গত পর্বে নারীরা কিভাবে পন্যতে রূপান্তরিত হয় তার কিছু উদাহরন তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এবার সমাধান করার চেষ্টা করব।
পৃথিবীতে যত শান্তি এবং অশান্তি সব কিছুর মুলেই হল ধর্ম। ধর্মের জন্য কাউকে জঙ্গি আবার কাউকে শান্তির অগ্রদূত বলা হয়। ধর্মই হল একমাএ নিরপেক্ষ সামাধানের ভিত্তি । এবার আসা যাক কোন ধর্ম আমাদের সঠিক দিশা দিবে। একটু খেয়াল করলে দেখা যায় যে, পুথিবীর কোন ধর্মই কখনো কোন খারাপ কাজকে সাপোর্ট করেনা । অথাৎ কোন ধর্মই ধর্ষণ, নারী হত্যা, পতিতালয় বানানো, নারীদের পন্যতে রূপান্তর করার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়না।
এখন প্রশ্ন হল কোন ধর্ম মানব? অনেক ধর্মই ত আছে। উত্তর হল আপনি যে ধর্ম এর অনুগামী সে ধর্মের সঠিক অনুসরন করেন । যদি বিঙ্গান সম্মত এবং মানবাদিকার এর দিক থেকে সবচেয় উত্তম পন্থা অবলম্বন করতে চান তাহলে ইসলামের অনুসরণ করতে পারেন। কারন এটা হল পুথিবীর প্রথম থেকে অধ্যবধি চলমান যে ধর্ম চলমান তার নাম হল ইসলাম। আমাদের আদি পিতা আদম (আ) এর মাধ্যমে এটার শুরু এবং বিশ্বনবী মোহাম্মদ (স) এর মাধ্যমে এটার পূর্ণতা পায় । জাহেলী যুঘে নারীদের যখন জীবন্ত কবর দেওয়া হত তখনি মানবতার বাণী নিয়ে ইসলামের মহানায়ক মোহাম্মদ (স) তাদের সম্মানের আসনে অসীন করেছেন। তিনি বালীচাপা দেওয়া নারীকে উঠিয়ে এনে মাথার মুকুটে পরিনত করেছেন। এবার কিছু সংক্ষীপ্ত উদাহরন তুলে ধরলাম, ইসলামে নারীর মর্যাদা নিয়ে:
১. কোরআনের সুরা নিসা (যার অর্থ নারী) নামে একটি সুরার নামকরণ করা হয়েছে । যদিও পুরুষদের নামে আলাদা নামে কোন সুরা নাই।
২. বহু আয়াতে তাদের অধিকার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
৩. দাসী প্রথা বন্ধ, পতিতালয় হারাম ঘোষনা করা হয়েছে। অথচ যেটা নারীদের সবচেয়ে বেশি পন্যতে রূপান্তরিত করে।
৪. সম্পত্তির অর্ধেক প্রদান করা হয়েছে।
৫. সদাচরনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি নারীদের জন্য বলা হয়েছে । যেটা আমরা অনেকে রাসুল (স) এর হাদীসের মাধ্যমে জানতে পারি যেখানে মায়ের কথা তিনবার , বাবার কথা একবার বলা হয়েছে।
৬. নারীদের প্রতি মিথ্যা অপবাদ দিলে ৬০ টি বেত্রাগাত করার কথা বলা হয়েছে।
৭. মায়ের পায়ের নিছে সন্তানের বেহশত বলা হয়েছে । যা তাদের মর্যাদার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত।
৮. বিবাহের সময় মোহর পায় মেয়েরা কিন্ত ছেলেরা প্রদান করতে হয়।
৯. বিবাহের পর ভরণপোষন এর দায়ভার ছেলের উপর দেওয়া হয়।
১০. তালাক দিলে ও তিনমাসের ভরণপোষন দিতে হয়।
১১. সবচেয়ে কোমল আচরন নারীদের সাথে করতে বলতে হয়েছে।
১২. কন্যা সন্তানকে সঠিকভাবে লালন পালনের মাধ্যমে জান্নাত পাওয়া যায়।
১৩. পাএ নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারীদের মতামত ই গ্রহণযোগ্য।
১৪. নারীদের কোন যুদ্ধসংগ্রামে অংশগ্রহণ করার প্রয়োজন হয়না। তা নিষেধ করা আছে।
এভাবেই ইসলাম নারীদের সম্মানের আসনে অসীন করেছেন। তাদের কে পন্যতে রূপান্তরিত করার সব রাস্তাই বন্ধ করে দিয়েছেন।যদি নারী সমাজ নিজেদের সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে চায় তাহলে ধর্মের একনিষ্ট অনুসারী হত হবে। পরিশেষে বলা যায়: ইসলামই মানবতার ধর্ম, এটার মাধ্য্যমেই বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্বভ ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৮