নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ রকিবুদ্দিন সাহেবের মেয়ে !

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৪





বাবা আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আবার জানতে চাইল

-কি করেছিস ?

আমি ক্ষীণ গলায় বললাম

-বাবা বিয়ে করেছি !

-কি করেছিস ?



আরে আপনি আব্বা হয়েছেন তাই বলে এই কথা বারবার হুংকার দিয়ে কেন বলবেন ? আর যতবারই জানতে চান উত্তর টা তো আর বদলে যাবে না ! ঘন্টা খানেক আগে যাকে বিয়ে করেছি সে আর বউ থেকে আবার আমার গার্লফ্রেন্ড হয়ে যাবে না ! আমার বউ বউই থাকবে !

একলাখ দেন মোহর দিয়া বিয়ে করেছি !



আমি বাবার দিকে তাকিয়ে আছি চুপ করে । বাবা নিজের মুখটা রক্ত বর্ণ করার চেষ্টা করছেন কিন্তু একটু সময় লাগছে । এই ফাঁকে নিশির দিকে তাকিয়ে দেখি ওর মুখ টা শুকিয়ে এতুটুকু হয়ে গেছে ! আসলে বাবার চিৎকার চেঁচামিচির অভ্যাসের সাথে ও খুব একটা পরিচিত নয় তো তাই একটু ভয় পেয়েছে মনে হয় !



বাবা মুখ লাল করে বললেন

-তুই এক্ষুনি বাসা থেকে বের হয়ে যা !

আমি খুব বেশি চিন্তিত হলাম না ! বাবা দিনে দুতিন বার আমাকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলে !

তুই এটা কেন করলি ? এক্ষুনি বাসা থেকে বের হও !

ওটা কেন করলি ? বের বলছি বাসা থেকে !



এসএসসি পরীক্ষায় সবাই এ প্লাস পেয়েছে আমি পাই নি বলে আমাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বললেন । সন্ধার দিকে নিজেই মিষ্টি কিনে মানুষের বাসাতে পাঠানো শুরু করলেন ! তখন অবশ্য এপ্লাস পাওয়া এতো সহজ ছিল না ! আবার আমি কেন এ প্লাস পায় নি এই জন্য আমার মন খারাপ এই কথাও আলোচনা করতে লাগলো ! ছোট খাটো সব বিষয়তেই উনার প্রথম কথা হচ্ছে আমার বাসা তুই বেরিয়ে যা !



আমি বললাম

-নিশিকে কি নিয়ে যাবো নাকি রেখে যাবো ?

বাবা আবারও হুংকার দিয়ে বলল

-তোর বউ তুই রেখে যাবি মানে ? নিজে নিজে বিয়ে করেছি এখন বউকে নিয়ে নিজে নিজে থাক ! আমার বাসায় জায়গা হবে না !



নিশির দিকে তাকিয়ে দেখি ও প্রায় কেঁদে ফেলেছে । এখনও চোখ দিয়ে পানি বের হয় নি তবে যে কোন সময় বের হয়ে যাবে । আসলে আমার বাবার চিৎকার চেঁচামিটি আমরা ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি আমাদের কিছু একটা মনে হয় না কিন্তু নিশি তো প্রতিদিন দেখে না !



-রাহেলা ! রাহেলা !

বাবা মায়ের নাম ধরে ডাক দিল ! ততক্ষনে মা পিছনে এসে আমার সাথে চোখে চোখে কথা শুরু করে দিয়েছে ! মা নিশির দিকে চোখ ইশারা করে জানতে চাইলেন কে ?

আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই বাবা বলল

-তোমার ছেলে !! তোমার ছেলে একা একা বিয়ে করে নিয়ে এসেছে ! বুঝেছো ?

মা সামনে এল ! আমার আর নিশির দিকে চোখ বুলিয়ে বলল

-সত্যি নাকি ?

আমি ক্ষীণ গলায় বললাম

-হুম !

আমার হুম শুনে বাবা আবার হুংকার দিয়ে বলল

-হুম কি রে আহম্মক ! এক পয়সা ইনকাম করার মুরদ নেই বিয়ে করে আবার বলে হুম ! তোর এই বউ আমি আমার ঘরে রাখবো না ! তুই এখনই বের হয়ে যাবি আমার বাসা থেকে ! এখনই বের হ !



আমাকে বের হয়ে যেতে বলে বাবা নিজের বের হয়ে গেলেন বাসা থেকে ! এরকম অনেক বারই হয় ! বাবা হঠাৎ করে রেগে গেলে বাসা থেকে বের হয়ে যান ! অবশ্য বাবার রাগ খুব বেশিক্ষন থাকবে না !

বাবার চলে যাওয়ার পরে আম্মার আমাদের দুজনের সামনে এসে দাড়াল !

খানিকটা বিশ্ময় নিয়ে বলল

-তুই সত্যি বিয়ে করেছিস ?

-হুম !

-কোন কিছু না ভেবে একেবারে বিয়ে করে ফেললি ? আমাদের কথা একবার ভাবলি না ?

-তোমার কথা ভাবি বলেই তো বিয়ে করলাম ! তুমি সারা দিন বাসায় একা একা থাকো !

-তাই !

-তা নয় তো কি ? তোমার কথা চিন্তা করেই তো কাজ টা করে ফেললাম !



আমার কথা শুনে মা এবার নিশির দিকে এগিয়ে গেল ! বেচারী আসলেই একটু ভয়ে ভয়ে আছে । বিশেষ করে বাবা চিৎকারে একেবারে চুপসে গেছে !

মা নিশির কাছে গিয়ে বলল

-এই তোমার নাম কি ?

-জি ! আরিসা বিনতে চৌধুরী !

-আমি তো স্কুল টিচার না ! ভাল নাম বলতে হবে না ! ডাক নাম কি ?

-নিশি !

-বাবার নাম !

-পিন্টু !

-পিন্টু ?

-আপনি না বললেন ভাল নাম না বলতে ! ডাক নাম বললাম !

মা কিছু বলতে গিয়ে হেসে ফেলল !

-আচ্ছা ! ভাল নাম বলল তার

-রকিবুদ্দিন চৌধুরী !

দেখলাম মার হাসি আস্তে আস্তে মিলিয়ে গেল ! হাসি মুছে মা বলল

-তুমি ঐ পাড়ার রকিবুদ্দিনের মেয়ে ?

নিশি বাচ্চা মেয়েদের মত করে মাথা নেড়ে বলল

-জি !

মা এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল

-তুই আর মানুষ পেলি না বিয়ে করার জন্য ?

আমি কিছু না বলে কেবল হাসলাম !





আসলেই আমি আর মানুষ খুজে পাইনি বিয়ে করার ! সত্য কথা বলতে কি বাবা এখনও জানে না আমি রকিব আঙ্কেলের মেয়েকে বিয়ে করেছি । জানলে কি করবে কে জানে ?

বাবা দুনিয়ার সব মানুষ কে পছন্দ করে কেবল রকিব উদ্দিন চৌধুরী মানে আমার সদ্য হওয়া স্বশুর মশাইকে একদম দেখতে পারে না দুই চোক্ষে ! তার সাথে একটা নিরব যুদ্ধ সব সময় লেগেই আছে আমার বাবার ! তিনিও কম যান না ! বরং আমার বাবা থেকে এক কাঠি উপরে !







-এই তোমার বাবা যদি আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয় তখন ?

-তখন আর কি । তখন তোমাদের বাসায় গিয়ে উঠবো !

-বাবাও যদি তাড়িয়ে দেয় ?

-তাহলে গাছ তলায় গিয়ে থাকবো ?

-গাছ তলায় ?

-হুম ! কে পারবে না ?



নিশির মুখ দেখে মনে হল না সে গাছ তলায় থাকতে পারবে ! তবে যাক আপাতত নিজের ঘরে বসে আছে আমি আর নিশি ! মা আর বেশি কিছু জানতে চায় নি ! আমাদের কে ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে ! কেবল বলেছে বাবার সামনে যেন এই কথাটা মুখে না আনি !

এখন আমি আর নিশি কথা বলছি ! বাবা কখন আসবে এবং নিশি যে রকিব উদ্দিন চৌধুরীর মেয়ে এটা জানতে পেরে কি করবে কে জানে ?



এই সব ভাবছি এমন সময় আবারও বাবার হুংকার শুনতে পেলাম ! আমার নাম ধরে ডাকছে ! নিশিকে রেখেই হাজির হলাম বসার ঘরে ! গিয়ে দেখি টবিলের উপর বেশ সাইজের এক প্যাকেট মিষ্টি ! নিশ্চই বাবা এনেছে ! আগেই বলেছি বাবার মন এমনই ! খালি খালিই চিৎকার করেন ! কিন্তু আমি যাই করি না কেন একটু পরেও সেটা মেনে নেন ! অনেক টা এই ভরশায় নিশিকে বিয়ে করে ফেলেছি !



অবশ্য বিয়ে না করে উপায়ও ছিল না ! আজকে বিকেলে নিশিকে দেখতে আসার কথা ছিল ! আর আমারও এখনও বছর খানেক লাগবে পড়ালেখা শেষ হতে ! তার উপর বাবার কাছে তো কোন দিন বলার উপায় নেই যে আমি রকিবুদ্দিন সাহেবের মেয়ে কে বিয়ে করতে চাই !



কিন্তু এখন তার মুখ গম্ভীর ! আমার দিকে তাকিয়ে বলল

-শুনলাম ওপাড়ার রকিব্বার মেয়ে কার সাথে যেন পালিয়ে গেছে ! আজ নাকি মেয়েকে দেখতে আসার কথা ছিল ! মিষ্টি কিনতে গিয়ে কানে এল কথা টা ! তোর বউ কি রকিবের মেয়ে ?



খাইছে রে ! এখন কি বলি ? সত্য কথা বলে দিবো ?

যা আছে কপালে ! বললাম

-হুম !

-তোর বউকে ডাক !

আমি ডাক দিতে গিয়ে দেখি নিশি দরজার কাছে চলে এসেছে ! আবারও তার মুখ টা শুকিয়ে গেছে ! আমি একটু হেসে অভয় দেওয়ার চেষ্টা করলাম ! তারপর নিশিকে নিয়ে নিয়ে গেলাম বাবার সামনে !



-তোমার বাবার নাম রকিবুদ্দিন ?

বাবার জেরা শুরু ! তবে একটা ব্যাপার দেখলাম যে বাবার মুখে সেই রাগ কিংবা কাঠিন্যের সুর নেই !

-ব্যাপার টা কি ?



নিশির আগের মত মাথা ঝাকিয়ে বলল

-জি !

-তুমি এটা জানতে যে তোমার বাবার সাথে আমার দ-কুমড়া সম্পর্ক ?

-জি !

-তার পরেও তুমি আমার ছেলেকে ভালবাসো ?

-জি !

-এখন যদি তোমার বাবা তোমাকে নিতে আসে ? যাবে ?

-জি না !

-ঠিক তো ?

-জি !

-তোমার বয়স কত ?

-জি ?



আমিও একটু অবাক হলাম ! নতুন বউয়ের বয়স কেউ আবার জানতে চায় ? তারপর হঠাৎ আমার কাছে জিনিস টা একটা পরিস্কার হয়ে উঠলো যে বাবা কেন বয়স জানতে চাচ্ছে ! আমি তাড়াতাড়ি বললাম

-বাবা ওর বয়স এখন একুশ চলছে !

-গাধা তোর কাছে জানতে চেয়েছি ! আর আসল বয়স না, সার্টিফিকেইটের কথা বলছি ? সার্টিফিকেইটে কত ?

-ঐ টাতে উনিশ বছর !

-ঠিক তো ?

-হুম !



দেখতে পেলাম বাবার মুখে একটু হাসি ফুটলো ! কিছু একটা চিন্তা করছে যেন সে খুশি হয়ে উঠেছে ! মা তখনই আমাকে ইশারা করলো ! প্রথম বুঝতে না পারলেও পরে বুঝতে পারলাম আসলে মা নিশিকে সালাম করতে বলছে ! আমি বুঝতে না বুঝতেই দেখি নিশি ঠিকই বুঝে নিয়েছে ! মাথায় কাপড় দিয়ে আব্বাকে সালাম করে ফেলল !



-আরে ! ঠিক আছে ! ঠিক আছে ।

এই বলে বাবা পকেট থেকে একটা এক হাজার টাকার নোট নিশির হাতে তুলে দিল !

অর্থাৎ মোটামুটি ঝামেলা শেষ কেবল নিশির আব্বার দিক টা ছাড়া !





আব্বা মনে মনে কি বুদ্ধি করতে লাগলো কে জানে ! আমি নিশি কে নিয়ে আবার ঘরে চলে এলাম ! ওর মন টা একটু খারাপ কারন আমার বাসায় সমস্যা সমাধান হয়ে গেলেও ওর বাসায় এখনও সমস্যা সমাধান হয় নি ।



আসলে বাবা এতো স হজে কেন রাজি হয়ে গেল আমি খানিকটা বুঝতে পারছি ! আমার শ্বশুর মশাইয়ের সাথে তার যে একটা দা-কুমড়ার সম্পর্ক রয়েছে সেটাতে এখন বাবা মনে হয় এক ধাপ এগিয়ে থাকবে ! তার বাসার মেয়ে এখন আব্বার ছেলের বউ, অর্থাৎ রকিবুদ্দিনের মেয়ে হয়ে গেল ফরিদ আহমেদের বেটার বউ ! খুশি তো হওয়ারই কথা !





নিশি একটু চিন্তিতই ওর ফ্যামিলির জন্য ! মোবাইল ফোন টা আপাতত বন্ধ রেখেছে ! তবুও বাসার জন্য তো চিন্তা হতেই পারে ! সেই সকাল বেলা বের হয়েছে এখনও বাসায় ফেরে নি ! আর তার উপর বাবার কাছ থেকেই শুনলাম যে আমাদের বিয়েটা নাকি জানাজানি হয়ে গেছে ! এতো জলদি কেমনে জানলো কে জানে ? অবশ্য আমরা খুব দুরে গিয়ে বিয়ে করি নি ! কাছেই একটা কাজী অফিসে বিয়ে করেছি !





সন্ধ্যার সময় আরেকবার চিৎকার চেঁচামিচি দেখা দিল আমাদের বাসায় ! এবার নিশির বাবা মানে রকিব আঙ্কেল এসে হাজির ! আমি আর নিশি নিজের ঘরে বসে আছে চুপ করে । এদিকে নিশির বাবার চিৎকার শুনতে পারছি পরিস্কার !

-শুনো ফরিদ আমার মেয়েকে দিয়ে দাও বলছি !

নিশির বাবার উত্তেজিত গলা শুনতে পাচ্ছি ! কিন্তু সেই তুলনায় আব্বার গলার স্বর অনেক মধুর ! বাবা মধুর গলায় বললেন

-তোমার মেয়ে ? আমার বাড়িতে ?

-হ্যা ! আমি খুব ভাল করেই জানি নিশি তোমার বাড়িতে আছে !

কিছুক্ষন নিরবতা !

তারপর আব্বার গলা শোনা গেল

-নিশি নামের একটা মেয়ে আমার বাসায় আছে তবে সে তো তোমার মেয়ে নয় ! আমার ছেলের বউ !

-দেখো ভাল হবে না বলতেছি !

-না ভাল হলে আমার কিছু করার নেই ! তবে আমার ছেলের বউ আমার খুব পছন্দ হয়েছে ! খুব মিষ্টি চেহারা ! তবে আমি বুঝতেই পারছি না, একটা আহম্মকের ঘরে এতো সুন্দর একটা মেয়ে হয় কিভাবে ?



পাশ দিয়ে নিশি বলল

-এই তোমার বাবা আমার বাবাকে আহম্মক কেন বলল ?

-আরে আমি কিভাবে বলবো ? আমার কথা মত উনি চলে নাকি ? চুপ করে শুনো !



ঘরের ওপাশ থেকে আবার চিৎকার শোনা গেল !

-ফরিদ ! আমি কিন্তু পুলিশ নিয়ে আসবো ! এই বলে দিলাম ! তোমাদের বাপ বেটা কে আমি জেলের ভাত খাওয়াবো !

-হা ! হা ! হা ! যাও যাও ! পুলিশ নিয়ে এসো ! আমার ছেলের বউ এখন সাবালিকা ! আমার কাছে প্রমান আছে ! পুলিশ আমার কিচ্ছু করতে পারবে না ! আর যদি পুলিশ নিয়েই আসো উল্টো তুমি কেস খেয়ে যেতে পারো ! আমি যতদুর জানি তুমি তোমার মেয়েকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলে ! আজকে ছেলে পক্ষের আসার কথা ছিল !



আবারও কিছুক্ষন কোন কথা হল না ! আমি আর নিশি কান পেতে রয়েছি কি হয় শোনার জন্য ! এর মাঝেই এক মহিলার গলার স্বর শুনতে পেলাম !

-সরো তো ! এতো কথা আমি শুনতে চাই না ! আমি আমার মেয়েকে দেখবো !



নিশি স্বর শুনে বলল

-আম্মু ! আম্মু চলে এসেছে !

-খাইছে ! এখন ? এখন যদি তোমার বাবা মা আর আমার বাবা মা মারামারি শুরু করে ?



আমরা দুজন একটা মারামারির আশংকা নিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম ! তখনই আমার মায়ের আওয়াজ পেলাম ! আমার মা বলল

-আপনাদের ঝগড়া শেষ হয়েছে ? দেখুন আপনাদের দুজনের অযথা রেশারেশির জন্য আমি আমার ছেলের পছন্দকে গলা টিপে মেরে ফেলতে দেবো না ! দেখুন ভাই সাহবে নিশিকে আমাদের অনেক পছন্দ হয়েছে আর আমার অপুকেও কিন্তু আপনার অপছন্দ হবে না !



নিশির বাবা বলল !

-কিন্তু ছেলে তো কিছু করে না ! আমি এমন ছেলের কাছে আমার মেয়ে দিবো না !

আবার বাবার কন্ঠস্বর শোনা গেল !

-বিয়ে দিবো না কি রে ! বিয়ে তো অলরেডি হয়ে গেছে ! তোমার দেওয়া না দেওয়ার কেয়ার কে করছে ?

মা বলল

-আপনি চুপ করেন ! দেখুন ভাই, এখন কিছু করে না সত্য কিন্তু সামনে করবে ! আপা আপনি কি চান বলেন ? মেয়ের সুখ চান নাকি অন্য কিছু ! শান্তি পূর্ণ ভাবে আমরা এটার সমাধান করতে পারি আবার ঝামেলার ভিতর দিয়ে যেতে পারি !

-কিন্তু ?

-এখন কিন্তু করে কি লাভ আছে ? যা হবার হয়ে গেছে ! এটাকে মেনে নেওয়া টা কি ভাল নয় ? তারপর উপর এই উছিলা দিয়ে উনাদের দুজনের ঝগড়া টা অবসান হবে ! এটা কি আপনি চান না ?





আরও কথা বার্তা হতে লাগলো ! আমি নিশির দিকে তাকিয়ে দেখি ও কি যেন ভাবছে !

-এই কি ভাবছো ?

-দেখো না একটু এডভেঞ্চার হবে ভেবে তোমার সাথে পালিয়ে বিয়ে করলাম এখন দেখি সবাই মেনে নিচ্ছে !

নিশির মুখে হাসি ফুটছে ! ও মোটামুটি ভেবে নিয়েছে যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাচ্ছে ! কিন্তু একটু আগেও ওর মুখ ছিল শুকনো !

বললাম

-তাহলে চল এখন এখান থেকে পালিয়ে যাই !

-কোথায় যাবা ?

-আমার কাছে হাজার পাঁচেক টাকা আছে জমানো ! চল যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাই ! টাকা শেষ হলে আবার ফিরে আসবো !

তাকিয়ে দেখি নিশির চোখ চকচক করছে উত্তেজনায় !

-চল !

-সত্যি ?

-হুম সত্যি ?



তখনই শুনতে পেলাম আব্বা আমাদের দুজন কে নাম ধরে ডাকছে বসার ঘরে যাওয়ার জন্য !

-যাবে না ?

-চল !



আমরা দুজন উঠে দাড়ালাম ! তবে বসার ঘরে যাওয়ার জন্য না !

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

মদন বলেছেন: =p~

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০২

অপু তানভীর বলেছেন: :D :D

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: পুরাডাই মজা পাইছি।

আপনার লেখনীও অনেক ভালা পাইছি।

থ্যাংকস অপু ভাই।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: থেঙ্কু :):)

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: ভালা পাইছি !

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

অপু তানভীর বলেছেন: :) :) :)

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৩

ডট কম ০০৯ বলেছেন: বাস্তবে ইরাম হয় না। ;) ;) ;)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: আসলেই বাস্তব ইরাম না ! মোটেই না ! ;)

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৪

রাজু মাষ্টার বলেছেন: হায়রে :|| :|| :|| :|| :|| :|| :|| :|| :||

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১০

অপু তানভীর বলেছেন: :D :D :D :D

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৯

জয় সুমন বলেছেন: কেমন কেমন হইসে । ১০ এর মধ্যে ৯ দিলাম আজকে ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: উকে :)

৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৭

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: মজার হয়েছে :#) B-)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: :) :) :) :)

৮| ১৩ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬

অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: এমন যদি হতো! #:-S 8-|

১৩ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: আহা এমন যদি হত !
কিন্তু এমন কোন দিনই হয় না ! ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.