জয় বাংলা বাংলার জয়।জয় বাংলাদেশের আপামর শান্তিপ্রিয় জনসাধাণের জয়।
ধন্যবাদ,গণতন্ত্রের মানস কন্যা,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের যোগ্য উত্তরশুরী -
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আপনার ডাকে সারা দিয়ে বাংলার অকুতোভয় জনতা,বোমা,গ্রেনেড,জালাও -পোড়াও,হত্যা ও সন্ত্রাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে
ভোটের মাধ্যমে তাদের ম্যান্ডেট প্রয়োগ করেছে।
এখন এই জনগণের ভোটের মর্যাদা রক্ষার দ্বায় আপনার ও প্রতিটি নির্বাচিত সাংসদের এবং আগামি সরকারের উপর বর্তেছে।
অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন আজকের ভোট কোন স্বাভাবিক পরিবেশে হয় নাই।যারা ভোট দিয়েছে তারা প্রত্যেকে নিজের জিবনের ঝুকি নিয়ে আপনাদের ভোট দিয়েছে।
৭১-এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে নিরস্র জনগণ ,পৃথিবীর অন্যতম দুর্ধর্ষ ও চৌকষ বাহিনী পাকিস্তানি হানাদার ও কতিপয় এদেশিয় দালালদের শোচনিয়-ভাবে পরাজিত করে যে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো: তাকে পরিপুর্ণতা দিতেই আজকের সংগ্রাম।
যে বাঙ্গালীকে ট্যান্ক,কামান ও মেশিনগান রুখতে পারে নাই।সেই বাঙ্গালীকে রুখতে একতাবদ্ধ হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাতে ইসলামি ও তথাকথিত ঝাতিয়তাবাদি (ছাগিয়তাবাদি )দল।এটা শুধু হাস্যকরই না শতাব্দীর সবচাইতে বড় কৌতুক।
খালেদা জিয়া ও তার তল্পিবাহকদের বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিন্হ করার এটাই উপযুক্ত সময়।এই বিষবৃক্ষ শেকড় সুদ্ধ উপড়ে ফেলতে হবে।ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করতে হবে জামাতের নতুন সংস্করন ছাগিয়তাবাদি দলকে।
এর কোন বিকল্প নাই।
বাংলার মানুষ, ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তে রন্জিত বাংলার মাটিতে কোন স্বাধীনতা বিরোধীর আস্ফালন দেখতে চায়না। চার লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমকে অবমাননা করে রাজনিতী করার কোন অধিকার নেই এই বাংলার মাটিতে।সেটা কোন সেক্টর কমান্ডারের উত্তরশুরি হোলেও।
এই দেশের শিরা,উপশিরা ও ধমনিতে প্রবাহিত হোচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।এই চেতনাকে সালাম জানিয়ে রাজনিতী করতে হবে।তা-নাহোলে অলাইকুম আসসালাম বলে বিদায় নিতে পারেন সেই অপ-রাজনিতীবিদরা।
গণতন্ত্র মানে যদি হয় যুদ্ধাপরাধীদের সাথে বৈঠক ,প্রয়োজন নেই সেই গণতন্ত্রের।গণতন্ত্র মানে যদি হয় সন্ত্রাসী ও বোমাবাজদের সাথে আপোষ, প্রয়োজন নেই আমাদের সেই গণতন্ত্রের।
গণতন্ত্রের চাইতে বেশি মুল্যবান আমার মায়ের সন্মান।আর আমার মায়ের প্রতিরুপ হোচ্ছে আমার দেশ ,আমার সোনার বাংলাদেশ।যে গণতন্ত্র আমার মায়ের অবমাননা করে, প্রয়োজন নেই সেই গণতন্ত্রের।
পরিশেষে-ইস্পাত দৃঢ় মনোবল নিয়ে এগিয়ে যান।প্রকৃত যোদ্ধাদের পাশেই পাবেন আজিবন।২১-শে আগস্ট যে যোদ্ধারা নিজের জিবন বিপন্ন করে রক্ষা করেছে আপনাকে।এখন আর অরক্ষিত নন আপনি জননেত্রি শেখ হাসিনা।বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিন্হ করে দিতে হবে পরাজিত অপশক্তিকে।যারা স্বিকার করেনা আমাদের স্বধীনতায় ।যারা সন্দিহান আমাদের বিজয়ে।বাংলাদেশ শুধু তাদের জন্য যারা মাথায় করে রাখবে আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে।
জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৫১