আমাদের দেশ বহুল প্রচলিত একটা ডিবেট, চামবাজি, ইনকাম সোর্চ এবং বিভক্তি করার মাধ্যম হল টকশো। যিনি এটা পড়ছেন আপনাকে বলছি , আপনি কি শকর্ট হলেন নাকি? কেন অমি এটা কে এভাবে বললাম।
তাহলে বলছি এটা হলো বাস্তবতা। টকশো (TALK SHOW) এটার বাংলা অর্থ হলো কথা বলার শো অর্থাৎ এখানে আপনার কথাকে দেখানো হয় । কিন্ত বাস্তবে আমাদের যা দেখানো হয় তা কি ঘটে, আবার যা বলা হয় তা কি আধৌ ঠিক কিনা ত নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে ।
এবার আলোক পাত করা যাক আমার প্রথম কোটেশনের প্রথম শব্দের মধ্যে। ”ডিবেট” হল দুই লোকের মধ্যে কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা । টকশো গুলোতে কোন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় সে জন্য এটাকে ডিবেট বললাম । যদিও প্রায় সময় বিষয় বাদ দিয়ে অন্যকে আক্রমন করার মাধ্যমে পরিণত হয় । আবার কোন কোন ডিবেটর তো সব বাদ দিয়ে কুমিরের খাচ কাটার গল্পের মত সব টপিকেই একই আলোচনা করে থাকেন। কখনো কখনো অবশ্য এটা মারামারির গ্রাউন্ডে পরিনত হয়।
এবার আসুন আমার চার পয়েন্টের সবচেয়ে শ্রুতিকটু পয়েন্ট ”চামবাজি” তে । এটা হলো অমার মত কারো প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে সুবিধা নেওয়ার একটা মাধ্যম। সংঙ্গা দিতে বললে আমি বলব: নিজের আত্ম সম্মানকে ভুলে গিয়ে, জীবিত কিংবা মৃত ব্যক্তির বেশি গুন বর্ননা করা। যদিও লোকটার মধ্যে এত গুনাবলি নাই। এক কথায় যাকে খাজনার চাইতে বাজনা বেশি বলতে পারি। এটা বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে পৌছেছে য়ে, কোন ব্যাক্তি যদি চামবাজি না করে তাহলে তাকে দেশের কোন সুযোগ ভোগ করতে দেওয়া হবে না । চামবাজিতে সব সম্ভব : নেতা থেকে নেত্রি, চাকুরি থেকে বাকুরি, প্রমোশন থেকে ডিমোশন, সাংবাধিক থেকে স্পেশালিষ্ট, সুশীল থেকে কুশীল সব কিছুই এটার মাধ্যমে সম্বভ। মাঝে মাঝে শুনা যায় চামবাজির মাধ্যমে নাকি অনেকে কোটিপতি বনে গিয়েছে।
”ইনকাম চোর্চ” বলার কারন হলো: এটা কিছু সুধী ( সমাজের লোকেরা বলে, আমি না) লোকের জন্য কোনমতে বেছে থাকার একটা মাধ্যম। আবার মিডিয়া গুলো থাকে টি আর পি বাড়ানোর ধান্দায়। এটার মাধ্যমে মিডিয়াগুলো অনেক টাকা নিচেদের কুক্ষিগত করছে। যদিও তারা জনগনকে এর মাধ্যমে বাস্তব চিএ উঠে আসে বলে থাকে।
সবচেয়ে মুল বিষয় হলো ”বিভক্তি”। টকশো বাংলাদেশে যতটুকু মানুষকে সঠিক তথ্য দিয়েছে তার থেকে বহু অংশে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভক্তি এবং সন্দেহের সৃাষ্ট করেছে। প্রতিটা টকশোতে বিভিন্ন বানোয়াট তথ্য দিয়ে বা সুন্দর কথার মাধ্যমে বিভক্ত করা হছ্ছে। জাতি আজ দিশেহারা তাদের এই HELOCINATION মাধ্যমে । কখনো একজন বক্তা কিছুট সঠিক বললে পরবর্তিতে কোন এক আকষ্মিক কারনে উল্টে যান তা আজো অজানা।
শেষ কথা হলো: কেউ ত বলবে, ”এটা হলো মুক্ত চিন্তার এক গণতান্ত্রিক প্রতিফলন”। এটা হলো সুশীলদের হেটারদের প্রতি বয়ান।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১১