somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি বিজয় দিবসের গল্প। (প্রথম পর্ব)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুরুটা কে করেছিল তা এখন আর কারো হয়ত মনে নেই। তবে শুরুটা কিভাবে হয়েছিল তা মনে আছে।

বিদেশে বাঙ্গালী সম্ভবত সবচেয়ে উৎসাহী যেকোন উপলক্ষে বিশাল করে খাওয়া দাওয়া করতে। শুরুটা তাই এভাবে হয়েছিল যে ১৬ ডিসেম্বরে একটা ওয়ান ডিস পার্টি হয়ে যাক। মানে, একেকজনকে একেকটা আইটেম রান্না করে আনতে হবে, তাতে সবাই মিলে জম্পেশ খানাপিনা। অনেকে আপত্তি করলো। বিজয় দিবস উপলক্ষে শুধু খাওয়া দাওয়া করা উচিৎ না। এম্নিতেই নাকি অনেকে মোটা হয়ে যাচ্ছে। আরো কিছু করা উচিৎ। যুক্ত হল কালচারাল প্রোগ্রাম আর নানান ইভেন্ট। এপর্যায়ে শুভ ভাই আর আতিউর ভাই বলে উঠলেন, গতবার বিজয় দিবসে বাংলাদেশের উপর একটা প্রেজেন্টেশন করা হয়েছিল, এবারো সেরকম কিছু করা যায় কিনা। সুখে থাকতে নাকি ভুতে কিলায়, আর মুক্তিযুদ্ধ এবং এসংক্রান্ত ঘটনার কিল খেতে আমি উৎসাহী, তাই খুব উৎসাহ নিয়েই রাজী হলাম এ নিয়ে কিছু একটা করতে।

গতবার উৎসব করা হয়েছিল বেশ আগে থেকে আয়োজন করে। তখন বিদেশী বেশ কিছু অতিথিও এসেছিলেন। এবার করার সিদ্ধান্ত হল শুধু বাংলাদেশীদের মাঝেই। আয়োজন অবশ্য শেষ পর্যন্ত আর কম থাকেনি। দেশকে নিয়ে কিছু করার চিন্তা করলে বাঙ্গালী ছোটখাট কিছু চিন্তা করতে পারে না!! সবাই খেটেখুটে তাই প্রিপারেশন নিতে থাকলো। প্রতিদিন রিহার্সেল। শায়লা আপু প্রতিদিন ৪/৫ ঘন্টা করে কিবোর্ড বাজিয়ে সবার গান ঠিক করে দিতে থাকলেন, সিনথি ভাবী একগাদা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ব্যাস্ত থাক্লেন ফ্যাশন শো আয়োজন করতে। অনিন্দ্য স্যার সবার মাঝে ছুটাছুটি করে কোঅর্ডিনেশন করলেন। শহীদ ভাই, লুসি, সাদাত আর নাদিয়া আপু প্রেজেন্টেশন নিয়ে ব্যাস্ত। সবার মাঝে এমন তাড়া যেন এটাই মূল কাজ। পড়াশোনায় এম্নিতেই ফাকি দেয়া অভ্যাস, আমাকে এখন আর পায় কে?

ব্লগে ঘোরাঘুরি করার সুবাদে ইতিমধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের বেশ কিছু প্রামান্য দলিল দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। তাই ঠিক করলাম এবারের প্রেজেন্টেশন হবে এসব ডকুমেন্টারী নিয়েই। আমাদের অনেকে হয়ত দৈনন্দিন ব্যাস্ততার মাঝে এসব নিয়ে খুব একটা ঘাটাঘাটি করেননা। প্রথমে ঠিক করেছিলাম শুরু করব ১৯৪৭ থেকে। যেদিন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল হবার শপথ নিয়েছিলেন। পরে সময়ের কথা ভেবে ১৯৭১ এর দিকেই ফোকাস করার ঠিক করলাম। তবে ঘটনার ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে ১৯৫২ আর ১৯৬৯ এর গনআন্দোলনের বিবরন সংক্ষেপে আনতেই হল।

(মূল ভিডিওটির দৈর্ঘ্য অনেক বড় হওয়াতে পাঁচ ভাগে ভাগ করে ইউটিউবে আপলোড করলাম। প্রথম পর্বে ১৯৫২ থেকে শুরু করে মুজিবনগর সরকার গঠন।)



৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×