somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর ভাষণে দাজ্জাল সম্পর্কে যা বলেন তার সাথে আধুনিক চিন্তাবিধদের দাজ্জালের মিল কোথায়?

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসসালামু আলাইকুম।
সহীহ হাদীসের আলোকে দাজ্জালের ফিৎনা সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে তাদের মধ্যে থেকে দু'টি সহীহ হাদীস আপনাদের সম্মুখে পেশ করলাম।
অনেকেই বলে থাকেন এক চোখ ওয়ালা দাজ্জালই হচ্ছে আধুনিক যুগের টেলিভিষণ, কিন্তু আসলে কি তাই? আমি স্বীকার করি যে আধুনিক টেলিভিষন একটা বড় ধরনের ফিতনা তবে তাকে দাজ্জাল বলা ঠিক হবে না।

সহীহ হাদীস বলছে দাজ্জাল একজন মানুষ হবে, যে কিনা ঘন কোঁকড়ানো চুলওয়ালা এবং এক চোখের মনি উল্টানো এবং অন্য চোখ কানা বিশিষ্ট কুতসিৎ চেহারার। যাকে ঈসা (আঃ) আল্লাহর নির্দেশে মেরে ফেলবেন।আশাকরি সহীহ হাদিস ছাড়া অন্য কোন গল্পের বই পড়ে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না, কারন এতে করে ইসলামের ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন হবে।

ইয়াজূজ-মাজূজ সম্পর্কে ইসরাঈলী রিওয়ায়াতে ও ঐতিহাসিক কিসসা-কাহিনীতে অনেক ভিত্তিহীন কথাবার্তা প্রচলিত রয়েছে। কোন কোন তাফসীর বিদও এগুলো ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেছেন, কিন্তু স্বয়ং তাঁদের কাছেও এগুলো নির্ভরযোগ্য নয়। কুরআন তাদের সংক্ষিপ্ত অবস্থা বর্ণনা করেছে এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সম্পর্কে উম্মাতকে অবহিত করেছেন। ঈমান ও বিশ্বাস স্থাপনের বিষয় ততটুকুই, যতটুকু কুরআনও হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তাফসীর, হাদীস ও ইতিহাসবিদগণ এর অতিরিক্ত যেসব ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক অবস্থা বর্ণনা করেছেন, সেগুলি বিশুদ্ধও হতে পারে এবং অশুদ্ধও হতে পারে। ঐতিহাসিকগণের বিভিন্নমুখী উক্তিগুলো নিছক ইঙ্গিত ও অনুমানের উপর নির্ভরশীল। এগুলো শুদ্ধ কিংবা অশুদ্ধ হলেও তার কোন প্রভাব কুরআনের বক্তব্যের উপর পড়ে না।

সহীহ হাদিস দুটি নিন্মে পেশ করা হলোঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর এক ভাষণের কম বেশী অংশ দাজ্জালের ঘটনার বর্ণনায় এবং সে দাজ্জাল হতে ভয় প্রদর্শনেই কাটিয়ে দেন। সে ভাষণে তিনি একথাও বলেনঃ দুনিয়ার প্রথম হতে শেষ পর্যন্ত এর অপেক্ষা বড় হাঙ্গামা আর নেই। সমস্ত নবী (আঃ) নিজ নিজ উম্মাতকে সতর্ক করে গেছেন। আমি সর্বশেষ নবী এবং তোমরা সর্বশেষ উম্মাত। সে নিশ্চিতরূপে তোমাদের মধ্যেই আসবে। যদি আমার জীবদ্দশায় সে এসে পড়ে তবে তো আমি তাকে বাধা দান করব। আর যদি আমার পরে আসে তবে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার আক্রমণ হতে নিজেকে বাঁচাতে হবে। আমি আল্লাহ তা'আলাকেই প্রত্যেক মুসলমানের অভিভাবক করে যাচ্ছি।
সে সিরিয়া ও ইরাকের মথ্যবর্তী স্থানে বের হবে।
সে ডানে ও বামে খুব ঘুরা ফেরা করবে। হে জনমন্ডলী ওহে আল্লাহর বান্দাগণ! দেখ, তোমরা অটল থাকবে। জেনে রেখো, আমি তোমাদেরকে তার এমন পরিচয় জানিয়ে দিচ্ছি যা অন্য কোন নবী স্বীয় উম্মাতকে জানিয়ে যাননি। সে প্রথমত দাবী করবে-
"আমি নবী।" সুতারাং তোমরা স্মরণ রেখো আমার পরে আর কোন নবী নেই। অতঃপর এচেয়ে বেড়ে গিয়ে বলবেঃ
"আমি আল্লাহ।" অতএব তোমরা জেনে রেখো, আল্লাহকে এই চোখে কেউ দেখতে পারে না। মৃত্যুর পর তখায় তাঁর দর্শন লাভ ঘটতে পারে। আরও স্মরণ রেখো যে,
সে এক চক্ষুবিশিষ্ট হবে এবং তোমাদের প্রভু এক চক্ষুবিশিষ্ট নন।
তার চক্ষুর মধ্যবর্তী স্থানে "কাফির" লিখিত থাকবে যা প্রত্যেক শিক্ষিত অশিক্ষিত মোটকথা প্রত্যেক ঈমানদারই পড়তে পারবে।
তার সাথে আগুন থাকবে ও বাগান থাকবে। তার আগুন হবে আসলে জান্নাত এবং বাগানটি হবে প্রকৃত পক্ষে জাহান্নাম। তোমাদের মধ্যে যাকে সে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে সে যেন আল্লাহ তা'আলার নিকট সাহায্য প্রার্থণা করে এবং সূরা কাহাফের প্রাথমিক আয়াতগুলো পাঠ করে। যেমন ইবরাহীম (আঃ)- এর উপর নমরূদের আগুন শান্তিদায়ক হয়েছিল। তার এক হাঙ্গামা এও হবে যে,
সে এক বেদুঈনকে বলবে - "আমি যদি তোমার মৃত পিতা-মসাতাকে জীবিত করতে পারি তবে কি তুমি আমাকে প্রভূ বলে স্বীকার করবে।" এমন সময় দু'জন শয়তান তার পিতা-মাতার আকারে প্রকাশিত হবে এবং তাকে বলবে- "বৎস! এটাই তোমার প্রভূ! সুতরাং তাকে মেনে নাও।"

তার আর একটা ফিৎনা এও হবে যে,
তাকে একটি লোকের উপর জয়যুক্ত করা হবে। সে তাকে করাত দ্বারা ফেড়ে দু'টুকরো করে দেবে। তারপর সে জনগণকে বলবেঃ আমার এ বান্দাকে তোমরা দেখ, এখন আমি তাকে জীবিত করব। কিন্তু সে পুনরায় এ কথাই বলবে যে, তার প্রভূ আমি ছাড়া অন্য কেউ। অতঃপর এ দুর্বৃত্ত তাকে উঠা-বসা করাবে এবং বলবেঃ "তোমার প্রভূ কে?" সে উত্তরে বলবেঃ "আমার প্রভূ আল্লাহ এবং তুমি তার শত্রু দাজ্জাল। আল্লাহর শপথ! এখন তো আমার পূর্বাপেক্ষাও বেশী বিশ্বাস হয়েছে।
(ইবনু মাজাহ)

দাজ্জালের আবির্ভাব ও ধ্বংস

নাওয়াস ইবনু-সামআন (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একদিন ভোর বেলা দাজ্জালের আলোচনা করলেন। আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি তার সম্পর্কে এমন কিছু কথা বললেন, যার দ্বারা মনে হচ্ছিল যে, সে নেহায়াতই তুচ্ছ ও নগণ্য (উদাহরণতঃ সে কানা হবে।) পক্ষান্তরে কিছু কথা এমন বললেন, যার দ্বারা মনে হচ্ছিল, তার ফিৎনা অত্যন্ত ভয়াবহ ও কঠোর হবে।(উদাহরণতঃ জান্নাত ও দোযখ তার সাথে থাকবে এবং অন্যান্য আরও অস্বাভাবিক ও ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা ঘটবে।) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বর্ণনার ফলে (আমরা এমন ভীত হয়ে পড়লাম), যেন দাজ্জাল খেজুর গাছের ঝাড়ের মধ্যেই রয়েছে।(অর্থৎ, অদূরেই বিরাজমান রয়েছে।) বিকালে যখন আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দরবারে উপস্থিত হলাম, তখন তিনি আমাদের মনের অবস্থা আঁচ করে নিলেন এবং জিজ্ঞেসা করলেনঃ তোমরা কি বুঝেছ? আমরা আরয করলামঃ আপনি দাজ্জালের আলোচনা প্রসঙ্গে এমন কিছু কথা বলেছেন, যাতে বোঝাযায়, তার ব্যপারটি যেহেতু তুচ্ছ এবং আরও কিছু কথা বলেছেন, যাতে মনে হয় সে খুব শক্তিসম্পন্ন হবে এবং তার ফিৎনা হবে খুব গুরুতর। এখন আমাদের মনে হয়েছে যে, যেন সে আমাদের নিকটেই খেজুর গাছের ঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ তোমাদের সম্পর্কে আমি যেসব ফিৎনার আশঙ্কা করি, তন্মধ্যে দাজ্জালের তুলনায় অন্যান্য ফিৎনা অধিক ভয়ের যোগ্য। যদি আমার জীবদ্দশায় সে আবির্ভূত হয়, তবে আমি নিজে তার মুকাবিলা করব। পক্ষান্তরে সে যদি আমার পরে আসে, তবে প্রত্যেকেই নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী তাকে পরাভূত করার চেষ্টা করবে। আমার অনুপস্থিতিতে আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক মুসলমানের সাহায্যকারী। (তার লক্ষন এই যে)
সে যুবক, ঘন কোঁকড়ানো চুলওয়ালা হবে। তার একটি চক্ষু উপরের দিকে উথিত হবে। (এবং অপর চক্ষু হবে কানা।) যদি আমি (কুৎসিত চেহারার) কোন ব্যক্তিকে তার সাথে তুলনা করি, তবে সে হচ্ছে আবদুল উযযা উবনু কুতনা। (জাহিলিয়াত যুগে কুৎসিত চেহারার 'বনু-খুযাআ' গোত্রের এ লোকটির তুলনা ছিল না।) যদি কোন মুসলমান দাজ্জালের সম্মুখীন হয়ে যায়, তবে সূরা কাহাফের প্রথম আয়াতগুলো পড়ে নেয়া উচিত। দাজ্জাল সিরিয়া ও ইরাকের মধ্যবর্তী স্থা থেকে বের হয়ে চতুর্দিকে হাঙ্গামা সৃষ্টি করবে। হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা তার মুকাবিলায় সুদৃঢ় থাক।
আমরা আরয করলামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ), সে কতদিন থাকবে। তিনি বললেনঃ সে চল্লিশ দিন থাকবে, কিন্তু প্রথম একদিন এক বছরের সমান হবে। দ্বিতীয় দিন এক মাসের এবং তৃতীয় দিন এক সপ্তাহের সমান হবে। অবশিষ্ট দিনগুলো সাধারণ দিনের মতই হবে। আমরা আরয করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ), যে দিনটি এক বছরের সমান হবে, আমরা কি তাতে শুধু এক নিনের (পাঁচ ওয়াক্ত) নামাযই পড়ব? তিনি বললেনঃ না; বরং সময়ের অনুমান করে র্পর্ণ এব বছরের নামায পড়তে হবে। আমরা আরয করলামঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সে কেমন দ্রুত গতিতে সফর করবে? তিনি বললেনঃ সে মেঘ খন্ডের মত দ্রুত চলবে, যার পিছনে অনুকূল বাতাস থাকে। দাজ্জাল কোন সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে তাকে মিথ্যা ধর্মবিশ্বাসের প্রতি দাওয়াত দেবে। তারা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলে সে মেঘমালাকে বর্ষণের আদেশ দেবে। ফলে, বৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং মাটিকে আদেশ দেবে; ফলে শস্য-শ্যামলা হয়ে যাবে। তাদের চুষ্পদ জন্তু তাতে চরবে। সন্ধ্যায় যখন জন্তুগুলো ফিরে আসবে, তখন তাদের কুঁজ পূর্বের তুলনায় উঁচু হবে এবং স্তন দুধে পরিপূর্ণ থাকবে। এরপর দাজ্জাল অন্য সম্প্রদায়ের কাছে যাবে এবং তাদেরকেও কুফরের দাওয়াত দেবে। কিন্তু তারা তার দাওয়াত প্রত্যাখ্যা করবে। সে নিরাশ হয়ে ফিরে গেলে সেখানকার মুসলমানরা দুর্ভিক্ষে পতিত হবে।তাদের কাছে কোন অর্থ-কড়ি থাকবে না। সে শস্যবিহীন অনুর্বর ভূমিকে সম্বোধন করে বলবে। তোর গুপ্তধন বাইরে নিয়ে আয়। সেমতে ভূমির গুপ্তধন তার পেছনে পেছনে চলবে- যেমন মৌমাছিরা তাদের সরদারের পেছনে পেছনে চলে। অতঃপর দাজ্জাল একজন ভরপুর যুবক ব্যক্তিকে ডাকবে এবং তাকে তরবারির আঘাতে দিখন্ডিত করে দেবে। তার উভয় খন্ড এতটুকু দূরত্বে রাখা হবে; যেমন তীর নিক্ষেপকারী ও তার লক্ষবস্তুর মাঝখানে থাকে। অতঃপর সে তাকে ডাক দিবে। সে (জীবিত হয়ে) দাজ্জালের কাছে আনন্দ চিত্তে চলে আসবে।

ইতি মধ্যে আল্লাহ তা'আলা ঈসা (আঃ) কে নামিয়ে দিবেন তিনি দু'টি রঙিন চাদর পরে দামিস্ক মাসজিদের পূর্ব দিককার সাদা মিনারে ফেরেশতাদের পাখার উপর পা রেখে অবতরণ করবেন। তিনি যখন ম্তক অবনত করবেন, তখন তা থেকে পানির ফোঁটা পড়বে। (মনে হবে যেন এখনই গোসল করে এসেছেন।) তিনি যখন মস্তক উঁচু করবেন, তখনও মোমবাতির মত স্বচ্ছ পানির ফোঁটা পড়বে। তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস তাঁর দৃষ্টির সমান দূরত্বে পৌঁছাবে। ঈসা (আঃ) দাজ্জালকে খুঁজতে খুঁজতে বাবুল্লুদ্দে গিয়ে তাকে ধরে ফেলবেন। (এই জনপদটি এখনও বাইতুল মুকাদ্দাসের অদূরে এ নামেই বিদ্যমান) সেখানে তাকে হত্যা করা হবে। এরপর তিনি জনসমক্ষে আসবেন, স্নেহভরে মানুষের চেহারায় হাত বুলাবেন এবং তাদেরকে জান্নাতের সুউচ্চ মর্যাদার সুসংবাদ শোনাবেন।

এমতাবস্থায় আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা করবেনঃ আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে এমন লোক বের করব, যাদের মুকাবিলা করার শক্তি কারও নেই। কাজেই আপনি মুসলমানদেরকে সমবেত করে তূর পর্বতে চলে যান।
(সে মতে তিনি তাই করবেন।) অতঃপর আল্লাহ তা'আলা ইয়াজূজ-মাজূজের রাস্তা খুলে দেবেন। তাদের দ্রুত চলার কারণে মনে হবে যেন উপর থেকে পিছলে নীচে এসে পড়ছে। তাদের প্রথম দলটি তাবরিয়া উপসাগরের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা পানি পান করে এমন অবস্থা করে দেবে যে, দ্বিতীয় দলটি এসে সেখানে কোন দিন পানি ছিল, একথা বিশ্বাস করতে পারবে না।
ঈসা (আঃ) ও তাঁর সঙ্গীরা তূর পর্বতে আশ্রয় নেবেন। অন্য মুসলমানরা নিজ নিজ দুর্গে ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেবে। পানাহারের বস্তুসামগ্রী সাথে থাকবে, কিন্তু তাতে ঘাটতি দেখা দেবে। ফলে একটি গরুর মাথাকে একশ' দীনারের চাইতে উত্তম মনে করা হবে। ঈসা (আঃ) ও অন্যান্য মুসলমানরা কষ্ট লাঘবের জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করবেন। (আল্লাহ দু'আ কবুল করবেন।) তিনি মহামারী আকারে রোগ-ব্যধি পাঠাবেন। ফলে, অল্প সময়ের মধ্যেই ইয়াজূজ-মাজূজের গোষ্ঠী সবাই মরে যাবে। অতঃপর ঈসা (আঃ) সঙ্গীদেরকে নিয়ে তূর পর্বত থেকে নীচে নেমে এসে দেখবেন পৃথিবীতে তাদের মৃতদেহ থেকে অর্ধ হাত পরিমিত স্থানও খালি নেই এবং মৃতদেহ পঁচে অসহ্য দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। (এ অবস্থা দেখে পুনরায়) ঈসা (আঃ) ও তাঁর সঙ্গীরা আল্লাহর দরবারে দু'আ করবেন (যেন এই বিপদও দূর করে দেয়া হয়।) আল্লাহ তা'আলা এ দু'আও ক্ববুল করবেন এবং বিরাট আকৃতির পাখি প্রেরণ করবেন, যাদের ঘাড় উটের ঘাড়ের মত। তারা (মৃতদেহগুলো উঠিয়ে যেখানে আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, সেখানে ফেলে দেবে।) কোন কোন রিওয়াতে রয়েছে মৃতদেহগুলো সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে। এরপর বৃষ্টি বষিত হবে। কোন নগর ও বন্র এ বৃষ্টি থেকে বাদ থাকবে না। ফলে সমগ্র ভূ-পৃষ্ঠ ধৌত হয়ে কাঁচের মত পরিষ্কার হয়ে যাবে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা ভূপৃষ্ঠকে আদেশ করবেনঃ তোমার পেটের সমূদয় ফল-ফুল উদগীরণ করে দাও এবং নতুনভাবে তোমার বারকাতসমূহ প্রকাশকর। ফলে তাই হবে এবং এমন বারকাত প্রকাশিত হবে যে, একটি ডালিম একদল লোকের আহারের জন্য যথেষ্ট হবে এবং মানুষ তার ছাল দ্বারা ছাতা তৈরী করে ছায়া লাভ করবে। দুধে এতো বারকাত হবে যে, একটি উষ্ট্রির দুধ একদল লোকের জন্য, একি গাভীর দুধ এক গোত্রের জন্য এবং একটি ছাগলের দুধ একটি পরিবারর জন্য যথেষ্ট হবে। চল্লিশ বছর যাবত এই অসাধারণ বারকাত ও শান্তি-শৃঙ্খলা অব্যাহত থাকার পর যখন কিয়ামাতের সময় সমাগত হবে; তখন) আল্লাহ তা'আলা একটি মনোরম বায়ু প্রবাহিত করবেন। এর পরশে সব মুসলমানের বগলের নীচে বিশেষ এক প্রকার রোগ দেখা দেবে এবং সবাই মৃত্যুমুখে পতিত হবে; শুধু কাফির ও দুষ্ট লোকেরাই অবশিষ্ট থেকে যাবে। তারা ভূ-পৃষ্ঠে জন্তু-জানোয়ারের মত খোলাখুলি অপকর্ম করবে। তাদের উপরই কিয়ামাত আসবে।
(মুসলিম)



সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৮
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×