নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা আমার তৃষ্ণার জল!

বেনামি মানুষ

কেউ না

বেনামি মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যি ই সত্য না, এটা রম্য ১

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৫


রোহিঙ্গাদের সমস্যা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
সবাই রোহিঙ্গাদের সমস্যায় কাতর, একেবারে নিজের সমস্যা মনে করে সমাধান করতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। লাফিয়ে পড়ছে।

কেউ তাদের খাবার দিচ্ছে।
কেউ তাদের কাপড় দিচ্ছে।
কেউ বিস্কুট দিচ্ছে।
কেউ মশারি দিচ্ছে।
কেউ স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন দিচ্ছে।
কেউ পাথওয়ে দিচ্ছে।
কেউ ওষুধ দিচ্ছে।
কেউ স্যানিটারি ম্যাটেরিয়ালস দিচ্ছে।
কেউ বাচ্চাদের দুধ দিচ্ছে।
কেউ বাচ্চাদের পড়াশোনা করানো ও শুরু করে দিছে।
কেউ বিয়ে করে পরিচয় দেয়ার সুযোগ দিচ্ছে।
কেউ এই সুযোগে ধর্ষণ ও করে নিচ্ছে।

এরকম গুণে গুণে লেখতে গেলে আমার কিবোর্ডের কালি ফুরায়ে যাবে তবুও এই লিস্ট শেষ হবে না।

সব ঠিক আছে, শুধু একটা কমতি আমার কাছে ধরা পড়েছে - কেউ ই রোহিঙ্গাদের স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে না।

যে যা দিচ্ছে তা সব ই অস্থায়ী সাহায্য।
আমি স্থায়ী সাহায্যের কথা ভাবছি।
সমাধান খুঁজে পেয়ে আলাপ করলাম এক রিকশা ওয়ালা চাচার সাথে।

- চাচা, আপনার কেমন লাগে এই যে রোহিঙ্গারা খোলা আকাশের নিচে জীবনযাপন করছে?
একসময়তো তাদের সব ছিলো, ঘরবাড়ি, জমিদারি সব।

- বাবা, আমি বলি কি তাদের পরিবার প্রতি একটা ঘর তৈরি করে দেয়া হোক।

- চাচা, এতে তো প্রচুর পরিমানে খরচ আসবে।

- খরচ আসলে আসুক, আমরা দিবো খরচের টাকা।

- কোত্থেকে দিবেন? এবার না বন্যায় আপনার ফসল ভাসিয়ে নিলো, হাওড়ের পানি বিপর্যয়ে সব হাঁস মারা গেলো, যতোদূর জানি মাছ ও তো ধরতে পারছে না হাওড়াঞ্চলের মানুষ?

- আরেহ বাবা, আপনি শহরে থাকেন, গ্রামের খবর কি জানবেন! আমরা কি সব গরীব লোক ই গ্রামে থাকি?
সব বিপর্যয়ের পর ও আমাদের যা আছে তা দিয়ে সব রোহিঙ্গার ঘর নির্মাণ করে দিতে পারবো।
লাগলে সব বার্মিজদের দিতে পারবো!


- চাচা, ধরলাম ঘর বানানোর টাকা দিলেন, সেই পরিমানের জমি ও তো লাগবে!

- জমির কি অভাব আছে বাবা? কতো জমি বাংলাদেশে! নতুন নতুন চর জাগছে শুনছি ইদানীং। তারপর এই যে দেখেন মাঠ ঘাট, রাস্তা, স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির কতো জায়গা খালি পড়ে আছে।
তাদের কি এক কাটা করে জমি আমরা দিতে পারবো না?
আমরা কি এতো ই গরীব!


-চাচা, আপনি গরীব না, ফসল আর হাঁস মাছ মরার পর ও আপনি দান করার মতো ধনী। বাংলাদেশের এতো মানুষের বাস্তু সংস্থান করার পর ও আপনি রোহিঙ্গাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেনন।
মানলাম আপনি গরীব না, তবু ও ছেঁড়া জামা গায়ে দিয়ে রিকশা টানছেন কেনো?

- শখে বাবা, রিকশা চালাই শখে!
আমার আরো কিছু শখ...


- চাচা, সামনে টিনের দোকান দেখা যাচ্ছে, একটু নামায়ে দেন, জিগ্যেস করি দাম কতো টিনের আর কি পরিমান লাগবে।
আর আপনি গিয়ে বাছাই করুন কোন জমি টা রোহিঙ্গাদের দিবেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিজেদের দরিদ্রদের কোন খবর নেই

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৪

বেনামি মানুষ বলেছেন: "বাপের পাছা উদাম, আর পড়শীর জন্য খুলে বসছে গুদাম" অবস্থা আর কি।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:০৫

এম এ কাশেম বলেছেন: যার আছে গুদাম, তারাই বাপের পাছা রাখে উদাম
গুদাম রেখে গুদাম ঘরে করে সবাই কুকাম
গুদাম নাই তো কি? মনটায় তার মানবতার গুদাম
নিজের পাছা উদাম রেখে বাপের রাখে নাম।

সবই মানসিকতার ব্যাপার।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪০

বেনামি মানুষ বলেছেন: জ্বী, সবই মানসিকতার ব্যাপার।

৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৪

ফ্রিটক বলেছেন: বাপের পাছা উদাম, আর পড়শীর জন্য খুলে বসছে গুদাম" অবস্থা আর কি।ভাই বেনামী মানুষ আপনার এই কথাটা পড়ে হাসতে হাসতে আমার লুঙ্গি খুলে গেছে

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১৫

বেনামি মানুষ বলেছেন: যেটা খুলেছে সেটা রোহিঙ্গাদের দিয়ে দেন :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.