নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা আমার তৃষ্ণার জল!

বেনামি মানুষ

কেউ না

বেনামি মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাল কেটে কুমির আনা

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮






মাঝে মাঝে আমরা খাল কাটি পানি চলাচলের সুবিধার জন্য, নৌকা বা নৌযান চালনার সুবিধার জন্য, তখন দুর্ঘটনাবশত একটা দুইটা কুমির খাল হয়ে ভেতরে চলে আসে।
আসতে ই পারে। জল আসলে জলজ প্রাণি ও আসবে।

কিন্তু যখন সম্পূর্ণ কুমির আনয়নের উদ্দেশ্য নিয়ে খাল খনন করে তখন আর কিছু বলার থাকে না।





একবার আমাদের পাশের বাড়ির এক চাচা এক গরীব, চালচুলোহীন একটা পরিবার কে আশ্রয় হিসেবে তার বাড়ির শেষ মাথায় একটা ঘর তুলে থাকতে দিয়েছিলো। পরবর্তীতে, মানে পরের জেনারেশনে এসে সেই পরিবার বাড়ির শেষ মাথার জমি আর ঘর দুটো ই দখল নিয়েছিলো।


যখন সালিশী বৈঠক হয়েছিলো গ্রামে তখন চাচার এক ছেলে তাদের আশ্রিতদের বকাঝকা করছিলো আর মারতে উদ্যত হচ্ছিলো।
বিচারকদের একজন তখন কুমির আনার জন্য খাল কেটেছে বলে তার বাবাকে বকাঝকা করার পরামর্শ দিয়ে বলেছিলো আশ্রিতদের বকে লাভ নেই, তারা এখন দখলবাজ, মূল বাড়ি রক্ষা করো পারলে



যাই হোক, বিচারের মাঝে আরো একজন প্রবীণ লোক যে কথা টা বলেছিলো সেটা আগে ও জানতাম, কিন্তু তখনকার পরিস্থিতিতে আমার কাছে কথাটাকে বেদবাক্য মনে হয়েছিলো।
বিচারক বলেছিলো, যতরকমের প্রাণি আছে, সবার ই একটা কমন গুণ আছে।
তাদের আসতে বললে বসতে চায়, বসতে দিলে খেতে চায়, খেতে দিলে শুতে চায় আর শুতে দিলে বাচ্চা পয়দা করতে চায় :P





আমরা রোহিঙ্গাদের এনেছি।
খাল কাটার পর দুর্ঘটনাক্রমে এসেছে কি না জানিনা। তবে তাদের আনার উদ্দশ্যে যে খাল কাটা হয়েছে তাতে আমি নিশ্চিত।


তারা বৌ প্রেমিকা ফেলে এদেশে এসেছে।
তাদের ডেপ্রাইভড জীবন (কেউ যৌনতা হতে বিতাড়িত ভেবে বসবেন না! :) তাদের রুক্ষ আর রাগী করে তুলেছে।


আমাদের সাত কপালের ভাগ্য ছিলো যে তারা পৃথিবীতে এতো দেশ থাকতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলো।
তারা আমাদের দয়া করে এসেছে এখন আমাদের উচিৎ তাদের সেবা করা।
তারা বসেছে, শোবার ব্যবস্থা করে দেয়া আমাদের নৈতিক আর ধর্মীয় দায়িত্ব।
যারা শুয়েছে তাদের যৌনসঙ্গী ডেলিভারি দেয়া আমাদের উচিৎ, তাতে তারা কুল থাকবে, তাদের রাগ প্রশমিত হবে এবং তারা আমরা নিরীহ বাঙ্গালিদের খুন করবে না।

যেভাবে ই পারি আমাদের মূল বাড়ি রক্ষা করতে হবে তো। নাকি?

যেই চরে তাদের আবাসন ব্যবস্থা করে দিবে সরকার বলছে সেখানে না দিয়ে তাদের রাজধানীতে দেয়া যায় কি না জায়গা করে সেটা আরেকবার ভাবা দরকার।
তবু ও যদি তাদের রাগ কমে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১

চোরাবালি- বলেছেন: সমাজে কিছু লোকের জন্য পুরা জাতি ধ্বংশ হয়।
এই রহিঙ্গাদের অবস্থা তাই। তাদের মধ্যে কিছু লোক আছে উগ্র পন্থী যাদের জন্য পুরা জাতির কপালে দুরদশা।
যাদের কাজ আজ সেনা চৌকিতে আক্রমন কাল পুলিশ আক্রমন পরশু সীমান্তরক্ষীবাহিনীকে আক্রমণ এই সব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.