ফেকাহ শাস্ত্র এবং ইমাম আবু হানিফা (রহ)- (২)
প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আবু বকর বাগদাদী (রহ) তারিখে বাগদাদ নামক গ্রন্থে হযরত ইমাম শাফেয়ী (রহ) এর নিম্নোক্ত মন্তব্যগুলো উল্লেখ করেছেন।
(১) ইসলামী আইন শাস্ত্রের ক্ষেত্রে সকল মানুষ ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর মুখাপেক্ষী।
(২) যে ব্যক্তি ইসলামী আইন শাস্ত্রে বুৎপত্তি লাভ করতে চায় তাকে অবশ্যই ইমাম আবু হানিফার শরণাপন্ন হতে হবে।
(৩) ইমাম আবু হানিফা (রহ) সে সব লোকের মধ্যে অন্যতম যাদেরকে ইলমে ফেকায় বিশুদ্ধতার সাথে একাত্নতা দান করা হয়েছে। যে ব্যক্তি ফেকাহ অর্জন করতে চায়, তার উচিত ইমাম আবু হানিফা (রহ) এবং তার শিষ্যদের আঁচল আঁকড়ে ধরা। কেননা সকলেই ইলমে ফেকায় ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর মুখাপেক্ষী।
(৪) আমি ইমাম আবু হানিফা (রহ) এর চেয়ে বড় ফকীহ আর দেখিনি।
(৫) আমি ইমাম মালেক (রহ) কে প্রশ্ন করলাম, আপনি কি ইমাম আবু হানিফা (রহ) কে দেখেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ দেখেছি। তিনি এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন, যদি তোমার সামনে এই স্তম্ভকে প্রমানাদীর মাধ্যমে স্বর্ণ প্রমান করতে চান, তবে তা প্রমান করে ছাড়বেন।
আল্লামা শিব্বীর আহমদ উসমানী (রহ) মুকাদ্দিমায়ে ফাতহুল মুলহিম এবং আল্লামা যাহেদ কাওছারী (রহ) মুকাদ্দিমায়ে নাছবুর রায়াহ গ্রন্থে কাজী ইয়াজ মালেকী (রহ) এর তারতীবুল মাদারেক থেকে উদ্ধৃত করেন যে, একদিন ইমাম মালেক (রহ) এর সাথে ইমাম লাইছ বিন সাদের সাক্ষাত হয়। তখন ইমাম মালেক (রহ) যেন ঘামের মধ্যে স্নান করছিলেন।তখন ইমাম লাইছ বিন সাদ জিজ্ঞাসা করলেন, কি ব্যাপার, আপনি এভাবে ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছেন? ঈমাম মালেক (রহ) উত্তর দিলেন, আবু হানিফার সাথে তর্ক করতে গিয়ে আমার এই অবস্থা হয়েছে। হে মিশরী (লাইছ বিন সাদ) নিঃসন্দেহে ইনি (আবু হানিফা) তো একজন অত্যন্ত বড় মানের ফকীহ।