somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিজিটাল সরকারের বিরুদ্ধে জামাত /বিএনপির এ্যানালগ সন্ত্রাস।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ডিজিটাল সরকারের বিরুদ্ধে জামাত /বিএনপির এ্যানালগ সন্ত্রাস।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

হ্যা এটাকে আমি কোনভাবেই আন্দোলনের ছকে ফেলতে পারলাম-না।
আন্দোলন করতে করতে একটা সময় হয়তো কিছু সহিংস ঘটণা ঘটতেই পারে।কিন্তু সেটা হোতে হবে সক্রিয় নেতা-কর্মিদের মাধ্যমেই।কারন প্রকৃতপক্ষে তারা কখনই সীমা লঙ্গন করেনা।দেশটা যে তাদের নিজেদের মায়ের মতন।কিন্তু যখন কোন কিছুর বিনিময়ে আন্দোলন করার জন্য কোন ভারাটিয়া আন্দোলনকারী নিয়োগ করা হয়।তারা কখনই দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করবেনা।কারণ তাদের কাছে এটা শুধুই আদান প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ।তারা নগদ নারায়ন প্রপ্তির আশায় যে কোন কিছু করতেই রাজি।

আসুন একটু বিশ্লেষন করে দেখি বর্তমান পরিস্থিতি কেনো এখানে আসলো।
্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্
শুধু ৯০-এর পর থেকেই একটু ফিরে দেখা যাক।

৯০-এর আন্দোলনের পর আপামর সকল মানুষের সমর্থনে যে সরকারের অধিনে ১টি নির্বাচন হলো সেখানেই প্রথম ধাক্কাটা খেলো আওয়ামি লীগ।আওয়ামি লীগ অতি আত্মবিশ্বাসী হোয়ে নির্বাচনে প্রচারনার দিকে অমনোযোগি ছিলো।তারা ছিলো ওভার কনফিডেন্ট যে তারাই সরকার গঠন করবে।পক্ষান্তরে বিএনপি জানপ্রাণ দিয়ে প্রচারণার পাশাপাশি চতুরতার সাথে জামাতের সাথে অলিখিত জোট করে ছাড় দিলো।আর এতেই কেল্লা-ফতে জামাতের সমর্থনে সরকার গঠণ করলো তারা।যদিও ভোট বেশি পেয়েছিলো আওয়ামি লীগ ।তবুও তারা জয়লাভ করতে ব্যার্থ হলো।মোটামুটি সাধারণ মানের দেশ পরিচালনা করে বিএনপি বুঝতে পারলো পরবর্তি নির্বাচনে তাদের কোন আশা নেই।

সেখান থেকেই শুরু হলো বিএনপির অধঃপতন।যে করেই হোক ক্ষমতা আকড়ে থাকতে চাইলো তারা।তারা ভুলে গেলো সবার আন্দোলনের ফসলেই তারা দেশ পরিচালনা করার দায়িত্ব পেয়েছিলো।বিএনপি মনে করলো তারাই বাংলাদেশের সবচাইতে শক্তিশালী দল।সর্বশক্তি নিয়োগ করে ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করলো।যেখানে বিরোধীদল হিসেবে আবির্ভূত হলো বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বিকৃত খুনিরা।আবারো হত্যা করলো জাতির জনককে।এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফুসে উঠলো মুক্তিযুদ্ধের সন্মিলিত শক্তি সহ সাধারণ মানুষ।আওয়ামি লীগ বাধ্য করলো তত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিয়ে নির্বাচন দিতে।মোটামুটি একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামি লীগ সরকার গঠণ করলো ৯৬ সালে ।দেশ পরিচালনায় তারা খুব খারাপ কিছু করেনি বিএনপির ৯১ থেকে ৯৫ এর তুলনায়।সব চাইতে বড় ভুলটা করেছিলো শাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি করে।এতটাই কনফিডেন্ট ছিলো তারা স্বেচ্ছায় সুন্দরভাবে তত্বাবধায়কের হাতে ন্যাস্ত করলো শাসনভার।এটাই ছিলো সবচাইতে সুন্দরভাবে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার ইতিহাস।২০০১ সালে লতিফুর রহমান এমনভাবে নির্বাচন করলো যে আওয়ামি লীগ দিশেহারা হয়ে গেলো।
নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতা ছিলো কঠিন।মনে হলো বিএনপি /জামাত মিলে আওয়ামি লীগকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলবে।জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিলো গনতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে।কায়েম করলো জঙ্গীবাদের।এক সময় মনে হইতেছিলো আমরা পাকিস্তানকেও ছাড়িয়ে যাবো সন্ত্রাসের প্রতিযোগিতায়।২০০৪ সালে আওয়ামি লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য করা হলো গ্রেনেড হামলা।সরকারের প্যারালাল সৃষ্টি হলো হাওয়া ভবন-যা ছিলো দূর্ণিতির সূতিকাগার।গাজিপুরে তৈরি করা হলো মামুন/তারেকের রঙমহল।এক সাথে ৫৬ জেলায় বোমা ব্লাষ্ট করে জানান দিলো জঙ্গীবাদ কোন স্তরে গিয়ে পৌছেছে বাংলাদেশে।তারপর শুরু হলো নানা তাল-বাহানা করে ক্ষমতা আকড়ে থাকার ষড়যন্ত্র।সেই পরিক্রমায় ইয়াজ উদ্দিন নিজেই নিজেকে তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধাণ বানিয়ে ফেললো।এর মাঝেতো নির্বাচন কমিশন ও বিচারপতি হাসান জটিলতা ছিলোই।২২শে জানুয়ারি নির্বাচন করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করলো খালেদা জিয়ার তত্বাবধায়ক সরকার।আর এই সুযোগেই আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে সৃষ্টি হলো এক এগারোর।হাসিনাকে গুনতে হলো গুনাহ না করেও তার ফল।খালেদা ও হাসিনাকে এক পর্যায়ে নামিয়ে আনার তেলেসমাতি দেখলাম তখন।পাপ না করেও নিতে হলো বিএনপির পাপের ভাগ।

শেষ পর্যন্ত এক এগারোর সরকারের অধীনে নির্বাচন করে অভুতপুর্ব বিজয় অর্জন করলো আওয়ামি লীগ।এবং উপলব্দি করতে পারলো বিএনপি গনতন্ত্রের ভাষা বুঝেনা।আওয়ামি লীগ সোজা সরল পথে হাটতে চাইলেও বিএনপি বাঁকা পথেই হাটতে পছন্দ করে।বিএনপি, আওয়ামি লীগকে তাদের স্তরে নামিয়ে আনতে চেয়েছিলো।তত্বাবধায়ক সরকারটাকে এতটাই বিতর্কিত করে ফেলছে বিএনপি এখন আর সেখানে ফিরে যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা।একটিবারের জন্যও সুস্থভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নাই বিএনপি/জামাত ।২০১৪ সালের নির্বাচন পুর্ববর্তি বিভিষিকা আবার ফিরিয়ে এনেছে জামাত-শিবির ও বিএনপি।কাজেই এখন আর কোন সুযোগ নেই তাদের এই সন্ত্রাসকে মেনে নেওয়ার।আমরা আর ফিরে যেতে চাইনা পাকিস্তানি ধারায়।

আশা করি বাংলাদেশের মানুষ ৭১-র চেতনায় সঠিক সিদ্ধান্তের সাথেই থাকবে।আমরা আর পেছনের দিকে হাটতে চাইনা।
বিএনপি তার সঠিক রাজনীতিতে ফিরে আসুক এই কামনা করছি।আওয়ামি লীগ আর কোন ভুল করুক তা চাইনা মনে প্রানে।

আসলে বিশ্লেষন বিশাল বেপার।যদি প্রকৃতপক্ষে বিশ্লেষন করতে যাই ,প্রতিটি বিষয়ে ১০পাতা করে লিখতে হবে।আমি শুধু হালকা কিছু ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।তা না হোলে যত রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে চারদলীয় শাসনামলে তা দিয়ে মহা ভারত রচনা করা যাবে।এই কথাগুলো কোন বুদ্ধিজীবি বা টিভি টক শো-এর আলোচক বৃন্দ করেন না ।
এক কথায় বি,এন,পি-কে তারা অনেকটাই ধোয়া তুলশি-পাতার পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।মনে হয় এগুলো বি,এন,পি/জামাত করতেই পারে।শুধু পরিশুদ্ধ থাকতে হবে আওয়ামি লীগকে।

শাসনের নামে সবার জন্য লুটপাট ,খুন-খারাবি জায়েজ।কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সহ উন্নয়ন ,গণতন্ত্র সব কিছুই সঠিক ভাবে করতে হবে শুধুই আওয়ামি লীগকে।দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দায় দ্বায়িত্ব শুধুই আওয়ামি লীগের।তারেক,কোকো-ফালু,ঝন্টু ,মন্টুরা দূর্ণিতি করতেই পারে তাতে কারো কিছু আসে যায়না।যদি শুধু "জয়" হাওয়া ভবন বা বাতাস ভবনের মত কিছু করতো তাহোলে রাজনীতিবিদ আর বুদ্ধিজীবিদের আস্ফালন দেখতেন ,তারা আকাঁশ পাতাল এক করে ফেলতো।

তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ সবাই মিলে কিছু না কিছু লিখুন।সত্যটাই লিখুন।আমি কাজের ফাঁকে চেষ্টা করি কিন্তু কিছুই পারিনা।

ধন্যবাদ,ব্লগার বন্ধুরা।

ক্যাটেগরি:
রাজনীতি






সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৪
১০টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×