নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লেখালেখি

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ সহি বড় খাবনামা

২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:০৩

ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে কিছু বই ও পত্র পত্রিকা দেখেছি, যা আজকাল আর দেখা যায় না। যেমন, মীর মোশাররফ হোসেনের ‘বিষাদ সিন্ধু’, নজিবর রহমান সাহিত্যরত্নের ‘আনোয়ারা’, লোকনাথ পঞ্জিকা, খাবনামা, বেহেশতি জেওর ও মেয়েদের পত্রিকা ‘বেগম’। এ ছাড়া দৈনিক ইত্তেফাক তো ছিলই।

আমাদের বাড়িতে যে খাবনামা ছিল, সেটির নাম ছিল ‘সহি বড় খাবনামা’। ‘বড়’ শব্দের অর্থ বুঝতাম, কিন্তু ‘সহি’ ও ‘খাবনামা’ শব্দের অর্থ ঠিকমতো বুঝতাম না। পরে একটু উঁচু ক্লাসে উঠার পর জানতে পারলাম যে, ‘সহি’ শব্দের অর্থ শুদ্ধ বা সঠিক। আর ‘খাবনামা’ হলো ‘খোয়াবনামার’ সংক্ষেপিত রূপ। খোয়াব মানে স্বপ্ন আর খোয়াবনামা মানে স্বপ্নের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ।

তো এই খোয়াবনামা বা খাবনামা প্রধানতঃ রেলস্টেশনের বুক স্টল, ফুটপাথ ও কোর্ট কাচারির বটতলায় বিক্রি হতে দেখা যেতো। আমাদের পিতা যেহেতু একজন উকিল ছিলেন, সেহেতু তাঁর বাসায় যে একখানা খাবনামা থাকবে, এটা আর বিচিত্র কী?
আমার মা ও ছোটখালা (আমাদের বাসায় থেকে পড়াশুনা করতেন) বিষাদ সিন্ধু ও আনোয়ারা পড়ে প্রায়ই চোখের পানি ফেলতেন। এই দুটি বই অসংখ্যবার পড়ে তাদের দু’জনের প্রায় মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চোখের পানি ফেলার মতো আর কোন বই বাসায় না থাকায় তাঁরা ঘুরে ফিরে এই বই দুটোই পড়তেন। অবশ্য তাঁরা নিয়মিত ‘বেগম’ পত্রিকাও পড়তেন আর মাঝে মাঝে মনোযোগ দিয়ে খাবনামা ও বেহেশতি জেওরের পাতা উল্টাতেন। মা বা খালার হাতে খাবনামা দেখলে আমরা বুঝতে পারতাম যে, তাঁরা রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখেছেন। আব্বা নিয়মিত ইত্তেফাক পড়তেন আর মাঝে মধ্যে পঞ্জিকার পাতা উল্টে দেখতেন। তিনি ভুলেও কোনদিন মা-খালাদের বইগুলো ছুঁয়ে দেখতেন না।

আর আমরা? আমরা ছয় ভাইবোনের মধ্যে বড় তিনজন পড়তাম দস্যু মোহন, দস্যু বাহরাম আর দস্যু বনহুর। তখন এই তিন দস্যু আর স্বপনকুমারের লেখা আট আনা দামের ডিটেকটিভ সিরিজের চটি বইগুলো খুব জনপ্রিয় ছিল। তবে এই বইগুলো আমাদেরকে পড়তে হতো খুব গোপনে। স্কুলের পাঠ্যবই দিয়ে ঢেকে পড়তে হতো অথবা লুকিয়ে বাথরুমে নিয়ে যেতে হতো। মা টের পেলে পাঠ্যবই বাদ দিয়ে গল্পের বই পড়ার অপরাধে আমাদের এই তিনজনকে জবরদস্ত ধোলাই খেতে হতো। কখনো কখনো এই বইগুলো দিয়েই মা চুলা ধরানোর কাজ সেরে ফেলতেন। আর আব্বা টের পেলে অবধারিতভাবে আমাদের একবেলা উপোষ থাকতে হতো। কারণ, তাঁর ধারণা ছিল পেটের মার দুনিয়ার বার। পেটে মারলে ভুতে ধরা রোগীর ভুত ছুটে যায়।

যাই হোক, খাবনামা প্রসঙ্গে আসি। এই বইটিতে স্বপ্নের যেসব ব্যাখ্যা দেওয়া ছিল, তা’ ছিল একেবারেই উদ্ভট ও হাস্যকর। তারপরেও মানুষ ছাপানো কথার ওপর বিশ্বাসের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি থেকে এই বইগুলো কিনতো। যারা পড়তো, তারা কেউ বিশ্বাস করতো কেউ করতো না। আবার কেউ আংশিক বিশ্বাস করতো। আমাদের বাসায় থাকা খাবনামাসহ অন্যান্য বই ও পত্র পত্রিকার প্রতি আমাদের তেমন কোন আগ্রহ ছিল না। তবে বড়ভাই মাঝে মধ্যে খাবনামার দু’এক পাতা পড়ে দেখতেন। তাঁর কারণেই একদিন খাবনামার প্রতি আমার আগ্রহ সৃষ্টি হলো। কীভাবে, জানেন?

বড়ভাইয়ের সাথে আমার বয়সের ব্যবধান ছিল পাঁচ বছর। মাঝখানে আমাদের এক বোন। বড়ভাই পড়তেন একাদশ শ্রেনিতে আর আমি পড়তাম ষষ্ঠ শ্রেনিতে। এত ব্যবধান সত্ত্বেও বড়ভাইয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল অনেকটা বন্ধুর মতো। মার্বেল খেলা ও ঘুড়ি ওড়ানো থেকে শুরু করে বাতাবি লেবু দিয়ে ফুটবল খেলা পর্যন্ত সব কিছুতেই আমরা দুই ভাই ছিলাম মানিকজোড়।

আমাদের বাড়ির পাশে একটা দোতলা বাড়ির নিচতলা ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার’স ক্লাব। ওপর তলায় ছিল ডরমিটরি। সন্ধ্যে থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত ক্লাব খোলা থাকতো। অফিসাররা এসে তাস, দাবা, টেবিল টেনিস (টি টি) খেলতেন। বাড়িটা ছিল চারদিকে অনুচ্চ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। আমরা দু’ভাই খুব ভোরে প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে ক্লাবের টি টি খেলার বিশাল চওড়া বারান্দায় পড়ে থাকা ছোট ছোট সাদা বল (আমরা বলতাম পিংপং বল) কুড়িয়ে নিয়ে আসতাম। ক্লাবের দারোয়ান ও ডরমিটরির লোকজন সে সময় ঘুমিয়ে থাকতো বলে আমাদের এই অনধিকার প্রবেশ কেউ টের পেত না।

একদিন ভোরে আমার ঘুম ভাঙতে দেরি হচ্ছে দেখে বড়ভাই একাই পিংপং বল কুড়াতে গিয়ে বলের সাথে সাথে একটা চকচকে দশ টাকার নোট কুড়িয়ে পেলেন। তখনকার দিনে দশ টাকা মানে অনেক টাকা। বড়ভাই ভীষণ উত্তেজিত। দ্রুত বাসায় ফিরে এসে তিনি সাবধানে আমার ঘুম ভাঙ্গিয়ে নোটটা দেখালেন। হাঁপাতে হাঁপাতে ফিসফিস করে বললেন, ‘জানিস! আজ রাতে আমি ঘুমের মধ্যে টাকা পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছি।’
আমি চোখ কচলে বললাম, ‘টাকা পাওয়ার স্বপ্ন কী রকম?’
বড়ভাই এদিক ওদিক দেখে নিয়ে গলার স্বর আরও খাদে নামিয়ে বললেন, ‘শোন্, আমাদের বাসায় যে খাবনামা আছে না তাতে লেখা আছে, নতুন পোশাক পরার স্বপ্ন দেখলে টাকা পাওয়া যায়। আমি আজ রাতে স্বপ্নে দেখলাম তুই আর আমি নতুন শার্ট পরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আর সকালে উঠেই এই টাকাটা পেয়ে গেলাম।’
‘তাই? তাহলে আমিও দশ টাকা পাবো, তাই না ভাই?’
‘তুই পাবি কী করে?’
‘আপনি যে বললেন, আপনার সাথে সাথে আমিও নতুন শার্ট পরে ঘুরে বেড়াচ্ছি!’
‘হায় রে গর্দভ!’ বড়ভাই কপাল চাপড়ে বললেন, ‘স্বপ্নটা তো দেখেছি আমি! তাই আমি টাকা পেয়েছি। তুই কী স্বপ্ন দেখেছিস? আমি স্বপ্নের কথা বললাম বলে না তুই জানতে পারলি!’
আমার কাছে পুরো ব্যাপারটা কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে গেল। আচমকা ঘুম ভেঙ্গে ওঠা, নতুন শার্ট পরার স্বপ্ন, দশ টাকা পড়ে পাওয়া, বড়ভাইয়ের উত্তেজিত কণ্ঠস্বর-সব মিলিয়ে একটা দুর্বোধ্য ব্যাপার স্যাপার।
যাই হোক, আমার টাকা না পাওয়াটা কোন বিষয় না। বড়ভাইয়ের পাওয়া মানে আমারও পাওয়া। কিন্তু টাকাটা ফেরত না দিয়ে হাপিশ করে দেওয়া কী ঠিক হবে? টাকার মালিক কে, তা’ আমরা জানি না। ফেরত দেবই বা কাকে? বাড়ির দারোয়ান বা ডরমিটরির কাউকে ফেরত দিতে গেলে আমাদের প্রাচীর টপকে এ বাড়িতে ঢোকার ব্যাপারটা ফাঁস হয়ে যাবে। তখন আরেক ঝামেলা হবে। দরকার নাই বাবা। সিদ্ধান্ত হলো, টাকাটা আমরা খরচ করবো।

ওহ্! সে একটা দিন গেছে! সারাদিন দুইভাই টো টো করে ঘুরে ইচ্ছেমতো টাকা খরচ করছি। আইসক্রিম, চানাচুর, বাদাম, বাটা বিস্কুট, লাসসি, লজেন্স, টফি। দুই প্যাকেট নানা রঙের মার্বেল। জলছবির বই। দুপুরে হোটেলে ঢুকে খাসির মাংস দিয়ে ভাত। মিষ্টি পান আর দুইটা দামী সিগারেট কিনে দু’ভাই মিলে কাশতে কাশতে টান দেওয়া। আহা! পকেটে টাকা থাকলে শয়তানী বুদ্ধির কী অভাব হয়?
দুই ভাই চলে গেলাম ম্যাটিনি শো দেখতে। সেখানে কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে ব্ল্যাকে দশ আনার টিকিট বারো আনা দিয়ে কিনে আমরা দেখলাম ‘’খাইবার মেইল’’। নিলো-রতনকুমার। তখনকার উর্দু ছবির হিট নায়ক নায়িকা। এত খরচ করার পরেও সন্ধ্যের সময় বাড়ি ফেরার পথে রিক্সায় বসে হিসাব করে দেখা গেল, চার আনা রিক্সা ভাড়া দেওয়ার পরে আমাদের হাতে থাকবে চৌদ্দ আনা তিন পাই।
সারাদিন বাইরে থাকার অপরাধে সেদিন মায়ের হাতে আমরা দু’ভাই নিখুঁতভাবে দুরমুশ হলাম। আমি চিৎকার করে কান্নাকাটি করলেও বড়ভাই ‘উহ্’,‘আহ্’,‘মাগো’,‘বাবাগো’ ছাড়া বেশি কিছুর মধ্যে গেলেন না। হাজার হলেও অভিজ্ঞতা একটা ফ্যাক্টর!

এই ঘটনার পর থেকে খাবনামার ওপর আমার আগ্রহ সৃষ্টি হলো। একদিন সবার অলক্ষ্যে আমি মায়ের ঘরের দেয়াল আলমারী থেকে বইখানা নামিয়ে নিজেদের ঘরে নিয়ে এলাম। এই ঘরে দুই পাশের দুটো চৌকিতে আমি আর বড়ভাই ঘুমাতাম। বিছানায় বসে খাবনামার পাতা উল্টে দেখতে গিয়ে বড়ভাইয়ের দেখা স্বপ্নের কথা মনে হলো। ‘নতুন পোশাক পরার স্বপ্ন দেখলে টাকা পাওয়া যায়’ কথাটা কোথায় লেখা আছে খুঁজতে লাগলাম। খুঁজতে খুঁজতে একসময় পেয়েও গেলাম। কিন্তু বড়ভাই যা বলেছিলেন, এখানে তা’ লেখা নাই। বরং লেখা আছে, ‘নতুন পোশাক পরার স্বপ্ন দেখিলে জানিবে মৃত্যু আসন্ন।’
আমার কিছুটা অস্বস্তি হলো। একটু ভয় ভয়ও করতে লাগলো। বড়ভাই কলেজ থেকে ফিরলে তাঁকে খাবনামার লেখাটা দেখিয়ে আমি শুকনা কণ্ঠে বললাম, ‘ভাই, আপনি তো নতুন পোশাক পরার স্বপ্ন দেখেননি তাই না? অন্য স্বপ্ন দেখেছিলেন।’
লেখাটা পড়ে বড়ভাইয়ের কপাল ঘেমে গেছে। তিনি আমতা আমতা করে বললেন, ‘হাঁ, বোধহয় তাই হবে।’

পরের একটা সপ্তাহ আমাদের দুই ভাইয়ের খুব আতংকের মধ্যে দিয়ে গেল। মৃত্যুভয়ে দু’জনে সব সময় সিঁটিয়ে থাকি। ঝুঁকিপূর্ণ কোন কাজের মধ্যে যাই না। পুকুরে গোসল করা, গাছে চড়া, ছাদে উঠে ঘুড়ি ওড়ানো (যদি ছাদ থেকে পড়ে যাই!), এবং এমনকি খেলাধুলাও বন্ধ। গলায় কাঁটা ফুটে যদি মরে যাই সেই ভয়ে আমরা কাঁটাওয়ালা মাছ খাই না। মা মুরগি জবাই করার কথা বললে বড়ভাই এটা ওটা বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। সে এক বিদঘুটে অবস্থা!

দুই ভাইয়ের এসব পরিবর্তন দেখে মায়ের সন্দেহ হলো। একদিন তিনি আমাদেরকে যৎসামান্য প্রাথমিক ধোলাই দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আমাদের কী হয়েছে? বড়ভাই কিছু না বললেও আমি আরো বেশি মার খাওয়ার ভয়ে সব বলে দিলাম।
কিন্তু এতে ফল হলো উল্টো। মা এবার খালি হাতের পরিবর্তে উনুনের লাকড়ি এনে ধোলাই দেওয়া শুরু করলেন। আব্বা কোর্ট থেকে ফিরে মায়ের কাছে সব শুনে শোবার ঘর থেকে ‘সহি বড় খাবনামা’ এনে রান্নাঘরে জ্বলন্ত চুলার মধ্যে ফেলে দিলেন। তারপর তিনিও লাকড়ি হাতে আমাদের দু’ভাইকে ফিনিশিং টাচ দিয়ে বক বক করতে করতে চলে গেলেন।
এই ঘটনার পর থেকে আমাদের দুই ভাইয়ের আতংক অনেকটাই দূর হয়ে গেল। তবে সেটা ‘সহি বড় খাবনামা’ পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারণে, নাকি বাবা-মার হাতে স্পেশাল ধোলাই খাওয়ার কারণে, তা’ বলতে পারবো না।
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
*******************************************************************************************************************
রি-পোস্ট।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খাবনামা ভাল লাগল ভাই। আহা সেই যুগে যদি আবার ফিরে যাওয়া যেত দশ টাকায় সারাদিন ইচ্ছে মত খেয়ে দেয়ে ছিনেমা দেখে আবার ক,আনা বেচে যেত।

২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আহা সেই যুগে যদি আবার ফিরে যাওয়া যেত দশ টাকায় সারাদিন ইচ্ছে মত খেয়ে দেয়ে ছিনেমা দেখে আবার ক,আনা বেচে যেত।

হাঃ হাঃ হাঃ। হারিয়ে যাওয়া দিন কী আর ফিরে আসে? আসে না।

ধন্যবাদ ভাই মোস্তফা সোহেল। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২| ২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো পুরনো স্মৃতিময় গল্প পড়ে। খাবনামা সম্পর্কে আমিও প্রথম জানলাম, ভালো লাগলো।
দশ টাকায় এত্ত কিছু খাওয়ার পরেও দুপুরে খাসির মাংসে ভাত তাও দুই জন!!! একটু অবাক হলেও পরক্ষণেই প্রেক্ষাপট মনে হলে সম্ভব বলেই মনে হলো।

ভালো লাগা রইল গল্পে।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।

২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, এই গল্পের ঘটনা ১৯৬৬ সালের দিকের। আমার জানামতে ১৯৭০ সালের দিকেও বাজারে এক সের খাসির মাংসের দাম ছিল দুই/আড়াই টাকা। হোটেলে খাসির মাংস দিয়ে ভাত খেলে বড় জোর বারো আনা থেকে এক টাকা লাগতো। তখনকার দিনে দশ টাকা মানে অনেক টাকা, যা এই গল্পে আমি উল্লেখ করেছি।

গল্পটি ভালো লাগায় আপনাকে ধন্যবাদ ভাই নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৩| ২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: 'বেগম' পত্রিকা আমি ছোটবেলায় আমাদের বাসায় দেখেছি। মা পড়তেন।

২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ, তখনকার দিনে 'বেগম' পত্রিকা প্রায় বাড়িতেই রাখা হতো।


ধন্যবাদ ভাই রাজীব নূর। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: রিপোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

খুব খুব খুব ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিগাঁথা পড়ে।

২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নাদিম আহসান তুহিন।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৫| ২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: পুরোণো স্মৃতি চারণ খুব ভাল লাগল। পড়তে পড়ে চলে গেছিলুম ষাট বছর আগে, ছহি বড় সোনাভান পুথীর দুনিয়াতে, বিষাদ সিন্ধু সাথে স্বপনকুমারের দীপক চাটার্জী, কালো ভ্রমর দস্যু মোহন, দস্যু বাহরাম কিংবা শিবরামের হাদা ভোদার গল্পে। বড় ভাল ছিল গো দিনগুলো, আসলেই সোনার দিনগুলো। ধন্যবাদ।

২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পড়তে পড়ে চলে গেছিলুম ষাট বছর আগে, ছহি বড় সোনাভান পুথীর দুনিয়াতে, বিষাদ সিন্ধু সাথে স্বপনকুমারের দীপক চাটার্জী, কালো ভ্রমর দস্যু মোহন, দস্যু বাহরাম কিংবা শিবরামের হাদা ভোদার গল্পে। বড় ভাল ছিল গো দিনগুলো, আসলেই সোনার দিনগুলো। ধন্যবাদ।

হাঁ, সেসব দিনগুলো নস্টালজিয়া হয়ে ফিরে আসে বার বার। ধন্যবাদ ভাই ঢাকাবাসী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৬| ২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: একটানে পড়লাম, বেশ ভালো লাগলো লেখাখানি +++
সত্য ঘটনা এবং বেশ রোমাঞ্চকর। খাবনাম এগুলো মানুষের মনকে দুর্বল করে দেয়।

২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঁ ওসব কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু নয়।


ধন্যবাদ ভাই ধ্রুবক আলো। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

৭| ২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

রক বেনন বলেছেন: হা হা হা হা হেনা ভাই। আপনার এই কাহিনী পড়ে শুধু হাসতেই আছি আর হাসতেই আছি। খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। পরিশেষে- মাইর কে নাকি ভুতেও ডরায় (ভয় পায়)!!! =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।


ধন্যবাদ ভাই রক বেনন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৮| ২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

রানা আমান বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ ।

২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রানা আমান।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৯| ২২ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

জেন রসি বলেছেন: লেখা পড়ে দুভাইয়ের কাণ্ডকীর্তি যেন চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছিলাম। :)

২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ। বড়ভাইয়ের সাথে আমার খুব বন্ধুত্ব ছিল।


ধন্যবাদ ভাই জেন রসি। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১০| ২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

বাংলার জামিনদার বলেছেন: দারুন, দারুন। আহা ফাও পাওয়া টাকার তুলনায় দুই চাইরটা মাইর, মায়ের হাতের, কিছু না।

২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তা' যা বলেছেন। মায়ের হাতের মার গায়ে লাগতো না। হাজার হলেও মা তো!


ধন্যবাদ ভাই বাংলার জামিনদার। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১১| ২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: দারুন উপভোগ্য করে লিখেছেন। অনেক ভাল লাগল। খাবনামা আমর সংগ্রহে এখনো আছে। বনহুর ও বেগম পড়েছি।

২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ফরিদ আহমদ চৌধুরী।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

১২| ২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিময় গল্প। ভালো লাগলো অনেক। শুভেচ্ছা নিবেন। :)

২২ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আলভী রহমান শোভন।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৩| ২২ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

ওমেরা বলেছেন: আলহামদুল্লিলাহ ! আমার সেই দাদু ভাইয়াকে আল্লাহ এখনো বাচিয়ে রেখেছেন । আল্লাহ আপনাকে আরো অনেক নেক হায়াত দান করুন। আমীন ।

অনেক অনেক দাদু ভাইয়া ।

২২ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওমেরা বুবু, তুমি যেভাবে দোয়া করলে তাতে আমার আয়ু আরও পঞ্চাশ বছর বেড়ে গেল। তোমার নাতি নাতনির বিয়ে না দেখে আমি মরছি না। হে হে হে। =p~

১৪| ২২ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ,




‘’খাইবার মেইল’’ এর নিলোর মতোই দূর্দান্ত ও ভরভরন্ত লেখা । :#)
‘সহি বড় খাবনামা’ পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার কারণে, নাকি বাবা-মার হাতে স্পেশাল ধোলাই খাওয়ার কারণে, তা’ বলতে পারবো না। আপনি না পারলে শ্রী স্বপন কুমারের আট আনা দামের গোয়েন্দা দীপকবাবুকে ডাকতেন। কারন বের করে ফেলতো !!!!! :P #:-S
ঐ বয়েসে "খাবনামা" না হয় একটু পড়েছেন কিন্তু "বেহেশতি জেওর ও স্বামী-স্ত্রীর মিলন কর্তব্য" বইটাও যে পড়েছেন সেটা চেপে গেলেন কেন ? :-P :-* =p~

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ঐ বয়েসে "খাবনামা" না হয় একটু পড়েছেন কিন্তু "বেহেশতি জেওর ও স্বামী-স্ত্রীর মিলন কর্তব্য" বইটাও যে পড়েছেন সেটা চেপে গেলেন কেন ?

বেহেশতি জেওর পড়েছি কী না এতদিন পরে ঠিক মনে করতে পারছি না। তবে স্বামী-স্ত্রীর মিলন কর্তব্য নামের কোন বই আমাদের বাসায় ছিল না ভাই। তাই কিছু চেপে যাইনি। হাঃ হাঃ হাঃ।

ধন্যবাদ ভাই আহমেদ জী এস। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৫| ২২ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৩০

শায়মা বলেছেন: হা হা হা হা হাসতে হাসতে মরলাম ভাইয়া।


তোমাদের মৃত্যুভয় দেখে আরও আরও হাসছি!!!!!!!

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এভাবেই সারাজীবন হাসিখুশি থেকো বোন শায়মা।

অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থেকো। শুভকামনা রইল।

১৬| ২২ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিকথা...

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিচার মানি তালগাছ আমার।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৭| ২২ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

সুমন কর বলেছেন: শেষে না হেসে, আর পারলাম না !! ;)

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার লেখা পড়ে একেবারেই হাসবেন না তাই কী হয়? হাঃ হাঃ হাঃ।


ধন্যবাদ ভাই সুমন কর। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৮| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:০৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: লেখা পড়ে হাসছি।। হাসতেই মনে পড়ে গেল আমার এক অভ্যাসের কথা।। পেটের ভিতর বই নিয়ে বাথরুমে যেতাম।। একদিন পড়ার মাঝে এমন ভাবে ডুবে গেছি যে, ৫/৭মিনিটের মাঝে যে বের হতে হবে সেটা খেয়ালেই নেই।। সম্বিত ফিরলো দরজায় দুমধাম কিলের আওয়াজে।। তড়িঘড়ি দরজা খুলতেই কানদুটো চলে গেল বড়ভাইয়ের মুঠোয়।।
তবে মোহন, বাহরাম,বনহুর আমিও পড়েছি।। আমার প্রথম কিনে পড়া ছিল ঈশপস ফেবল।। আব্বাই হাত ধরে নিয়ে লাইব্ররী থেে কিনে দিয়েছিল।।

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পেটের ভিতর বই নিয়ে বাথরুমে যেতাম।। একদিন পড়ার মাঝে এমন ভাবে ডুবে গেছি যে, ৫/৭মিনিটের মাঝে যে বের হতে হবে সেটা খেয়ালেই নেই।। সম্বিত ফিরলো দরজায় দুমধাম কিলের আওয়াজে।। তড়িঘড়ি দরজা খুলতেই কানদুটো চলে গেল বড়ভাইয়ের মুঠোয়।।

হাঃ হাঃ হাঃ। ধন্যবাদ ভাই সচেতনহ্যাপী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

১৯| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: খুব ভালো লাগল আপনার খাবনামা পড়ে হেনা ভাই। আহ ১০ টাকায় এত কিছু! ভীষণ মজা পেয়েছি। দিনগুলো কেন হারিয়ে যায়!

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন উম্মে সায়মা।


ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২০| ২৩ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক কাহিনীর নায়ক আপনারা; তবে, মার খাওয়া এড়িয়ে চলতে পারেননি অনেকটা; আমি গন্ডগোল করতাম না; কিন্তু দুরে গিয়ে ফুটবল ম্যাচ খেলতে গিয়ে বহুবার বিপদে পড়েছি, বেশীর ভাগই মারধর এড়াতে সক্ষম হয়েছি।

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি গন্ডগোল করতাম না; কিন্তু দুরে গিয়ে ফুটবল ম্যাচ খেলতে গিয়ে বহুবার বিপদে পড়েছি, বেশীর ভাগই মারধর এড়াতে সক্ষম হয়েছি।


যাক, আপনি মারধোর এড়াতে সক্ষম হয়েছেন তাহলে! আমরা পারিনি ভাই।

ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

২১| ২৩ শে মে, ২০১৭ ভোর ৫:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল একটি বিষয়ে লিখা গল্প রি পোষ্ট করে আমাদের পাঠের সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।

প্রায় শত বছর আগে প্রকাশিত আনোয়ারা বইটির নাম আপনার এই পোষ্টের ভুমিকায় দেখতে পেয়ে স্মৃতি চলে যায় অনেক পিছনে । প্রয়াত মায়ের কাছ হতে পাওয়া এই উপন্যাসটি এখনো আছে আমার সংগ্রহে তাঁর দেয়া স্মৃতি চিহ্ন হিসাবে । বয়সকালে এই বইটি আমার জীবনের প্রথম উপন্যাস পাঠ, সে কথা বিলক্ষন আছে মনে । আপনার পোষ্টটা পাঠের সময় সেটা বের করে অবার দেখলাম একটু বের করে । নাম ভুমিকায় দেখা যায় ১৯৫৬ সালে ‘আনোয়ারা’ সম্পর্কে ড. মুহম্মদ আবদুল হাই এর কথা তুলে ধরে বলা হয়েছে “জনপ্রিয়তা দিয়ে যদি কোন বইয়ের বিচার করতে হয়, তাহলে মোহাম্মদ নজিবর রহমান রচিত ‘আনোয়ারা’র দাবিই সর্বাগ্রে বিবেচ্য। এর হাল অবস্থা জানতে গিয়ে দেখা যায় ১৯১১ থেকে ১৪ সালের মধ্যে এ বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৪৯ সালে এ বইটির ত্রয়োবিংশতি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে এবং এ যাবৎ ‘আনোয়ারা’র দেড়লক্ষ কপি নিঃশেষিত হয়েছে। ১৯৬১ সালে এর সাতাশতম সংস্করণ প্রকাশিত হয় এবং ঐ সময় পর্যন্ত এর সাড়ে পাঁচ লক্ষ কপি বিক্রয় হয় বলে জানা যায়। কলকাতা ও ঢাকা থেকে এ পর্যন্ত এ উপন্যাসের ৬০টিরও বেশি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা যায় এর ইতিহাস ঘেটে । ‘আনোয়ারা' এক সময় পাঠ্য-তালিকাভুক্ত ছিল বলেও জানা যায় ।

এই উপন্যাসে লেখক সমকালীন জীবন ও সমাজকে যথাযথভাবে তুলে ধরেছেন । সে সময়কার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন-কল্পনা ও স্খলন-পতনকে লেখক বাস্তবসম্মতভাবে রূপায়িত করেছেন । মানবজীবনের কতগুলো চিরায়ত মূল্যবোধ যেমন-প্রেম, ন্যায়পরায়ণতা ও মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ ইত্যাদি উপন্যাসটিতে যথাযথভাবে ফুটে উঠেছে। সত্তরের দশকের মাঝামাঝিতে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক জহির রায়হান এ উপন্যাস অবলম্বনে একই নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন, রাজ্জাক, সূচন্দা, বেবী জামান অভিনিত ছবিটি মনে পড়ে দেখেছিলাম সিনেমা হলে গিয়ে । বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ১৯৮৭ সালে এ উপন্যাসের ধারাবাহিক নাট্যরূপ সম্প্রচার করেছে, সম্ভবত আপনিউ তা দেখে থাকতে পারেন ।

বিষাদসিন্ধু নিয়ে কথা বলতে গেলে তো তা মহাসিন্ধু হয়ে যাবে তাই সেদিকে আর গেলাম না , তবে বইটা আছে আমার সংগ্রহে অনেক কিছু ভুলে গেছি তাই পড়া শুরু আজ থেকে ।

আপনার লেখাটির কল্যানে আজকের দিনে বেগম পত্রিকাটি নিয়েও দু চারটি কথা না বলে পারছিনা । বাংলা ভাষায় প্রথম সচিত্র নারী সাপ্তাহিক বেগম । সাহিত্যক্ষেত্রে মেয়েদের এগিয়ে আনার লক্ষ্যে ১৯৪৭ সালের ২০ জুলাই কলকাতা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটি পরে ১৯৫০ সালে ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। দেশের নারী জাগরণ, কুসংস্কার বিলোপ, গ্রামগঞ্জের নির্যাতিত নারীদের চিত্র, জন্মনিরোধ, পরিবার পরিকল্পনা, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েদের জীবনবোধ থেকে বিভিন্ন মনীষীর লেখা ও বাণীই থাকত বেশী বেগমে । এটাও আমাদের পরিবারে নিয়মিত সাপ্তাহিক সাময়িকী হিসাবে ছিল বহুল সমাদ্রিত । মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন প্রতিষ্ঠিত সাপ্তাহিকটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদিকা ছিলেন বেগম সুফিয়া কামাল। পরে পত্রিকাটির সম্পাদনা শুরু করেন নূরজাহান বেগম। বর্তমানে বেগম মাসিক ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়। উপমহাদেশের প্রথম নারী সাপ্তাহিক পত্রিকা বেগম এর সম্পাদক নূরজাহান বেগম গত বছর ২২ মে ২০১৬তে ইন্তেকাল করেন । আজ তাঁর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী। তার প্রতি রইল অমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা ।


এবার আসা যাক পোষ্টের মুল প্রসঙ্গ ‘সহি বড় খাবনামা ‘নিয়ে আলোচনয় । খাবনামা নিয়ে চমৎকার লিখেছেন গল্প , পাঠে মুগ্ধ । এটা ঠিক যে বাজারে প্রচলিত অনেক খাবনামা আছে যাতে ছাপার অক্ষরে লেখা সব স্বপ্নের তাবির ফলেনা যেমনটি আপনি আপনার ‘সহি বড় খাবনামায়’ দেখিয়েছেন । সুতরাং আমি এই মন্তব্যের ঘরে সে আলোচনায় যাবনা । আমি এখানে কোরআন ও হাদীসের আলোকে স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যার কিছু মৌলিক ধারনার বিষয়ে দুএকটি কথা একটু তুলে ধরলাম মাত্র । ভুল কিছু হলে তুলে ধরলে খুশীমনে তা ধারণ করে নিব চিত্তে ।

মানুষ স্বপ্ন দেখে , আমরা সকলেই কমবেশী স্বপ্ন দেখি । ভাল স্বপ্ন দেখে মানুষে বলে সুন্দর স্বপ্ন দেখেছি আর খারাপ স্বপ্ন দেখে বলে ভয়ানক এক স্বপ্ন দেখেছি। আবার কখনো বলে একটি বাজে স্বপ্ন দেখেছি। আসলে স্বপ্ন কি? এ নিয়ে গবেষণা কম হয়নি, মানব সভ্যতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত। কেউ বলেছেন, এটা একটি মানসিক চাপ থেকে আসে। কেউ বলেছেন, শারীরিক বিভিন্ন ভারসাম্যের ব্যাঘাত ঘটলে এটা দেখা যায়, সে অনুযায়ী কেউ বলেছেন, সারাদিন মানুষ যা কল্পনা করে তার প্রভাবে রাতে স্বপ্ন দেখে। তাই স্বপ্ন আধুনিক মনোবিজ্ঞানেরও একটি বিষয়।

এটা অনস্বিকার্য যে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মানুষের জন্য পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা হিসাবে এসেছে ইসলাম। এই ইসলাম মানুষের স্বপ্নের ব্যাপারেও উদাসীন থাকেনি। স্বপ্ন সম্পর্কে অনেকের নিজস্ব বক্তব্য আছে। মানুষের স্বপ্ন কোন দার্শনিক বা বিজ্ঞানীর বক্তব্যের সাথে মিলে যাবে, এমনটি জরুরী নয়। মিলে গেলেও কোনো দোষ নেই। স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন( রহ ) বলেছেন - স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে; এক মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা , দ্বিতীয়টি শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আর তৃতীয়টি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : সহীহ বুখারী ) । ইসলামে স্বপ্নের একটি গুরুত্ব আছে এবং নি:সন্দেহে এটা ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অনেক সময় একথা বলা হয়ে থাকে ‍‍‍‍‍‍মানুষ যখন ঘুমায়, তখন তার মস্তিস্কে তার স্মৃতিগুলো নাড়াচাড়া করে। যাচাই-বাছাই করে, কিছু পুনর্বিন্যাস করে। তারপর স্মৃতির ফাইলে যত্ন করে রেখে দেয়। এই কাজটা সে করে মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন। মস্তিস্কের এই কাজ-কর্মই আমাদের কাছে ধরা দেয় স্বপ্ন হিসেবে।‌‌ কথাটা শুনতে মন্দ নয়। তবে এটি স্বপ্নের একটি প্রকার মাত্র এর আরো অনেক প্রকার রয়েছে যা উপরে বলা হয়েছে ।

হাদীসে দেখা যায়, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের নামাজের পর মুসল্লীদের দিকে মুখ করে বসতেন। প্রায়ই জিজ্ঞেস করতেন, গত রাতে তোমাদের কেউ কি কোনো স্বপ্ন দেখেছ?
আল-কোরআনে নবী ইবরাহীম আলাইহিস সালামের স্বপ্ন, ইউসুফ আলাইহিস সালামের স্বপ্নের কথা উল্লেখ আছে। ইউসূফ আলাইহিস সালামের সময়ে মিশরের বাদশার স্বপ্ন, তাঁর জেলখানার সঙ্গীদের স্বপ্ন ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্বপ্ন নিয়ে তো আল কোরআনে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।

মিশরের বাদশা তার সভাসদের স্বপ্ন বিশেষজ্ঞদেরকে নিজ স্বপ্ন সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল। জানতে চেয়েছিল, সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা। তারা বলেছিল, এটা এলোমেলো অলীক স্বপ্ন। তারা এর ব্যাখ্যা দিতে পারল না। নবী ইউসুফ আলাইহিস সালাম এর সুন্দর ব্যাখ্যা দিলেন। নিজের পক্ষ থেকে নয়। আল্লাহ তাআলার শিখানো ইলম থেকে। (সূরা ইউসূফের ৩৬ থেকে ৪৯ আয়াত দ্রষ্টব্য)।

এটা আমরা সকলেই জানি যে স্বপ্ন দ্রষ্টার অবস্থা ভেদে একই স্বপ্নের ব্যাখ্যা বিভিন্ন রকম হতে পারে। স্বপ্ন মুলত তিন প্রকার প্রথমত মানুষ মনে মনে যা সারাদিন কল্পনা করে তার প্রভাবে ঘুমের মধ্যে ভাল-মন্দ কিছু দেখা যায় । এগুলো আরবীতে আদগাছু আহলাম বা অলীক স্বপ্ন বলে। দ্বিতীয়ত শয়তানের কুমন্ত্রণা ও প্রভাবে স্বপ্ন দেখা, সাধারণত এ সকল স্বপ্ন ভীতিকর হয়ে থাকে। তৃতীয়ত আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ইশারা, ইঙ্গিত হিসাবে স্বপ্ন দেখা। হাদীসে এসেছে , আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, নবুওয়তে আর কিছু অবশিষ্ট নেই, বাকী আছে কেবল মুবাশশিরাত (সুসংবাদ)। সাহাবীগণ প্রশ্ন করলেন, মুবাশশিরাত কী? তিনি বললেন ভাল স্বপ্ন।(বর্ণনায় : সহীহ বুখারী)

এ হাদীস থেকে বুঝা যায় মুমিনের জীবনে স্বপ্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষ যত বেশী সততা ও সত্যবাদিতার চর্চা করবে সে তত বেশী সত্য স্বপ্ন দেখতে পাবে , এটাও ঠিক যে, যদি কেউ চায় সে সত্য স্বপ্ন দেখেব, সে যেন সৎ, সততা ও সত্যবাদিতার সাথে জীবন যাপন করে।

আবার একটি স্বপ্ন দেখলে বেশ কিছু করণীয়ও আছে । হাদীসে এসেছে, আবু সায়ীদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন: তোমাদের কেউ যদি এমন স্বপ্ন দেখে যা সে পছন্দ করে, তাহলে জানবে যে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে। তখন সে যেন আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে ও অন্যদের কাছে বর্ণনা করে।
আর যদি স্বপ্ন অপছন্দের হয়, তাহলে বুঝে নেবে এটা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়েছে। তখন সে শয়তানের ক্ষতি থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে আর এ স্বপ্নের কথা কারো কাছে বলবে না। কারণ খারাপ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না (বর্ণনায় : বুখারী ও মুসলিম)।

ভাল স্বপ্ন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকেই আসে । আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল-কোরআনে মিশরের বাদশার স্বপ্ন বর্ণনা করেছেন। সে স্বপ্নের সুন্দর ব্যাখ্যা করেছিলেন, নবী ইউসুফ আলাইহিস সালাম। বিষয়টি আল কোরআনের সূরা ইউসুফের ৪৩ আয়াত থেকে ৫৫ আয়াত পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে এবং সেখানে সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যাও দেয়া হয়েছে।

স্বপ্নের ব্যাখ্যা করা যে জ্ঞান-বিজ্ঞানের একটি বিষয় তা আল-কোরআনে নবী ইউসুফের ( আ) ভাষায় বলা হয়েছে এভাবে ‘’হে আমার রব, আপনি আমাকে রাজত্ব দান করেছেন এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিখিয়েছেন। হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা! দুনিয়া ও আখিরাতে আপনিই আমার অভিভাবক, আমাকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দিন এবং নেককারদের সাথে আমাকে যুক্ত করে দিন” (সূরা ইউসুফ : ১০১) ।

এমনিভাবে সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ ইবনে আব্দে রাব্বিহী ও ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুমা স্বপ্নে আজান দেখেছিলেন। আর তাদের স্বপ্নে দেখা আজান-কেই নামাজের বর্তমান আজান ও ইকামত হিসাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাদের সুন্দর স্বপ্নগুলো এভাবেই ইসলামের নিদর্শন হিসাবে বাস্তবে রূপ লাভ করেছে অনন্তকালের জন্য।

যাহোক , অনেক আগের দিনের বিখ্যাত বাংলা পুস্তক , সাময়িকী ও খাবনামা নিয়ে আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ।

পোষ্টের লেখার চেয়ে মন্তব্যই মনে হয় বড় হয়ে যাচ্ছে , তাই এখানেই যতি টেনে অতি কথনে বিরত্তি উৎপাদনের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলাম ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দারুন জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য। সত্যিই অসাধারণ! আপনার এই মন্তব্যের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আনোয়ারা উপন্যাসটির বিষয়ে আপনার দেওয়া তথ্যগুলির বেশিরভাগই জানা ছিল না। উপন্যাসটি সম্ভবত কলেজ লেভেলে পাঠ্য ছিল বলে মনে পড়ছে। আর উপন্যাসটি যে সেই যুগে খুবই জনপ্রিয় ছিল সেটা মনে করতে পারছি। তবে বইটির প্রকাশনা ও বিক্রয় সম্পর্কে এত বিস্তারিত জানা ছিল না। এই ধরণের আরও দুটি জনপ্রিয় উপন্যাস ছিল 'মনোয়ারা' ও 'আব্দুল্লাহ'।

'বেগম' পত্রিকার দ্বিতীয় ও আজীবন সম্পাদিকা মহিয়সী নারী নুরজাহান বেগমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। আপনি তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীর কথা উল্লেখ না করলে এই শ্রদ্ধা প্রদর্শনের সুযোগ পেতাম না। আপনাকে ধন্যবাদ।

স্বপ্নের ব্যাপারে আপনার জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য পড়ে সত্যিই হতবাক হয়ে গেলাম। এই বিষয়ের উপর আপনি যদি আরও বিস্তারিত উল্লেখ করে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ পোস্ট দেন, তাহলে ব্লগের পাঠকগণ উপকৃত হবেন।

অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ডঃ এম এ আলী। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২২| ২৩ শে মে, ২০১৭ ভোর ৬:৪২

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কিন্তু চোখের পানি ফেলার মতো আর কোন বই বাসায় না থাকায় তাঁরা ঘুরে ফিরে এই বই দুটোই পড়তেন।.......বেশ ভাইটামিন যুক্ত কথাবার্তা B-)

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জী, ভাইটামিন এ বি সি তিনটাই আছে। শুধু ই নাই। কেন নাই বলেন তো?

২৩| ২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:২৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: খুব ভাল লাগল, আমার বাবার ছোটবেলা যুগের ইতিহাস

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শাহীন-৯৯।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৪| ২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হা...হা... 'সহি বড় খাবনামা' -- পড়তে পড়তে কিশোর বেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়লো । বনহুর, বাহরাম, মাসুদ রানা নীচে, ওপরে পাঠ্য বই ।

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বনহুর, বাহরাম, মাসুদ রানা নীচে, ওপরে পাঠ্য বই ।


তাহলে এই কারচুপি শুধু আমরাই করি নাই। অনেকেই করেছেন। হাঃ হাঃ হাঃ


ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম। ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: াহাহাহাহা কত মধুর জীবন ছিলো আগে
আমিও খাবনামা পড়ে বিশ্বাস করতাম
এখন দেখি সব ভূয়া হাহাহাহ

২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আসলে খাবনামা, ফালনামা এসব কুসংস্কার ছাড়া আর কিছুই নয়।


ধন্যবাদ বোন কাজী ফাতেমা ছবি। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৬| ২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: পড়লাম। সহিহ খাবনামা নিয়ে সুন্দর গল্পটির জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।

২৩ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বি এম বরকতউল্লাহ।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৭| ২৪ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

মানবী বলেছেন: চমৎকার লেখা! সবচেয়ে উপভোগ্য মনে হয়েছে মা বাবার শাসনের স্টাইল! :-)

খাবনামা নিয়ে মজার লেখাটির জন্য ধন্যবাদ আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম!

২৪ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বোন মানবী।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

২৮| ২৫ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আবারও পড়লাম। ভালো লাগলো।

২৫ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই হাসান মাহবুব।


ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

২৯| ২৫ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

বিষাদ সময় বলেছেন: হেনা ভাই লেখাটা পড়ে খুব ভাল লাগলো। আসলে আমাদের জীবনেও এ রকম অম্ল-মধুর অনেক ধটনাই ঘটে। কিন্তু সে ঘটনাকে যখন আমারা লিখতে যায় তখন তাতে রসকষ কিছু থাকেনা আর পরিণত হয় পাঠ অযোগ্য বিষয়ে। কিন্তু যে কোন ঘটনাই আপনার সহজ, সরল, প্রঞ্জল বর্ণনা শৈলী এবং অসাধরণ উপস্থাপন দক্ষতার কারণে অত্যন্ত উপভোগ্য এবং সুপাঠ্য হয়ে উঠে। একেই মনে হয় সাহিত্য বলে।

তবে খোয়াবনামা বইতে আপনার বড় ভাইয়ের দেখা স্বপ্নের আপনাদের দুজনের দুরকম ব্যাখ্যা প্রাপ্তির বিষয়টা রহস্যই রয়ে গেল। আসলে আপনার বড় ভাই অন্য কোন স্বপ্ন দেখেছিলেন না নতুন পোশাক পরা স্বপ্ন দেখার ব্যখ্যা দেখতে গিয়ে ভুলে অন্য কোন স্বপ্নের ব্যখ্যা দেখেছিলেন সেটা বুঝতে পারছি না। আবার অনেক ক্ষত্রে এ ধরনের বইয়ের কলেবর বৃদ্ধির জন্য একই স্বপ্নকে ভাষা একটু ভীন্ন ভাবে ব্যবাহর করে ভিন্ন আরেকটি ব্যখ্যা দিয়ে উপস্থাপন করা হয়। কুমিরের এক বাচ্চাকে সাতবার দেখানোর মত। যেমন কোথাও লিখলো "নতুন কাপড় পরা দেখিলে কি হয়" বা " নতুন পোশাক পরা দেখিলে কি হয়" অথবা " নতুন জামা পরা দেখিলে কি হয়" এ তিন স্বপ্নের যদি তিন রকম ব্যখ্যা দেওয়া হয়, তবে অত ছোট বয়সে চুরি করে খোয়াবনামা পড়তে গিয়ে আপনাদের দুজনের বিভ্রান্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। যাহোক খোয়াবনামা তার কৃতকর্মের জন্য যেহেতু আগুনে নিক্ষিপ্ত হয়েছে তাই সে রহস্য উন্মোচিত হওয়ার আর কোন সম্ভাবনা নাই।

পরিশেষে আপনার সুস্বাস্থ এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

২৫ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই বিষাদ সময়। বহুদিন আগের ঘটনা হওয়ায় আপনার রহস্যের বিষয়ে উত্থাপিত প্রশ্নের ১০০% সঠিক উত্তর দেওয়া একটু কঠিনই বটে। তবে আমি ধারনা করি, বড় ভাই নতুন শার্ট পরার স্বপ্নই দেখেছিলেন, কিন্তু এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা পড়তে গিয়ে টাকা পাওয়ার বিষয়টি ভুল পড়েছিলেন। কারণ, তিনি তো টাকা পাওয়ার পরে বাসায় এসে খাবনামা পড়েননি, খাবনামা পড়েছিলেন টাকা পাওয়ার আগে অন্য কোনদিন। তাঁর হয়তো সঠিক মনে ছিল না যে খাবনামায় নতুন পোশাক পরার স্বপ্ন দেখলে মৃত্যু আসন্ন এই কথা বলা হয়েছে। অন্য কোন স্বপ্নের ব্যাখ্যায় টাকা পাওয়ার কথা হয়তো খাবনামায় বলা হয়েছে, যা বড়ভাই অসতর্কতার কারণে অন্য স্বপ্নের ব্যাখ্যার সাথে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। বড় ভাইয়ের বয়সও তখন বেশি ছিল না।
আবার আপনার কুমিরের এক বাচ্চাকে সাতবার দেখানোর ধারনাটিও সত্যি হতে পারে। খাবনামা যেহেতু এখনো পাওয়া যায়, সেহেতু যাচাই করলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এসব বুজরুকিতে বিশ্বাসী নই বলে যাচাই করে দেখতে আগ্রহী নই।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই বিষাদ সময়। ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩০| ২৭ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:

গল্পোটা পরে পড়ার ইচ্ছা রাখলাম।

২৭ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

৩১| ২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আপনার লেখা পড়তে খুব ই ভাল লাগে আমার। মোটামুটি আপনার
ব্লগে লেখা সব গুলো পোস্ট পড়া হয়ে গেছে। আপনার ছোট বেলার গল্প, পূজা দিদি, বন্ধু নিতাই, ৭৪ এর শীত, টাইগার ক্লাব, মুক্তিযুদ্ধকাল সময়ের দিনগলো ইত্যাদি পুরানো দিনের কাটানো সময় সম্পকে অনেক জানা হলো।

পুরানো দিন নিয়ে এমন আরো পোস্ট পাবো আশাকরি।

২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি আমার লেখার নিয়মিত পাঠক জেনে খুশি হলাম। আশা করি, আমার আগামী লেখাগুলিও পড়বেন।


ধন্যবাদ ভাই কলিমুদ্দি দফাদার। ভালো থাকুন। রমজানের শুভেচ্ছা রইল।

৩২| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৯

প্রামানিক বলেছেন: লেখাটি আগেও পড়া ছিল আবার নতুন করে পড়লাম। ধন্যবাদ হেনা ভাই।

০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই।


ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল।

৩৩| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ৯:৪৭

জুন বলেছেন: সত্যি বলতে কি আপনাদের দুই ভাইয়ের মার খাবার কথা শুনে অনেক কষ্ট লাগলো হেনা ভাই।
আপনি শুনলে অবাক হবেন আমি এখোনো স্বপ্ন দেখে এর মানে খুজি নেটে । সেই সাথে কিছুদিন আগে একটা খাবনামাও কিনে এনেছি :`>
দশ টাকার ব্যাপারটা জটিল ছিল । তবে কৈশোরে এমনটা অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে তাই না ?
আমাদের বাসায় কিন্ত প্রচুর বই ছিল তার মধ্যে বেগম পত্রিকা আর পন্জিকা কমন পরলো । আমার মনে পরে যে জন্মদিনের কথা তাতে খেলনা বা পুতুলের পরিবর্তে আমার কাজী নজরুলের ভক্ত আব্বা দিয়েছিল সন্চিতা আর আম্মা ঠাকুরমার ঝুলি । অবশ্য ওনারাই ওগুলো পড়ে শোনাতেন :)
ঝরঝরে লেখনী আপনার তাতে অনেক ভালোলাগা রইলো ।

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনি শুনলে অবাক হবেন আমি এখোনো স্বপ্ন দেখে এর মানে খুজি নেটে । সেই সাথে কিছুদিন আগে একটা খাবনামাও কিনে এনেছি


খাইছে আমারে! খাবনামার বুজরুকিতে যাতে কেউ না পড়ে এই আশায় এই পোস্টটা দিলাম। কিন্তু কী লাভ হলো? হাঃ হাঃ হাঃ।

ধন্যবাদ বোন জুন। ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.