এখনো বেলা ১০ টার সময় মো:পুর প্রিপারেটরি গার্লস স্কুলের সামনে গেলে দেখা যায় কিছু অভিনব দৃশ্য।আমি পিচ্চি-খুকিদের কথা বলতেছি, ওদের ছুটি বড়দের খানিক আগেই হয়ে যায়। ছুটির সাথে সাথে ভাবীদের ঢল নামে রাস্তায়, ফেস-পাউডার, লিপিস্টিক আর পারফিউমের বিদঘুটে- ন্যাকা গন্ধে স্কুলের চারিদিকের পরিবেশটা কেমন জানি ড্রেসিং টেবিল কিংবা মা-খালার বন্ধ আলমারির মতো হয়ে যায়। খানিক পর পর কিছু স্ত্রী শাসিত আঙ্কেলও বেরামী খরগোশের মত ছুটা-ছুটি করে। এতো গেল বাহিরের অবস্থা, ভিতরে আরেক কারবার;
চিৎকার চেঁচামেচি, হৈ চৈ, শোরগোল আরো যা আছে সব; কী বিকট শব্দ। কোনো এক ব্রয়লার মুরগির ফার্মে যদি মিটিং-মিছিলের ব্যবহৃত ১০টা মাইকও লাগানো হয় তাতেও মনে হয় আওয়াজ কম হবে। এই চিল্লা-চেল্লির মাঝখানে খুব খেয়াল করে শুনলে বোঝা যায় কিছু মৃদু কান্না-কাটির শব্দ। দেখা যায় কোনো এক খুকি জেদ করছে, আইসক্রিম তার লাগবেই অনেকে আবার রং পেন্সিল কিংবা স্টিকার। ভাব তাদের এমন যদি না কিনে দাও তাহলে আমাকে তেজ্য করে দাও নাহলে আমি আত্মহত্যা করব। আঙ্কেল ও ভাবীরা নি:উপায়।
প্রায় আম্মুর কাছে শুনি আমিও নাকি এমন করতাম। কালো-চিঠি মানে ব্লাকমেইল করার নিয়ম আবার কয়েক রকম। সবাই একই নিয়ম অবলম্বন করে না। অনেকটা রাজনীতিবিদ কিংবা পার্টি গুলোর মতো। যেমন :
১. কান্দায় বুক ভাসায় দেওয়া। চোখের পানি পরুক আর না পরুক শব্দ হবে ১০০ এ ১০০ এটা কমোন।
২. প্রতিজ্ঞা করা জীবনে আর কোনদিন কথা বলবোনা। এক্কেবারে চুপ, ভম'' সাধুরাও হার মানবে এমন টাইপের।
৩."সেল্ফ টর্চার" নিজেকে নিজেই কষ্ট দেওয়া। রোজাদার বনে যাওয়া (আমরণ অন্যাসন) নিজেকে রুমে বন্দী করে ফেলা ইত্যাদি।
আঙ্কেলরা হার মানলেও ভাবীরা বাকীর নামে ফাকি দেয় পিচ্চিদের।
আহ! কতই না মজার ছিল সেই পিচ্চি-কাল। এখন বাবা-মার কাছে সামান্য একটি সিগারেটের বায়না করেন না, আমার মনে হয় উপরোক্ত যেকোনো পন্থা তো তারা অবশ্যই অবলম্বন করবে না হলে আমাদের গাল আর তাদের হাত এরপর কি... ঠাস ''