somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এন্জেলফ্রেন্ড (গল্প)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফিনাক দেখছে লেইক এর রাস্তায় জগিংয়ে ব্যস্ত মাঝবয়সী লোকটার মাথার ক্যাপ খুলে যাচ্ছে । লোকটা মাথায় হাত দিয়ে এদিক ওদিক তাকায় । তার ক্যাপটা শূন্যে ভাসছে । একটু পর ক্যাপটা আবার লোকটার মাথায় লেগে গেল ।
- হা হা হা….
- হে হে হে এই এতো হেসো না ! ফিনাক রাগ নিয়ে বলে ।
- কি তুমি মজা পাওনি লোকটার অবস্থা দেখে !
- জ্বি না ! আমার স্বজাতির সাথে তুমি মজা লুটবা আর আমি মজা পাব ! তাই না ! এই শুনো তোমাকে সিরিয়াসলি একটা কথা বলে দিচ্ছি তুমি যদি আর এইসব খারাপ কাজগুলো করো তাহলে কিন্তু.. তাহলে কিন্তু..
- তাহলে কিন্তু কি !
- ব্রেক-আপ করে দেবো তোমার সাথে । ফিনাক এ কথা বলে রাগে অন্যদিকে মুখ করে থাকে ।
- পুপু…হাহাহা… ফিনাক আরো রেগে ভ্রু কুচকে তাকায় !
- দাঁড়াও দাঁড়াও বলছি… হাহাহা… তোমাকে না ! রাগলে অনেক সুন্দর লাগে । তোমার ঠোঁটের কাঁপনটা কিন্তু জোশ !......

ফিনাকের গার্লফ্রেন্ডের নাম সিনমিন । সিনমিনকে আসলে ওর গার্লফ্রেন্ড না বলে এন্জেলফ্রেন্ড বললেই যুতসই হয় । কারন সিনমিন একজন পরী । যেদিন ফিনাকের সাথে সোয়ানার ব্রেক-আপ হয় তার পরের দিন সিনমিনের সাথে ফিনাকের প্রথম দেখা ।প্রথম দেখা থেকে বন্ধুত্ব, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম ।সোয়ানার সাথে ফিনাকের তৃতীয় নাম্বার প্রেম ছিল ।ফিনাক এই সম্পর্কটা নিয়ে বেশ আশাবাদী ছিল কারন দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়াটা ছিল চমৎকার ।তাদের প্রেমজীবনও ছিল সুখময় ।

এরপর একদিন বিকেলে লেইকের পাশে বসে দুজন রোমাঞ্চে মেতে ছিল ।বিকেলের পরিবেশটাও ছিল অপরুপ । দুজনের সময়ও কাটছিল হাস্যোজ্জলভাবে ।কিন্তু হঠাৎ সামান্য একটা বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় । আর সেই ঝগড়ার পরিণতি হয় প্রেমের শেষকীর্তি ।ফিনাক খুব দুঃখ পায় তার এই প্রেমটা ভেঙ্গে যাওয়ায় ।সে বাসায় সারারাতভর ভাংচুর চালায় । শেষরাতে ক্লান্ত ফিনাক ঘুমিয়ে পড়ে ।সকালের তীব্র আলোয় ফিনাকের ঘুম ভেঙ্গে যায় । ফিনাক চোখ খুলে তাকাতেই চমকে উঠে । এতো সকালের আলো নয় । একটা মেয়ে তার খাট থেকে বাহিরে সমানে সমানে শূন্যে শুয়ে আছে । মেয়েটা তার দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে । সে সাদা আলো ছড়িয়ে দিয়েছে চারদিকে । ফিনাক এটা দেখে আবার চোখ বন্ধ করে ফেললো । সে ভাবছে রাতে প্যাক একটু বেশী পড়ে গেছে তাই হয়তো উল্টাপাল্টা দেখছে ।ফিনাক আবার চোখ খুললো । সে আবারও একই দৃশ্য দেখে ।সে এবার সত্যিই চমকে উঠে ।মাত্র চিৎকার দিতে যাবে তখনি মেয়েটা ফিনাকের ঠোটে আঙ্গুল দাঁড় করিয়ে চুপ থাকতে বলল ।মেয়েটা এবার চিকন সুরেলা কন্ঠে বললো, আমার নাম সিনমিন, আমি একজন পরী । রাতের বেলায় আমি এই জানালার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম । তোমার মুখ থেকে পরী শব্দটা শুনে ধমকে দাঁড়ালাম । তারপর দেখি তুমি চিৎকার করছো আর বলছো মেয়েরা এত খারাপ কেন! এর থেকে পরীর সাথে প্রেম করাও অনেক ভালো মনে হয় !এবার আমি তোমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকাই ।তোমাকে দেখে আমার পছন্দ হয় । তোমার কি সুন্দর ঠোট ! কি সুন্দর চোখ ! কি সুন্দর চুল !ওয়াও সিক্স প্যাকও আছে দেখি !ও হাউ কিউট ! পরীটা ফিনাকের এইসব ধরে ধরে বলতে থাকে ।আর ফিনাক হা হয়ে পরীটার হাতের দিকে তাকায় ।পরীটা আবার বলে, আচ্ছা তোমার নাম কি যুবক ?ফিনাক কাচুমাচু করে বলে ‘ফিনাক’ ।ও হাউ সুইট !চমৎকার নাম ! বলে পরীটা ফিনাকের দুই গাল ধরে টেনে দেয় । এবার পরীটা বলে আমার বন্ধু হবে ? আমি সিনমিন বলে পরীটা ফিনাকের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়।ফিনাকের এখন একটু ভালো লাগছে । সেও তার হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করে ।

সেই থেকে ফিনাক আর সিনমিনের বন্ধুত্ব শুরু । এখন প্রায় পাঁচ মাস হয়ে গেছে তাদের বন্ধুত্বের ।ফিনাকও সোয়ানার সাথে ব্রেক-আপের যন্ত্রণাটা প্রায় ভুলে গেছে । এখন ফিনাক আর সিনমিনের সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকেও বেশী কিছু । কিন্তু ফিনাক সিনমিনকে নিয়ে একটু যন্ত্রণায় আছে । কারন সিনমিন একটু বেশী ছটফটে । ফিনাক যতটা শান্ত প্রকৃতির সিনমিন ততটাই চঞ্চল । সারাক্ষণ দুষ্টুমী করে বেড়ায় ।আর তার প্রধান দুষ্টমী হলো মানুষকে বিভিন্ন কায়দায় ফেলিয়ে বোকা বানানো । এতে সে অনেক মজা পায় ।তবে সিনমিনের শয়তানীগুলা ফিনাকেরও ভালো লাগে কিন্তু সবসময় না । অনেক সময় দুষ্টুমী করতে গিয়ে মানুষের ক্ষতিও করে ফেলে সে । তাই ফিনাক মাঝে মাঝে তাকে আচ্ছামত বকা দেয় । তখন সিনমিন আবার কান্না শুরু করে দেয় ।আবার সিনমিনের কান্না দেখলেও ফিনাকের খারাপ লাগে । কিন্তু এরপরও সে শুধরায় না ।তাই ফিনাক আছে মহা সমস্যায় ।

আজকের বিকালটায়ও সে সমস্যা হলো । ফিনাক আর সিনমিন লেকে এসেছে ঘুরতে । সিনমিন মাঝবয়সী লোকটার মাথার ক্যাপ নিয়ে দুষ্টুমী শুরু করে দিয়েছে । লোকটার ভয়ে হাই প্রেসার উঠে গেছে । আশেপাশের কিছু মানুষ তাকে বেঞ্চে বসিয়ে মাথায় আর মুখে পানি দিচ্ছে ।

- এই চলো আমি আর লেইকে বসবো না । চলো বাসায় চলো । রাগি মুখে বলে ফিনাক ।
- প্লিজ আরেকটু বসো না । বিকেলটা ভালো লাগছে । সিনমিন কাচুমাচু করে বলে ।
- তাহলে তুমি থাক আমি যাই ।
- এই এই শোন না আরেকটু প্লিজ । আমি আর দুষ্টুমী করবো না । সিনমিন কান্না চেহারা করে ফিনাকের হাত ধরে বলে ।ফিনাক সিনমিনের দিকে রাগান্নিত চেহারা নিয়ে বসে । সিনমিন ভালো করেই জানে ফিনাককে কাবু করার এইটা মহৌষুধ !
- আচ্ছা ফিনাক তুমি কি এই জায়গায় এর আগে কখনো এসেছিলে ।
- ফিনাক আশেপাশে তাকিয়ে একটু বিষন্ন হয়ে যায়, তারপর বলে হ্যা অনেকবার এসেছি সোহায়ানাকে নিয়ে। ওর আর আমার এই জায়গাটা অনেক পছন্দের ছিল ।যেদিন ব্রেকআপ হয়েছিল ওইদিনও আমরা এইখানটায় বসেছিলাম ।আমরা সুন্দর সময় কাটাচ্ছিলাম । হঠাৎ তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু করে দেই । তারপর কি থেকে যে কি হয়ে গেল । এসব বলে ফিনাক একটু চুপ হয়ে যায় । তারপর বলে, এই চলো এখান থেকে বসতে আর ভালো লাগছে না ।
- আরেকটু বসো না সূর্য ডুবাটা দেখি যাই ।
- নাহ আর বসবো না আমার ভালো লাগছে না । এই বলে ডান দিকে ফিরে ফিনাক উঠতে গিয়ে দেখে সোয়ানা আসছে এইদিকে । তার সাথে সিনমিনের পেঁছন পেঁছন ঘুরতো যে সেই বখাটে জ্বিনটা । ফিনাক সিনমিনের দিকে হাত হাতড়িয়ে বলে, এই সিনমিন এইদিকে দেখো । সোয়ানার সাথে ওই জ্বিনটা কি করছে ! সিনমিন তাকায় ।
- আরে ও কিছু না । আগে কাছে আসুক দেখি । কাছে আসতেই সোয়ানা ফিনাককে দেখেই থমকে দাঁড়ায় ।একে অন্যের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ।
- এই চল এখান থেকে । ফিনাক সিনমিনের হাত ধরে বলে ।
- এই চল এখান থেকে । সোয়ানা ফানানের হাত ধরে বলে । ফানান হচ্ছে সোয়ানার জ্বীনফ্রেন্ড ।
সিনমিন আর ফানান দুজনকে দাঁড় করায় । জোর করে ফিনাক আর সোয়ানাকে পাশাপাশি বসায় ।তারপর তারা দুজনও তাদের সামনা সামনি বসে ।এরপর সিনমিন বলে,
- আসলে তোমাদের ব্রেক আপের দিন ঝগড়া হয় আমার আর ফানানের মধ্যে ।
- কি ! ফিনাক আর সোয়ানা আশ্চার্য্য হয়ে তাকায় তাদের দিকে ।
- হুমম, তোমরা এখানে বসে অনেক হাসিখুশিতে মেতে ছিলে । আমি আর ফানানও এখানে ঘুরতে আসতাম ।তোমাদের মতই । এই যে একদম লম্বা গাছটা আছে না ওইটার একদম উঁচু ডালে আমরা বসতাম । আমরা ওখানে প্রেম করতাম আর তোমরা এখানে ।
- ফানান সিনমিন থেকে কথা টেনে নিয়ে বলে, আমরা তোমাদের হাস্যজ্জল খুনসুটি দেখে হাসতাম ।আর সিনমিন প্রায় সময় চাইতো তোমাদের সাথে একটু মজা করতে । আমি ওকে বারণ করতাম ।আমি বলতাম, থাকুক না ওরা প্রেম করছে । ওদেরকে দেখতে কত সুন্দর লাগছে । ওরা যদি ভয় পেয়ে পরে এখানে না আসে ! তারপর হঠাৎ একদিন এ নিয়ে সিনমিনের সাথে আমার ঝগড়া হয় । সিনমিন বলতো আমি নাকি তোমাকে পছন্দ করি সোয়ানার দিকে ফানান তাকিয়ে বলে ।তাই তোমাদের সাথে আমি ওকে মজা করতে দেই না ।
- এবার সিনমিন বলে, তারপর ফানানও আমাকে বলে আমি নাকি ফিনাককে পছন্দ করি তাই তোমাদের মাঝে ঝগড়া বাঁধিয়ে সোয়ানাকে সরিয়ে দিতে চাই । এই নিয়ে আমাদের মাঝে তুমুল ঝগড়া শুরু হয় । তোমরা মনে হয় দেখেছো হঠাৎ করে এখানের গাছের ঢালগুলো খুব নড়তে থাকে ?ফিনাক আর সোয়ানা মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দেয় ।সিনমিন আবার বলে, এরপর তোমাদের গায়ে প্রচন্ড গতিতে বতাস প্রবাহিত হয়ে চলে যায় ।ওই বাতাস ছিলাম আমরা । তারপর আমি জেদ ধরি যে জ্বীন খারাপ আমি মানুষ ছেলের সাথে প্রেম করবো । মানুষ ছেলেরা ভালো ।
- এবার ফানান বলে, আর আমিও জেদ ধরি যে আমিও মানুষ মেয়ের সাথে প্রেম করবো । পরীরা খারাপ । মানুষ মেয়েরা ভালো । তাই তোমাদের মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে তোমাদের আলাদা করে দেই । তারপর তোমাদের সাথে বন্ধুত্ব শুরু করি ।কিন্তু কিছু মাস পরে আমদের খারাপ লাগা শুরু করে ।কারন আমরা কাজটা ঠিক করিনি । তাই আমি আর সিনমিন সকল অভিমান ভুলে একসাথ হয়ে যাই । আর আজকে তোমাদের মিলিয়ে দিতে এখানে এনেছি । আমাদের তোমরা ক্ষমা করে দাও ।

ফিনাক আর সোয়ানা একে অপরের দিকে তাকায় । সোয়ানা অভিমান নিয়ে বলে ফিনাককে,
- তুমি এতদিন আমার কোন খোঁজ নাও নি কেন ?
- আমি তো পরীর সাথে প্রেম করছিলাম । তুমি আমার খোঁজ নাও নি কেন ? ফিনাক একটু রোমান্টিক ভাব নিয়ে বলে ।
- বাহরে, তুমি পরীর সাথে প্রেম করেছো আমি কি বসে ছিলাম ! আমিও জ্বিনের সাথে প্রেম করেছিলাম । সোয়ানা ডাবল ভাব নিয়ে বলে ।

তাদের এই প্রেম প্রেম খেলা দেখে সিনমিন আর ফানান হাসতে হাসতে চলে যাচ্ছিল ।
- এই দাঁড়াও তোমরা কোথায় যাচ্ছ ? ফিনাক ডাক দেয় ।
- তোমরা তো মিলে গেছ আরকি ? সিনমিন বলে ।
- কিন্তু তোমাদের অপরাধতো আমরা এখনো ক্ষমা করিনি ।
- কেন ? আমরা কি করলে ক্ষমা পাব ! ফানান আর সিনমিন ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে ।
- তোমাদের একটা শর্তে মাফ করতে পারি ।
- কি শর্ত ?
- ফিনাক সোয়ানার দিকে তাকিয়ে একটা শয়তানী হাসি দিয়ে আবার সিনমিন আর ফানানের দিকে তাকিয়ে বলে, আমরা বিয়ে করার পর তোমাদের দেশ কোহেকাফে হানিমুন করবো ! তোমরা সকল ব্যবস্থা করে দিবে ! ফিনাকের কথা শুনে সোয়ানা ফিনাকের দিকে আশ্চর্য্য হয়ে তাকায় । ফিনাক বলে কি হয়েছে? তুমি আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো আমি কি ঠিক বলিনি ? সোয়ানা হাসি দিয়ে বলে একদম ঠিক বলেছে ।
- কি হলো ব্যবস্থা করবাতো ? বলে ফিনাক আর সোয়ানা সামনে তাকিয়ে দেখে ওরা নাই । দুজন এদিক ওদিক তাকায় কোথাও নাই ।

হঠাৎ তাদের আশেপাশের গাছগুলোর ঢাল খুব জোরে নড়তে থাকে ।ততক্ষনে চারপাশ অন্ধকার হয়ে গেছে । এতক্ষন সিনমিন আর ফানানের আলোর কারনে চারপাশ আলোকিত ছিল ।ফিনাক আর সোয়ানার খুব ভয় লাগেছে । হঠাৎ করে উপর থেকে বৃষ্টির মত পাতা পড়তে থাকে । পড়তে পড়তে তাদের আশেপাশে পুরোটা ভরে যায় ।অন্ধকারে পাতাগুলোকে কালো স্তূপের মত দেখাচ্ছে । ফিনাক আর সোয়ানা ভয়ে কাঁপতে থাকে ।তারা ভাবছে তারা বোধয় জ্বিন জাতির সাথে বেয়াদপি করে ফেলেছে। হঠাৎ করে পাতাগুলোর মধ্যে একটা ছোট আলো বড় হতে থাকে । ফিনাক আর সোয়ানা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে । রঙ্গবেরঙ্গের পাতাগুলো আলোয় আরো রঙ্গিন হয়ে উঠছে । আলোটা বড় হতে হতে একটা লাভ চিহ্নের মত হয়ে যায় । চারপাশ অদ্ভুত সুন্দর হয়ে ফুটে উঠে । ফিনাক আর সোয়ানা হাসতে থাকে । হঠাৎ আলো চলে গিয়ে চারপাশ আবার অন্ধকার হয়ে যায় ।

দু’বছর পর….
- এই দেখোনা পরীটা কতসুন্দর একটা শাড়ী পড়ছে ! আমি ওটা কিনবো ।
- নাহ শাড়ীটা সুন্দর না ।
- যাও বাগো তোমার কাছে যা দেখাই তাই পঁচা লাগে ।তুমি একটা পঁচা । আসলে তুমি আমাকে কিছুই কিনে দিতে চাওনা । ওই ওই দেখ না ওই পরীটা কত সুন্দর ম্যাচিং করা নাক, কান, গলার সেট পড়েছে । আমি ওটা কিনবো । এটা কিন্তু আমাকে কিনে দিতে হবে ওকে ?
- নাহ্ এটাও দেখতে সুন্দর না । তোমাকে মানাবেনা ।
- যাও ! তোমার সাথে আর কথা নাই ।
- আচ্ছা ঠিক আছে তোমাকে এর থেকেও সুন্দর সেট কিনে দেব ।
- না আমার কিচ্ছু লাগবেনা । আমাকে কিচ্ছু কিনে দিতে হবে না যাও !
- আচ্ছা ঠিক আছে কিনে দেব । আগেতো দুনিয়াতে যাই নাকি !...
- …………
- …….
- ………..
- ………








২৩টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×