আমার চেতনা গ্রাস করেছে অবিমিশ্র বোধে
আমার না করাদের তোমরা করে বেড়াও এই হিংস্র ক্রোধে!
আমার কখনো শেখা হয় নাই সম্পর্কের মানচিত্র
দিব্যি তোমরা দাপিয়ে বেড়াও হৃদয়ের পানপাত্র।
আমার চোখ ছাপিয়ে কখনো করিনি জলোৎসব
মেপে মেপে সব বলেছি কথা, কেঁপে কেঁপে উৎসব!
ভাঙা ভাঙা ছিল বোতামের ঘর, কাঙালের মত কণ্ঠস্বর
আংলায়ে কখনো দেখি নাই মন, হামলা হয়েছিল, কি অতপর??
তোমরা এখন বাল্যেই চেন মিনার-তোরণ-স্তম্ভ
আমার বাল্য গ্রাস করে ছিল বই পড়ানিয়া দম্ভ!
আমার বক্ষ বোতামে আঁটা, চৌদ্দ শিকে বন্ধ
উদ্যান বুকে দেখি নাই শুঁকে প্রেমিকার গায়ে প্রিয় গন্ধ!
খুলে দেখি নাই চুলের কাঁটা, কি কথা সংগোপনে গাঁথা
পাঁজর ভাঙা সংলাপ ছিল ঠোঁটে এসে দিকভ্রান্ত!
চোখ জুড়ে ছিল মুগ্ধতা ছাওয়া, আবদার ছিল আরেকটু ছোঁয়া,
চোখাচোখি হতেই ফিরিয়ে নিয়েছি থেকেছি ইচ্ছাঅন্ধ!
কাশফুল গুলো ছিল নতজানু, নদীর হাওয়ায় আহত প্রিয়মুখ
মুখের আদল গ্রাস করে থাকত আঁধারদূর দিগন্ত!
এত কাছাকাছি তবু এত দূরে, অনুভবগুলো যেত উড়ে উড়ে
মনে মনে শুধু কামনা করেছি একটু যদি থামত! এখানেই যদি থামত!
আমার না করাদের তোমরা করে বেড়াও কি ভীষণ হেসে খেলে
চোখ দিয়ে কখনো দেখি নাই বুক দেখাও চোখে আঙুল তুলে!
বুকের ভেতর কবে কবে জানি গজিয়ে উঠেছে হৃদয়
এমনি অসুখ টের পাইনি ,নিজেরি বুক কী বিষম বিস্ময়!
ইচ্ছে করতো আকাশ মাটি , একসাথে করে তার ঝুঁটি বাঁধি
ইচ্ছেগুলোও গুমোট ভীষণ পাছে তার কিছু হয়!
বুকের ঘরের প্রিয় বিভীষণ, মাঝে মাঝে সাহস দিত ভীষণ
কিভাবে চলি, কি কথা বলি, পাছে ফের কিছু কয়!
ইশারায় সোনার সিংহাসন ,ডাক পাঠাত যখন তখন
যা পেয়েছি যদি তাও চলে যায় এইটুকু ছিল ভয়!
আমার দোটানা বাস করেছে লাল নীল সব ক্ষোভে
পাঁজর জুড়ে হৃদপিণ্ডের বিপর্যস্ত বিক্ষোভে!
আমার চেতনা গ্রাস করেছে ক্লান্ত হাহাকারে
হাজার না করার রাত্রিজাগা করুন আর্তচিকারে ।
ফুসলিয়ে উঠে চোখের সাগর, উস্কিয়ে যায় যে যাযাবর বুকের ভেতর ক্লান্ত
না করাদের চিনে রেখেছি, নাম হারাদের নাম রেখেছি,
নিশ্চয়ই একদিন আমারো হবে, সূর্যমুখী খোঁপা ভেঙে যাবে
একথা যদি সে জানতো! হায় একথা যদি সে মানতো !