অভিজিত নয় আমি আমার লাশ দেখতে পাচ্ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাদদেশে। "বণ্যা" নয় আমি আমার বোনের রক্তস্নাত অবয়ব দেখছি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।এ কোন বাংলাদেশ...! এই বাংলাদেশের জন্য কি আমি হারিয়েছি আমার একান্ত আপনজনকে ?
আমি স্বাধীন বাংলাদেশের একজন স্বাধীন নাগরিক বলেই বিশ্বাস করি।আমার স্বাধিনতায় কারো হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।কিন্তু আজ আমি ভীত-সন্ত্রস্ত।আমার সাধারণ মতামত প্রকাশেও আমি ভিত।কারন রাজনীতি করার নামে জঙ্গীগোস্ঠিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আমার মত অনেকের হত্যার পথ তৈরি করা হোচ্ছে।আমি আমার মাতৃভুমিতে যেনো অনাহুত আগন্তক।আমি সত্যিকার অর্থেই কথাগুলো বললাম।তিন স্তর নিরাপত্তা ব্যাবস্থার মধ্যে কি করে খুন হয় !!
এই জঙ্গীরা যে কতটা ভয়ংকার তা কল্পনারও অতীত।এরা ভালো মানুষের অবয়বে একেকজন সিরিয়াল কিলার।আমাকে আপনাকে এদের সর্ভিলেন্সের আওতায় রাখছে সব সময়।তারপর আমাদের গতিবিধির সব কিছু যখন তাদের নখদর্পণে।তখন সেই তথ্য গুলো সরবরাহ করছে তাদের পোষা খুনি বাহিনির কাছে।আর এতেই খুব সহজে খুন হচ্ছি আমি ও আপনি।কারণ আমরা চিন্তাই করতে পারছিনা আমার মাতৃভুমিতে আমি নিরাপদ নই।অভিজিত হত্যাকান্ড কিন্তু স্পষ্টভাবে সেটুকু প্রমাণ করেছে।আমাদের সবকিছু নতুন করে ভাবতে হবে ।আমরা কি সবকিছু এভাবে সয়ে যাবো নাকি দুর্বার প্রতিরোধের মাধ্যমে প্রতিহত করবো এদের।এখন শুধু প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবেনা।প্রবলভাবে প্রতিরোধ করতে হবে নিজেদের বাচাতে হলে।আমরা আমাদের দেশকে পাকিস্তান কিংবা আফগানস্থান হোতে দিতে পারিনা।শরিরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হোলেও রুখতে হবে এদের।যদি তা না পারি তাহোলে ৭১-এর সব অর্জণ প্রশ্নের মুখে পড়বে।ওরা প্রমাণ করবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার যুদ্ধটাই ভুল ছিলো।
এখন সবাই নতুন করে ভাবুন ,আমরা কি করবো ও কি করা উচিত।৭১-এর একতার বিকল্প কিছুই নেই এখন ।সবাইকে এক সুরে কথা বলতে হবে আজকে এই নিরিহ মানুষের হত্যার বিরুদ্ধে।হোক সেটা গণতন্ত্র কিংবা ইসলামের নামে।আমাদের বাচার অধিকার নিশ্চিত করার পরই শুধু আসতে পারে অন্য কোন বিষয়।তাই সবাই মিলে আওয়াজ তুলুন বন্ধ কর এই হত্যার হোলি-খেলা।
জয় আমাদের হবেই হবে ,ইনশাহ আল্লাহ।
শতভাগ সতর্কতার প্রয়োজন এখন
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭