১
তুমি তখন সবে চোখে জলকামান সাজালে
ওষ্ঠজুড়ে গোলার খোসা অন্তরীপ, বক্ষজোড়া ম্যাগাজিন
তাল পাতার বাঁশি শেখাচ্ছে আমাকে কোন স্কেলে বাজালে
কোথায় ঘষলে প্রদীপ, আবক্ষ বেরিয়ে আসবে জ্বিন!
আমি তো ভাবিনি তিনটে ইচ্ছা কি কি মুগ্ধ হৃদয় আহত আগুনে সেঁকে
কবির জীবনী রুপভারাতুর দীঘি, আঁতুড়ঘরে কান্না করছে কে কে!
ঠাকুরঘরে প্রার্থনারত দেবী, প্রতিমা আসনে তুমি অধিষ্ঠিত
দিনের আলোয় এখন ঝকঝকে সবই, সকল দেবীই তোমার উদরজাত!
আমার বরং মানবী প্রেমীই থাক, সকল দেবীর গোপন উৎসমুখ
কি হবে বল মাটির মূর্তি দিয়ে, কে দিতে পারে তোমার মত সুখ??
একথা শুনেই মুখ ঢেকেছ উড়নায়, কিসের শরমে আমি জানতে পারিনিতো
আমি তো ভাবছি এই যুদ্ধের শেষে কে হবে জয়ী কে হবে পরাজিত।
জয়ী হতে চেয়ে যেদিন তোমাকে বলেছি, হৃদপিণ্ড পাম্প করছে বিষ
ছুরি কাঁচি প্রতিনিয়ত কাটছে ,ধমনী আর শিরা কেটে গলগল করে ঝরছে রক্ত
অনাহারী সন্ন্যাসী শোণিত গন্ধে ফাটছে,ফুটছে, চাটছে অহর্নিশ
হৃদয়ের রক্ত চল হৃদয়তে মাখি, রক্তে তোমায় তুষ্ট করবে ভক্ত।
তুমি বলেছ, তোমার রক্ত হাড় মজ্জারা, ফুঁসছে যে গোখরো সাপ
মুগ্ধ সংগীত,আমার মাংসকোষে তার নাম লাউডগা, পক্ষীরাজ
পিনের মত সুচাগ্র স্তনচূড়া,জ্বিনরে তিনটে ইচ্ছা বলে খুলে ফেলি যেন খাপ
যুদ্ধ স্থগিত,আমি যেন বাজাই মাতাল করা দ্বেরাজ!
পরাজয় মেনে যেদিন তোমাকে বলি, অনেক হয়েছে আজ থাক তবে
তুমি আরও খেলতে চেয়েছ হলি, বলেছ দেবীপক্ষের শুরুই তো হল সবে!
তুমি আকাশ দেখো , অজস্র আবীর মাখো, প্রিয়ংবদা যুধিষ্ঠির
বাকি যুদ্ধ নাহয় আমি একাই করব খালি, তুমি শুধু প্রিয় হয়ে থাকো সুস্থির!
উলুর শব্দে স্লোগানের ধিক্কারে ,মিছিলে দেবতারা ছুঁড়েছে টিয়ার গ্যাস
তুমিও তখন ক্লান্ত শীৎকারে শুধু বলছ ইশ......আহ......উউউহ......ব্যাস...ব্যাস!
২
তোমার যমজ কাকাতুয়ার মত স্তন যেন হাইওয়েতে স্পিডব্রেকার
ভূগোল অমান্য করে গতি বাড়িয়ে এসে এদ্দুর, এখানেই থমকে দাঁড়ায় রোলারকোস্টার!
কি অদ্ভুত বিষণ্ণ জমি, পাঠ্যপুস্তক মেলে ধরে আছে পর্বতারোহণ শেখার
গাড়োয়ান হেই হেই হাকে, ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দে নিদ্রা ভাঙে গরুর গাড়ির চাকার ।
তোমার নাভিমূলেই সাইনবোর্ড টানানো সামনে শিশু নিবাস,
জোরে হর্ন দেয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
অথচ এখানে এসেই গমগম করে উঠে হৃদয়ের ধুকপুক, জিহ্বার অক্লান্ত চুকচুক
এখানে এসেই মনে হয় প্রচলিত আইন মানি না, ভেঙে ফেলি বাঁধ ।
আরও নিচে গভীর খাতের দিকে তীরচিহ্ন সামনে বিপদজণক বাঁক
তুমি চেয়েছ দণ্ড তাই দণ্ড করেছে ক্রমাগত দণ্ডনীয় পাপ
ঢুকেছে বের হয়েছে , বের হয়েছে ঢুকেছে, তোমার এতদিনের অনাবিষ্কৃত গিরিখাত
আস্তে আস্তে, জোরে জোরে জোরে, প্রচণ্ড জোরে, কান ফাটানো চীৎকারে,বন্য হিংস্র শীৎকারে
আবিষ্কারের রুপ-রস-গন্ধে- আনন্দে ছন্দে ছনে তুমিও ডেকেছ কামাতুর নেকড়ের চন্দ্রাহত ডাক
উউউউহহহহ......আ......মম.........ই.........শশ.......ফাটিয়ে দাও.....ফেটে যাক!!
৩
ভাবছি তোমার ঠোঁটে আজকে বুনে যাব গাঁজার চারা
চুম্বনে খুব ভালোকরে ভিজিয়ে যাব গাছের গোড়া!
নারী গাঁজার পাতার মত তোমার ঠোঁটেও হবে তীব্র নেশা
তোমায় পাঁজাকোলা করে ধরে নেশা করার ইচ্ছা রক্তে সংগোপনে মেশা!
আর তোমার বুকেও ভাসবে দুধেল গাভীর বান
সকাল সন্ধ্যা কোলের উপর দোনা রেখে বান ধরে হবে টান!
তুমি হাঁটুগেড়ে কনুই এ ভর করে উপুড় হয়ে রবে পড়ে
আমি হাটুমুড়ে বসে দুধ পানাব ভীষণ আদরে!
ভাবছি তোমার নাভির নিচের গহীন বনে করব শুরু মধুর চাষ
রানি মৌমাছির জন্য নাভির পৃথক গর্তে ঘর
আমি বাকি সব শ্রমিক মৌমাছির মত নিবিড় শ্রমিক সুরভীর নিচের গহন ঘাস
ছুড়ি কাচির মত খোঁচা দাড়ির ঘায়ে তোমার বন্য হবে কণ্ঠস্বর
!
মরে মরে যাবে, বেঁচে বেঁচে উঠবে,
পুনর্জন্ম, পুনঃ মৃত্যু ঠিকঠাক হবে ঠিকই
দগদগে আগুনে হৃদয় কাতরাবে,
উহ...পারছি না......ইশ......শশশ.জো...র...রে...আহ...... শব্দে জ্বলে যাবে হাড়-করোটি।