নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঐতিহাসিক বা নাগরিক চেতনা ধারন করতে পারিনি ,অনেকটা আদিম ,বর্বরই রয়ে গেছি ।আমার লেখা আমার এই আদিম ,বর্বর জীবনের প্রতি বাঁকেরই প্রতিফলন

কাল্পনিক সত্ত্বা

মনোপ্রকাশ

কাল্পনিক সত্ত্বা › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘সিভিলাইজড’ গুহাবাস

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:১২


গুহাবাস বলতে আমাদের লজ্জা করে জানো?
আমরা বলি কোয়ারেন্টাইন!

সৃষ্টির শুরুতে একটু ভারী বৃষ্টি হলেই যেমন
আদিম মানুষেরা ঢুকে যেত গুহায়,
ঢুকত পাখি, সাপ, গিরগিটি, আর জলফড়িং;
একই সাথে প্রকৃতির কাছে সমর্পন করত খাওয়ার ইচ্ছা,
বিরাট জংগলে শিকার করে আনন্দে লাফানোর ইচ্ছা;
একই সঙ্গে প্রকৃতির কাছে মাথা নত!

এইযে আমাদের প্রত্মতত্ববিদেরা প্রাচীন গুহায়
নানা ছবি আঁকা দেখে ভারী চশমার ফাঁক দিয়ে বলে উঠে-
“এ মোটামোটি খ্রিস্টের জন্মের পাঁচ হাজার বছর আগের,
‘আদিম’ মানুষদের করা”-
মানুষ আবার আদিম হয় কি করে বলত?
২০২০ সালের তুমি আমিও কি আদিম না?

ফিরে যাচ্ছিনা প্রকৃতির কাছে?

সেই ‘আদিম’ মানুষেরা কিন্তু গাছ কাটেনি,
নিতান্তই দরকার না হলে প্রানীও হত্যা করেনি,
পাহাড়ে কোদাল বসায় নি,
সাগর-নদী শুকিয়ে ফেলেনি;
বাতাসকে কখনো নষ্ট করা যায় তা তারা ভাবেই নি-
তাও আমরা তাদের বর্বর বলি!

বিংশ-একবিংশ শতাব্দীতে এসে ‘সভ্য’ মানুষেরা,
কেড়ে নিয়েছিল প্রকৃতির জীবন;
বনের পশুকে খাঁচায় আটকে নাম দিয়েছে চিড়িয়াখানা,
তুমি বল-
এই মানুষের চে বড় চিড়িয়া আর কি হতে পারে!

প্রকৃতির দম বন্ধ হয়ে আসছিলো সভ্যতার কালো ধোঁয়ায়;
খাল-বিলতো ইতিহাস;
নদী মরে গেছে;
সাগরে সমুদ্রশ্যাওলার বদলে ভাসছে
টনে টনে প্লাস্টিক,
পাহাড় কই!

তুমি বল,
আদিম ‘বর্বর’ মানুষেরা একি দুঃস্বপ্নেও ভেবেছিল?
বর্বর তুমি কাকে বল?!

ধর্মের দোহাই দিয়ে, মানচিত্রের দোহাই দিয়ে,
পৃথিবী ভাসছিল লাল বন্যায়;
নদীতে খালে পানি নেই-
কিন্তু বইছিল রক্তের মহাপ্লাবন!
রক্ত জমাট বেঁধে হচ্ছিল
ঘিনঘিনে দলা পাকানো লাল পাহাড়!

তুমি বল-
আদিম মানুষ কি কখনো ভেবেছিল
মানুষ মারতে পারমানবিক বোমা বানাতে
দিন রাত কাজ করবে সাইন্টিস্ট, নিউক্লিয়ার সাইন্টিস্ট ‘মানুষ’?
বা,
স্বর্গে যেতে দল বাঁধবে মিথ্যাবাদী মানুষ?
ঘটাবে রক্তের বন্যা?!

‘বর্বর’ তুমি কাকে বল?!

এইযে আমরা ‘স্বাধীনতা’ বলে বলে দম বন্ধ করে ফেলি-
তুমি বল;
আদিম মানুষ কি স্বপ্নেও ভেবেছিল
এভাবে মরবে ত্রিশ লাখ মানুষ!

“বর্বর” তুমি কাকে বল?!

অবাধ্য সন্তানকে মা অভিষাপ দেয়;
“তোর উপর গজব পড়ুক”
মন থেকে বলে না মা-
কিন্তু তুমি বল মায়ের মন কত পারে?
তুমি আমি প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করেছি প্রকৃতি মাকে,
হত্যা করেছি বারবার;
কেটে কেটে টুকরো করেছি মায়ের লাশ;
রোদে শুকিয়েছি,
দেখিয়েছি ‘সিভিলাইজড’ ভাইদের;
তারা রেখেছে মিথ্যা মাইক্রোস্কোপের নিচে!

তুমি বল-
মায়ের কি রাগ হয় না?
মায়ের কি ক্রোধ নাই?!

তাইতো-
আবার ‘সিভিলাইজড’ গুহাবাস!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমরা তো ভাগ্যবান আমাদের গুহায় থাকতে হয় নি।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উন্নয়নের নামে বনজঙ্গল সাফ, নদী দখল,
বাঁধ দিয়ে শুকিয়ে ফেলা ভাটিঅঞ্চল,
বিষাক্ত কালো ধোঁয়া
ক্লোরোফ্লোরো কার্বন
ওজন স্তর ফুটো
ধ্বংসাত্বক গবেষনা
পরীক্ষামূলক পারমানবিক ব্লাষ্ট
মিসাইলই নিরিক্ষা
আহ কত অনাচার প্রকৃতির খেয়ে পড়ে

তাই বড্ড ক্ষেপেছে আজ পাগলী মেয়ে..

মাত্র ২০-৩০ দিনেই প্রকৃতি রিকভার করেছৈ কত কিছূ
আহা সাগর পাড়ে ডলফিনের নাচ
কচ্ছপের সারি সারি বাস
....

গুহাবািস করার জন্য বছরে দিন নির্ধারীত করার সময় এসেছে।
প্রতিবছর ১৫ দিন সারা বিশ্ব গুহাবােস যাবে প্রকৃতি বাঁচাতে :)

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩১

কাল্পনিক সত্ত্বা বলেছেন: মিলে গ্যালো চিন্তা!

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: দারুন লিখছেন, আসলেই আমরা এত যান্ত্রিক হয়ে গেছি যে, আমাদের আদিম সময়ে ফিরে যাওয়া অনিবার্য ছিল।

লেখায় +++

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৫৯

রাফা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন....আমরা এগিয়ে গিয়ে ,পিছিয়ে পড়ছি।
আমরাই আমাদের হত্যা করছি নিত্য নতুন কৌশলে।
হত্যা করতে যত আধুনিক অস্র তৈরি করেছি ,মেধা ব্যাবহার করেছি-
বাচানোর জন্য তার অর্ধেক সময় ও শ্রম আমরা ব্যায় করিনি।
প্রকৃতি তার কাজ করতে যেয়ে বাধাগ্রস্ত হোচ্ছে-
এখন প্রকৃতিই আমাদেরকে কৃতকর্ম ফিরিয়ে দিচ্ছে।

ধন্যবাদ,কা.সত্ত্বা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.