নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাইফাই গল্পঃ বাংলাদেশ ২০৫০

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৮

এক



বিকাল চারটা !

হাসান দৌড়াচ্ছে । হাসান দৌড়াচ্ছে পরীবাগের বাম দিকের রাস্তা দিয়ে । একটু উত্তেজিত !

হাসানের কানে একটা এয়ার ফোন লাগানো রয়েছে । সেটা ওর সেল ফোনের সাথে সংযুক্ত । একটা ফোন কল চালু আছে সেল ফোন টাতে । সেখান থেকে নির্দেশ আসছে । হাসান সেই অনুপাতে দৌড়াচ্ছে ।

হঠাৎ ফোনের ওপাশ থেকে হাসান শুনতে পেল

-হাসান !

-শুনছি !

-আপনাকে তাড়াতাড়ি করতে হবে ! পুলিশ আপনার পিছু নিয়েছে ।

-জি আমি জানি । ওরা আপনার দিকে এগিয়ে আসছে । আমি এখন কি করবো সেটা বলুন ?

-আপনি বামদিকে দৌড়াচ্ছেন তো !

-জি !

আরেকটু সামনে গেলেই আপনি একটা বড় এপার্টমেন্ট দেখতে পাবেন ! নাম দিগন্ত ! ঠিক আছে !

-আমি চিনি

হাসান এক সময় এই রাস্তা দিয়ে হেটে হেটে টিউশনি তে যেতে ! সেই সময় সে এই রাস্তা দিয়েই যেত আর দিগন্ত এপার্টমেন্ট টা চেয়ে চেয়ে দেখতো ! মনে হত এই খানে কি কোন দিন থাকতে পারবে সে !



-হাসান আপনি শুনতে পাচ্ছেন ?

-জি আমি শুনতে পাচ্ছি !

-দিগন্তের পাশ দিয়ে আরেকটা রাস্তা চলে গেছে । হাতের ডান দিকে । আপনি সেই বরাবর চলে যাবেন । ঠিক আছে । একদম নাক বরাবর ! দেখবেন একটা ঘরের দরজা খোজা ! যদি কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তাকে যেভাবেই হোক সামাল দেবেন !

-কিভাবে সামাল দেব ? আমার কাছে কোন আর্মস নেই !

-সেটা আপনার বিষয় ! একটু আগে এতো একটা কাজ করেছেন সামান্য একজন কে সামলাতে পারবেন না !



হুম ! একটু আগে হাসান অনেক বড় একটা কাজ করেছে ! এতো বড় একটা সে করবে কোন দিন ভাবতেই পারে নি ! অবশ্য অন্য কিছ করারও ছিল না ! আর একটা দিনও হাসপাতালের লোকজন হাসানের স্ত্রীকে রাখতে প্রস্তুত ছিল না যদি না টাকা পেত ! যে কোন ভাবেই হাসানের টাকা দরকার ছিল ! যাক যা হয়ে গেছে !

এখন যেভাবেই হোক পালাতে হবে ! হঠাৎই গুলির আওয়াজ হল পিছনে !

হাসান পিছনে তাকিয়ে দেখে সাত আট জনের একটা দল ওর দিকে দৌড়ে আসছে । গুলিটাও নিশ্চই ওরাই করেছে ।

হাসান দৌড়ানোর গতি বাড়িয়ে দিল !

এই তো ! রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে ! একদম শেষ মাথায় একটা ঘরও যাচ্ছে ! কিন্তু ওর পিছনে পুলিশ আসছে । পুলিশ নিশ্চই ওকে রুমের ভিতর ঢুকতে দেখবে । দরজা ভাঙ্গতে ওদের খুব বেশি কষ্ট হবে না ।

তাহলে ?

হাসানের কি ঘরে ঢোকা ঠিক হবে ?

আর কি কোন উপায় আছে ?

হাসান এদিক ওদিক দেখতে লাগলো ! নাহ !

দুপাশেই দুটো বড় এপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের দেওয়াল । হাসানের পক্ষে টপকানো সম্ভব না !

হাসান ঘরটার দিকে দৌড় দিল !

দরজার সামনে কেউ ছিল না ! হাসান ঘরে প্রবেশ করলো !



-এই তো আমি ঘরের ভিতর !

-দরজা বন্ধ করুন !

হাসান দরজা বন্ধ করল !

-এবার !

-সামনে দেখতে পাচ্ছে কিছু একটা চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে !

-জি !

-ওটা একটা ভিইকেল !

-মানে ?

-মানে কিছু বুঝতে হবে না ! আপনি কেবল চাদরটা সরাবেন । কাঁচের দরজাটা খুলবেন । ভিতরে বসবেন ! তারপর লাল সুইচ টা অন করবেন !

-কি বলছেন আপনি এসব ! ? বদ্ধ ঘরে এই যান কিভাবে চলবে ?

-শুনুন ! আমি যা বলছি তাই করুন !

-কিন্তু !

-কোন কিন্তু না ! আর আপনার কোন উপায়ও নেই ! আমি যতদুর জানি পুলিশ দরজার প্রায় কাছে চলে এসেছে !



কথা সত্য ! এতোক্ষনে পুলিশ তার দরজার কাছে চলে এসেছে ! এখন আর কোন চিন্তা ভাবনার কোন উপায় নেই ।

হাসান এক টান মেরে চাদরটা খুলে ফেলল ! চাদরের আড়াল থেকে অদ্ভুদ যন্ত্রটা বের হয়ে এল !

যন্ত্রটা দেখে হাসান মুখ থেকে কেবল একটা কথাই বের হয়ে এল

হোয়াট দ্যা াক !! এটা কি ?

যেটাকে একটা যানবাহন বলে আক্ষা দেওয়া হয়েছে আসলে সেটা আদৌও কোন যানবাহন কিনা সেই ব্যাপারে একটা সন্দেহ আছে ! গোলাকার একটা যন্ত্র বিশেষ যার সামনের বেশ খানিকটা জুরে কাঁচ দিয়ে তৈরি ! বাকিটা স্টিলের কিংবা ঐ জাতীয় কোন ধাতু দিয়ে তৈরি ! যানটার ভিতরে উঠবে কি না হাসান চিন্তা করলো কিছুক্ষন !



ঠিক তখনই দরজায় আঘাত পড়লো !

কয়েক মুহুর্ত পরে আবারও আঘাত ! এবার আগের বারের চেয়েও অনেক জোরে ! এই দরজা ভাঙ্গতে ওদের খুব বেশি সময় লাগবে না !



হাসান আর কিছু চিন্তা করার সময় পেল না ! কাঁচের দরজাটা চেনে অদ্ভুদ যানটার ভিতর উঠে পড়লো ! ভিতরেও অসংখ্যা অদ্ভুদ ধরনের যন্ত্রাংশ দেখা যাচ্ছে ! হাসান ওসবের ভিতরে গেল না !

সিট বেল্ট বেধে নিল !



দরজার ধাক্কার পরিমান বাড়ছেই !

ঐ তো দেখা যাচ্ছে লাল সুইচ টা ! হাসান কিছু না ভেবেই লাল বাটনে চাপ দিল !

কয়েক মুহুর্ত ! এইতো ! কিছু একটা চালু হয়েছে ! কাঁপছে ! আস্তে আস্তে কাঁপন বাড়ছে !

হাসান কাপন টা অনুভব করতে পারছে ! এক পর্যায়ে যান টা অনেক জোরে কাঁপতে থাকলো !

কি হচ্ছে এই সব !

হাসানের মনে হল ভয়ংকর কিছু একটা হতে চলেছে ! নিজেকে সিট বেল্ট থেকে মুক্ত করার চেষ্টায় লেগে গেল সে । কিন্তু সেটাতে অনেক দেরি হয়ে গেছে ! একটা আলোর ঝলকানি আর তীব্র ঝাকুনিতে হাসান চেতনা হারালো !





দুই



-আম্মু ! দেখো !

তানজিনা নিজের জিএস ফোনটাতে আজকের খবর গুলো দেখছি ! তখনই পাশে বসা মেয়ের ডাক শুনতে পেল !

-কি হয়েছে মা মনি ?

জিএস ফোন থেকে চোখ না সরিয়েই মেয়ে ইমুন কে বলল কথা টা !

-আম্মা দেখো না ! আমাদের প্রেসিডেন্ট !

প্রেসিডেন্ট নামটা শুনতেই তানজিনার চোখটা জানলার দিয়ে বাইরে চলে গেল ! ইমুন জানলার কাঁচ নামিয়ে বাইয়ে তাকিয়ে আছে !

তানজিনা বেশ খানিকটা অবাক হয়ে গেল !



দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট খালিদ আবসার তানজিনা থেকে ঠিক দুই তিন হাত দুরে গাড়ির ভিতর বসে আছে । ১০/১২ বছর আগেও এই জিনিসটা একদম ভাবাই যেত না ! এই ২০৫০ সালে এসে বাংলাদেশের তেমন কিছু পরিবর্তন হয় নি । কিন্তু কয়েকটা বিয়ষ খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে তার একটা হল আগে রাস্তায় চলার সময় কোন ভিআইপি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হত । কিন্তু এখন সেই জিনিসটা নেই । এখন যেই হোক না কেন কারো জন্য রাস্তা বন্ধ করা হয় না !

এখন স্বয়ং প্রেসিডেন্টও রাস্তায় জ্যামে পড়ে থাকে !

কেবল রাস্তায় চলা এম্মুলেন্সের ক্ষেত্রে ছেড়ে দেওয়া হয় !



ইমুন বলল

-আম্মু আমি ওনাকে ডাক দেই !

-না মা মনি ! উনি অনেক বড় মানুষ ! তোমার ডাকে বিরক্ত হবেন !

-হবেন না আম্মু !

-ইমুন ! চুপ করে বসে থাকো !



তানজিনে ইমুন কে বকতে শুরু করবেন ঠিক তখন একটা ভরাট গলায় কেউ বলে উঠলেন

-তোমার নাম কি ?

মা মেয়ে দুজনের একসাথে ঘুরে তাকালেন !

প্রে. খালিদ আবসার তার কাঁচের গ্লাস নামিয়ে ইমুনের দিকে তাকিয়ে আছে হাসি মুখে !

ইমুন বলল

-আমার নাম ইমুন !

পেছন থেকে তানজিনা ধমকে উঠলো

-ভাল নাম বল !

-আমার নাম ইশরান তাজনিনা ইমুন !

খালিদ আবসার বলল

-কোন ক্লাসে পড় মা মনি ?

-ক্লাস ফাইভ !

-ভেরি গুড !

আরও কিছু বলার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সিগনাল ছেড়ে দিয়েছে ! খালিদ আবসার ইমুনের দিকে এবং তানজিনার দিকে একটু হেসে বলল

-আজকে আসি মা মনি !

তারপর ভুস করে কালো রংয়ের গাড়িটা চলে গেল । পেছনে সাইরেন বাজিয়ে কেবল একটা প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ফোর্সের গাড়ি !





তানজিনার মন ভাল হয়ে গেল ! দিনের শেষে এই এসে এই ছোট্ট ঘটনা টাতে মন ভাল হয়ে গেল !



বাসায় পৌছাতে পৌছাতে আরও ঘন্টা খানেক লেগে গেল ! বাসায় পৌছেই এপার্টমেন্টের রিসিপ্টসনিষ্ট বলল

-ম্যাম ! আপনার সাথে একজন দেখা করতে এসেছে ?

-কোথায় ?

-ওয়েটিং রুমে বসে আছে !

-আচ্ছা !



ইমুন কে এপার্টমেন্টের দিকে পাঠিয়ে তানজিনা ওয়েটিং রুমের দিকে এগিয়ে গেল !



দরজা দিয়ে ঢুকতেই তানজিনা দেখতে পেল ত্রিশ বত্রিশের একজন মানুষ মাথা নিচু করে বসে আছে । পরনে কেমন পুরানো দিনের মত কাপড় পরা !

তানজিনা ঠিক বুঝতে পারলো না লোকটা কে ? চেহারাটাও কেমন পরিচিত মনে হচ্ছে । কিন্তু চিনতে পারছে না ।



-হ্যালো !

তানজিনার কথা শুনে লোকটা কেমন যেন একটু চমকে উঠলো !

তানজিনার দিকে ফিরা তাকালো !

তানজিনা বলল

-আমি তানজিনা কাবির ! আপনি আমার সাথে দেখা করতে এসেছে ?

-হুম !

-কেন জানতে পারি ?



লোকটা কোন কথা না বলে কিছুক্ষন কেবল তানজিনার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো ! তানজিনার হঠাৎ করেই কেন জানি মনে হল লোকটার চেহারায় আসলেই পরিচিত মনে হচ্ছে ! কোথায় দেখেছে ?

লোকটা আনমনেই বলল

-তুমি তোমার মায়ের মত হয়েছো একদম !



তুমি !!

একটু অবাক হল ! লোকটার বয়স ওর থেকেই ছোটই মনে হচ্ছে । তনজিনার এখন ৩৬ চলছে আর এই লোকের বয়স কোন ভাবেই ৩০/৩১ এর বেশি হওয়ার কথা না ! তাহলে লোকটা কেন ওকে তুমি করে বলছে ।

-আপনি কি বলছেন আমি ঠিক বুঝতে পারছি না !

-তাহিরা একদম তোমার মত ছিল !

-আপনি আমার মা কে কিভাবে চিনেন ?

লোকটা হাসলো !

-কিভাবে চিনি ?

লোকটা হাসলোই আনমনে কিছুক্ষন !

-কথাটা বললে হয়তো তোমার বিশ্বাস হবে না ! কিন্তু আমি তোমার বাবা !



তানজিনার তখনই মনে হল লোকটা হঠাৎ করেই কেন এটো পরিচিত মনে হচ্ছিল ! লোকটার চোখ একদম ওর নিজের মত !

তানজিনার মা প্রায়ই এই কথাটা বলতো যে ওর চোখ নাকি একদম ওর বাবার মত ! প্রতিদিন আয়নায় তানজিনা নিজের এই চোখ দেখে সে !





তানজিনার এখনও ঠিক মত বিশ্বাস হচ্ছে না ড্রয়িং রুমে বসে থাকা মানুষটা, যে কি না বয়সে তার থেকে প্রায় ৫ বছর ছোট, তার জন্মদাতা পিতা ! জন্মের পর থেকে তানজিনা তার বাবাকে দেখ নি । তার মায়ের কাছে শুনছে একদিন অফিস গিয়ে আর ফিরে আসে নি তার বাবা । কি হয়েছে কেউ বলতে পারে না ! তানজিনা তখন ওর মায়ের পেটে ! ওর মা হাসপাতালের ভর্তি ! প্রতিদিন কাজ সেরে হাসপালে তার বাবা মায়ের কাছে আসতো ! কিন্তু ঐ দিন আর আসে নি !

আর আজকে হঠাৎ করেই এসে হাজির !



কোন ভাবেই বিশ্বাস করা যায় না । কোন কিচু একটা সমস্যা নিশ্চই আছে ! কিন্তু লোকটা নিজের মানিব্যাগ থেকে যে ফটো দেখিয়েছে সেটাতে স্পষ্টই প্রমান হয় যে এই লোকটাই ওর বাবা !

বাবার অস্পষ্ট ছবি সে দেখেছে মায়ের সাথে ! যতদিন তানজিনার মা বেঁচে ছিল ততদিন কেন জানি তিনি তানজিনার বাবার সব স্মৃতি গুলো ওর কাছ থেকে দুরে রেখেছে !





তানজিনা ড্রয়িং রুমে গিয়ে দেখেন তার বাবা ইমুনের সাথে কথা বলছে ।

-ইমুন ঘরে যাও তো ! আমি একটু কথা বলি !

ইমুন চলে গেল !



তানজিনা সোফাটার উপর বসলো কিন্তু ঠিক কি বলবে ঠিক বুঝতে পারলো না !

-আমার নাম তো তুমি জানো, তাই না ?

-জি ! সার্টিফিকেইকে আপনার নামটা লিখতে হয়েছে । হাসান মাসুদ !

হাসান হাসলো ! বিমর্শ ভরা হাসি !

হাসান কে খানিকটা বিমর্শ মনে হল ।

-আমি জানি তুমি আমাকে অনেক দোষরোপ কর !

-করা কি উচিৎ নয় ?

-হুম ! উচিৎ !

-যে সময় টাতে আপনার আমার আর মায়ের পাশে থাকা দরকার ছিল তখন আপনি আমাদের পাশে ছিলেন না !

হাসান চুপ করে রইলো !

-মা বলতো আপনারা নাকি ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন ! তাহলে ? কেন ?

-তুমি কি বুঝতে পারছো না কিছু একটা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে যেটা আমি ইচ্ছে করে করি নি !



তানজিনা সেইটাই জানতে চাচ্ছে ! কি সেই ঘটনা !

হাসান বলল

-তুমি টাইম মেশিনে বিশ্বাস কর ?

-কি ? কি বলছেন আপনি ?

-যদি বলি আমি কেবল টাইম মেশিনে করে এই তোমাদের সময়ে চলে এসেছি !

-আপনি কি বললেন এই সব ?

-ঠিক বলছি ! যখন তোমার জন্ম হওয়ার কথা তখন একদিন হঠাৎ করেই তোমার মায়ের শরীর খারাপ হয়ে যায় ! তখনও আমি ঠিক মত কিছু করি না ! টুকটাক কোন রকম সংসার চলে যায় ! ভালবেসে বিয়ে করার জন্য আমাদের বাবামারা আমাদেরকে মেনে নেন নি ! কষ্ট ছিল আমাদের সংসারে কিন্তু ভালবাসার কোন অভাব ছিল না ! তোমার মাকে হাসপালে ভর্তি করে আমি বের হলার টাকার জন্য ! একসপ্তাহ পরেও যখন কোন টাকা ব্যবস্থা হল না তখন কি করবো ঠিক বুঝতে পার ছিলাম না !

-তারপর ?

-তারপর হঠাৎ করেই একদিন আমার ফোনে একটা ফোন আসলো । বলা হল একটা বিশেষ কাজ করা জন্য ! অন্যায় ছিল কিন্তু তোমার মায়ের চেয়ে আমার কাছে আর বেশি কিছু ছিল না ! বেশ কিছু টাকা পেয়ে গেলাম ! তোমার মায়ের হাসপাতে জমা দিয়ে দিলা ! তারপর যখন পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য ওদের নির্দেশ মত আমি একটা রুমের ভিতর ঢুকলাম তখন একটা গোলাকার যানের ভিতর আমাকে বসতে বলা হয় ! দরজার ওপাশে পুলিশ দাড়িয়ে ছিল ! দরজার আঘাত করছিল ! আমি লাল সুইচ অন করে দিলাম

-তারপর ?

-তারপর আর কিছু মনেনেই ! আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি ! যখন জ্ঞান ফিয়ে আসে তখন আমি দেখতে পাই আমি সেখাই বসে আছি ! কিন্তু ঘরটা কেমন যেন পুরানো ! বাইরে এসে দেখি সব কিছু কেমন যেন একটু অচেনা অচেনা লাগছে । প্রায় দুই দিন লেগে গেছে আমার এইটা বুঝতে আমি ভবিষ্যতে চলে এসেছি ! আমি যেটাতে বসেছিলাম ওটা আসলে একটা টাইমমেশিন ছিল ! আস্তে আস্তে বুঝতে পারি আসলে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল যাতে আমি কোন কিছু ভাবার সময় না পাই আর টাইম মেশিনে উঠে বসি !





কিছুক্ষন কোন কথা হল না !



-এখন কি করবেন ?

-আবার ফিরে যাবো ভাবছি ! এইটা আমার পৃথিবী না ! তখনই ফিরে যেতাম । কিন্তু ইচ্ছা হল একটু ঘুরে দেখে যাই আমার সন্তানটা কেমন আছে একটু দেখে যাই ! তবে তুমি ভেবো না ! তোমার পৃথিবী এরকম হবে না । মনে রেখো তোমার পৃথিবী বাবা শূন্য হবে না !











আমার সাইফাই লেখার হাত নেই ! একটা মানুষের ছিল যার লেখা পড়ে প্রথম সাইফাই লেখার টুকটাক চেষ্টা করে থাকি !

আজ তার জন্মদিন !



শুভ জন্মদিন প্রিয় ইমন ভাই !!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ! বেশতো।।

টাইম ট্রা্ভেলে ভিন্নমাত্রা নিয়ে এলেন!

++

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ !! :):)

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: হইল না হইল না...অন্যায় কাজটা কি ছিল সেইটা জানতে চাই...(কিসের যেন গন্ধ পাইতাছি)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: কিছু অন্যায়ের কল্পনা না হয় নিজে নিজেই করে নিন ! :):)

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: ভালই হইছে ভাই

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪০

অপু তানভীর বলেছেন: :) :) :)

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: সময়টা আর অর্থনীতির বর্ননায় একটু মকশ লাগিবে মনে হইল।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২১

অপু তানভীর বলেছেন: শরৎ দা এই বর্নানায় আমি মোটেই পারদ্শী নই ! যে ছিল সে তো আর নেই :(

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪১

শান্তির দেবদূত বলেছেন: দারুন থ্রীল নিয়ে এসেছেন কিন্তু গল্পটাতে, একটানে পড়ে ফেলেছি, চমৎকার, যদিও সাই-ফাই হিসাবে নতুনত্ব নেই কিন্তু পড়ে আনন্দ পেয়েছি। এমন আরও লেখতে থাকুন। শুভেচ্ছা রইল।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪৫

অপু তানভীর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দেবদূত ভাই !

আসলে আরও একটু বেশি বর্ননা দরকার ছিল কিন্তু পরীক্ষা চলছে ! এই ভিতরেই কিছু লিখেছি !!

ভাল থাকবেন :):):)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.