নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে ঘুরতে আসায় আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । আশা করছি আমার লেখালেখি, ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লাগবে । ফেসবুকে আমার সাথে যুক্ত হতে পারেন— https://www.facebook.com/SA.Sabbir666

সাব্বির আহমেদ সাকিল

আমাকে যাচাই করার পূর্বে নিজেকে যাচাই করুন ।

সাব্বির আহমেদ সাকিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বগুড়া: স্বল্প টাকায় যেখানে জীবন-জীবিকা নির্বাহ, আনন্দ-বিনোদন সব পাওয়া যায়

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৬


অন্য জেলাগুলো থেকে যাঁরা বগুড়ায় চাকরি করতে যান এবং চাকরিসূত্রে দীর্ঘদিন সেখানে থাকেন তাঁদের একটা বড় জনগোষ্ঠীই বগুড়ায় সেটল হয়ে যান । এছাড়াও বগুড়ায় যাঁরা চাকরি করেন তাঁর বেশ মজাতেই থাকেন । কারণ সেখানে সস্তায় ভাত-তরকারি পাওয়া যায় । আছে আনন্দ-বিনোদনের ব্যবস্থা ।

নেসকোর গলিতে ৮০ টাকা হলে তিনি খাসির গোশতের বিরিয়ানি পেয়ে যান । পাশেই ৪০-৫০ হলে ডিম, ভর্তা, ভাজি দিয়ে পেটপুরে খেতে পারেন । টেম্পল রোডে ৩০ টাকা দিয়ে ২টা গমের রুটি খেয়ে দিন পার করে দিতে পারেন । এছাড়াও বিভিন্ন হোটেলে ১০০ টাকার মধ্যেই খুব ভালোভাবে খেতে পারেন ।

এমন গরমের দিনে সাতমাথায় ১০ টাকাতেই ট্যাঙ্ক, চিনি, বিটলবণ মিশ্রিত পানি খাওয়া যায় । এছাড়াও ফতেহ আলী রাস্তার পাশে বিভিন্ন ভেষজ গুণসম্পন্ন পানি ২০ টাকাতেই পাওয়া যায় ।

এ তো গেলো খাওয়ার ফিরিস্তি । থাকার ক্ষেত্রেও রয়েছে চরম সুবিধা । সিঙ্গেল হলে জহুরুল নগর, পুরান বগুড়া, সেউজগাড়ী, সবুজবাগে মেসে থাকলে ১০০০-১৫০০ টাকায় ভালোমতো থাকতে পারেন ।

বিবাহিত হলে রহমান নগর, কানছগাড়ি, কলোনী এসব এলাকায় কম খরচে সাবলেট নিয়ে ৪-৫ হাজার টাকার মধ্যেই থাকতে পারেন । এছাড়াও বগুড়ায় সুপেয় পানির অভাব নেই ।

বগুড়ায় সন্তানদের শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রেও অনন্য এক দৃষ্টান্ত । কম খরচেই ভালো টিউটর যেমন পাওয়া যায় তেমনি কোচিং সেন্টারগুলোতেও ভালো গাইড করানো হয় । তবে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কথা ভিন্ন ।

এবার আসি বাজার-সদাইয়ের খরচে । শহরের রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার কিংবা কলোনী এলাকায় কম খরচেই ব্যাগভর্তি বাজার করতে পারেন । এছাড়াও কেউ যদি টাটকা সবজি চান সেক্ষেত্রে সুলতানগঞ্জ, বনানী বাজারে তরতাজা শাক-সবজি কৃষকের হাত থেকেই নিতে পারবেন । শহরের অদূরে মহাস্থানগড় বাজারেও আরও বেশী ফ্যাসিলিটিস পান ।

এছাড়াও কলা, পেঁপে, লেবু, শসা এসবও টাটকা এবং গাছপাকা ফল পাওয়ারও সুযোগ আছে ।

পোশাক-পরিচ্ছদ কেনার ক্ষেত্রেও রয়েছে দারুণ সুবিধা । শহরে উচ্চ-নিম্ন দু’ধরনের মার্কেট রয়েছে । শোরুম ব্যতীত আলতাফ আলী, আলামিন কমপ্লেক্স এসবে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই পোশাক পাওয়া যায় । এছাড়াও হকার্স মার্কেট থেকে খুব স্বল্প দামে পোশাক কেনার সুবিধা তো আছেই ।

বগুড়ায় যেকোনো জিনিসের দামাদামি করা যায় । যাঁরা ভালো দামাদামি করতে পারেন তাঁরা খুব কম খরচেই যেকোনো জিনিস কম মূল্যে পেয়ে থাকেন ।

এবার আসি যাতায়াত খরচে, বগুড়ায় এখনও রিক্সায় ১০ টাকা ভাড়া আছে । মোটামুটি আধা-এক কিলো রাস্তা ১০ টাকাতেই যাওয়া যায় । রয়েছে সিএনজির ব্যবস্থা ৬-৭ কিলোমিটার রাস্তায় ২০ টাকা ভাড়া দিয়েই চলাচল করা যায় । এছাড়া একটু দূরের রাস্তার জন্য রয়েছে বাসের ব্যবস্থা ।

বোরিংনেস কাজ করলে সাতমাথা, পৌর পার্ক, জেলা পরিষদ এলাকায় ঘোরাফেরা করলেই চোখে পড়বে নানা ধরণের অনুষ্ঠান । কোথাও গান হচ্ছে আবার কোথাও নাটক । আবার বগুড়ায় তো একটার পর একটা মেলা লেগেই থাকে ।

গায়ে একটু ফ্রেশ হাওয়া লাগাতে ইচ্ছে হলো পৌরপার্ক, খোকনপার্ক, মমইন ইকোপার্কে গিয়ে গা এলিয়ে বসে থাকার ব্যবস্থা আছে ।

বউয়ের সাথে সস্তায় খাবার-দাবারের জন্য সাতমাথায় নানা পদের বার্গার, রোল, পিঁয়াজি, বেগুনি, বটভাজি, ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়িসহ নানারকম বাহারি খাবারের পসরা সাজানো থাকে ।

ঘুরতে যেতে ইচ্ছে হলে মহাস্থানগড়, খেরুয়া মসজিদ, ভাসু বিহার, শান্তাহার জংশন, সরকারি আজিজুল হক কলেজ, মমইন, মশলা গবেষণা কেন্দ্র, ওয়ান্ডারল্যান্ড, কচুয়াদহ, বিউটি পার্ক, ডানা পার্ক, বেতগাড়ী ২য় বাইপাসসহ নানা জায়গা রয়েছে ।

একটা মানুষের জীবন ধারণের জন্য এত সস্তা রেট আর কয়টা জেলাতেই আছে । বগুড়া যেন একটা প্যাকেজ । বগুড়ায় যাঁরা দূর থেকে গিয়ে থাকেন তাঁরা সাধ্যের মধ্যে সুখ-শান্তি খুঁজে পান । বলা চলে অন্য জেলায় একসাথে এতকিছু পাওয়া কোনো ক্রমেই সম্ভব নয় ।

সাব্বির আহমেদ সাকিল
০৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল | সোমবার | ২২ এপ্রিল ২০২৪ ইং | ফেনী সদর থেকে

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:৩৭

শায়মা বলেছেন: ঈদের ছুটিতে ঘুরে এসেছি বগুড়া।

অনেক ভালো লেগেছে ..... :)


তবে পথখাবারের যে এত ফিরিস্তি দিলে ভাইয়া মিশুমিলন ভাইয়ার পথখাবারের পোস্টটা পড়লে আর কেউ পথখাবারের আশে পাশেও যাবে না। :P

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৮:২৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো।

আমার বাড়ি উত্তরবঙ্গের একটা ছোট শহরে। প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে আগে বহুবার বগুড়া গিয়েছি। আত্মীয়-স্বজন, স্কুল-কলেজ জীবনের বেশ কিছু বন্ধু-বান্ধবের বাড়ি এই বগুড়াতে।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:০৮

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সাকিল দা ভাল আছেন শায়মা আপা কোন ঈদে বগুড়ায় গেয়েছিল
আসছে কোরবানি ঈদে আবার শায়মা আপাকে আমন্ত্রন জানাই

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৪

মায়াস্পর্শ বলেছেন: আমার বাসা খান্দার। বগুড়া আমার বেহেস্ত।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




আপনে কি বগুড়ার ছৈল?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.