নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মদন

নামের সাথে কামের কিছু মিলতো থাকবোই

মদন

মদন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের ১১ সেক্টেরের ৬টিই এখন রাজাকারদের দখলে!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

একে একে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সেক্টরগুলির সেক্টরকমান্ডারগনের মুখোশ উন্সোচিত হচ্ছে। তারা আসলে মুক্তিযুদ্ধ করেন নাই। তারা ছিলেন পাকিস্তানের চর, কখনও রাজাকার। জেনে নেই তাদের অবস্থান-







সেক্টর ১: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে গঠিত ১ নম্বর সেক্টর ও পরবর্তিতে ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও রংপুর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান জেড ফোর্সেরও প্রধান। তাকে শুধু রাজাকার নয়, ইয়াহিয়ার প্রেতাত্মা ধারণ করে তিনি যুদ্ধ করেছেন, পাকিস্তানের চর হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ঢুকে পড়েছিলেন, পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে মুক্তিযুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন এমনই হাজারো কথা বলা হয়েছে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে।



সেক্টর ৩: কমান্ডার মেজর কে এম শফিউল্লাহ এস ফোর্সেরও প্রধান ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কেউ কেউ স্বাধীনতা বিরোধী বললেও পরবর্তিতে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে তিনি রাজাকার গালি থেকে বেঁচে যান।



সেক্টর ৫: সিলেট অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৫ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মীর শওকত আলী সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে সেনাবাহিনী থেকে অবসর দিয়ে রাষ্ট্রদূতের চাকরি দিয়ে বিদেশ পাঠানো হয়। এক পর্যায়ে তিনি চাকরিচ্যুত হন এবং দেশে ফিরে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। সাথে সাথেই এই মুক্তিযোদ্ধা এক শ্রেণীর রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবীর কাছে হয়ে গেলেন রাজাকার। তাকে রাজাকার বলে গালি দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে অনেক বক্তৃতা হয়েছে।





সেক্টর ৯: মেজর এম এ জলিল ছিলেন বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনা জেলার অংশ বিশেষ নিয়ে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার দেশপ্রেম নিয়ে কোন প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু স্বাধীনতার পরপরই তিনি জাসদ নামে ওই সময়ের মেধাবী তরুণদের নিয়ে দল গঠন করার পরই তাকে নানাভাবে স্বাধীনতা বিরোধী বলা হত। ১৯৮৪ সালে তাকে জাসদের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর তিনি জাতীয় মুক্তি আন্দোলন নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন এবং এই সংগঠনের মাধ্যমে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নের কথা বলেন। সাথে সাথেই এক শ্রেণীর রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বলে আখ্যায়িত করতে থাকেন। শুধু বক্তৃতা বিবৃতিতেই নয় তাকে রাজাকার বলে আখ্যায়িত করে অনেক লেখালেখিও হয়েছে।





সামরিক কর্মকর্তা ছাড়াও পুরো টাঙ্গাইল এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা ও পাবনা জেলার অংশ বিশেষ নিয়ে এক বিশাল বেসামরিক সেক্টর গড়ে তুলেছিলেন আব্দুল কাদের সিদ্দিকী। একাত্তরে বীরত্বের কারণে আতঙ্কিত পাকিস্তানী সৈন্যরা তাকে জীবিত অথবা মৃত ধরিয়ে দিতে পারলে উপযুক্ত পুরষ্কার দেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাকে বাঘা সিদ্দিকী বলে সম্বোধন করতো। বঙ্গবন্ধু তাকে আদর করে বলতেন বঙ্গবীর। বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে একমাত্র বীরোত্তম খেতাবপ্রাপ্ত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগ থেকে সরে গিয়ে যখন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ করলেন তখনই তিনি হয়ে গেলেন নব্য রাজাকার।







এই তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের উপ প্রধান সেনাপতি গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার। স্বাধীনতার পর তিনি পদোন্নতি পেয়ে এয়ার ভাইস মার্শাল হন এবং বিমান বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পান। শেখ মুজিবের হত্যাকান্ডের পর তিনি এর প্রতিবাদে বিমান বাহিনী প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বলেই এতদিন আমরা জেনে এসেছি। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ এবং ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রাখার জন্য এ কে খন্দকার ১৯৭৩ সালে বীর উত্তম খেতাব এবং ২০১১ সালে এই সরকারের আগের আমলেই স্বাধীনতা পদকও পান।



এক সপ্তাহ আগেও তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশবাশীর কাছে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ‘১৯৭১ : ভেতরে বাইরে’ শিরোনামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে বই প্রকাশের পরই তিনি পাকিস্তানের চর হয়ে গেছেন। সংসদেও তাকে গালাগালি করতে সবাই সরব। কেউ বলছেন, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কাছ থেকে পরিকল্পনা নিয়ে এসে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঢুকে পড়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী এই বীর যোদ্ধাকে কেউ বলছেন খন্দকার মুশতাকের দোসর। কেউ তার বই বাজেয়াপ্ত করতে বলছেন। বলছেন গ্রেফতার করতে। রাজাকার বলতেও কেউ দ্বিধা করছেন না। পত্র পত্রিকা আর টেলিভিশনের টক শো এখন তাকে নিয়েই ব্যস্ত।





মুক্তিযুদ্ধের অধিনায়ক এজএম ওসমানীর নাম মোটামুটি বিলুপ্তির পথে। ভাসানীকে কবে পাকিস্তানের চর বলা হবে সেই সময়ের অপেক্ষায় জাতি বসে আছে।







আওয়ামীলীগ করে মুক্তিযোদ্ধা হও, বিরোধিতা করলে রাজাকার হও।



আর কোনো পথ খোলা নাই রে পাগলা :)



জয়বাংলা।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
আওয়ামীলীগ করে মুক্তিযোদ্ধা হও, বিরোধিতা করলে রাজাকার হও।

আর কোনো পথ খোলা নাই রে পাগলা :)

জয়বাংলা।

বেয়াই মোশারফরে নিয়া কেউ কিছূ বলে?????


আর যারা এইসব বলে তারাযে নয়মাস কলকাতার রেড এলার্ট এরিয়াতে ছিল - তা বলার কিন্তু কেউ নাই!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪১

মদন বলেছেন: মোশাররফ সাহেব রাজাকার কিন্তু যুদ্ধোপরাধী নন - প্রধানমন্ত্রী(আওয়ামীলীগের কোনো এক মিটিং এ)

রাজাকার দুই প্রকার। ভালো রাজাকার, খারাপ রাজাকার। যারা রাজাকার কিন্তু আওয়ামীলীগ করে তারা ভালো রাজাকার, কিন্তু যে সকল রাজাকার আওয়ামীলীগ করে না তারা খারাপ রাজাকার। তাদের বিনা হিসেবে ফাসি দেয়া উচিত।

জয়বাংলা

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

কিবর বলেছেন: আওয়ামীলীগ করে মুক্তিযোদ্ধা হও, বিরোধিতা করলে রাজাকার হও।






জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু



আমার দেশে আমি-ই দেশপ্রেমিক বাকীরা সব রাজাকার, রাষ্ট্রদ্রোহী, মৌলবাদী, ছাগু, আর যা যা দরকার তা তা



দেখেন আপনি আর ব্যান হয়ে যান কিনা?


শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

মদন বলেছেন: :)

৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

ভোরের সূর্য বলেছেন: অপেক্ষায় আছি কবে বাদ বাকি সেক্টরগুলোও রাজাকার কিংবা কুলাঙ্গারদের( কিছুদিন আগে এ কে খন্দকার কে কুলাঙ্গারও বলা হয়েছে জাতীয় সংসদে) দখলে চলে যাবে!!!!!!!

সংশোধনঃ ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও রংপুর জেলার কিছু অংশ মানে গাইবান্ধা,উলিপুর এবং চিলমারী নিয়ে সেক্টর ১১ গঠিত হয়েছিল। পুরা রংপুর অঞ্চল সেক্টর ১১তে ছিলনা।

আর বাদবাকি বৃহত্তর রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার কিছু অংশ নিয়ে সেক্টর ৬ গঠিত হয়েছিল।

দয়া করে তথ্যটি ঠিক করে দিন।
রেফারেন্সঃ
Click This Link

৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

সাদেক বলেছেন: আওয়ামীলীগ করে মুক্তিযোদ্ধা হও, বিরোধিতা করলে রাজাকার হও।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০২

মদন বলেছেন: :)

৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন:


জয় বংলা :-B :-B :-B :-B :-B :-B

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫২

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: রাজাকার বাছতে দেশ উজাড়!?
..................... সেই সময়ের অপেক্ষায় জাতি বসে আছে।

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: ভাবছি নিজেও মুক্তিযোগ্ধা হব।
তো কী সরকারের ছা-পোছা দলে যোগ দিব?

৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪২

আজকের বাকের ভাই বলেছেন: "মুক্তিযুদ্ধের ১১ সেক্টেরের ৬টিই এখন রাজাকারদের দখলে!" লেখাটি পড়ে মজা পেলাম। সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন।

৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১০| ০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

রাঙা মীয়া বলেছেন: আওয়ামীলীগ করে মুক্তিযোদ্ধা হও, বিরোধিতা করলে রাজাকার হও। জয় বাংলা ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.