বৈশ্বিক প্রাণী অধিকার সংগঠন পেটা (People for the Ethical Treatment of Animals) বিশ্বব্যাপী প্রাণী অধিকারের ব্যাপারে সর্বদা সোচ্চার। তারা উচ্চতর বুদ্ধিমত্তার সুযোগ নিয়ে অন্যান্য মানবেতর প্রাণীর ওপর অমানবিক ব্যাবহারের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
পেটা আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশ সরকার এবং এর পুলিশ বাহিনী পশু অধিকারের ব্যাপারে সচেতন নয়। বিশেষত হায়েনা ও ছাগলের সংকরায়ণে জাত ছাগু নামক একটি জারজ প্রজাতির চতুষ্পদীর ব্যাপারে সরকারের বিদ্বেষ সর্বজনজ্ঞাত। পেটা এই আচরণের ব্যাপারে নিন্দা জ্ঞাপন করছে।
পেটায় কর্মরত বিশিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী জীববিজ্ঞানী মঘা বাজারিয়া জানান, ছাগু একটি কাঠালপাতাভোজী চতুষ্পদি প্রাণী, যার বৈজ্ঞানিক নাম Mogbazaria bastardos । প্রজাতিটি বাংলাদেশে এন্ডেমিক। একদা দেশব্যাপি এর বিচরণক্ষেত্র থাকলেও মানুষের ক্রমাগত আগ্রাসনে প্রজাতিটি মগবাজার নামক জায়গায় সীমিত হয়ে পড়েছে। বিচরণক্ষেত্র হারিয়ে প্রজাতিটি বিলুপ্তির সম্মুখীন। প্রজাতিটি সুযোগ পেলে হিংস্র হয়ে উঠলেও সাধারণত খুবই শুশীল আচরণ করে থাকে।
পেটার প্রাণী অধিকার বিষয়ক আইনজীবী ফাকি স্টান বলেন, "বাংলাদেশ সরকারের ছাগুবিদ্বেষের কারণে আমরা সংকিত। ছাগু নামক প্রাণীটির স্বাভাবিক জৈবিক কাজ অক্ষুণ্ন রাখার জন্য মাঝে মাঝে সমবেত হয়ে হাটাচলা করা প্রয়োজন হয়। এসময় তারা কিছু পরিমান লাদি ত্যাগ করলেও এতে মানুষের খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না। তারপরও বাংলাদেশ সরকার এই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ছাগু সম্মেলনে লাঠিচার্জ করার মত অমানবিক কাজ করেছে।" তিনি আরো জানান, "লাঠিচার্জ যে সবসময় ছাগুরা অপছন্দ করে তাও নয়। তারা শুধুমাত্র পায়ূপথেই লাঠিচার্জ পছন্দ করে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এটা জানা থাকা সত্ত্বেও পশ্চাদদেশের মাংসল অংশে লাঠিচার্জ করেছে।" তিনি ছাগু ও মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিতকল্পে ভবিষ্যতে ছাগু অধিকার বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। লাঠিচার্জ করা নিতান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়লে পায়ূপথে লাঠিচার্জ করে ছাগুদের নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেন তিনি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২