সাহস সঞ্চয় করছি
একদিন দুঃসাহসে স্বীকার করে নেব, আমি কবি!
শুধু একমাত্র কারন তুমি স্তনবতী!
মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত তুমি এক অলৌকিক লজ্জাবতী ফুল
অথচ আমি ফলপ্রিয় সুতীব্র সংকোচে
তোমার বুক থেকে ঝুলে থাকে যে ফল স্বাদ-বর্ন-গন্ধবহুল
তার বন্দনাতেই এক মানুষ নির্মম ইচ্ছামৃত্যুর মত কবিজন্ম নিল বেছে!
কৈশোরের অমোঘ মেঘে তুমি যখন ক্রমশ একাকী
আমার বুকের ভেতর নিরন্তর “আবেগে” পেলে পুষে বড় করছি তুমি নামের পাখি!
সকাল বিকাল টের পাই পাঁজরের গোপন ঘরে কিচির মিচির করে চড়ুই
আমি কাউকে বলিনি সে নাম, প্রাচীরের আড়ালে ধরে বুকে বড়ই!
ছিঁড়বো বলে ফলের দিকে মন বাড়ালেম যেই,
বলল বৃক্ষ কষটা ভীষণ! পরিণত হব সামনেই!
নেশাতুর মন ভাংচুর হল, বহুদুর গেল হাঁটতে,
পায়ের পাতা,বুকের পাঁজর বড়ই কাঁটায় ইচ্ছেমত বিঁধতে!
ঋতু পালটাল, তুমিও মাসে মাসেই ঋতুকাল করছ অদল বদল,
মেঘ-বিজলি চমকাল, আশেপাশেই সুবাস ছরাচ্ছে বেসামাল নারঙ্গি ফল!
ফুল ভেবে যারে ছুইনি কভু বন্যরা থাক বনে,
ফল ভাবতেই ঠোঁট উচাটন রস আস্বাদনে!
থাক সে কথা, পর্দা টানাও, জানলা খোলা মেঘ,
বললে তুমি আরেকোটু অপেক্ষা কর, আরও রস আসবে বুক করে যাবে মদেদের ঠেক!
আমি তখন ধ্যানমগ্ন হয়ে বাঁচি, সেদিন চাঁদনী রাত,
আকাশ বাতাস পাগল করল বাতাবী লেবুর কড়া ঘ্রান
আমি তখন ধ্যানভঙ্গ হয়ে গেছি, আমাবস্যা ছুঁয়ে দিল হাত
যুগল লেবুর লেবুবাগান ছুঁয়ে দিতে উন্মাদ মনপ্রান!
জ্বর এসেছে কপাল জুড়ে এমনই তার নেশা
হাঁচি কাশি ভীষণ করে মাঝেমাঝে বিবমষা!
ভালো নেই গো ভালো নেই, এমন লেবু বাগান কাছেই অথচ আমার মেলও নেই
শুধু ছুঁয়ে দেই, যেন ছুঁয়ে দেই, কবে ছুঁয়ে দেই, কেন ছুঁয়ে দেই!
ঠাণ্ডা কাশি, ভালোবাসাবাস, তোমার কাছে চাইতে এলেম লেবু চা!
তুমি বললে দাঁড়াও বাপু! একটু সবুর করো না!
কিছু ছিল, সে কথায় কিছু ছিল,
যে সুখগুলো হাজার বছর কোথায় জানি লুকিয়ে ছিল।
পিছু নিয়েছিল, হয়তো পিছু নিয়েছিল,
আজকে হঠাত ঝরের মত আমার দিকে ছুটে এল!
যদিও আমি সামনেই দাঁড়ানও তথাপি আমাকে না ছুঁয়ে
ছুঁয়ে দিয়ে গেল ডোরবেল,
টোন বাজল, ডাকতে এলুম ভানুমতির খেল
যুধাস্ত্রে সজ্জিত হও স্তন এখন পাকা বেল!
আমি কে , আমি কেউ না আবার আমিই সব
আমার নামে তুমি পাঠালে অকালবোধিত দেবীপক্ষের উৎসব।
তুমি কে বল, চিনছি না তোমাকেও , রূপবতী মেঘ, মায়াবতী,
তুমি বললে, হে মানুষ ,কবি হও, পুরুষ হও, আমি পরিপূর্ণ স্তনবতী!