আমরাতো অনেক বছর অপেক্ষা করেছি । বিশ্বাস/অবিশ্বাসের ভাঙ্গন গড়নে পড়েছি ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্বপ্ন , সত্তা উন্নতি সব জায়গায় । সর্ষের ভিতর ভূত যত দেখেছি তার চেয়ে কম দেখিনি সর্ষকেই ভূত হয়ে যেতে । সব দেখা দেখির পরও আমরা “কসাই কাদের মোল্লার” ফাসি দেখেছি ।
অস্থির হওয়াটা হয়ত অস্বাভাবিক না । ঐ যে পুরানো অভিজ্ঞতা! কিন্তু নতুন অভিজ্ঞতাও কম নও । তাই মনে হয় উত্তেজিত না হয়ে একটু আরও অপেক্ষা করা ভালো । তবে অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে ।
আমাদের আবেগ অবশ্যই দামী । কিন্তু আইন ও পরিস্থিতিও বুঝতে হবে । ধরেন আজ যদি রাজাকার মতিউর রহমান নিজামীকে কোর্টে আনার সময়/আনার পর/ফেরত নেওয়ার পর পরই যদি নিজামী নরকগামী হতো তাহলে অবস্থাটা কি দাড়াতো?!
জামাত প্রচার করতো অমানবিক ভাবে, আইন ভেঙ্গে অসুস্থ মানুষকে আদালতে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে । তার সাথে আমাদের এনজিও মানবতাবাদী রাস্তায় নেমে আসতেন- সুশীলরা গম্ভীর ভঙ্গিতে টিভি হেগে মুতে ভরিয়ে দিতেন- বিশ্ব বিবেকের বেচাকেনার বেগতো জানেনই । মানবতা লঙ্ঘিত । তারর সাথে আমাদের বিশেষ কয়েকটি রাজনৈতিক দলও মানবতা লঙ্ঘীত হয়েছে বলে ৫/৬ জন মিলে শাহবাগে গণ জমায়েত করতো । জামাত-শিবিরেরতো অপপ্রচার প্রচারের ক্ষসতা কার কার জান নাই?! মির্জ া ফখরুল ইসলাম গণতণ্ত্র ধুলিস্যাৎ কয়েছে বলে মাইক ফাটিয়ে ফেলতেন । বেগম জিয়া বিদেশীদের সাথে মানবতা লঙ্ঘনের জন্য বাংলাদেশের উপর “নিষেদাজ্ঞা” জারি করানো চেষ্টা করতেন। তার উপর ড. কামাল হোসেনের মেয়ে ব্যারিষ্টার সারা হোসেনের স্বামী ডেভিড ব্যার্গমেনের মত অসৎ সাংবাদিক, বিদেশী নেতা তো আছেই ! এতে সুবিধা হতো কার? অবশ্যই তাদের যারা বাংলাদেশের স্বাধীণতা, সংগ্রাম, গৌরব, বাঙ্গালি জাতীয়তা বাদ, মানে না, ধর্ম নিয়ে ব্যাবসা করে ।
যুদ্ধপরাধীর বিচার আরও বেশী বিদেশী চাপের ভিতর পড়ত । এমনতিওে তারা গায়ের জোরে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে ।
আমি কি খুব একটা ভুল বললাম ?
তার চেয়ে আরও একটু অপেক্ষা করা কি ভালো নয়?