নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা আমার তৃষ্ণার জল!

বেনামি মানুষ

কেউ না

বেনামি মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা বনাম প্রাসঙ্গিক শিক্ষা কিংবা অর্থবহ শিক্ষা

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

প্রথমে ই বলে নেই, এটা আলোচনা করার জন্য লেখা ব্লগ

আমার কথা- চার বছরের ইংরেজীতে স্নাতক ছয় বছরে পড়ে শেষ করে সনদপত্র হাতে পাবার আগে ই চাকরি পাবার জন্য পড়তে হচ্ছে কম্পিউটার, গণিত, বাংলা, ইতিহাস, অর্থনীতি, সাধারণ জ্ঞান, পদার্থ, কেমিস্ট্রি ইত্যাদি ইত্যাদি।

চাকরির বাজারে টিকে থাকার জন্য যা সব পড়তে হচ্ছে তাতে স্নাতকের সাবজেক্ট সম্পর্কিত পড়া খুব ই অল্প।

এতো ই অল্প যে মনে প্রশ্ন জাগছে, কেনো আমি এই বিষয়ে পড়লাম এতো বছর? কেনো আমায় পড়ালো কর্তৃপক্ষ?


আমি আমার আশেপাশের অনেকের সাথে আলোচনা করে যেটা বুঝতে পারলাম তা হলো, কেউ ই দেশের চলমান শিক্ষাব্যবস্থায় তৃপ্ত না, খুশি ও না।

ছাত্রজীবনে পড়ছে এক, কর্মজীবনে করতে হচ্ছে আরেক।



এই অসামঞ্জস্য থেকে বের হবার উপায় কী?




এই ব্লগে নিশ্চয় অনেক জ্ঞানীগুণী লোক আছেন যারা এবিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন।

যদি ও এখানে আলোচনা করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না তবু ও আশা রাখি এখানে যারা আছেন তারা একদিন অনেক বড় বড় জায়গায় অধিষ্ঠিত হবেন এবং মনে করি এখনও অনেক বড় বড় জায়গার লোক এখানে আছেন।



আপনার, আমার হাত ধরে ই পরিবর্তন আসবে আশা রেখে আপনাদের আলোচনা করতে আহবান করছি।

আপনারা আপনাদের মূল্যবান চিন্তা, ধারণা, সমাধান এখানে শেয়ার করুন দয়া করে

আপনি ই একদিন পরিবর্তনের নায়ক হতে পারেন।


বিঃদ্রঃ পরিবর্তন অবশ্য পজেটিভ হবে।

আমার আলোচিত বিষয়ে গলদ থাকলে তা নিয়েও আলোচনা করা যায়।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

তারেক ফাহিম বলেছেন:
ভালো লাগলো এই ধরনের উক্তি প্রায় নাড়া দিতো।
প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে কী পাওয়া যোগ্য??


সমর্থক পোষ্ট সময় করে ক্লিক দিয়ে ঘুরে আসেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪

বেনামি মানুষ বলেছেন: প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে কী পাওয়া যোগ্য??


চকোলেট পাবেন।


২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

জাহিদ হাসান বলেছেন: সেশনজটের সদনে এই প্রশ্নের উত্তর মাথায় আসতেছে না।
স্নাতকে ভর্তি হওয়ার এক বছরের মাথায় সেশনজটে পড়লাম।
হায় ঢাবি অধিভুক্ত কলেজ
হায় ঢাবি অধিভুক্ত কলেজ

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

বেনামি মানুষ বলেছেন: হায় ঢাবি অধিভুক্ত কলেজ
হায় ঢাবি অধিভুক্ত কলেজ



হায় করতে করতে ই হয়ে যাবে সব শেষ...

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এত ঝামেলা দেখলে মনে হয় অন্য দেশে মাইগ্রেট করাই একমাত্র সমাধান।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

বেনামি মানুষ বলেছেন: দেশের কথা ভেবে কিছু বলুন।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: এত ঝামেলা দেখলে মনে হয় অন্য দেশে মাইগ্রেট করাই একমাত্র সমাধান।

আমি তো প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি। আপনিও শুরু করেন। কিসের আশায় বসে আছেন?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

বেনামি মানুষ বলেছেন: দেশের কথা মাথায় রেখে কিছু বলা যায় কি?

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: @জাহিদ হাসান, অনার্স টা শেষ করেই বেচে থাকলে ইনশা আল্লাহ যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আপাতত খোজ খবর রাখছি।

@বেনামি মানুষ, সরকারে ডেডিকেটেড লোক নাই। থাকলেও চোখে পড়বে না। আপনি কিভাবে পরিবর্তনের আশা করেন? সরকার কিছু করবে না। তাই আমাদের উচিত এই গতানুগতিক পড়ালেখার পাশাপাশি অন্য স্কিল অর্জন করা। একটু সদিচ্ছা থাকলেই সেটা পারা যাবে।

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮

আটলান্টিক বলেছেন: আসলে বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা হলো অপার সময়।বাঙালিদের সময়ের কোন অভাব নেই।তাই সময় কাটানোর জন্য আমরা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পরি।যেমন একজন স্টুডেন্ট এর স্কুল-কলেজ টিউশনি করার পরে ও প্রচুর সময় থাকে আর সেই সময়টা সে ইভটিজিং নাহলে 'আজাইরা' ঘুরাঘারি আর নাহলে বসে বসে অথবা টিভি দেখে কাটায়।যার ফলে স্টুডেন্টদের দ্বারা দেশের উন্নতি হচ্ছে না।শুধু স্টুডেন্ট না বড় বড় অফিসের বড় বড় কর্তাদের ও সময়ের অভাব নাই তাই তারা সেই সময় টা ঘুষ খেয়ে কাটায়।আর ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপারটা তো বাদই দিলাম তারা শুধু বসে বসে আড্ডা দেয় যার জন্য রাস্তায় প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যাম চব্বিশ ঘন্টা লেগে আছে।সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই দেশের বেশীরভাগ জনগনই দেশের উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখছেন না শুধু টাইম পাস করছেন।আর অন্যদিকে উন্নত দেশের দিকে নজর দেন।দেখবেন সেখানে টাইম পাস কেন আড্ডা দেওয়ার ও টাইম নাই।কয়েকদিন আগে একটা পত্রিকায় পড়েছিলাম যে জাপানে নাকি এমন দিন যায় কাজের জন্য স্বামী-স্রীর মধ্যেও দেখা হয় না।উন্নত দেশ সব সময় কোন না কোন কিছুতে ব্যস্ত থাকে আর বাংলাদেশ বসে বসে খই ভাজে।এই সমস্যা যেদিন থেকে দূর হবে তার ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ First World এ পরিণত হবে।তাছাড়া রাজনৈতিক কিছু সমস্যা আছে যা চাঁদগাজী সাহেব ভাল বলতে পারবেন সেগুলো দূর করলেই বাংলাদেশের উন্নতি নিশ্চিত।আধুনিক বিশ্বের যে উন্নতি দেখছেন তার সব কিছু এশিয়ানরা করেছে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

বেনামি মানুষ বলেছেন: অনেকে ই ঠিকঠাক মতো ডিউটি পালন করেন। বরং এদের সংখ্যা বেশি ই হবে।





কথা ছিলো শিক্ষাক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যতা নিয়ে আলোচনা করবেন।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২

কালীদাস বলেছেন: এই প্রসংগে দুইটা ভিন্ন ডিরেকশন আসবে ক্যারিয়ার চয়েসের ব্যাপারে। আপনি কি নিজের সাবজেক্টে বা সাবজেক্টের ডেরাইভড ফিল্ডগুলোতে থাকতে চান? যদি চান তাহলে কিন্তু নিজের সাবজেক্টের বাইরে কিছু পড়ার প্রয়োজন পড়ে না। প্রবলেম হল, এই জিনিষ সব সাবজেক্টে সমানভাবে খাটে না। রিসার্চের অপশনও সব সাবজেক্টে একরকম না।

সবকিছু পড়া লাগে- এই সমস্যাটা মেইনলি হয় বিসিএস যাদের টার্গেট তাদের জন্য। উইথ অল ডিউ রেসপেক্ট এই অসুস্হ প্রতিযোগিতার মডিফিকেশন প্রয়োজন সেই সাথে আমাদের নতুন গ্রাজুয়েটদেরও এই দিক থেকে নজর ফেরানো উচিত। এই জিনিষের উপর নির্ভরশীলতা/আশা বেকারত্ব বাড়িয়েছে বছরের পর বছর। বাস্তবসম্মত হওয়া উচিত।

এর বাইরের আরেকটা জিনিষ বলি। সমস্যাটার শুরু কিন্তু আমাদের ব্যাচেলর লেভেলের ফার্স্ট ইয়ার থেকে শুরু। কয়জন পাচ্ছি নিজের পছন্দের সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ? পাচ্ছে না তার পেছনে একটা বিরক্তিকর কারণ হচ্ছে উচ্চশিক্ষা প্রয়োজনের চেয়ে অনেকটাই সামাজিক চাহিদা হয়ে গেছে এখন। গোল্ডেন জিপিএ ফাইভের জোয়ার জিনিষটাকে আরও কমপ্লেক্স করে তুলছে। আমরা জুনিয়র ইয়ারগুলোর স্টুডেন্টদের নিয়ে মাঝে মাঝে হিমশিম খাই, আগের লেভেলের দুর্বলতা খুব কড়াভাবে চোখে আটকায়।

কোন কোন সাবজেক্টে জব ফিল্ড ভাল এবং কেন ভাল, প্রাইভেট না পাবলিক এরকম কয়েকটা ক্যাচাল না চাইলেও এসে পড়ে এই টপিকে কথা বলতে গেলে। আপাতত অফ গেলাম ঐদিকে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

বেনামি মানুষ বলেছেন: আপনার আলোচনা বেশ ভালো।

আমার মতে বাংলাদেশের যে শিক্ষাব্যবস্থা তাতে অনেক পরিবর্তন দরকার।
অস্ত্রোপচার আর কি। আপনি কি বলেন?

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

কালীদাস বলেছেন: @ একটি আটলান্টিক : লেইজার টাইমের কিন্তু দরকার আছে ভাই। এবং ধনী দেশগুলো এই জিনিষ খুব ভালভাবে মানে। জি-ফোরের দেশগুলো ইউরোপকে সবদিক থেকে লিড দেয়, এরা অফিস টাইমের পরে এক সেকেন্ডও থাকবে না। কোনভাবেই না। এবং উইকেন্ডে কখনই কোন অফিশিয়াল কাজ করবে না, এই ৪৮ ঘন্টা কেবলই নিজের ব্যক্তিগত। এরা কিন্তু খারাপ করছে না কোনভাবেই। আমার এখনকার পেশায় অবশ্য সসবময় পারা যায় না, ব্রেইন সারাক্ষণই ব্যাকগ্রাউন্ডে এনগেজড থাকে যে কারণে মাঝেমাঝে শনি/রবিবারের খবরও থাকে না। কিন্তু সেটা কর্পোরেট বা অন্যান্য সার্ভিসের জন্য না।

ব্যাপারটা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে আপনি কতটা অর্গানাইজড এবং এফিশিয়েন্ট আপনার শিডিউলড টাস্ক কমপ্লিট করতে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

বেনামি মানুষ বলেছেন: একদম এটাই।
ধন্যবাদ ভাই কালীদাস, আমার কথাগুলো নিজ থেকে বলে নেয়ার জন্য।

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: লেখক বলেছেন: দেশের কথা মাথায় রেখে কিছু বলা যায় কি?

দেশের কথা মাথায় রাখার জন্য আওমীলীগ, কৃষকলীগ,তাতিলীগ,ছাত্রলীগ,বিএনপি,হেফাজত, এনারা আছেন।
আমরা হচ্ছি এই দেশে পানিতে ভাসা কচুরিপানার মত। আমাদের গাট্টিবোচকা নিয়ে আরেক দেশের নাগরিকত্ব নেওয়া ছাড়া উপায় কি? তবে কথা দিচ্ছি আমি যদি রাশিয়া অথবা কানাডায় নাগরিকত্ব পেয়ে সেদেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারি, তবে বাংলাদেশের উপকার করার কথা চিন্তা করবো। কিন্তু এর বাইরে আর কিছু বলতে পারছি না।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

বেনামি মানুষ বলেছেন: আপনি ক্ষোভ ঝাড়ছেন।
বেশ!



আমরা আমাদের রিসোর্স নষ্ট করার অধিকার তাদের দিয়েছি, এখন তারা আমাদের নষ্ট করা রিসোর্সের আবর্জনা উপহার দিচ্ছে।

আর আপনি কচুরিপানা হলে হবে কিরকম?
আমাদের শেকড় আছে, আমাদের দেশ এটা।
গাট্টিবোচকা নিয়ে যাবার আগে আরেকবার দেশের কথা ভাববেন আশা রাখি।

ধন্যবাদ।

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই ব্যপারটা নিয়ে কেউই ভাবছেন না মনে হয়। আমি ১৫ বছর ধরে দেশের বাইরে এক্সিকিউটিভ চাকুরি করার পরও দেশে চাকুরি পাই না এম বি এ বা মাস্টার্স না থাকার কারণে! দেশে ৭/৮ বছর অনার্স/মাস্টার্স করার পরও চাকুরি করতে হয় ১০ হাজার টাকার বেতনে। অথচ কোন ফ্যাক্টরিতে লেবার রাই পায় ১০/১২ হাজার টাকা...

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

বেনামি মানুষ বলেছেন: আমি নিজে টিউশন পড়ায়ে যা পাই আমার চাচাতো ভাই পোস্টগ্র্যাজুয়েট হবার পরে ব্র্যাক ব্যাংকে জব করে তার থেকে চার হাজার বেশি পায়।



এখন ভয়ে আছি আমি জবে ঢুকার পর আমার প্রমোশন হবে নাকি ডিমোশন! :(



আর চাকরির যে বাজার তাতে আমাদের গতানুগতিক পড়াশোনায় চাকরি যে হবে তার ই নিশ্চয়তা কি!

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: বেনামি মানুষ ,





পোস্ট ছোট হলেও বিষয়টি বিশাল । ব্লগের পরিসরে তা সম্ভব নয় যেমনটা ব্লগার কালীদাস বলেছেন । আর ৭ নম্বর কমেন্টে উনি অনেক সুন্দর বলেছেন, ক্যারিয়ার বাছাইয়ের ব্যাপারে ।

এই প্রতিযোগিতার বাজারে , আবার যেখানে বাজারটাই সীমিত সেখান আপনাকে সর্বগুনে ( মানে শিক্ষায় ) গুনান্বিত হতে হবে নইলে প্রতিযোগিতায় টিকবেন না । এখন কথা হলো, চাকুরীর জন্যে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে একজন চাকুরী প্রার্থীর প্রয়োজন শিক্ষা বিষয়ক একটি সর্বোচ্চ ডিগ্রী । এটা ভালো চাকুরীর ক্ষেত্রে । এটা না থাকলে আপনি চাকুরীর জন্যে কোথাও আবেদনই করতে পারবেন না । ধরা যাক আপনি ইংরেজীতে স্নাতক কিম্বা মাষ্টার্স । এখন শুধু ইংরেজী লাগবে এমন চাকুরী এদেশে কি কি আছে ? একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা ছাড়া আপনার সামনে আর কোনও পথ খোলা নেই । কারন শুধু ইংরেজীতেই দক্ষতা থাকলে চাকুরী হবে এমন কোনও চাকুরীর বাজার এদেশে গড়ে ওঠেনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়া । আবার সেখানে এমন পদ কি গন্ডায় গন্ডায় খালি থাকে ? থাকেনা বা নেই । এখন আপনার কি হবে ?
রাস্তা দুটো । এক - হয় উপার্জনের জন্যে আপনাকে ইংরেজির শিক্ষকই হতে হবে । নতুবা দু্ই - অন্য কোনও চাকুরীর দিকে ফিরে তাকাতে হবে ।
মনে করুন, আপনি একটি বিপণন প্রতিষ্ঠানের চাকুরী খালি আছে দেখে আবেদন করলেন । আপনাকে চাকুরী দাতা প্রতিষ্ঠান ভুলেও যদি ইন্টাভিউয়ের জন্যে ডাকে তবে সেখানে আপনার ইংরেজীবিদ্যা দেখানোর কোনও সুযোগ নেই । আপনাকে দেখাতে হবে "মার্কেটিং" এর জ্ঞান ।
এই অসামঞ্জস্যতা থেকে আপনার রেহাই নেই । আবার ক্যারিয়ার গড়তে যে যে শিক্ষার সনদ আপনার প্রয়োজন বলে মনে করেন তেমন শিক্ষার সুযোগ আপনি নাও পেতে পারেন কারন - প্রতিযোগিতা । ঐ বিশেষ সাবজেক্টটির জন্যে প্রতিযোগী অসংখ্য । আপনি সেখানে চান্স না পেলে আপনাকে বাধ্য হয়েই আপনার অপছন্দের একটি বিষয়ে ভর্তি হয়ে ছাত্রত্ব বজায় রাখতে হবে ।

আর বিস্তারিত বলার প্রয়োজন হয়তো পড়বেনা তাই একটা কথা সংক্ষেপে বলে যাই ------ আগে কর্মসংস্থান বা কর্মক্ষেত্রের পরিধি না বাড়ালে শুধু শুধু শিক্ষার প্রসার করে কোনও লাভ নেই । আর কর্মসংস্থান বা কর্মক্ষেত্রের পরিধি এদেশে বাড়ার কোনও আলামত নিকট ভবিষ্যতে নেই । এরকম হলে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা নেয়া ছাত্রদের সামনে একমাত্র বেকার হওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা বোধহয় খোলা নেই ।

আশা করি কিছুটা অংশগ্রহন করতে পেরেছি আপনার লেখাতে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৫

বেনামি মানুষ বলেছেন: ভাই আহমেদ জী এস আপনি সুন্দর বলেছেন।
আমার কথা ছিলো আমাদের এই অসামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থা কিভাবে পরিবর্তন করা যায়।



বা আদৌ পরিবর্তনের দরকার আছে কি না।


আপনার অংশগ্রহণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালোবাসা রইলো।

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৫

কালীদাস বলেছেন: হালকা একটা সামারি টানতে পারি, যদিও ইনকমপ্লিট থাকবে কমেন্টটা। পারসোনালি আমি যেটা মনে করি, প্রথমে গ্রেডিং সিসটেমে পরিবর্তন আনা দরকার এইচএসসি বা নিচের লেভেলগুলোতে। শিক্ষক নিয়োগে আরও কেয়ারফুল হওয়া এখন সময়ের দাবি। আমি এই মুহুর্তে ইউরোপে পিএইচডি করছি, বেশিরভাগ ইউরোপিয়না ইউনিভার্সিটিতেই পোস্ট ডক করার আগে জুনিয়র প্রফেসর হিসাবে জয়েন করা যায় না। আমি সিম্পলি মাস্টার্স নিয়ে পাবলিকে জয়েন করেছিলাম দেশে; এখনও কোন কোন সাবজেক্টে কেবল ব্যাচেলর থাকলেই জয়েন করা যায়। সাবজেক্ট প্রেম কমানো দরকার- সবাই হয় বিবিএ, ইন্জিনিয়ারিং বা ডাক্তারি পড়তে চায়। এখনও জব আছে বলে সমস্যা হচ্ছে না, সামনে হবে। কারণ আমাদের অন্য লেভেলের একটা বিশাল সমস্যা আসছে আগামী ত্রিশ বছরে, এজিং সোসাইটি হবার পর ফিল্ডে কাজ করার লোকের বিশাল আকাল পড়ে যাবে। সব রোহিঙ্গাকে জব দেয়ার পরও গতরে খাটার কাজ করার লোক পাওয়া যাবে না আগামী ৫০ বছর পরে। কারণটা নিচে বলি আরেকটু, আহমেদ জী এসও টাচ করেছেন পয়েন্টটা।

মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলের একটা গোল ছিল সার্বজনীন শিক্ষা বাস্তবায়ন করা পরবর্তীতে আরও উপরের লেভেলে যাওয়া। এটার ফল খারাপ হয়েছে আফ্রিকার গরীব দেশগুলোর জন্য। কারণ একজন লোক পড়াশোনা শেষ করার পর সবসময় খুঁজবে তার রেজাল্টের উপযুক্ত চাকরী। আফ্রিকার কয়েকটা দেশে বেকারত্ব বাড়িয়েছে এই জিনিষ। এসডিজিতে সম্ভবত পরিমার্জন করা হয়েছে; এখন আর ঐ ফিল্ডে খবর রাখা হয়না। বাংলাদেশেও সেইম জিনিষ হয়েছে। ধরেন, ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স করার পর জব মার্কেট বলতে থাকছে কেবলই কলেজে/ভার্সিটিতে মাস্টারি। এটা সব দেশেই। সমস্যা হল, ইউরোপের একটা দেশে ওরা স্কুলে যাবে মাস্টারি করতে, আমাদের গ্রাজুয়েটরা যাবে না দীর্ঘদিন বেকার থাকলেও। এই মেন্টালিটির চেন্জ হচ্ছে না কারণ সামাজিকভাবে হের করে দেখা হচ্ছে বলে।

এরকম প্রতিটা ক্ষেত্রেই অসংখ্য লেজ আসবে, প্রত্যেকটার জন্যই পোস্ট করা যাবে। এক পোস্টে/কমেন্টে বিশ্বশান্তি আসবে না ;)

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১১

বেনামি মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কালীদাস।
আপনার কথা বেশ ভালো লাগলো।


আমরা এক পোস্ট বা কমেন্টে বিশ্বশান্তি চাই না।


আমরা চাই যুগোপযোগী শিক্ষা, বাস্তবসম্মত শিক্ষা।



ধরুন চাকরির বাজারে যে পড়াগুলো দরকার তা ই যদি স্নাতক জীবনে একটু আধুটু পড়াতো বা স্নাতক জীবনে যে পড়াগুলো তা যদি চাকরি পাবার ক্ষেত্রে কাজে আসতো তবে এতো ঝামেলা হতো না বলে মনে করি(আমি সাবজেক্ট রিলেটেড জবের কথা বলছি না, সাবজেক্ট রিলেটেড জবের পরীক্ষার কথা বলছি :))

অবশ্য আমরা টেক্সট বই হিসেবে যা পড়েছি তা কোনো অংশে ই কম উপযুক্ত ছিলো না। শুধু উপযুক্ত শিক্ষক আর শিক্ষাব্যবস্থার কারণে সেগুলো ইউটিলাইজ করতে পারা যায় নি।


১৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৯

কালীদাস বলেছেন: হে হে, খুব কম সাবজেক্টেই আপডেট করা হয় রেগুলার বেসিসে। বায়োলজি রিলেটেড এবং কম্পিউটার রিলেটেড সাবজেক্টগুলো মুটামুটি রেগুলার আপডেট করা হয়, এই সাবজেক্টগুলোর টিচাররাও বাইরের ফান্ডিং ভাল পান বলে নিজেরা আলাদা নেটওয়ার্ক বজায় রাখেন স্টুডেন্টদের জন্যও। বাদবাকি সাবজেক্টগুলোতে এইধরণের প্রফেশনালিজম গড়ে উঠেনি। সদ্য মাস্টার্স করে ঢোকার পর বাকি জীবনে আর কোন ডেভেলপমেন্ট নেই, ডেভেলপমেন্টের গরজ নেই। সাদা/কালো/লাল/নীল/বেগুনী....এই দলগুলোতে সময় দেয়াই আমাদের বেশিরভাগ পাবলিকের শিক্ষকদের সময় পার করার মেইন সোর্স =p~ যে কারণে এমপ্লয়াররা কি আশা করেন একজন ফ্রেশ গ্রাজুয়েটের কাছে, বেশিরভাগ পাবলিক ইউনিতেই আমরা সেই ধারণটা দিতে পারিনা স্টুডেন্টদের।

এনিওয়ে, আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ভাল থাকুন :)

১৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৫১

আটলান্টিক বলেছেন: @কালীদাস
আপনার প্রতিটি মন্তব্য মনযোগ দিয়ে পড়লাম।প্রকৃতপক্ষেই সমস্যার কেন্দ্রটা হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা যা শুধু লিখতে আর পড়তে শিখায় আর কিছু শিখায় না।৩য় বিশ্বের বিশেষ করে আমাদের মতো দেশের জন্য সেটা একটা জঘন্য অভিশাপ মাত্র।আমাদের পাঠ্যবইগুলো খুব কঠিন ভাষায় লেখা হয়। কিডনি কে কঠিন ভাষায় রুপান্তর করে বলা হয় বৃক্ক। যতদিন না দেশে আপডেটেড এবং অসাধারণ একটা শিক্ষাব্যবস্থা না আসছে ততদিন পর্যন্ত আমাদের উন্নতি হবে না।বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাখাতে ব্যয়করে জাতীয় বাজেটের মাত্র ৫% যেখানে ভারত ব্যয় করে ১৬%।তাহলে বুঝুন আমরা কোথায় আছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.