somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চৈনিক দার্শনিক সিওয়া ফিং রা'র অপ্রকাশিত ডায়েরি থেকেঃ

০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

#১

'না' বলতে না পারাটা এক ধরণের চারিত্রিক দুর্বলতা। গাছের উঁচু ডালে বসে সেই ডালে কোপ মারলে নিজেরই ভূপতিত হতে হয়। ঠিক একইভাবে, না বলতে না পারার কারণে ভুক্তভোগী তুমি নিজেই হয়ে থাকবে। চারপাশে ছড়িয়ে থাকা লোভী, অথর্ব, নির্লজ্জ, তস্কর, চশমখোরের দল এই সুযোগকে পুঁজি করেই বেতালের মতো ঘাড়ে চেপে বসে। রক্তচোষা গিরগিটির চেয়ে কিন্তু এরা কোন অংশে কম ক্ষতিকর নয়, বরং বেশি। সরীসৃপ একবার রক্ত পেলে অন্য শিকারের খোঁজে যাবে; তবে এই অমেরুদণ্ডী মানব গিরগিটি সম্প্রদায় একবার তোমার রক্তের স্বাদ পেলে শেষ বিন্দু পর্যন্ত শুষে না নিয়ে চামড়া থেকে খসবে না।

অতএব, হে দুর্বল মানব, প্রতিক্ষেত্রে সম্মতি প্রদানসূচক "হ্যাঁ" -কে এখন থেকেই 'না'-তে বদলাতে শেখো।

নতুবা সন্নিকটে পদস্খলন।

#২

গুড়াকৃমির স্বভাব জেনে রেখো, মানব সন্তান। তারা মানুষের গুহ্যদ্বারে কিলবিল করে পুষ্টি আস্বাদন করে থাকে। ডিম থেকে জন্ম নেয়ার পর, তাদের পরিচিত পরিবেশ অথবা বাসস্থান বলতে শুধু সেই দুর্গন্ধময় নোংরা বিষ্ঠা সম্বলিত ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্র, মলাশয়।

অত:পর, সুশোভন অথবা সুন্দর কোন কিছুকে এই গুড়াকৃমি সম্প্রদায় সহ্য করতে পারে না। তাদের চোখে-মুখে-মনে লেগে থাকা "গু" কে চারপাশে ছড়িয়ে, কিলবিল করে এগিয়ে চলার প্রবণতাও তাই সৃষ্টির আদিকাল থেকে প্রবাহমান।

তবে মনোরম স্থানে বিরাজ করার সুপ্ত বাসনাও সংগোপনে তাদের মনের আড়ালে লুকিয়ে থাকে। পথ খুঁজে না পাওয়ায় একসময় তারা নিম্মোল্লিখিত শ্লোগানে বিশ্বাসী হয়ে ওঠে-

"বিষ্ঠা খাব, বিষ্ঠা ছোঁব, করিব কিলবিল,
সুপ্ত আশা লুপ্ত হলে মৌচাকেতে ঢিল!
চুলকে চুষে সামনে এগোই, বেশ তো কাটে দিন-
গুহ্যদ্বারেই মৃত্যু হবে, রইবে না আর ঋণ।"

#৩

জগতের সকল কার্য অথবা মনোবাঞ্ছার সাথে উদ্দেশ্য জড়িত নহে। নির্মোঘ আনন্দ প্রদানের ছলে নিজের সুখকে খুঁজিয়া নেয়ার চেষ্টা করিবে। বনস্পতি কেবল মাত্র একবার ফল দিয়াই মাটিতে লুটায়া পড়ে, তাহাতেই সে চির মহিমান্বিত।

- সিওয়া ফিং রা ; চৈনিক দার্শনিক (খ্রিস্টপূর্ব ৬৮৩-৫৪০ অব্দ)

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×