নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি কর।তোমার হাতেই মঙ্গল।নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

সূরাঃ ৪২ শূরা, ১৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩। তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দীন। যার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন নূহকে। আর যা আমি ওহী করেছি তোমাকে। আর যার নির্দেশ দিয়ে ছিলাম, ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে, এই বলে যে, তোমরা দীনকে কায়েম কর। আর তাতে মতভেদ করবে না।তুমি মুশরিকদেরকে যার প্রতি আহবান করছ তা’ তাদের নিকট দূর্বহ মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা দীনের প্রতি আকৃষ্ট করেন। আর যে তাঁর অভিমুখী তাকে তিনি দীনের দিকে পরিচালিত করেন।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭০৭ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০৭। হযরত আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আল-হাসান ও আল-হোসাইন জান্নাতী যুবকদের সর্দার।

সহিহ আল বোখারী, ৩২৪৭ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩২৪৭।হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। নবি করিম (সা.) বলেছেন, এ দায়িত্ব (মুসলিম নেতৃত্বের) চিরকাল কুরাইশদের হাতেই থাকবে। যতদিন তাদের দু’জন লোক অবশিষ্ট থাকবে।

সহিহ আবুদাউদ, ৪৮৬০ নং হাদিসের (কিতাবুল আদাব) অনুবাদ-
৪৮৬০। হযরত তামীম দারী (রা.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন! দীন হলো নসীহত, দীন হলো নসীহত, দীন হলো নসীহত। তখন সাহাবায়ে কেরাম (রা.) বললেন, কোন কোন ব্যক্তিদের জন্য? জবাবে নবি করিম (সা.) বললেন, আল্লাহর জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য, মুসলিম শাসকের জন্য এবং সমস্ত মুসলমানের জন্য।

* দ্বীন কায়েমের দায়িত্ব ছিলো রাসূলের (সা.)। তিনি বলেছেন, নেতা জনগণের মত হয়। সেজন্য রাসূল (সা.) মদীনার জনগণের মধ্যে জামায়াত প্রতিষ্ঠিত করে তাদের মধ্যে দ্বীন কায়েম করে পরে তাদের রাষ্ট্র নায়ক হয়েছেন। জনগণের দ্বীন বিনষ্ট হওয়ার পর তাদের রাষ্ট্র নায়ক হয়েছে ইয়াজিদ। যার মধ্যে দ্বীন ছিলো না। ইমাম হোসেন (রা.) কারবালায় গিয়ে দেখলেন যারা ইয়াজিদের পক্ষে এবং তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছে তাদের মধ্যে কারো মোটে ঈমানই ছিলো না। সুতরাং তারা জান্নাতি যুবকদের সর্দার হযরত ইমাম হোসেনকে (রা.) শহীদ করে ফেললো।

বাংলাদেশে ইসলাম কায়েম করতে হলে এখানে কুরাইশ নেতার নেতৃত্বে জামায়াত কায়েম করে তারপর বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে দ্বীন কায়েম করতে হবে। তারপর জনগণের মধ্যে দ্বীন কায়েমকারী জামায়াতের কুরাইশ নেতাকে আল্লাহ বাংলাদেশে রাজত্ব দিবেন। তারপর সেই জামায়াতের মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্বীন কায়েম হবে। জনগণের মধ্যে দ্বীন কায়েম না করে তাদের শাসক বদলাতে গেলে কারবালার মত শহীদ হতে হবে। বাংলাদেশে দ্বীন কায়েমে আমাদের দ্বায়িত্ব কুরাইশ নেতার আহবানে সাড়া দেওয়া ও তাঁর আনুগত্য করা। তবে কুরাইশ নেতা যদি ইয়াজিদ মার্কা হয় তবে আমরা তার দলে যোগদান করব না। কুরাইশ নেতারা দ্বীন কায়েমের চেষ্টা না করলেও তাদের দায়িত্ব আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আল্লাহ আমাদেরকে প্রদান করেননি। আমরা বরং কুরাইশদেরকে দ্বীনি জামায়াত কায়েম করে দ্বীন কায়েমের নসীহত করব এবং জনগণকে দ্বীনি জামায়াতের কুরাইশ নেতার অনুগত থাকতে নসীহত করব।যদি সে কুরাইশ নেতা ইয়াজিদ মার্কা না হয়।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৩৮

অহরহ বলেছেন: সূরা ৯:২৯,

তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবে র ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।

০৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আহলে কিতাবদেরকে দমন করতে না পারলে তারা কি করতে পারে গাজায় সেটা দেখা যাচ্ছে।

২| ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: ইসলামে আনার জন্য এখন কাফেরদের হাত পাও ধরা ছাড়া গতি নেই, নবীর মত তলোয়ার দিয়ে জিহাদ করে ইসলাম
কায়েম করতে গেলে গুহা মারা যাবে।

০৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

* এখন সেই অস্ত্রে যুদ্ধ করতে হবে যে অস্ত্রে আল্লাহর শত্রুরা সন্ত্রস্ত থাকে।

৩| ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের দেশে ইসলাম কায়েম করতে গেলে এখন কোরাইশ বংশের লোক আনতে হবে? #:-S

০৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমাদের দেশে কোরাইশ বংশের লোকের অভাব নাই। যেমন ড। এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী কোরাইশ বংশের লোক। মুসলিম খেলাফতের ৭৭ জন খলিফার সবাই কোরাইশ ছিলেন। সুতরাং ইসলামী নেতৃত্ব কোরাইশ ছাড়া হবে না।

৪| ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৯

নতুন বলেছেন: রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?


পৃথিবিতে কেউ মানুষকে রাজত্ব দেয়নি। ধর্মগুরু নিজের প্রভাব বাড়াতে নতুন ধর্ম তৌরি করেছিলো এবং কিছু ধর্ম তাতে সফল।

০৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি অবিশ্বাসী বলে সে রকম কথা বলেন। মুমিনগণ এমন কথা বলবে না।

৫| ০৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮

অগ্নিবেশ বলেছেন: ১ - আহলে কিতাবীদের পেছনে কাঠি দিলে তারা এমন ডলা দিয়ে দেবে যে আল্লাহর আরশ কেঁপে কেঁপে উঠবে।
২ - আল্লাহর শত্রুরা এখন ঘরে বসে যন্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করে, আর আল্লাহ ময়দানে নামায় কিছু সাপ, ব্যা্‌ কিল বিল পাখি, হাতি, ঘোড়া আর কিছু গাধা।

০৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আফগানে কেমন যুদ্ধ হলো?

৬| ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: প্রতিটি মানুষের দীলে দীন কায়েম হলে সমাজে এমনিতেই দীন কায়েম হয়ে যাবে।

০৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক

৭| ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

রানার ব্লগ বলেছেন: ডঃ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী এই লোক কোরায়েশ বংশের লোক এই টা কি সে নিজে বলছে ? নাকি পাব্লিক বানিয়েছে ? এই লোক মহা ধান্দাবাজ । আজে বাজে মন্তব্যের জন্য একে প্রাই ট্রল করা হয় ।

০৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কেউ ট্রল করে কেউ সম্মান দেয়। বিখ্যাত লোকদের ক্ষেত্রে এসব ডাল ভাত।

৮| ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি অবিশ্বাসী বলে সে রকম কথা বলেন। মুমিনগণ এমন কথা বলবে না।


মুমিন দাবী করে যদি চোখ বন্ধ রাখেন তবে কিছুই বলার নাই।

বিশ্ব কোন পথে হাটছে ? ধর্মভিক্তিক দেশের ধারনা এখন অচল।

সৌদি আবর সভ্য হচ্ছে। বিলিওন ডলার বিনিওগ করছে পর্যটন খাতে, কট্টর নীতি পাল্টাচ্ছে যাতে অন্য দেশের মানুষ সৌদি আসে।

আপনি বিশ্বাস করে বসে আছেন আল্লাহ রাজত্ব দিয়ে রেখেছে।

বাস্তব হচ্ছে বিশ্বে ধর্মের প্রভাব শেষ, রাজনিতিক কারনে ধর্ম টিকে আছে। কিন্তু বিশ্বে মানুষ ধর্ম এখন নামকা ওয়াস্তে মানে।

একটা প্রশ্নের জবাব দেন তো দেখি।
আপনার পরিবার, আত্নীয়, বন্ধু, প্রতিবেশি বাইরের যত হিজাবী নারী দেখেন তারা তো ফরজ পর্দা করছে বাইরের মানুষের সামনে।

কিন্তু এই হিজাবীর কতজন নারী ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করে? ৫% নারীরা ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেনা। কিন্তু রাস্তায় ৯৫% নারীই হিজাব পরে।

কারন কি?

পুরুষ সমাজ সমালোচনা করে তাই তারা হিজাব পরে।

০৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সরিষা পরিমাণ ঈমান থাকলেও জাহান্নাম থেকে মুক্তিলাভ করে জান্নাতে যাওয়া যাবে। যে যার মত ধর্ম পালন করছে সেটা প্রত্যেকের নিজের হিসাব।

৯| ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

রানার ব্লগ বলেছেন: সাকা চৌ ও বলেছিলো সে নবীর বংশ ! বিশাল এক খান বংস পঞ্জিকা প্রকাশ ও করেছিলো । আজকাল সবাই নবী কে স্বপ্নে দেখে নতুবা নিজেকে নিজেই নবীর বংশ বানিয়ে ধান্দা শুরু করে দেয় ।

০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কেউ কেউ মিথ্যা কথা বললেও কেউ কেউ সত্য কথা বলে। নতুবা বিশ্বাস বিষয়টা পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.