২৮ শে এপ্রিলের নির্বাচনের লিটমাস টেষ্ট হোচ্ছে আমরা আসলেই কতটা সচেতন নাগরিক।
আমরা কি আসলেই বদলাতে পেরেছি নিজেদের ? নাকি যেই তিমিরে ছিলাম সেখানেই ঘুরপাক খাচ্ছি।মানুষ কি আসলেই বাস্তবতা বুঝতে পারে নাকি এখনও অন্ধের মত অনুসরন করতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।মিয়ার ব্যাটা বলছে তাই কলাগাছ মার্কায় ভোট দিতে হবে।সেখান থেকে কি আমরা বেড়িয়ে আসতে পারলাম নাকি আরো কুটিলতার ভেতরে নিজেদেরকে সমর্পন করলাম।
টাকা ও মাসল শক্তির বাইরে আরো একটি বিষয় নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।এবং এটাই সবচাইতে বেশি ইফেক্টিভ প্রমানিত সত্য।সেটা হোচ্ছে নির্বাচন এবং রাজনিতীতে ধর্মের অপব্যাবহার।যার ১০০% প্রতিফলন ঘটেছিলো বিগত কয়েকটি সিটি নির্বাচনে।এই নির্বাচনেও তার পরিলক্ষিত হোচ্ছে।অর্থাৎ কোরআন শরিফ ছুয়ে প্রতিশ্রুতি আদায় করা হোচ্ছে ভোট দেওয়ার জন্য।টাকা নিয়ে আমরা হয়তো ভোট নাও দিতে পারি ।মাসল শক্তিকেও হয়তো ফাঁকি দিতে পারি।কিন্তু ধর্মের প্রতি আমরা এতটাই অনুগত যে সেখানে কোন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেই না।এবং এই সুযোগটাই গ্রহণ করে থাকে এক ধরনের ভন্ড প্রতিদ্বন্ধি।আশা করি বর্তমান সমাজ ব্যাবস্থায় এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
আরো একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।সরকার বিরোধী ক্যান্ডিডেডরা অনবরত অভিযোগ করেই যাচ্ছে তাদের অনিয়ম গুলো আড়াল করার জন্যই।সরকার সমর্থক প্রতিনিধিরা কেনো জানি শতভাগ নিয়ম লংঘন হোতে দেখলেও কোন প্রতিকার চাইছেনা নির্বাচন কমিশনে।বিষেশ করে খালেদা জিয়া চরম অনিয়ম করেই নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে।নিকট অতিতে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারার যে মহোৎসব চললো তারপরে আবার ভোট চাইতে হলো সেই নিরিহ মানুষের কাছেই।এটাকে শুধু প্রহসন বললে অন্যায় করা হবে জনগণের প্রতি।এই নির্বাচনে আমরা কিছুটা হোলেও অনুভব করবো প্রকৃতপক্ষে কতটা সচেতন আমরা ।
পেট্ট্রোল বোমার জয় জয়কার নাকি তা প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জয় হবে এই নির্বাচনে।সেটাই মূল পর্যবেক্ষন করার বিষয়।নিরব ভোটাররাই নাকি বি,এন,পির শক্তি ।আমরা এবার দেখতে চাই আসলেই কি নিরব ভোটাররা সঠিক রায় দেয় কিনা।মানুষকে পুড়িয়ে মেরেও জয়ী হওয়া যায় কিনা সেই পরিক্ষাই হবে এই নির্বাচনে।প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়া নির্বাচনি প্রচারে নয়, নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করাই তার মূল লক্ষ।কারন এই সিটি নির্বাচনটি জাতিয় নির্বাচনেই রুপ নিয়েছে।যতদিন খালেদা জিয়া নির্বাচনের বাইরে ছিলেন ততদিন কোন অঘটন ঘটেনি।যখনি তিনি প্রচারনার নামে নির্বাচনের মাঠে নেমে এলেন তখনি শুরু হলো বিশৃংখলা।যে খালেদা জিয়া শহিদ মিনারে গেলেন-না ভাষা দিবসে।স্বাধীনতা দিবসেও শ্রদ্ধা জানাতে গেলেন-না সৃতিসৌধে সেই খালেদা জিয়া নেমে এলেন সামান্য সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে।যে নির্বাচনে সরকার পরিবর্তনতো হবেইনা এমনকি কোন মন্ত্রনালয়ের বিন্দুমাত্র কিছুই হবেনা।আসলে তিনি পানি ঘোলা করে তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করাই মূল লক্ষ।
তার অংশ গ্রহণের পুর্ব পর্যন্ত তেমন কোন বিশেষ অনিয়ম এই পর্যন্ত লক্ষ করা যায় নাই।সকল প্রার্থিই যথাযথ প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।অথচ এই পরিবেশটা নষ্ট করাই মূল লক্ষ হয়ে দাড়িয়েছে।এখন দেখার বিষয় মানুষ পুড়িয়ে মারার জবাব মানুষ কিভাবে দেয়।
সকল ভোটারের জন্য একটি অগ্নি পরিক্ষা এই নির্বাচন।যদি অসচেতনভাবেও ভুল করে তাহোলে এর খেসারত জনণকেই দিতে হবে।সঠিক সিদ্ধান্ত খুলে দিতে পারে রাজনিতীর নব দিগন্ত।কাজেই সবাই মিলে আসুন আমরা পরিবর্তনটা নিয়ে আসি এই নির্বাচনের মাধ্যমে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:৩৯