ব্লগার ‘ অলস ঘুমকাতুরে ’ র দিকে ব্লগার ‘মুক্ত কয়েদী’ আর ‘প্যাম্পার্সওয়ালা বাবু’ আশ্চার্য্য দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে ।ঘুমকাতুরে ভাইকে দেখে মনে হচ্ছে উনার উপর ম্যালা ধকল গেছে ।
কয়েদী – ভাইয়ের কি হইছে ? আপনারে দেখতে এইরকম বিধ্বস্ত লাগছে কেন ?
ঘুমকাতুরে – আরে বইলো না ভাই সেই ম্যালা কাহিনী । বনমানুষের কবলে পরছিলাম ।
বাবু – বলেন কি ! পরে কিভাবে কি করলেন ! বাবু আর কয়েদী ঘুমকাতুরে ভাইয়ের দিকে অনেক কৌতুহল নিয়ে তাকিয়ে আছে ।
ঘুমকাতুরে – সে এক লম্বা কাহিনী ।চলেন আগে কোথাও একটু বসি । অনেক টায়ার্ড লাগছে ।
কয়েদী – ব্লগার ‘বন্য হরিণ’ ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছে ?
ঘুমকাতুরে – হ্যা, উনার সাথে দেখা হইছে….
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্লগ দিবসের ডাকে ব্লগারদের মধ্যে চলছে ব্যপক প্রস্তুতি ।সারাদেশে এলাকাভিত্তিক ব্লগারদের একত্রিতকরনের লক্ষে চলছে আগাম প্রচারনা । এই জন্য কিছু নিবেদিত ব্লগার ঢাকা থেকে গিয়ে তাদের নিজ নিজ এলাকার প্রতিনিধিত্বের কাজে নেমেছে ।সেই উপলক্ষে ব্লগার ‘মুক্ত কয়েদী’, ‘অলস ঘুমকাতুরে’ ও ‘প্যাম্পার্সওয়ালা বাবু’ তাদের এলাকা ‘ডিবলাকান্দা’ গিয়েছে । তাঁদের উদ্দেশ্য এই এলাকায় যারা ব্লগে লেখালেখি করেন তাঁদের সাথে সাক্ষাত করা এবং ব্লগ দিবস সম্পর্কে আলাপচারিতায় বসা ।এলাকায় আসার পর প্ল্যান অনুযায়ী ব্লগার ‘অলস ঘুমকাতুরে’ যায় ব্লগার ‘বন্য হরিণ’ ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য । আর ব্লগার ‘মুক্ত কয়েদী’ ও ‘প্যাম্পার্সওয়ালা বাবু’ যায় ব্লগার ‘উছকে জান’ ভাইয়ের সাথে দেখা করতে ।
ব্লগার ‘বন্য হরিন’ ভাই ফরেষ্ট্রিতে চাকরি করেন । উনি আছেন বিশাল বনাঞ্চল রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে ।থাকেনও বনের একটু ভেতরে একটা মনকড়া বাংলোতে ।উনার দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী ব্লগার ‘অলস ঘুমকাতুরে’ রওয়ানা দেন ।
......
বাবু – জি ভাই বলেন কি কাহিনী ।
ঘুমকাতুরে – (একটু দম নিয়ে) আমি যখন বনের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কিছুদূর যাই তখন দুই দিকে দুটো রাস্তা দেখি । আমি তখন ধাঁধায় পড়ে যাই কোনদিকে যামু । পরে বাম দিকের রাস্তা দিয়েই হাঁটতে শুরু করি ।অনেকক্ষন হাঁটার পর আমি বনের অনেক গভীরে চলে যাই কিন্তু বন্য হরিন ভাইয়ের বাড়ীর দেখা পাচ্ছিলাম না । হঠাৎ করে দেখি গাছের সাথে ঝুলানো একটা সাইনবোর্ড লেখা এরপরে যাওয়া নিষেধ । আমি সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি গাছের ফাকা দিয়ে দূরে একটা বাড়ীর মত দেখা যাচ্ছে ।সাইনবোর্ডের কথা চিন্তা না করেই আমি আবার সামনে হাঁটা দেই ।আমি ভাবছিলাম এইটাই মনে হয় হরিণ ভাইয়ের বাড়ী ।যখন প্রায় বাড়ীটার কাছাকাছি যাই তখনই গাছ জনজনিয়ে কারা যেন নামলো । খুব দ্রুত আমারে বস্তায় পুরে ফেললো ! আমিতো ছুটার জন্য কোকড়াতে থাকি ।আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না ।
অনেকক্ষন পর চোখ মেলে দেখি আমাকে গাছের সাথে চিৎ করে বেঁধে রাখছে । বুঝতে পারলাম আমি এতক্ষন অচেতন ছিলাম ।চারদিকে তাকিয়ে দেখি গাছ লতাপাতা পরা অর্ধনগ্ন অনেক বনমানুষ দাড়িয়ে আছে আমাকে ঘিরে। আমার দিক একজন মাঝ বয়সী লোক হেঁটে আসছে ।উনার হাতে আমার সখের স্মার্টফোন । তার নাক, কান, মাথায় বিবিধ দ্রব্যাদি দেখে বুঝলাম উনি সর্দার ।কাছে এসে আমার চুল টাইনা ভালো করে চেহারা দেখতে লাগলো-
ব্যক্তি: তুমি কি ব্লগার ‘অলস ঘুমকাতুরে’ ? এই প্রশ্ন শুনে আমিতো হা হয়ে রইলাম কিছুক্ষন । তড়িগড়ি করে উত্তর দিলাম ।
ঘুমকাতুরে: জি । উত্তর দেওয়ার পর দেখলাম উনি কি খুই খাই বলতে লাগলো উনার দলের লোকদের । কি বলেছে জানি না তবে ইশারা দেখে বুঝতে পারলাম আমাকে খুলে দিতে বলল ।
বাবু: তারপর তারপর !বাবু আর কয়েদী খুব উৎসুক হয়ে উঠছে ।
ঘুমকাতুরে: আরে বলছি তো ।
কয়েদী: তাড়াতাড়ি বলেন ।
ঘুমকাতুরে দুইটার দিকে তাকাইয়া আবার শুরু করলো ।
ঘুমকাতুরে: আমাকে মাঝবয়স্ক লোকটি উনার ঘরে নিয়ে গেল । অনেক মোটা একটা গাছের ডালে উনার ঘর ।আমাকে উনি চেয়ারে বসতে বলল । আমার সামনে বিবিধ প্রকার নাস্তা পরিবেশন করে আমার সামনা সামনি বসলো ।জানোই তো ব্লগাররা সবসময় কিউরিয়াস তাই আমি কিউরিউসিটি আর ধরে রাখতে পারলাম না ।
আমি: আপনি কে ?আপনি আমাকে চিনলেন কিভাবে ! উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে
জিজ্ঞেস করলাম ।
ব্যাক্তি: তোমার মোবাইল দেখে ।
আমি: আমি আসলে কিছু বুঝতে পারছি না !
ব্যাক্তি: আমি ব্লগার ‘ডিজএ্যাপিয়ার’ ।
আমি: আপনি কে !!!, যার লেখা ৫০, ৬০ হাজারবার পঠিত হয় !
ডিজ: হুম ।
আমি: যার লেখা নিয়ে দেশে এত তোলপাড় !
ডিজ: হুম ।
আমি: যার লেখাই শুধু এ্যাপিয়ার সে নিজে ডিজএ্যাপিয়ার সেই ব্লগার !
ডিজ: হুম ।
আমি: হলি কাউ !
ডিজ: নট হলি কাউ, হলি শিট্ !
আমি: তো আপনি এখানে কিভাবে ?
ডিজ: আর বোলো না আমিও তোমার মত ওদের হাতে কট খাইয়া যাই । তারপর আমার কাছে মোবাইল, টর্চ, এইগুলো দেখে আমারে ওরা দেবতা মানা শুরু করে । কারন তারাতো এইগুলো কখনো দেখে নাই । তারা মনে করছে আমি তাদের কাছে দেবতা হয়ে আসছি আর্শিবাদ নিয়ে । এরপর থেকে আমি তাদের লিডার ! তবে খুব ভালোই আছি শহুরে জানজট, ব্যস্ততা থেকে দূরে এসে । নিরব, শুনশান পরিবেশ । মনে হয় যেন প্রকৃতির সাথে মিশে নিজেই প্রকৃতির অংশ হয়ে গেছি । বলতে পারো স্বর্গের মত কোন জায়গায় আছি ।
আমি: তা তো বটে । কিন্তু আপনি ওদের সাথে কথা বলেন কি করে ?
ডিজ: প্রথমে বুঝতাম না কিছুই পরে আস্তে আস্তে বুঝে যাই ।
ব্যক্তি: কার সাথে কথা বলেন ডিজএ্যাপিয়ার ভাই? কে যেন ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় কথা বলে উঠলো ।
ডিজ: আরে বইলো না আমাদের লুল ব্লগার ‘অলস ঘুমকাতুরের’ সাথে ।
ব্যক্তি: ওহ আই সি…
আমি: কে কথা বলে আপনার সাথে ?
ডিজ: আরে আমাদের প্রিয় ভ্রমন ব্লগার ‘চুচু’ ।
আমি: কোথায় উনি ?আমি তো কাউকে দেখতেছি না ।
ডিজ: তোমার পাশের চেয়ারে বসে আছে ।
আমি: কোথায়?
ডিজ: আসলে তোমারে যে কিভাবে বলি ।
আমি: কি !
ডিজ: উনি তো একজন জ্বিন ব্লগার !
আমি তো শুইন্যাই চেয়ার কাঁপাকাঁপি শুরু করে দেই ।
ডিজ: আরে ভয়ের কিছু নেই উনি অত্যন্ত ভদ্র জ্বিন ।আমাকে অভয় দিয়ে বললেন ডিজএ্যাপিয়ার ভাই ।
আমি: জ্বিনরাও ব্লগ লেখে ! আমি কাঁপতে কাঁপতে বলি !
চুচু: এনাফ !রুম কাপিয়ে বলে উঠে জ্বিন ব্লগার চুচু । আমরা জ্বিনরা কি অশিক্ষিত নাকি ! আমাদের কি...আমাদের কি সৃজনশীলতা নেই ? আমরা কি সেটা প্রকাশ করতে পারি না ?
আমি মনে মনে কই এতই শিক্ষিত হইলে তোমরা নিজেরা ব্লগসাইট বানাইয়া লেখতে পারো না মাইনসের ব্লগ সাইটে আইসা লেখো ক্যান ?
ব্যাক্তি: এই চুচু তুমি এইখানে কি কর ?সুন্দর সুরেলা চিকন গলায় কে যেন মিষ্টি সুরে বলে উঠলো ।
আমি ডিজএ্যাপিয়ার ভাইয়ের দিকে উৎসুক চোখে তাকিয়ে রইলাম ।
ডিজ: ও আমাদের প্রিয় মুভি রিভিও ব্লগার ‘কিউট পাগলি’
আমি: উনিও কি জ্বিন ?
ডিজ: না উনি পরী । তোমার চুচু ভাইয়ের বৌ ।
আমি মনে মনে কই খাইছে আমারে আজকা । চুচু ভাই থেকে আর রক্ষা নাই যেই হারে ‘কিউট পাগলি’ এর সাথে ব্লগে ফ্ল্যাটারিং করছি !
চুচু: আরে আমি আসছি ডিজএ্যাপিয়ার ভাইয়ের সাথে একটু কথা বলতে । আইসা দেখি আমাগো পিচ্চি ব্লগার ‘অলস ঘুমকাতুরে’। এই যে দেখনা ।
পাগলি: হুম । অলস ঘুমকাতুরে তুমি তো দেখতে অনেক মিষ্টি একটা ছেলে ।
আমি শুনে খুশীতে গদ গদ হয়ে গেলাম আর ভাবতে লাগলাম শালার মানুষ প্রজাতির কিউট পাগলিগুলাই শুধু বুঝলো না ।
চুচু: হয়েছে তোমার আর এত আহ্লাদ দেখান লাগবো না ।তুমি এখানে আসছো কেন ?
চুচু ভাই মনে হয় রাগ করছে তার মানে কি আমার ফ্ল্যাটারিং বিষয়টা উনি ধরে ফেলেছেন !
পাগলি: তোমারে খুঁজতে ।
ডিজ: ভাবী কেমন আছেন ?
পাগলি: এইতো ভাই ভালো আছি । আপনার কি খবর ?
ডিজ: আমিও খুব ভালো আছি ।
আমি: ভাবী আপনাকে অনেক ফাইন লাগছে বইলাই দিলাম জিবে একটা কামড় । এই আমি কি করলাম চুচু ভাইয়ের সামনে এই কি বইলা ফালাইলাম ।চুচু ভাইয়ের গরগর আওয়াজ শুইনাই বুঝলাম জিবে কামড় দেওয়াটা অর্থবহ ।
পাগলি: থ্যাঙ্কু । ভাবী মুচকি হেসে বললো । এতে বুঝলাম অরজিনাল পরি আর মানব পরীর ভেতর একটাই মিল । দুইটাই প্রশংসা পেলে খুশীতে আহ্লাদী হয়ে উঠে ।
চুচু: হইছে আমি আর এইসব খাজুইররা আলাপের ভেতর নাই । এক জায়গায় যাওয়া লাগবো । নতুন একটা ভ্রমন ব্লগ লেখার তথ্য সংগ্রহে । আমি চললাম ডিজএ্যাপিয়ার ভাই ।
পাগলি: আমিও চলে যাবো । নতুন একটা হিন্দি মুভি ঘন্টাখানেক হয় রিলিজ হইছে দেখতে হবে । ভাল থাইকেন ভাই আর ঘুমকাতুরে তুমিও ভালো থেকো মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো ।
আহা ! কি সুন্দর হাসি কি সুন্দর কথা ! ইস্ আমাগো প্রজাতিরগুলা যদি এইরকম হইতো এতো দিনে কোটি লাভ স্টোরী লেইখ্যা ফালাইতাম !আবেগে লুলিয়োময় হয়ে গেছিলাম ।
আমি: আপনিও ভালো থাকবেন । আপনার জন্য মিষ্টি শুভ কামনা !
দুজন চলে যেতে গিয়ে আবার আসলো । চুচু ভাই বলল-
চুচু: ডিজএ্যাপিয়ার ভাই আমাগো দুইজনের পক্ষ থেকে ঘুমকাতুরেকে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে দিয়েন সামনে ব্লগ দিবস উদযাপনের জন্য । আর শোন ঘুমকাতুরে, ব্লগ দিবস যেন ঘটা করে পালন হয় ।
আমি: জ্বি অবশ্যই । আপনারা কিন্তু আসবেন !
চুচু: চেষ্টা করবো ।
ডিজ: আমি তোমাগো টাকা দিতে পারবো না । তোমরা এত ফইন্যি ক্যান?
ডিজ ভাই মুখ কালা করে বললো । কিন্তু উনার কথা শোনার আগেই দুইজন প্রস্থান করে ।
আমি: থাক উনাদের দেওয়া লাগবে না ।
ডিজ: তো আচ্ছা তুমি এখানে আসলা কিভাবে ?
আমি: আমি আসছিলাম ব্লগার বন্য হরিন ভাইয়ের সাথে দেখা করতে । উনি নাকি এইখানে কি ‘শান্তির নীড়’ নামে বাংলোতে থাকে ।
ডিজ: ওওও সেটাতো ডান দিকের রাস্তায় । তুমি তো বাম দিকে ঢুকে গেছো ।
আমি: ভুল করাতে তো মনে হয় ভালোই হয়েছে আপনাকে পেয়ে গেলাম । আবার দুইজন জ্বিন ব্লগারের সাথে দেখা হয়ে গেল ! এইটা কি কম পাওয়া !
ডিজ: তা তো বুঝলাম, কিন্তু আমি না থাকলে তোমার কি অবস্থা হতো ! এরা তো তোমায় কাবাব বানাইয়া খায়া ফেলতো। দেখলাই তো অলরেডী প্রস্তুতি শুরু করে দিসিলো । ওদের নাকি মানুষের ঝালি কাবাব খুব পছন্দের !
যাই হোক এখন তাড়াতাড়ি চলে যাও স্বন্ধ্যা হয়ে আসছে । আর এই নাও আমাদের তিনজনের পক্ষ থেকে কিছু কন্ট্রিবিউশান ব্লগ দিবসের জন্য ।
আমি: আপনি কিন্তু অবশ্যই আসবেন ।
ডিজ: আমার মনে হয় আসা হবে না তবে ব্লগ দিবসের জন্য রইলো শুভ কামনা । আর আরেকটা জরুরী কথা এখানে আসার অভিজ্ঞতা নিয়ে আবার ব্লগ লেইখা ফেইলো না । তোমরা তো আবার যাই পাও তাই নিয়ে লেখা শুরু করে দাও ।
আমি: না আমি লেখবো না । আমার জানরা তো লাভস্টোরি ।আপনি যদি মেয়ে ব্লগার হইতেন তাইলে বানায়া একটা লাভস্টোরি লেইখা ফেলতাম হা…হা..হা..
ডিজ: হা হা হা… আমি তো ভুইলা গেছি তুমি তো আবার লুল ব্লগার হা হা… ! আরেকটা কথা আগামীতে কারো সাথে দেখা করতে গেলে ভালো করে দিক নির্দেশনা নিয়ে যাইবা । বলাতো যায় না বিপদের তো আর হাত পা নাই ।আর এই দিকে আবার আমার খোঁজ করতে আইসো না । যাও এখন তাড়াতাড়ি রওয়ানা দিয়ে দাও ।
আমি: জি আচ্ছা । আপনি ভালো থাকবেন ।
ডিজ: তুমিও ভালো থেকো আর সবাইরে আমার সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিও ।
…….
ঘুমকাতুরে: এই হলো আমার কাহিনী । কি বাবু ভাই ? কি কয়েদী ভাই? আপনারা তো দেখি জইম্মা গেলেন !
বাবু: আপনি এইটা কি হুনাইলেন ?
ঘুমকাতুরে: শুনেন এইটা নিয়ে ব্লগে আবার লিখতে যাইয়েন না ডিজএ্যাপিয়ার ভাইয়ের কড়া নিষেধ আছে ।
বাবু: হুম ।
কয়েদী: হুম ।
বি: দ্র: গল্পটা সম্পূর্ন কল্পনায় ঘেরা । ফান পোষ্ট মনে করে মাফ করে দিবেন প্লিজ ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৮