somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রক্তদান - কিছু প্রয়োজনীয় কথা ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

::::: ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ::::


আমরা আমাদের প্রতিটি জন্মদিনে উপহার পাই আমাদের আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে । আমারা তরুণ প্রজন্ম কি পারিনা আমাদের ১৮তম জন্মদিনটিতে রক্তদান করে আমাদের পুরো জাতিকে একটি উপহার দিতে ?

রক্তদান নিয়ে একটি চমৎকার গান !
-------------------------------
অনেকেই তাদের আত্মীয়ের জন্য ব্লাড চান । অনেক সময় একদম শেষ সময়ে এসে জানান । তাদের বলছি , প্লিজ আপনারা চেষ্টা করবেন হাতে সময় থাকতেই প্রথমে নিজেদের ভিতর ব্লাড খুঁজতে । একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য আপনারা হাতে পান ৯ মাস । এর মধ্যে নিজেদের ভিতর দুই/তিন জন ডোনার তৈরি করে রাখুন প্লিজ । সিজারের সময় তাহলে পাগলের মত ব্লাড খুঁজতে হবে না । অচমকা ব্লাড প্রয়োজন হলে সেটা ভিন্ন ।

আর ব্লাড চাইলে অবশ্যই নিচের বিষয়গুলো উল্লেখ করবেন -
১/ কত ব্যাগ ব্লাড লাগবে
২/ কত সময়ের মধ্যে
৩/রুগির সমস্যা
৪/ কোন হাসপাতালে ভর্তি
৫/কেবিন /ওয়ার্ড নং
৬/ রুগীর নিকট আত্মীয় যিনি রুগীর সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারবে তার পরিচয় সহ মোবাইল নং ।

উল্লেখিত বিষয়গুলো অবশ্যই জানাবেন । বারবার জিজ্ঞেস করলেও কেউ কেউ আছেন বিরক্ত প্রকাশ করেন । বলেন , আপনারা ফোন দিয়ে জেনে নিন । আপনাদের বুঝতে হবে যারা ব্লাড সংগ্রহের কাজ করেন তারা এমন অনেক রিকুয়েস্ট পান । তাদের পক্ষে জনে জনে ফোন দিয়ে এসব তথ্য জানা সম্ভব নয় । তারা ব্লাড সংগ্রহের জন্য কোন বেতন পান না । বরং আপনার ব্লাড লাগলে নিজ খরচে ডোনার এর সাথে যোগাযোগ করে ব্লাড দেবার ব্যবস্থা করেন । নিজেরা পকেটের টাকা খরচ করে ডোনার এর সাথে যাবার চেষ্টা করেন । একজন ডোনার কোন প্রকার আর্থিক বিনিময় ছাড়া রুগীকে রক্তদান করেন । নিজের খরচে হাসপাতাল পর্যন্ত যান ।

আপনারা শুধু রুগী সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেবেন । আর ডোনার ম্যানেজ হলে কষ্ট করে জানাবেন আমাদের । এটা ভুল করবেন না প্লিজ । এটুকু সম্মান একজন ডোনার কে দেবেন প্লিজ । আর কেউ রক্ত দেবার বিনিময়ে টাকা চাইলে সাথে সাথে উপযুক্ত প্রমাণ সহ জানান আমাদের ।



রক্তদানের উপকারিতাঃ-
১. রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কেননা রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়ে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। আর বছরে ৩ বার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলে ও নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়।

২. নিয়মিত রক্তদানকারীর হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম অনেকটাই

৩. নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।

৪. সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী জটিল বা দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকেন অনেকাংশে। যেমন, নিয়মিত রক্তদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।

৫. রক্তে কোলেসটোরলের উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে নিয়মিত রক্তদান।

৬. মুমূর্ষু মানুষকে রক্তদান করে আপনি পাচ্ছেন মানসিক তৃপ্তি। কারণ, এত বড় দান যা আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

৭. রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ। আমাদের সকলের ধর্মই আমাদের এই শিক্ষা দিয়ে থাকে।

৮. রক্তদানে আপনার নিজের অর্থ সাশ্রয়-ও হয়। রক্তদান কেন্দ্রের মাধ্যমে রক্ত দিলে পাঁচটি পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনা খরচে করে দেয়া হয় যা বাইরে করলে খরচ লাগবে প্রায় তিন হাজার টাকার মতো। সেগুলো হলো-এইচআইভি/এইডস, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, ম্যালেরিয়া ও সিফিলিস। তাছাড়া রক্তের গ্রুপও নির্ণয় করা হয়।

৯. নিয়মিত রক্তদান Hemochromatosis প্রতিরোধ করে। শরীরে অতিরিক্ত আয়রনের উপস্থিতিকে Hemochromatosis বলে।

১০. স্থূল দেহী মানুষদের ক্ষেত্রেও রক্তদান অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে ওজন কমাতে।

রক্ত পরিসঞ্চালন সতর্কতা ও করণীয়ঃ
হাত, পা অথবা চোখ ছাড়া বেঁচে থাকা সম্ভব হলেও, রক্ত ছাড়া বাঁচার কথা কল্পনাও করা যায় না। মানবদেহে রক্ত তাই অপরিহার্য। দেহের কোষে কোষে অক্সিজেন এবং পুষ্টি উপাদান পৌঁছে দেয়া, কার্বন-ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য বর্জ্য ফিরিয়ে আনা, হরমোন, লবণ ও ভিটামিন পরিবহন, রোগ প্রতিরোধ, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুতেই রক্তের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই কারও দেহে রক্তের অভাব ঘটলে তা প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে অন্যের রক্ত শিরার মাধ্যমে রোগীর দেহে প্রবেশ করানো তথা রক্ত পরিসঞ্চালন হয়ে ওঠে অন্যতম উপায়।


রক্তদানের যোগ্যতা :
কারা রক্ত দিবেনঃ

০ মহিলা ও পুরুষ যাদের বয়স ১৮-৪৫ বছর।
০ পুরুষ যাদের ওজন ৪৭ কেজি বা তার উর্ধ্বে, মহিলা যাদের ওজন ৪৫ কেজি বা তার উর্ধ্বে।
০ যাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় আছে।
কারা রক্ত দিবেন না
০ রক্তবাহিত বা জটিল রোগ যেমন- ম্যালোরিয়া, যক্ষ্মা, ডায়াবেটিক, রক্তাস্বল্পতা, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, হৃদরোগ, পেপটিক আলসার, হিস্টেরিয়া, চর্মরোগ, রিউমেটিক ফিভার, হাইপারটেনশন, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাদকাসক্ত, এইডস, রক্তক্ষরণ জনিত কোন সমস্যা হলে কিংবা দাঁত তুললে।
০ ৬ মাসের মধ্যে বড় সার্জারি হলে।
০ মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভবতী হলে, যাদের মাসিক চলছে।

যারা কখনোই রক্ত দিতে পারবে নাঃ
—এইচআইভি পজেটিভ রোগীরা।
—সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক নিলে।
—ক্যানসার, হৃদরোগ, বাতজ্বও, সিফিলিস (যৌন রোগ), কুষ্ঠ বা শ্বেতী রোগীরা।
—রক্তজনিত রোগীরা।


যে কারণে রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন পড়েঃ
রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমে প্রয়োজনভেদে রোগীর শরীরে সম্পূর্ণ রক্ত বা রক্তের কোনো উপাদান যেমন লোহিত কণিকা, অণুচক্রিকা বা রক্ত রস দেয়া হয়।
—যে কোনো কারণে অল্প সময়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে সাধারণত সম্পূর্ণ রক্ত (whole blood) দেয়া হয়—যেমন দুর্ঘটনা, রক্ত বমি, পায়খানার সঙ্গে রক্তপাত, প্রসাবকালীন রক্ত ক্ষরণ ইত্যাদি।
—জটিল বা বড় ধরনের শল্য চিকিত্সার সময়ও সম্পূর্ণ রক্তের প্রয়োজন হয়।
—বিভিন্ন রকমের অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতায় সাধারণত লোহিত কণিকা (Packed RBC) দেয়া হয়, যেমন—থ্যালাসেমিয়াসহ অন্যান্য হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া, আয়রনের অভাবজনিত রক্তাস্বল্পতা, হুকওয়ার্মের কারণে অ্যানিমিয়া ইত্যাদি। অবশ্য আমাদের দেশে খরচের কথা বিবেচনা করে এসব রোগীকেও সম্পূর্ণ রক্ত দেয়া হয়।
—এছড়া হেমোরেজিক ডেঙ্গুজ্বর, ইত্যাদি রোগে প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা দেয়া হয়।
—রক্তরস দেয়া হয় হিমোফিলিয়া ও অন্যান্য কোয়াগুলেশন ডিজঅর্ডারে এবং আগুনে পোড়া রোগীকে।


১] দূঘর্টনাজনিত রক্তক্ষরণ – দূঘর্টনায় আহত রোগীর জন্য দূঘর্টনার ধরণ অনুযায়ী রক্তের প্রয়োজন হয়।

২] দগ্ধতা – আগুন পুড়া বা এসিডে ঝলসানো রোগীর জন্য পাজমা/রক্তরস প্রয়োজন। এজন্য ৩-৪ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।

৩] অ্যানিমিয়া – রক্তে R.B.C. এর পরিমাণ কমে গেলে রক্তে পযার্প্ত পরিমাণ হিমোগোবিনের অভাবে অ্যানিমিয়া রোগ হয়। হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়াতে R.B.C. এর ভাঙ্গন ঘটে ফলে

৪] থ্যালাসেমিয়া – এক ধরনের হিমোগোবিনের অভাবজনিত বংশগত রোগ। রোগীকে প্রতিমাসে ১-২ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়।

৫] হৃদরোগ – ভয়াবহ Heart Surgery এবং Bypass Surgery এর জন্য ৬-১০ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন।

৬] হিমোফিলিয়া – এক ধরনের বংশগত রোগ। রক্তক্ষরণ হয় যা সহজে বন্ধ হয় না, তাই রোগীকে রক্ত জমাট বাধার উপাদান সমৃদ্ধ Platelete দেয়া হয়।

৭] প্রসবকালীন রক্তক্ষরণ – সাধারণত প্রয়োজন হয় না তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে ১-২ বা ততোধিক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।

৮] ব্লাড ক্যান্সার- রক্তের উপাদানসূমহের অভাবে ক্যান্সার হয়। প্রয়োজন অনুসারে রক্ত দেয়া হয়।

৯] কিডনী ডায়ালাইসিস – ডায়ালাইসিস-এর সময় মাঝে মাঝে রক্তের প্রয়োজন হয়।

১০] রক্ত বমি – এ রোগে ১-২ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।

১১] ডেঙ্গু জ্বর – এ রোগে ৪ ব্যাগ রক্ত হতে ১ ব্যাগ Platelete পৃথক করে রোগীর শরীরে দেয়া হয়।

১২] অস্ত্রপচার – অস্ত্রপচারের ধরণ বুঝে রক্তের চাহিদা বিভিন্ন।


রক্ত পরিসঞ্চালন করলে কী জটিলতা হয়ঃ
জীবন রক্ষার অন্যতম উপায় এই রক্ত পরিসঞ্চালন আবার কখনও কখনও তৈরি করতে পারে জটিলতা।
—রক্তবাহিত রোগের সংক্রমণ আমাদের দেশে এখনও একটি প্রধান সমস্যা। হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইডসসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী জীবাণু সহজেই রক্তের মাধ্যমে রক্তগ্রহীতার দেহে প্রবেশ করতে পারে। এ পরিস্থিতির মূল কারণ রক্ত পরিসঞ্চালনের আগে রক্তটি জীবাণুমুক্ত কি-না তা যথাযথভাবে পরীক্ষা না করা। অনুমোদনবিহীন ব্লাডব্যাংকগুলোতেই এসব রক্ত বিক্রি করা হয়। আর তা আসে মূলত নেশাসক্ত পেশাদার রক্ত দানকারীদের থেকে। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ রক্ত বা ভেজাল রক্ত— এসব ব্লাডব্যাংক থেকেই আসে।
—ভুলক্রমে এক গ্রুপের রক্ত অন্য গ্রুপের রোগীকে দিলে রক্ত হয়ে উঠতে পারে প্রাণঘাতী। এ ধরনের ঘটনা কম হলেও একেবারেই হয় না তা নয়। এসব ক্ষেত্রে রক্ত সংগ্রহকারী ও পরীক্ষাকারী ব্লাডব্যাংক, চিকিত্সক অথবা নার্স—যে কারও ভুল বা অসতর্কতাই দায়ী। রোগী সাধারণত বুকে-পিঠে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের অভিযোগ করে থাকে। চিকিত্সক দ্রুত ব্যবস্থা নিলে পরবর্তী জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়।
—এছাড়া যে কোনো পরিসঞ্চালনেই কাঁপুনি ও জ্বর আসা এবং অ্যালার্জি জাতীয় ছোটখাটো সমস্যা হতে পারে।
—যাদের কিছুদিন পরপর রক্ত নিতে হয় তাদের দেহে লৌহের আধিক্যসহ অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
—অনেক সময় অধিক রক্ত দ্রুত প্রবেশ করলে বৃদ্ধ অথবা হৃদরোগীর হার্ট ফেইলিউর জাতীয় সমস্যা হতে পারে।

অবশ্য রোগী বা তার আত্মীয়স্বজন সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েন রক্ত পরিসঞ্চালনের আগেই, যখন দেয়ার জন্য রক্ত খুঁজতে থাকেন। পাড়ায় পাড়ায় ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধ ব্লাডব্যাংক গড়ে উঠলেও নিরাপদ রক্ত এখনও দুর্লভ। বিশেষ করে জরুরি মুহূর্তে রক্ত প্রয়োজন হলে তা হয়ে ওঠে সোনার হরিণ। এছাড়া যাদের ঘন ঘন রক্ত নিতে হয় তাদের বেশিরভাগ সময় যায় রক্তের খোঁজে। দুর্লভ গ্রুপের রক্ত হলে তো কথাই নেই।
রক্ত যে কারোরই যে কোনো সময় প্রয়োজন হতে পারে, এ কথা মনে রেখে আমরা যদি এখনই প্রস্তুতি নিয়ে রাখি তবে রক্ত পরিসঞ্চালনের সমস্যা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব।

আমাদের যেসব উদ্যোগ নিতে হবে তা হলো—
—নিজের এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের রক্তের গ্রুপ জেনে রাখা।
—নিকটস্থ ব্লাডব্যাংকের ঠিকানা ও ফোন নম্বর জেনে রাখা।
—শুধু নিবন্ধনকৃত ব্লাডব্যাংকে রক্ত দান ও গ্রহণ করা।
—পেশাদার রক্তদাতার রক্ত ক্রয় না করা।
—নিজে নিয়মিত রক্ত দান করা ও সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা।
—রক্তবাহিত রোগে সংক্রমিত হলে রক্ত দান না করা।
রক্ত নেয়ার আগে সতর্কতা
—রক্ত নেয়ার আগে প্রয়োজন রক্তের গ্রুপ ঠিক আছে কি-না দেখে নেয়া।
—অপরিচিত পেশাদার রক্তদাতার রক্ত না নেয়া। পেশাদার রক্তদাতারা অনেকেই মাদকাসক্ত, দেহে দেহে বহন করে হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি ও এইডসসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী জীবাণু ও সংক্রামক ব্যাধির জীবাণু।
—সবচেয়ে ভালো নিজস্ব আত্মীয়, বন্ধ-ুবান্ধব বা পরিচিত সুস্থ-সবল লোকের রক্ত নেয়া।
—স্ক্রিনিং টেস্টের মাধ্যামে রক্তদাতার ঐনংঅম, ঐঈঠ, ঐওঠ ইত্যাদি পরীক্ষা করতে হবে।
মনে রাখা প্রয়োজন, রক্তের অভাব এবং অনিরাপদ রক্ত দুটোই জীবনের জন্য সমান হুমকি। তাই রক্তের বিকল্প শুধু রক্ত নয় বরং ‘নিরাপদ রক্ত’।

জেনে রাখুনঃ
—যে কোনো সুস্থ সাবালক ব্যক্তি রক্ত দান করতে পারেন। তবে ওজন হতে হবে কমপক্ষে ৫০ কেজি বা ১১০ পাউন্ড।
—উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অথবা কোনো ওষুধ সেবনকালীন রক্ত দান করার আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
—গর্ভাবস্থায় রক্ত দান করা যাবে না।
—যথাযথ নিয়ম মেনে জীবাণুমুক্ত উপায়ে রক্তদান করলে রক্তদাতার কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই।
—রক্তদানের পর ১০ মিনিট বিশ্রাম নিতে হবে এবং পরবর্তী ৪ ঘণ্টা পর প্রচুর পানীয় গ্রহণ করতে হবে। কমপক্ষে ৩০ মিনিট ধূমপান থেকে বিরত থাকা উচিত।
—রক্তদানের পরপরই শ্রমসাধ্য বা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
—সম্পূর্ণ রক্ত অথবা লোহিতকণিকা (Packed RBC) সাধারণত ১ থেকে ৬ ডিগ্রি সে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। ব্যবহৃত এন্টি কোয়াগুল্যান্ট ও প্রিজারভেটিভের ওপর নির্ভর করে তা ২১ থেকে ৪২ দিন ভালো থাকে।
—সাধারণত ৪ ইউনিট রক্ত থেকে ১ ইউনিট প্লাটিলেট পাওয়া যায়। যথাযথ প্রক্রিয়ায় রাখলে তা ৫ দিন ভালো থাকে।
—ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা- ১৮ ডি.সে. তাপমাত্রায় ১ বছর ভালো থাকে।
—সম্পূর্ণ রক্ত দিতে সাধারণত ২ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয়। প্লাটিলেট দিতে কম সময় লাগে।
—রক্ত গ্রহণ অবস্থায় খাওয়া-দাওয়া করতে কোনো সমস্যা নেই। এমনকি নার্সের সহায়তা নিয়ে বাথরুমেও যাওয়া যাবে।
—রক্ত দেয়া অবস্থায় সামান্য জ্বর বা অ্যালার্জি দেখা দিলে ভয়ের কিছু নেই। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে এন্টিহিস্টামিন বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দিলেই চলবে।
—রক্ত দেয়ার আগে এবং রক্ত চলাকালীন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে রক্তের গ্রুপ, ব্যাগের নম্বর, রোগীর নম্বর, নাম ইত্যাদি পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

রক্তদান ও রক্ত দানের পরঃ-

রক্তদানের আগে প্রতিটি রক্তদাতাকে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জিজ্ঞাসা করা হয়। সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে হবে। রক্তদাতার শারীরিক তাপমাত্রা, রক্তচাপ, নাড়ীর গতি পরীক্ষা করা হয় এবং রক্তদাতার রক্ত জীবানুমুক্ত কি না তা জানার জন্য সামান্য রক্ত নেয়া হয়। এছাড়া এই রক্তের মাধ্যমে রোগী রক্তদাতার রক্তের মধ্যে কোন জমাটবদ্ধতা সুষ্টি হয় কি না তাও পরীক্ষা করা হয় (ক্রসম্যাচিং)। রক্ত পরীক্ষার পর কারও রক্তে এইডস, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস -সি, সিফিলিস বা অন্য কোন জীবানুর উপস্থিতি ধরা পরলে তাকে (রক্তদাতা) প্রয়োজেনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেয়া হয়।সূঁচের অনুভূতি পাওয়ার মাধ্যমে রক্তদান প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে সময় লাগে সবোর্চ্চ ১০ মিনিট। রক্তদানের পূর্বে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে- যথেষ্ট বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা।রক্তদাতা প্রয়োজন মনে করলে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারে।রক্তদানের সময় মাথা- শরীর সমান্তরাল থাকতে হবে। দূর হতে রক্ত দিতে এলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে হবে। রক্ত দান করার পরে অবশ্যই নুন্যতম ৫ মিনিট শুয়ে থাকতে হবে। [রক্তের প্রবাহ সমগ্র শরীরে স্বাভাবিক হবার জন্য এটা অতীব জরুরী]। সাধারণত রক্তদান করার পর অতিরিক্ত দামী খাবার গ্রহনের প্রয়োজন নেই। তবে রক্তদানের পর সপ্তাহ খানেক স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য সময়ের দ্বি-গুণ পানি পান করতে হবে। কেননা একজন রক্তদাতা যেটুকু রক্ত দান করেন [সাধারণত ১ পাউন্ড] তার প্রায় ৬০ ভাগ ঐ সময়ের মধ্যে পূরণ হয়। শুধু লোহিত রক্ত কণিকা পূরণ হতে ১২০ দিন বা ৪ মাস সময় নেয়। রক্তদানের পর অবশ্যই তারিখ মনে রাখতে হবে।

বেশিরভাগ রক্ত দাতাই রক্তদানের পর কোন সমস্যা অনুভব করেন না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তদাতা তলপেটে ব্যাথা, দূবর্লতা, মাথা ঘোরা, সূঁচ প্রবেশের স্থানে ক্ষত লালচে দাগ এবং ব্যাথা অনুভব করতে পারেন। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে রক্তদাতা জ্ঞান হারাতে পারে বা মাংসপেশীতে খিচুনি ধরতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব সমস্যা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঠিক হয়ে যায়, কোন ঔষধের প্রয়োজন হয়না।

উপসংহারে বলা যায়, রক্ত পরিসঞ্চালন অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। তা না হলে মানুষের জীবন রক্ষার পরিবর্তে অনিরাপদ রক্ত সঞ্চালনে জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এর জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা কার্যকর করা অত্যন্ত জরুরি। এর মাধ্যমে রক্তবাহিত রোগগুলো প্রতিরোধ ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব।



ব্লাড ব্যাংক:
১. সন্ধানী- ফোন: ৮৬২১৬৫৮,ফ্যা.: ৮৬২১৬৫৮

২. সন্ধানী (ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শাখা)- ফোন: ৯৬৬৮৬৯০, ৮৬১৬৭৪৪, ৯৬৬৩৪২৯
ফ্যা.: ৯৬৬৮৬৯০, ৮৬১৬৭৪৪, ৯৬৬৩৪২৯

৩. সন্ধানী (ঢাকা ডেন্টাল কলেজ শাখা)-ফোন: ৮০১৭১৪৬, ৯০০২০৩৫
ফ্যা.: ৮০১৭১৪৬, ৯০০২০৩৫

৪. রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড সেন্টার- ফোন: ৯১১৬৫৬৩, ৮১২১৪৯৭
ফ্যা.: ৯১১৬৫৬৩, ৮১২১৪৯৭

৫. সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ব্লাড ব্যাংক- ফোন: ৭৩১৯১২৩, ফ্যাক্স: ৭৩১৯১২৩

৬. ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল- ফোন: ৮৩১৭০৯০, ৮৩২১৪৯৫
ফ্যাক্স: ৮৩১৭০৯০, ৮৩২১৪৯৫

৭. মুক্তি ব্লাড এন্ড প্যাথলজি- ফোন: ৮৬২৪২৪৯, ফ্যাক্স: ৮৬২৪২৪৯

৮.বরিশাল প্যাথলজি ব্লাড ব্যাংক- ৯১২৮৬৮৯

৯. ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক- ৮১১৭৩৫৬

১০. ঢাকা ব্লাড ব্যাংক- ৬০৮৫৭২

১১. ডিএমসি ব্লাড ব্যাংক- ৫০৫০২৬-২৯

১২. ডায়াগনষ্টিক ব্লাড ব্যাংক- ৮১১৫৯৪৪

১৩. ডুনার লাইফ সেভ ব্লাড ব্যাংক- ৭৩০০০৪৮

১৪. ল্যাব কেয়ার ব্লাড ব্যাংক- ৮৬২৭৮৮৫

১৫. মেডিফেয়ার ব্লাড ব্যাংক- ৯৬৬২৭৬২

১৬. মুক্তি ব্লাড ব্যাংক- ৮৬২৪২৪৯

১৭. রেড ক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংক- ৯১১৬৫৬৩, ৮১২১৪৯৭

১৮. সন্ধানী আই ব্যাংক- ৮৬১৪০৪০

১৯. সলিমুল্লাহ মেডিকেল ব্লাড ব্যাংক- ৭৩১৯১২৩, ৭৩১৯০০২-৫

২০. সন্ধানী মেডিকেল ব্লাড ব্যাংক- ৯৬৬৮৬৯০, ৮৬২৪০৪০, ৮৬৬৩৪২৯

২১. সন্ধানী ব্লাড ব্যাংক (ডেন্টাল)- ৮০১৭১৪৬

বাঁধন ব্লাড ব্যাংক

১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি,এস,সি’তে সর্ব প্রথম বাঁধন ব্লাড ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পুরো নাম বাঁধন বা লায়াস বাংলাদেশ।



ঠিকানা

বাঁধন, টি.এস.সি (নিচতলা),
(জোনাল অফিস), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ফোন- ০২-৮৬২৯০৪২ ( সকাল ৬ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত)।
ই-মেইল- [email protected]
ওয়েব সাইট- http://www.badhan.org



বাঁধন ব্লাড ব্যাংকঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি.এস.সি চত্বরে অবস্থিত এটি একটি স্বায়ত্বশাসিত ও স্বেচ্ছাসেবী রক্তদান কেন্দ্র।

শাখাঃ
এর সর্বমোট শাখা রয়েছে ৩২ টি। বাঁধনের শাখাগুলোর মধ্যে ১০ টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২২ টি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পর্যায়ে।

রক্ত সংগ্রহের উৎসঃ
এখানে রক্তের উৎস কেবলমাত্র স্বেচ্ছাসেবীদের দানকৃত রক্ত।

রক্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াঃ
রক্ত সংগ্রহ করার জন্য টি.এস.সি চত্বরে বাঁধনের জোনাল অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

রক্তদান প্রক্রিয়াঃ
রক্ত দান করতে হলে প্রথমে তাদের ফরম পূরণ করতে হবে। যদি পরীক্ষায় রক্ত ভাল বলে প্রমানিত হয়, তাহলে তারা রক্ত নিয়ে থাকে। রক্ত সংগ্রহ করতে হলে মেডিক্যাল অফিসারের সিল ও স্বাক্ষর যুক্ত লিখিত ব্লাড রিকুইজিশন আনতে হবে। তবেই রক্ত গ্রহণ করা যাবে।

রক্ত সংগ্রহ প্রক্রিয়াঃ
ক) সেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী আয়োজনে বাঁধন তাদের দল নিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করে।

খ) রক্ত দানের পর রক্ত দাতাদের জন্য গ্লুকোজের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

গ) রক্ত সংগ্রহে সাধারণত সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হয়। একটি সিরিঞ্জ একবার ব্যবহার করা হলে তা পুনরায় ব্যবহার করা হয় না।

ঘ) এখানে রক্ত সংরক্ষন প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তি প্রচলিত নিয়মে করা হয়ে থাকে। রক্ত সংরক্ষনের জন্য CPDA-1 (ব্যাগ উন্নত মানের) ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

রক্ত সরবরাহঃ
এখানে সাধারণ মানুষ এবং গরীব-অসহায় মানুষের জন্য রক্ত সরবরাহ করা হয়। রক্ত সরবরাহকালে কেবলমাত্র রক্তের ব্যাগের দাম নেয়া হয়ে থাকে।

সদস্যপদঃ
বাঁধনে সেচ্ছাসেবকপদ বা সদস্যপদ পেতে হলে বাঁধনের নির্ধারিত ফরম পূরন করে সদস্য হতে হবে। বাঁধনের সদস্য হতে প্রার্থীকে অবশ্যই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী হতে হবে।

অন্যান্য বৈশিষ্ট্য

ক) এখানে সব ধরনের রক্তের গ্রুপের রক্ত পাওয়া যায়।

খ) এখানে প্রক্রিয়াকৃত কোন রক্ত পাওয়া যায় না। এখানে দাতাদের দেওয়া তাজা রক্ত পাওয়া যায়।

গ) বাঁধন সংগঠনটি সম্পূর্ন সরকার অনুমোদিত একটি প্রতিষ্ঠান।

ঘ) চাহিদামত রক্ত পাওয়া না গেলে বাঁধন অন্যান্য রক্ত সংগঠনগুলোর শরণাপন্ন হয়ে রক্ত গ্রহীতাদের যথাসম্ভব সাহায্য করে থাকে।

বিশেষ সুবিধাঃ
এখানে থেলাসেমিয়া রোগীদের জন্য কোন ছাড় দেওয়া হয় না। সাধারণ মানুষ ও গরীব অসহায়দের জন্য যথাসম্ভব ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে।

এখানে নামমাত্র মূল্যে রক্ত পাওয়া যায়। রক্ত গ্রহীতাদের শুধুমাত্র রক্ত রাখার জন্য যে ব্যাগ সেই ব্যাগের বিল দিতে হয়। বিল পরিশোধের জন্য তাদের ফর্মের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতে হয়।

খোলা-বন্ধের সময়সূচী

বাঁধন সন্ধ্যা ৬ টায় খোলা হয় এবং রাত ৯ টায় বন্ধ করা হয়। কারও যদি তৎক্ষনাৎ রক্তের প্রয়োজন হয় তাহলে হলগুলোতে যোগাযোগ করতে হবে।

গাড়ি পার্কিংঃ
এখানে টি.এস.সি চত্বরে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে।


সূত্র:
১. http://www.priyo.com/2013/04/29/17007.html
২. https://www.facebook.com/nazrulbs
৩.http://health.masudkabir.com/রক%
৪. Click This Link
৫.http://www.gpnews24.com/index.php/জà¦%

ভালো থাকুন সবাই ।
সুস্থ থাকুন ।
নিজে রক্তদান করুন ।
অন্যকে উৎসাহিত করুন !
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×