শিরোনাম শুনে অনেকেই অবাক হলেন? আমাকে হয়ত নারীবাদীরা বলবেন, নারীদের নিয়ে টানা হেচড়া হচ্ছে, তাদের মর্যাদা হানি করা হচ্ছে, আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কিন্ত বাস্তবতা হল, নারীবাদী আন্দোলনের পথিকৃৎ এর হাত থেকে বউ কিংবা বাড়ির কাজের মেয়ে বা বুয়াটা পর্যন্ত বাদ পড়েনি। এমনকি তার বিরূদ্ধে বুয়া হয়রানির অভিযোগ ও উঠে বাদী পাড়ায়।
যাই হোক বাদীদের নিয়ে আর ঘাটাঘটি না করলাম মূল কথায় আসা যাক। জাহেলী যুগে নারীর কোন সম্মান ছিলনা, তাদের একমাএ আমোদ প্রমোদের বস্ত হিসেবে গ্রহণ করা হত। তাদেরকে দাসী হিসেবে ব্যবহার করা হত। বাজারের মধ্যে তাদের নিলাম হত। যে যার মত দাম বলে সর্বোচ্চ দাম দেওয়া ব্যক্তির নিকট আগের মনিব তাকে তাকে হস্তান্তর করত। অর্থাৎ দাসীই ছিল তার পরিচয়। বর্তমান মনিব তাকে নিয়ে যেত। বর্তমান মনিব তাকে দিয়ে নিজের ক্ষুব্দ লালসা নিবারণের পাশাপাশি তাকে দিয়ে ব্যবসা করত। সেখানে তাকে দিয়ে বাড়ীর আনুসঙ্গিক কার্যাবলি সমাধা করত। কখনো নিজ গো্ত্রের সাথে অন্য গোত্রের যুদ্ধ বাধলে ( অবশ্য যুদ্ধটা তাদের নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার ছিল) তাদেরকে যুদ্ধের মাধ্যমে নির্মম মুত্যুর দিকে ধাবিত করত। তাদেরকে যে জীবন্ত দাপন করা হত। ইতিহাস এ এমন ব্যাক্তি অনেক রয়েছে যারা এহেন কর্ম সাদন করেছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হল "দাহিয়াতুল কালবি" যিনি বহু বিবাহ করার কারনে তার অনেক কন্যা সন্তানকে জীবন্ত বালিচাপা দিয়েছেন। যার সংখ্যা প্রায় ৯০ এর কাছাকাছি। অবশ্য পরবর্তীতে মুসলিম হওয়ার পর এই ভুলের জন্য সারাজীবন অাপসোস করেছেন।
বর্তমানে আবু জাহেল বা জাহেলী যুগ নাই কিন্তু তাদের উত্তরসুরী রয়েই গেছেন। এখন অবশ্য আগের মত বাজারে নারীর নিলাম হয়না কিন্ত দামী স্টার লেভেলের হোটেলগুলোতে তাদের পসরা সাজানো হয় এবং মাঝে মাঝে প্যাকেজ সিষ্টেম এর মাধ্যমে ডিসকাউন্ট এর আওতায় ও আনা হয়। বিভিন্ন উন্নত মানষিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি যারা নিজেদের আধুনিক বলে দাবী করেন তাদের মাধ্যমে আজ নারীদের পন্যতে রূপান্তর করা হয়েছে। নারীদেরকে পন্যতে রূপান্তর করার কিছু মাধ্যম নিছে দিয়ে দিলাম:
১. বিভিন্ন WOOD টাইফের মুভি হল সবচেয়ে মারাত্তক মাধ্যম।
২. এন জি ও সংস্থা। যারা শুধুমাএ মহিলাদেরকে লোন দিয়ে থাকে।
৩. ফ্যাশন শো। যার মাধ্যমে পন্য বানানোর আর কোন অবশিষ্ট স্থান বাকি রাখেনি।
৪. রাস্তার বিলবোর্ড ত এখন নারীছাড়া একদম বেমানান হওয়ার সংন্কৃতি তৈরি হয়েছে।
৫. বিঞ্গাপন মাধ্যম । যা কিনা তাদের বাথরুম পর্যন্ত পৌছে দিয়েছে।
৬. ন্যাশনাল, মাল্টি ন্যশনাল, ইভেন ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি গুলো নারী ছাড়া নাকি বেশ জমেনা। অবশ্য তাদের নিকট কোন অবিঙ্গতা চাওয়া হয়না , তারা নাকি এক্সপার্ট না হলে ভালো হয়।
৭. গাড়ী বিক্রি হবে কিন্ত একটা নারীকে সামনে দাড় করিয়ে রাখা হয় । বেচারা ক্রেতা মাঝে মাঝে কনফিউজড হয়ে যায় কোনটা আসলে পন্য। নাকি একটার সাথে একটা ফ্রি।
৮. আজকাল বিমানে যাএীদের খাবার পরিবেশনের জন্য নারী ছাড়া নাকি হয়না। এটা নিয়ে বিমান সংস্থা গুলোর মাঝে রয়েছে আনেক কম্পিটিশন ।
৯. কোন পন্য প্রথম বাজারজাত করবেন সেখানে নারীর হাত থাকবেনা এটা কেমন করে হয়।
১০. অনুষ্ঠান সম্প্রচার থেকে শুরূ করে হোষ্টিং এবং ডেন্সিং এখন নারীদের পদচারনায় মুখরিত।
১১. খেলাধুলায় তারা কেন পিছিয়ে থাকবে । সো মিনি স্কাট তো চলেই।
মোট কথা নারীদের স্পর্শ ছাড়া কোন কিছুই আপনি আজকাল দেখবেন না। যা কিনা তাদের অজান্তেই পন্য করে তোলে। আবার কিছু আবাল আছে যারা নারীবাদী আন্দোলনের নাম দিয়ে তাদের রাস্তায় নামিয়ে পতিতালয়ের আমোদ প্রমোদের খোরাক করে। অবশ্য এটার জন্য বাদী মহলে বিচ্ছেদের গুন্জন ও শুনা যায়।
এখন প্রশ্ন হল , এটার সমাধান কি? আমরা করলে বস্ত্র হরন, কে করলে বস্ত্র বরন হবে? সেটার সমাধান আগামিতে তুলে ধরব।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩২