গোপন অভিসারীদের মত
করে দেখি তোমাকে,
রোজরাতে স্তন চাটি,
করি হৃদয়ের বাইপাস।
এ আমার যুদ্ধে মোড়া জীবন
যাপন, এ আমার রোজকার
ভায়োলিনের মূর্ছনা,
এ আমার তোমার
কণ্ঠে আ...হহ...উ...হহ......উফফ......আস্তে...আর
পারছি না!



মাঠের পড় মাঠ আশ্বিনের
চান্দের মুরালি টান
গাছ গাছড়ার ওষুধ খাবেন, বান
ডাকবে বাণ!
অথচ প্রলোভনের
আড়ালে বিষবাহি ট্রেনে চিৎকার
করে কবুতরের দল
ও মাঝি দেখ তোর বৈঠায়
জলের কত টোল!
মন্দিরের পর মন্দির দেবীর
অসুরবধের উপাখ্যান,
আমাবস্যার রাতে বলি উৎসব
দিতে পারে চিরযৌবন!
কুসংস্কারের
আড়ালে গুমরে উঠে ধর্মগ্রন্থ
শেষ সম্বল
ও মাঝি তোর পালের
হাওয়া কেমন আবোল তাবোল!
রাত্রির ল্যাম্পপোস্টে, নিয়ন
আলোর বাড়ে বিজ্ঞাপন
ভয় পাবেন না করা শিখুন
রাত্রি উদযাপন!
ভেক ধরা সব বদ্যি মশাই, ফেক সব
কবিরাজ
ও মাঝি তোর নায়ের
গায়ে কেমন ফুটোর সম্ভাজ!
অথচ আমি প্রাগৈতিহাসিক
কাল থেকে বলে রেখেছি ওষুধ
তোমার শীৎকারেই নিহিত
পরিপূর্ণ উত্থান সুখ!
তুমি হাতে নিলে মরনাস্ত্র
হতে হবে দাঁড়াতেই
তারপর শুধু
মন্ত্রধ্বনি...উউউ...উহহহ...উফ...আআআ...হহ...মেরে ফেলেছে!
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×