somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পানির দরে থ্রিজি নিলাম !!! হোয়াই নট? পারলে ফ্রিতে দেন। দিনমজুর ভাই এর ব্লগ এর উপর আমার মতামত

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপনার ব্লগ এর মূল বক্তব্যের সাথে স্ট্রংলি ডিসেগ্রি করলাম।
তেল গ্যাস এবং কয়লার সাথে তরঙ্গ কে এক করলে ভুল হবে।


তেল গ্যাস এবং কয়লার সাথে তরঙ্গের একটা বেসিক পার্থক্য আছে।
তেল গ্যাস এবং কয়লা মাটি থেকে তুলে, বিদেশী কোম্পানি সরকার কে বিক্রি করে এবং সরকার সেটা উচ্চ দামে কিনে ভর্তুকি দিয়ে জনগণ কে সেল করে।
আর তরঙ্গ ওরা সরকার এর কাছ থেকে কিনে জনগণ কে ডাইরেক্টলি ব্যেন্ডওয়িথ হিসেবে সেল করে ।

সো তরঙ্গের এর প্রাইস যত বেশী হবে, তত বেশি চার্জ ওরা জনগণ এর উপর চাপাবে।

কম্পিটিসানের হলেই প্রাইস অটোমেটিক কমবেনা
আপনার আর্গুমেন্টটা পড়লাম যেটায় আপনি লিখেছেন, কম্পিটিশনে অটোমেটিক প্রাইস কমবে। কথাটা সত্য, কম্পিটিশনে প্রাইস কমে। কিন্তু,আরও কথা আছে।
একটা টেন্ডারে কিছু কোম্পানি যেই প্রাইসে একটা আইটেম কিনে, তখন তারা ঐ প্রাইস টা রিকাভার করে তার উপরে কে কত বেশী প্রফিট করবে সেই হিসেবে প্রাইস সেট করে এবং সেই প্রাইস টার উপর কম্পিটিশান করে।
ফর এক্সাম্পল। ৫০০ টাকা দরে কিছু কোম্পানি যদি একটা জিনিষ কিনে তারা কেও ১০০ টাকা দরে ঐ প্রডাক্ট সেল করতে এক জন আরেকজন এর সাথে প্রতিযোগিতা করবে না। তারা সবাই ৫০০ টাকার পারচেজ প্রাইস ধরে ৫০ টাকা প্রফিট রাখবে না ১০০ টাকা রাখবে ঐ হিসেবে করবে। তখন কম্পিটিশান হয়, মার্কেটে প্রাইস ৫৫০ টাকা হবে নাকি ৬০০ টাকা হবে না তার থেকে বেশী না কম হবে সেই আঙ্গিক থেকে। কেউি কম্পিটিসানের কারনে, প্রডাক্ট টা ৫০০ টাকার নিচে সেল করেনা।

ফলে, কম্পিটিসানের হলেই প্রাইস কমবে এবং ফ্রিকুএন্সি কিনতে যে মুল্যা টা দিতে হবে সেটা টেলকম কোম্পানি জনগণের উপর চাপাবেনা এই আসাম্পসান টা একটা বড় ভুল।

আপনার হিসেবে যদি প্রতি টা কোম্পানিকে ৩জি লাইসেন্সে ২৪০০ কোটি টাকা দিয়ে তরঙ্গ কিনতে হয় আর ইকুইপমেন্ট এর ইনভেস্টমেন্ট, এদ্ভারটাইজিং, ব্রান্ডিইং সহ আরও ৪ বা ৫ হাজার টাকা ধরে যদি ৩জি নামাতে এক একটা কোম্পানির ৫,০০০ কোটি টাকা পড়ে যায় তাহলে এই টাকা রিকাভার করার জন্যে দেখবেন ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকার ইন্সটলেশন চার্জ ধরিয়ে দেবে এন্ড ইউজার দেরকে। যার ফলে শুধু মাত্র একটা এলিট গ্রুপ বাদে মাস পিপল এর হাতে ব্রডব্যান্ড পৌঁছাবেনা।

এরা বিদেশী বেনিয়া। ৫,০০০ কোটি টাকা খাটিয়ে , ঐ টাকা রিকাভারি না কইরাই একজন আরেকজন এর সাথে এরা কম্পিট করবে এই টা স্বপ্নেও আইনেন না। তারা সবাই মিলে ভাই বন্দি করে লস খাবে, এমন পাগল এরা না।

আল্টিমেট লুসার হব আমরা জনগণ আর এক মাত্র গেইনার দুর্নীতিবাজ সরকার,
ফলে আল্টিমেট লুসার হব আমরা জনগণ আর এক মাত্র গেইনার দুর্নীতিবাজ সরকার যে এই টাকা নিয়ে মৌজ মাসতি করবে। এই ধরনের দুর্নীতি গ্রস্ত সরকার, যারা লক্ষ কোটি টাকা দুর্নীতি করতাসে , তাদের উপার্জন বাড়িয়ো দিয়ে জনগণ এর উপর সেই দায়টা১৫ বছরের জন্যে চাপিয়ে দেয়ার মূল আইডিয়া টার সাথে তাই আমি এক মত নই।

আজকের বাংলাদেশে সরকার আর জনগণ সমার্থক শব্দ নয়। আকণ্ঠ দুর্নীতি মগ্ন এই সরকার এর উপার্জন পারসেন্টেজ আকারে হুন্ডি হয়ে যাবে মালয়েশিয়াতে, আপনার আমার জন্যে রাস্তা ঘাট বানানোর কাজে নয়।

আপনার আরেকটা পয়েন্ট দেখলাম, টেলিডেন্সিটি।

আপনি বলেছেন, টেলিডেন্সিটি ভারত থেকে বাংলাদেশে কম এবং এই কারনে বেন্ডউইথ সেল এর গ্রোথ প্রস্পেক্ট ভারত থেকে বাংলাদেশের বেশি । এই ধারণা টা আমার কাছে মিস্কেল্কুলেসান মনে হয়েছে।

টেলিডেন্সিটি আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইউসেয কে, একই পাল্লায় মাপা টা ভুল। বাংলাদেশের টেলি ডেনসিটি ভারত থেকে কম, সে কারনে বাংলাদেশে ৩জি আসলে ব্রডব্যান্ড ইউসেজ, ভারত থেকে বেশী হবে এই টা মিস ইনফরমড।
৩জি এর ইউজ বেশী হবে কি হবেনা তা নির্ভর করবে, টেলিকম ইনফ্রাস্ট্রাক্টার (যত চিপ হয় তত ভাল), আমাদের আই টি এডাপ্টিবিলিটি, সরকার এর পলিসি সাপোর্ট, ন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে (যেই টা এখনও হয় নাই) এবং আর অনেক ফ্যাক্টরের উপর।

তাছাড়া, আমরা যে বেন্ডউইথ না থাকার কারনে ইউজ করতে পারছিনা তাও তো না। আমার কাছে ফিগার টা নাই, এক জন ব্লগারের এ নিয়ে অনেক লেখা পড়েছি, এই মুহূর্তে নাম মনে নেই বলে রেফারেন্স দিতে পারছিনা। তিনি দেখিয়েছিলেন আমাদের কি পরিমাণ আনইউযড ব্যান্ডউইথ আছে। এবং সরকার দাম না কমানর কারনে, ইউসেজটা বাড়তাছেনা। সো শুধু মাত্র নতুন একটা টেকনোলজি আসলে, আমাদের টেলিডেন্সিটি কম থাকার কারনে সাথে সাথে আরো হিউজ গ্রোথ হবে, এই টা সম্পূর্ণ ভুল এসাম্পশান।

আপনি বলেছেন যে বাংলাদেশে গ্রোথ এর চান্স বেশী সো এইটার দাম হওয়া উচিত বেশী। কিন্তু আমি বলবো এই গ্রোথ হওয়ানোর জন্যেই আপনাকে চিপ প্রাইসে ব্রডব্যান্ড নিশ্চিত করতে হবে। এবং ওইটা নিশ্চিত করতে হলে, এই লাইসেন্স এর ইনিশায়াল ফি কম রাখতে হবে।

ইন্টারনেট এর ইউসেজ এ একটা কথা বলে, রাস্তা করে দাও , পলিসি ঠিক রাখো, পেমেন্ট মেকানিজম সহজ কর- তাহলে মানুষই তার ব্যাবহার বের করে নিবে।

আমাদের এখনও ন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে হয় নাই, যার ফলে নেট এ ট্রান্সেকশান ভয়াবহ রকম কঠিন, এখনও আমাদের কোন আই টি ইনফ্রাস্ট্রাক্টার দাঁড়ায় নাই, আমাদের প্রোগ্রামার দের এখনও রিয়েল ওয়ার্ল্ড ক্লাস এপ্লিকেশন বানানোর এক্সপেরিয়েন্স হয় নাই, ২০০০ সালের আই টি বাবল বাস্ট এর ধাক্কায় কম্পিউটার সাইন্সের গ্রাজুয়েট কমে গেছে এবং এখনও মেইল, নিউজ, পর্ণ, চাকুরী খোজা, আর ফেসবুকিং এর মধ্যে আমাদের মূল ইন্টারনেট একটিভিটি আটকে আছে।

ফলে ৩জি নামলেই যে এর সুযোগ দিলেই যে হুট করে ব্রডব্যান্ড ইউজার বাড়বে তা তো না।

অন্য দিকে যে ভারতে আপনি বলতাছেন, গ্রথ প্রস্পেক্ট কম কারণ টেলিডেন্সিটি বেশী সেই ভারতে ,ওয়ার্ল্ড এর সব বড় কোম্পানি রিজিওনাল অফিস আছে, বিশাল বিশাল কল সেন্টার আছে, যারা একলাই আমাদের একেক টা শহরে যেই পরিমাণ ব্যান্ডউইথ ইউস হয় তার থেকে বেশি ইউজ করে।
তারপরেও ভারতে ব্রডব্যান্ড পারসেন্টজ কত জানেন, ১ %।
তো ৩জির ক্ষেত্রে টেলিডেন্সিটির হিসেব আসেনা। হিসেব আসে ব্রডবেনড পেনিট্রেসানের।

আমাদের দেখা উচিত, আমাদের ইন্টারনেট ইউসেজ পার ১০০ পার্সন প্রথিবীর অন্য দেশের সাথে কোথায় আছে।

আমাদের দেশে ১০০ জন এ ৫ জন ইন্টারনেট ইউজ করে। ইন্ডিয়া তে করে, ১০০ জন এ ১০ জন। (এমন কী ইউ পম গানা থেকেউ পেছনে আমরা ) এবং আর দুর্ভাগ্য হচ্ছে বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড ইউজ করে, ১০০ জনে .০৪ জন, ইন্দিয়া তে ১০০ জন এ ১ জন।

সো এইদিক থেকে তো ইন্ডিয়ার অবস্থা তো আমাদের মতই ধ্বজ। আপনি ইন্ডিয়ার এক্সামপ্ল তাই কেন নিবেন। আপনি কেন, এমন কোন দেশের এক্সামপল নিবেন না, যাদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইউজ ১০% এর উপরে। দেখবেন বেশ কয় একটা আফ্রিকান দেশ ৫% এর উপরে ব্রডব্যান্ড ইউজ করতাছে। প্রচুর এশিয়ান দেশ ৪% থেকে ৫% এ চলে গেসে। এবং অনেক দেশ আছে, যারা এমন এগ্রসিভ ব্রডব্যান্ড পলিছি নিছে যাতে তারা আগামী ৫ বছরে ব্রডব্যান্ড ইউজ ১০% এ নিয়ে যেতে পারে। আপনি ওদের পলিসি দেখেন।


আপনি যদি উন্নত দেশের সাথে কম্পেয়ার করেন, তাহলে দেখবেন ওদের এক এক টা ইউনিভার্সিটি তে যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ দেয়া আছে, আমাদের পুরো দেশে সেটা নাই। পুরো ওয়ার্ল্ড এখন সুপার ফার্স্ট ব্রডব্যান্ড এর দিকে গেসে।

৩জি অবসলিট হয়ে গেছে আরো ১০ বছর আগে। এখন ৪জি আর এল টি টি ই নিয়ে আগাচ্ছে দুনিয়া। আমরা এখনো মোবাইল কোম্পানি থেকে কত বেশি টাকা আদায় করা যায় ঐ নিয়া পইড়া আছি। এই ধরনের ভিশান দিয়া দেশ চালাইলে, দুনিয়া আগাইতে থাকবে কিন্তু দেশ ঠিক যায় খানে আছে তার থেকে আরো ৫ হাজারো মাইল পিছায় যাবে প্রতি বছর।


ইউরোপ এর বেশ কিছু দেশে, ৯০ দশকে, হাই প্রাইসে ৩জি নিয়ে অকশন হইছিল। ডট কম বাবল বাস্ট করার পর কম্পানি গুলো ধরা খায় এবং ঐ দেশ গুলো বাকি দেশ থেকে পিছিয়ে গেছে আই টি কম্প্যাটিবিলিটিতে তার পরের দশকে। ঐ ভুল থেকে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ শিক্ষা নিছে।

এই ধরনের হাই প্রাইসের ফলে দেখা যাবে, কোম্পানি গুলো দুই ধরনের সার্ভিস রাখবে। ২জি সার্ভিস, ৩ জি সার্ভিস । এবং তাদের এই টাকা তুলে নেয়ার জন্যে তারা, তারা বেশ হাই একটা ইন্সটলেশান চার্জ রাখবে ৩জি এর জন্যে। এবং ফলে দেখা যাবে কিছু মধবিত্ত এবং এলিট একটা গ্রুপ ছাড়া মাস পিপল এর কাছে ইন্টারনেট যাচ্ছেনা এবং স্টুডেন্টরা বা নিম্ন মধ্যবিত্ত রা এইটা এফরড করতে পারছেনা।

সরকার এর যেটা করা উচিত

তা হল একটা লিস্ট পসিবল লাইসেন্স ফী দিয়ে ওদের বলা , ছয়মাসের মধ্যে প্রত্যন্ত গ্রামে এমনকি নিঝুম দ্বীপ বা পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩জি নেটওয়ার্ক না দিলে লাইসেন্স কেন্সেল এবং এই চার্জ টা কম রাখার সুবাদে সরকার এর উচিত পার গিগা ডাটার এর দাম ১০ টাকা বা তার নিচে নির্ধারণ করে দেয়া। এই টা সম্ভব। ইউরোপে এখন ৪০০ টাকায়, ১৪ মেগাবিট এ আনলিমিটেড ইন্টারনেট পাওয়া যায়, আমরা ৪০০ টাকায় ৫১২ কিলো স্পিড এ কিনি ১ গিগা বাইট কিনি। কি ভয়াবহ রকম একসপেন্সিভ।


মনে করেন, সরকার এই ৪০ হাজারো কোটি টাকা জনগণ কে ভর্তুকি দিল।

এই ৪০,০০০ কোটি টাকা ছাড় দিলে এবং প্রপার পলিসি সাপোর্ট দিলে যদি দেশের ইন্টারনেট ল্যান্ডস্কেপ চেঞ্জ হয়, একটা টেকনোলজির ইম্পেটাস আসে, যদি একটা সস্তা ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি তরুণ দের এন্ট্রিপ্রেনারশিপকে উশকে দেয় , আর তারা নতুন নতুন প্রডাক্ট আর সার্ভিস সৃষ্টির মাধমে যদি নতুন জব সৃষ্টি করে, এবং ডিসরাপ্টিভ টেকনোলজির মাধ্যমে যদি জগদ্ধল পাথরের মত বসে থাকা বিজনেস সিন্ডিকেট গুলো ভেঙ্গে দিতে পারে তো আমি তাকেই ওয়েলকাম জানাবো এই ৪০,০০০ কোটি আদায় করে দুর্নীতি বাজ সরকার এর কোষাগারে জমা দেয়ার আইডিয়া কে নয়।

টেলিটক এর কথা বলেছেন। টেলিটক ??? আরে ইয়ু কিডিং ?

দুর্নীতির আখড়া এই অরগানাইযেশান, এদের হাতে দিবেন দেশের ভবিষ্যৎ ব্রডব্যান্ড ? ইন্টারনেট দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের লাইফ ব্লাড। আপনি কোন মতে এইটা নিয়া চান্স নিতে পারবেন না। ৩জি ইকিউপমেন্ট এ যে পরিমাণ দুর্নীতি হইসে বলে পড়েছি আর ওদের কাস্টমের সার্ভিস এর যে অবস্থা তাতে দেশের সামগ্রিক কোন বিপ্লব না হয়ে গেলে ওদের উপর ভরসা করার কোন সুযোগ নাই। এখনও বি টি সি এল লাইন নিতে গেলে ৫০০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। টেলিটক এর সিম নিয়া কী ফিয়াস্কো হইছে ভুলে গেছেন ? ওদের নেটওয়ার্ক এর অবস্থা না যানার কথা না। ভি ও আই পির অবৈধ বেবসা যারা করে আর কিছু বেবসার কায়ে নেয়া পুরান ফোন নিয়া আটকে পরা লোক বাদে খুব কম মানুষই, টেলিটক ইউজ করে।

আমাদের দেশের ব্রডব্যান্ড পলিসি
আজকে এই অকশন এ বেজ প্রাইস কি হবে, সেটার সাথে আমাদের দেশের ব্রডব্যান্ড পলিসি জড়িত। টেলকম কোম্পানি থেকে মাকিস্মাম রেভিনিউ আনার হিসাব দিয়ে একটা দেশের ব্রডব্যান্ড পলিসি ডিফাইন হইতে পারেনা। আমাদের চিন্তা করতে হবে, আমরা কোথায় যেতে চাই, কেন যেতে চাই, কেমনে যেতে চাই।

যদি ৩জী আজকের দুনিয়াতে অনেক পুরানো প্রযুক্তি তবুও আজকে যে কোন টেকনোলজিকে আমাদের খড় কুটোর মত আকড়ে ধরতে হবে। এবং তাকে এজ চিপ এজ পসিবল রাখতে হবে ।এইটার জন্যে যা করা সম্ভব করতে হবে। কারন আমাদের দেশের মানুষের দিস্পসেবল ইনকাম এত কম, এই খানে এখনও মাক্সিমাম জনগোষ্ঠী এমন কি এডুকেটেড নিম্নবিত্তের জন্যে ইন্টারনেট একটা নভেলটি। অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে, আমাদের দেশে ইন্টারনেট এর প্রাইস এখন ও অনেক বশী।

আমাদের দেশে আনলিমিটেড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ইউসেজ প্রাইস যদি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় নেমে না আসে তো গ্রাম এ গঞ্জে ব্রডব্যান্ড কখনও বিস্তার করবেনা। এবং লাস্ট মাইলে চিপ ইন্টারনেট দেয়ার জন্যে ৩জি এই মুহূর্তে বেটার সলুউশান। ফাইবার এর কথা চিন্তাও কইরেন না।



আর টেলকো থেকে টাকা আদায় এর আরও সহজ উপায় আছে। যদি ওরা সফল হয় তো ওদের কর্পোরেট ট্যাক্স বাড়িয়ে দেয়া যায়। এখন যা নিবো তার থেকে বেশী আদায় করে নেয়া যায়। এমনকি লাইসেনস এর ডিওরেশান কম রাখা টাও একটা ভালো টেকনিক। এখন পাচ বছরের জন্যে লাইসেন্স দিয়ে, টেকনলজি কে গ্রো করতে দিয়ে, টেকনোলজি সফল হওয়ার পর, পাচ বছর পরে চার্জ বাড়ানো যায়।


কিন্তু ইনকিউবেশান ফেজ এ হাই চার্জ দিয়ে একটা টেকনোলজির গলা চিপে ধরা এবং সোনার হাঁস কে মেরে তার ডিম খাওয়ার চিন্তা করা টা একটা বড় ধরনের বোকামি ।

জী না। আমি টেলকোতে চাকরী করিনা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪৩
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×