নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.oputanvir.com

অপু তানভীর

আমার চোখে ঠোঁটে মুখে তুমি লেগে আছো

অপু তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিনটি অনুগল্প

১১ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

এক

-আপনি কি বুঝতে পারছেন আমার কথা ?

আমি অন্য কিছু ভাবছিলাম । নিশির কথা শুনে আবার ওর দিকে ফিরে তাকালাম ! চুপচাপ শান্ত মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
আমার এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে আসলেই সামনে বসা মেয়েটি আমার ছোট্ট বেলার পরিচিত সেই নিশি । এর সাথে কত খেলা করেছি মারামারি করেছি কত ! সেই ছোট্ট মেয়েটি আজকে এক সুদর্শনা তরুনী হয়ে আমার সামনে বসে আছে !

আগে সম্ভবত আমাকে ও তুই কিংবা তুমি করে বলতো আজকে বলছে তুমি করে ! আসলেই সময় বড় অদ্ভুদ একটা জিনিস । কত দিন ওর সাথে দেখা নেই । তুই বলাটা সহজে আসার কথা না ।
আমি বললাম
-হ্যা !
-কোন আপত্তি নেই তো ?
-নাহ ! আপত্তি কেন থাকবে ?

যদিও আমার কেন জানি নিশি এটা চাচ্ছে না । অন্তত ওর মুখের ভাব টা দেখে মনে হল ও যেন চাইছিলো আমি ব্যাপার টা আরেক টু ভেবে দেখি । যদিও এতো কিছু ভাবাভাবির কিছু নেই । কিন্তু আমার নিজেরও কেন জানি মনে হচ্ছিল যেন ব্যাপার টা না হলেই মনে হয় ভাল ছিল । আমার সামনে আমার সেই ছোট্ট বেলার বউ বসে আছে এটা ভাবতেই মনের ভেতরে কেমন যেন একটা অনুভুতি হচ্ছিলো !
আমি আবার বললাম
-আসলে তুমি যা বলছো তা তো ঠিকই ! আমাদের এখন সেই সব মনে রাখলে চলে নাকি !
-তা তো ঠিকই !

নিশি আমাকে আপনি করে বললেও আমি কেন জানি ওকে তুমি করেই বলে ফেললাম ! খানিকটা অবশ্য ভয় ছিল ও আবার কিছু মনে করে কি না কে জানে ! একে তো সুন্দরী তার উপর কানাডা থাকে সেখানে পড়ালেখা করেছে ! এমন মেয়েদের আত্মসম্মান বোধ অনেক থাকে । হুট হাট করে কেউ আপনি না বলে তুমি করে বললে চোখ কঠিন করে বলল
কি ব্যাপার আপনি আমাকে তুমি করে কেন বলছেন ?
কিন্তু ওর চেহারা দেখে তেমন কিছুই মনে হল না ! কে জানে ছোট্ট বেলার পরিচিত বলেই মনে হয় ও কিছু বলল না !
নিশি একটু সময় চুপ করে থেকে বলল
-তাহলে কাগজ পত্র রেডি করে ফেলি ?
আমি বললাম
-এসেবের কি দরকার আছে ? ছোট্ট বেলায় আমাদের আব্বারা কি ছেলে মানুষী করেছে সেটার জন্য আইনী প্রকিয়ার ভেতরে যাওয়ার কোন দরকার নেই ! আমি যতদুর জানি তখনও কোন আইনি প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাওয়া হয় নি !
-তা অবশ্য ঠিক । কিন্তু আমার কাছে ব্যাপার লিগ্যাল ওয়েতে নিস্পত্তি না হলে শান্তি আসবে না !
গত কয়েকটা দিনে নিশিকে নিয়ে বেশ ভেবেছি আমি । বিশেষ করে ওর ফোন টা আসার পর থেকেই । কেমন কাপা কাপা কন্ঠে যখন ফোনের ওপাশ থেকে বলল
-হ্যালো, নাগিম মাহমুদ বলছেন ?
-জি ! বলছি !
-আমি আরিসা আহমেদ ! ডাক নাম নিশি !

নিশি নাম টা শুনতেই স্মৃতির পাতায় কারো মুখ যেন একটু ভেসে উঠেই চলে গেল আবার । ৫/৬ বছরের একটা মেয়ের মুখ আসতে না আসতে আবার মিলিয়ে গেল । আর এল ভাসা ভাসা কিছু কথা !
আমি বললাম
-জি বলুন !
-আপনার ডাক নাম সম্ভবত অপু !
-জি ! আমি মনে হয় আপনাকে চিনতে পারছি !
-আপনার সাথে আমার দেখা হওয়া দরকার ।
-আচ্ছা !
-সম্ভব ?
-হ্যা ! কোথায় দেখা করবেন বলেন ?

বাসায় এসে খাবার টেবিলে নিশির কথা বলতেই দেখলাম বাবা মা দুজনেই কেমন গম্ভীর হয়ে উঠলেন ! বাবা তো বলেই উঠলো যে দেখা করার কোন দরকার নেই ! আমি কোন মানে বুঝলাম না !
আমার যতদুর মনে পরে এক সময় নিশিরা আমাদের আসেপাশেই থাকতো ! নিত্য দিনের খেলার সঙ্গি ছিল সে আমার । আমাদের পরিবারের ভেতরেও খুব ভাল সম্পর্ক ছিল । তারপর কিছু একটা হল । নিশি কিংবা ওর বাবা আমাদের বাসায় আসা বন্ধ হয়ে গেল । আমাদেরও ওদের বাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে গেল । কিন্তু কি সেই কারন আজও আমি জানি নি । অবশ্য খুব একটা জানতে চাই ও নি তখন ছোট ছিলাম বেশ । নিশির কথা ভুলে যেতে খুব বেশি দিন সময় লাগে নি !
রাতের বেলা মা আমার ঘরে এসে হাজির হলেন হাতে একটা ছবির এলবাম নিয়ে ! আমাকে দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন

-এই তোর আর নিশির কিছু ছবি আছে এখানে ! তোর বাবা আগেই সব নস্ট করে ফেলতে বলেছিলেন । আমি কটা লুকিয়ে রেখেছিলাম !
-মানে কি ? নষ্ট করে ফেলতে কেন বলবেন ? কি হয়েছিল ?
-লম্বা ইতিহাস ! সেটা জেনে তোর কাজ নেই । আমি গেলাম । তোর বাাব ঘুম থেকে জেগে আমাকে না দেখলে রাগ করবে ! মা আর দাড়ালো না !

আমি এলবাম উল্টে পাল্টে দেখতে লাগলাম ! পুরোনো কিছু কিছু কথা যেন আমার মনে পড়তে লাগলো !
কিন্তু যে কথাটা আমার মনে পড়ে নি সেটা নিশির কাছ থেকে শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পরলাম । নিশির দেখার করার প্রধান কারনও সেইটাই ! আমার নিজের কাছেই বিশ্বাস হচ্ছিলো না ! আসলেই কি ব্যাপার টা হয়েছিল এমন করে !
আর কিছু বলছে না দেখে আমি নিশিকে বললাম
-তাহলে তাই হোক ! তোমার যা ইচ্ছে ! কবে আবার আসতে হবে ?
-যতদ্রুত সম্ভব ! আমি আসলে কেবল এই কাজের জন্যই দেশে এসেছি !
-ও আঙ্কেল আন্টি কেউ আসে নি !
এই কথাটা জানতে চাইতেই দেখলাম নিশির মুখ টা কেমন মলিন হয়েগেল ! নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুটা সময় ! আমার তখনই মনে হল উনারা সম্ভবত আর বেঁচে নেই । তা না হলে নিশির এমন আচরন করার কোন কারন নেই !
আমি বললাম
-আই এম সরি ! তাহলে আপনি কিভাবে জানলেন ?

উত্তর দিতে হবে না দেখে নিশি যেন কিছুটা প্রসন্ন হল । অপ্রিয় কথা বলতে অনেকের ই ভাল লাগে না । নিশি বলল
-আম্মুর একটা ডায়েরি পড়ে জেনেছি ! জেনে এতো অবাক হয়েছিলাম ! আমার আপনার ব্যাপারে অনেক কিছুই মনে আছে কিন্তু এটার কিছুই মনে নেই ! আশ্চর্য !
-আমারও মনেই নেই ! তখন এসবের কিছু বুঝতাম নাকি !
-তা ঠিক !
আমার মনে সেই কখন থেকে একটা কথা বারবার ঘুর পাক খাচ্ছিল ! কিন্তু জিজ্ঞেস করতে কেমন যেন সংকোচ হচ্ছিল । শেষে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম !
-ইয়ে মানে ওখানে কাউকে পছন্দের নেই ?
-না ! তেমন কেউ নেই ! আসলে বাবা মা মারা যাওয়ার পরে ওখানে আমি হোমে বড় হয়েছি । নিজের জীবিকার চিন্তায় অস্থির থাকতাম তো তাই এসব আর চিন্তা করি নি কিছু ! আসে নি !
-ও !

আর কি বলবো কিছুই খুজে পেলাম না ! দুজনেই খানিকটা সময় চুপ করে রইলাম ! একটা সময় ওঠার সময় হল । নিশি বলল ও এখানে একটা হোটেলে উঠেছে । দেশে কিংবা বিদেশে ওর কোন আত্মীয় নেই যে সেখানে উঠবে !
নিশি কথাটা বলে কিছু টা সময় চুপ করে রইলো । কি বলবে আর যেন খুজে পাচ্ছে না ! আমি ওকে দেখতে লাগলাম ! আসলেই নিশি অনেক বেশি সুন্দরী হয়ে উঠেছে । সেই ছোট বেলাতেই ও অবশ্য বেশ কিউট ছিল । চেহারা টা একটু চাইনিজ ভাব ছিল তবে সেটাই যেন ওকে আরও বেশি সুন্দরী লাগছো । আমরা আমাদের বাসার উঠানে , বাড়ির পেছনে পুকুর পাড়ে সব জায়গায় খেলা করতাম । ঘরঘর খেলায় নিশি সব সময় আমার বউ হত, কি চমৎকারই না দিন ছিল আমাদের !
বাবা মায়ের কথা মনে আসতেই ওর মনটা একটু যেন খারাপই হয়ে গিয়েছিল ! আমি বলল
-আচ্ছা যদিও কাজ গুলো শেষ করতে এখন তো তুমি আমার বউ নাকি ?
নিশি কিছু টা সময় আমার দিকে তাকিয়ে থেকে তারপর বলল
-হিসেব মত তো তাই ই !
-ভাবতেই কেমন লাগছে । কয়েক ঘন্টা আগেও আমি ব্যাচেলর ছিলাম আর এখন জানতে পারলাম আমি আসলে সেই কবে বিবাহিত ! হাহাহা !
নিশিও হাসলো আমার সাথে ! আমি বললাম
-চল আর মনে হয় সুযোগ নাও পেতে পারি, তোমাকে ফুসকা খাওয়াই ! নিজের বউকে নিয়ে ঘুরতে বেড়ানোর মজাই আলাদা !

নিশি কিছুটা সময় অসস্তি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ! তবে ওর চেহারা দেখে মনে হল অসস্তি বোধকলেও ও বেশ খুশি হয়েছে ! তারপর ওকে বেশ খানিক্ষন ঘুরাঘুরি করলাম ! এসেবের কোন কারন ছিল না তবুও কিছু হিসেব ছাড়া কাজ করতে খারাপ লাগলো ! ওকে হোটেলে রেখে আসার সময় হঠাৎই আমার মনে হল যে নিশি আসলে যে কাজ টা করতে এসেছে সেটা না করলেই মনে হয় ভাল হত ! কেন এই চিন্তাটা মাথায় এল আমি ঠিক জানি না, তবে মনে এল !


বাসায় এসেই মায়ের মুখোমুখি হলাম । মা আমার চেহারা দেখেি বুঝে গেল যে আমার নিশরি সাথে দেখা হয়েছে ! কিন্তু আশে পাশে বাবা থাকায় তেমন কিছু জানতে চাইলেন না । এমন কি খাওয়ার সময়ও মা চুপ করে করে রইলো । বাবাকেও দেখলাম অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ খানিকটা গম্ভীর ! এক প্রকার কোন কথা বার্তা ছাড়াই খাওয়া শেষ করলাম !
গত দিনের মত রাতের বেলা মা এসে নিশির কথা জিজ্ঞেস করতে লাগলেন । দেখতে কেমন হয়েছে । ফর্সা হয়েছে নাকি কালো হয়ে গেছে আরও কত রকম প্রশ্ন ! কিন্তু যখন ওর বাবা মার কথা বললাম মা কেন যেন একদম চুপ হয়ে গেল ! একটা কথাও বললেন না ! চুপচাপ ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন !


নিশ্চয়ই মায়ের সাথে তাদের অনেক ভাল সম্পর্ক ছিল । তাই তো খবর টা এতো শক দিলো তাকে । আমি চুপচাপ শুয়ে পড়লাম !
পরদিন টা কাটলো অফিসের বেশ ব্যস্ততায় কাটলো ! নিশির কথা মনে করার সময়ই পেলাম না ! ক্লান্ত হয়ে যখন বাসায় এসেছে তখনই একটা ধাক্কার মত খেলাম !

বাসায় এসে দেখি নিশি আমাদের ঘরের সোফার উপর বসে আছে মাথা নিচু করে । বাবা তাকে কি যেন বলেই চলেছে ! আমি প্রথমে বাবার কোন কথা ঠিক বুঝতে পারলাম না ! যে কয়েকটা শব্দ কানে এল তার কিছুই মাথায় ঘুকলো না !
আমি মায়ের কাছে গিয়ে বলল
-কি ব্যাপার নিশির কিভাবে এল ?
-তোর বাবা নিয়ে এসছে !
-মানে কি ? বাবাই না বলল যে দেখা না করতে তাহলে ?
-নিশির বাবার মারা যাওয়ার কথা শুনে আর স্থির থাকতে পারে নি ! কিভাবে কিভাবে জানি খোজ বের করেছে নিশি কোন হোটেলে আছে । জানিসই তো বাবা পারে না এমন কোন কাজনেই । সেই হোটেলে গিয়ে নিশিকে নিয়ে এসেছে । আমি তোকে কয়েকবার ফোন দিয়ে ছিলাম ! তুই ধরিস নি ।
-ব্যস্ত ছিলাম !
এই কথা বলতে বলতে বাবা ডাক দিলেন ! আমি তার সামনে গিয়ে দালাম !
-তোরা নাকি কি ডিভোর্সের কথা বলছিস ?
-হ্যা ! বাবা ! ও এই জন্যই এসেছে !
-তোদের তখন বিয়েটা কে দিয়েছিল ? আমি আর সাফায়েত মিলে দিয়েছিলাম !
-বাবা, তখন আমরা কত ছোট ছিলাম ! ঐ.....
-চুপ ! থাপড়ায়ে দাঁত খুলবো ! বেশি বুঝিস তুই ?
আমি কোন কথা না বলে চুপ করে গেলাম । দেখলাম নিশিও কোন কথা না বলে চুপ করে রইলো !
আব্বা বললেন
-সাফায়েতের বেশি ইচ্ছে ছিল তোকে ওর জামাই বানাবে ! ও আজ নেই তাই বলে কি ওর ইচ্ছার কোন দাম নেই !
-কিন্তু কোন কিন্তু না ! তোদের বিয়ের কাবিন আছে আমার কাছে ! প্রমান নেই কে বলল ! কোন কথা শুনতে চাই না !
তারপর নিশির দিকে তাকিয়ে বলল
-শুনো আজ থেকে তুমি এখানে থাকবে ! এটা তোমার বাসা আজকে থেকে । তোমার বাবা মায়ের পর আমি তোমার অভিভাবক !

নিশি কোন কথা না বলে কেবল কিছু সময় চুপ করে বাবার চেহারার দিকে তাকিয়ে রইলো । আমিও কম অবাক হই নি ।
বাবা ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার পর মা নিশিকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে লাগলো !
-মিলির মেয়েটা কত বড় হয়ে গেছে । তুমি কি জানো মিলি আর আমি কত ভাল বন্ধু ছিলাম ?
নিশির চেহারায় কেমন যেন একটু আনন্দের আভা দেখতে পাচ্ছিলাম । কেন জানি মনে হল এতো দিন পর কারো আদর পেয়ে নিশি নিজেও একটু আবেগে সিক্ত হয়ে পরেছে ।
-আমার আসলে সেব কথা কিছু মনে নেই তবে মায়ের ডায়রী আপনার কথা অনেক শুনেছি !
-ও খুব কষ্ট পেয়েছিল তোমার বাবা আর অপুর বাবার ঝগড়া নিয়ে ! আসলে আমিও কম কষ্ট পাই নি ওর কাছ থেকে দুরে থাকাতে । তোমরা চলে যাওয়ার পরেও আমাদের যোগাযোগ হত ! তবে খুব গোপনে ! তোমার বাবারা যে কি শুরু করেছিল । তবে তোমরা বাইরে চলে যাওয়ার পর আর যোগাযোগ রাখাটা সম্ভব হয় নি । তখনও আর এখন কার মত যোগাযোগ ব্যবস্থা এমন ছিল না !
তারপর আরও পুরানো দিনের আরও কত কথা বলতে বলতে চোখ মুছলো !

তারপর ঘটনা খুব দ্রুত ঘটতে লাগলো । রাতের বেলা বাবা কোথা থেকে যেন আবার একটা কাজি নিয়ে ডেকে নিয়ে এল । আবারও আমাদের বিয়ে হল । বাবা বললেন যেন আমাদের মনে কোন রকম অস্বস্তি না থাকে । রাতের বেলা নিশি যখন লাল শাড়ি পরে আমার ঘরে এল আমি তখনও কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না !
নিশিকে হঠাৎ দেখলাম ও যেন ঠিক মানিয়ে নিয়েছে । আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আমি এটা এক্সপেক্ট করি নি ।
-আমিও না ! তবে.....
-তবে...?
-আসলে জোড়া সেই উপর থেকে লেখা থাকে । তবে তুমি যখন প্রথম বার যখন আমাকে বললে না আমার তখন কেন জানি মনে হচ্ছিলো কাজ টা না করলেই মনে হয় ভাল হত !
-তাই ?
-হুম ! পুরানো দিন গুলোর কথা বেশ মনে পড়ছিল । তোমার মনে পরছিল । তোমার মনে আছে আমাদের পাশের বাসায় রিমন রিমু নামের আরেক টা মেয়ে ছিল । বর বউ খেলার সময় তাকে তুমি কোন দিন আমার বউ হতে দিতে না !
নিশি হেসে ফেলল !
-মনে আছে !

ঐ দিন রাতের বেলা বলতে গেলে আমরা কথা বলেই কাটিয়ে দিলাম ! ঠিক আগের মত যখন আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা একসাথে খেলা করে কাটিয়ে দিতাম ! হঠাৎ করেই পুরানো কিছু খুজে পেয়ে আবার যেন আমার নতুন একটা জীবন শুরু হয়ে গেল !


দুই

-এইটা আমার মোবাইল !
-তাই নাকি !
সেতু যদিও ফোনের অন্য পাশে থাকা মানুষটার চেহারা দেখতে পাচ্ছে না তবুও ওর মনে হল যেন মানুষ টা খুব মজা পেয়েছে ওর কথা শুনে । সেতু আবার বলল
-এটা আমার মোবাইল !
-প্রমান কি ? আমার কাছে রয়েছে, সুতরাং এটা আমার !
-না আমার !

ওর এতো পছন্দের একটা ফোন । এক মাসও হয় নি ফোন টা কিনেছে আর এরই মধ্যে ফোন টা হারিয়ে গেল । সেতুর কান্না আসতে লাগলো । সেই সাথে ওপাশে থাকা মানুষটার উপর প্রচন্ড রাগ হতে লাগলো !
এখনও বাসায় জানে না যে সেতু ওর নতুন মোবাইল টা হারিয়ে ফেলেছে । জানলে কি করবে কে জানে !
অনেক সখ করে সেতু আর তার কয়েকজন বান্ধবী মিলে গিয়েছিল ঢাকা ভার্সিটি এলাকায় ঘুরতে । যদিও সেটা ওদের বাসা থেকে অনেক দুরে । উত্তরা থেকে টিএসসি আসাটা খুব বেশি সহজ কাজ নয় তবুও ওর আর ওর বন্ধুদের কাছে এটা কোন ব্যাপার নয় । সব কিছু ঠিকই চলছিল, সারাটা দিঐ ওরা অনেক জায়গায় ঘুরে বেরালো । অনেক আড্ডা দিল । কিন্তু যখনই বাসায় এসে হাজির হল সেতু লক্ষ্য করলো যে ওর কাছে ওর নতুন ফোন টা নেই ।

কোথায় গেল কিছুই মনে করতে পারলো না । তক্ষুনি ফোন দিল কিন্তু ফোন টা বন্ধ ছিল । এসব গতকালকের ঘটনা । আজকে সকালে ফোনে আরেকবার ফোন দিতেই সেটা রিং হতে শুরু করলো । সেতুর বুকের ভেতরে কেমন একটা টিপটিপ অনুভুতি হতে লাগলো । ফোন ধরেই বাচ্চাদের মত করে বলল যে ওটা ওর ফোন ।
ওপর পাশ থেকে আবার বলল
-এটা এখন আমার ফোন !
-আপনি একটা খারাপ মানুষ !
-সবাই যে ভাল হতে হবে এমন কোন কারন নেই ।
-আপনি বদ ! চোর !
-এই তো ভুল বললে ! ফোন টা আমি চুরি করি নি কুড়িয়ে পেয়েছি ! এতো চমৎকার একটা ফোন যে ঠিক মত সামলাতে পারে না তার এটা ব্যবহার করার কোন অধিকার নেই ।

সেতু কি বলবে খুজে পেল না । অবশ্য বলে কোন লাভও নেই । ওর আসলে কিছুই করার নেই । যে লোকটা ফোনের সিম খুলে ফেলে তাহলে আর কোন দিন যোগাযোগ করতে পারবে না । কোন খোজও পাবে না ! সেতু রাগ করে ফোন রেখে দিল । এভাবে কথা বলার কোন মানে নেই । সেতু নিজের ফোনের আশা ছেড়েই দিল । ঠিক ১৫ মিনিট পরে আবারও ওর আগের নাম্বার থেকে ফোন এল ওর মোবাইলে !
-কি চাই আপনার ?
-কোথায় থাকো তুমি ?
-কেন ?
-আরে বলই না !
-উত্তরা !
-অনেক দুর ! কিচ্ছু করার নেই । এক কাজ কর নিউমার্কেট আসো ! এসে তোমার ফোন নিয়ে যাও !
সেতুর প্রথমে মনে হল ও মনে হয় ভুল শুনছে । শিওর হওয়ার জন্য বলল
-কি বললেন ?
-বললাম যে এখন রওনা দাও । নিউমার্কেট আসো ! আমি ঘন্টা খানেক পরে সেখানে যাবো ! এসে তোমার ফোন নিয়ে যাও !
-সত্যি বলছেন ?
-সত্যি কেন বলবো না ?
সেতু কি বলবে বুঝতে পারলো না !
ওপাশ থেকে মানুষ টা আবার বলল
-শুনো মানুষটা আমি খুব ভাল না হলে খুব খারাপ নই । অন্তত বাচ্চা একটা মেয়ের মোবাইল ফোন মেরে দেওয়ার মত এতো খারাপ নই ! এখন বাজে ১০টা ! আমি ২টার বেশি থাকবো না ! এর পরে আসলে কিন্তু আমার বাসা থেকে তোমার ফোন নিয়ে যেতে হবে !
সেতু আর দেরী করলো না ! যদিও ওর এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না যে লোকটা আসলেই ওর ফোন ফেরৎ দিবে কি না ! নাকি অন্য কোন মতলব আছে নাকি ! যদিও নিউমার্কেটতে মানুষটা কিছু করার সাহস পাবে না ! যখন বাসে উঠে পরেছে তখন মনে হল মিমিকে একবার ফোন করে জানায় !

সব শোনার পরে মিমি ওকে এক ঝাক বকুনী দিল এভাবে একা একা বের হওয়ার জন্য । তারপর বলল যে খবরদার যাতে সে কিছুতেই অন্য কোথাও না যায় । কোন চিপাচাপার ভেতরে না ঢুকে ।

যখন নিউমার্কেটে পৌছালো তখন প্রায় একটা বেজে গেছে । লোকটার সাথে এরই মাঝে আরও একবার কথা হয়েছে । ওকে চার নাম্বার গেটের কাছে দাড়াতে বলেছে । সেখানে দাড়িয়ে সেতু এদিক ওদিক দেখতে লাগল । এই এলাকার দিকে ওর আসা হয় না বললেই চলে । সব কিছুই বলতে গেলে এখানে অপরিচিত । আসলে এতো দ্রুত চলে এসেছে মোবাইলের কথা শুনে এখন ওর একটু ভয় ভয়ই করতে লাগলো । না জানি সামনে ওর জন্য কি অপেক্ষা করছে । বাসায় এখনও জানে না যে ওর ফোন হারিয়ে গেছে তাই বাসায় ঠিক মত বলতে পারে নি ও কোথায় যাচ্ছে । কেবল বলেছে মিমির কাছে যাচ্ছে । এখন যদি ওর কোন বিপদ হয় যদি ঐ লোকটা ওকে কিডন্যাপ করে তখন ?
ওর মনে হল এভাবে চলে আসাটা একদম ভুল হয়েছে । চলে যাবে ?
এতো কাছে এসে চলে যাবে ? তবে একটা আফসোস থেকেই যাবে ! কি করবে না করবে ভাবতে ভাবতে কাধে মৃদু টোকা পেল ! চমকে গিয়ে ফিরে দেখলো ২৪/২৫ বছরের একটা ছেলে ওর দিকে তাকিয়ে আছে । মুখে একটু দুষ্টামির হাসি !
-সেতু !
-হ্যা ! আপনি ! আমিই সেই অধম যার কাছে তোমার ফোন !
তখনই সেতুর মনে হল যে লোকটা ওর নাম জানলো কিভাবে আর চিনলোই বা কিভাবে ! নিশ্চই এর ভেতরে কোন সমস্যা আছে ! সেতুর মনে হল এখান থেকে পালানো দরকার । যদিও আশেপাশে অনেক মানুষ আছে । তবে ছেলেটা নিশ্চয়ই সে রকম প্লান করেই এসেছে । আল্লাহ না জানি কি করবে !
ছেলেটা যেন ওর মনের কথাটাই পরে ফেলল চট করে । মুখে হাসি নিয়ে বলল
-ভাবছো যে তোমার নাম আর তোমাকে কিভাবে চিনলাম ?
-হু !
-হাহাহাহহা ! আরে বোকা মেয়ে বুঝতছো না কেন তোমার ফোন আমার কাছে ছিল । সেখানে গ্যালারী আছে সেখানে তোনার সেলফি আছে আর কত কিছু !
-কি ! আপনি আমার গ্যালারী দেখেছেন ? আপনি তো মানুষ ভাল না ! এটা কেউ করে !
বলেই মনে হল কি বলছে এসব ! এসব বলা মানায় ওর ? ওর দোষ ও নিজের ফোন হারিয়েছে !
ছেলেটা বলল
-হ্যা ! একটু অন্যায় হয়েছে অবশ্য ! তবে কৌতুহল রাখতে পারি নি ! যাই হোক সরি ! আর এই নাও তোমার ফোন ।
ফোন টা হাতে পাওয়ার পরেও সেতুর ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না ! সামনে দাড়ানো মানুষটাক এখন আর খারাপ মানুষ বলে মনে হচ্ছে না ! মনে হচ্ছে তার মত যেন আর মানুষই হয় না ! এমন মানুষই হয় নাকি !
ছেলেটা বলল
-আমি এই যে তোমার মোবাইল টা ফেরৎ দিলাম বিনিময়ে এক প্লেট ফুচকা কি পেতে পারি আমি !
সেতু হেসে ফেলল !
-পারেন ! আর কি খাবেন বলেন ? আসলে আমি ভাবতেই পারছি না যে মোবাইল টা ফেরৎ পেয়েছি !
-আপাতত ফুচকা ! পরে দেখা যাবে !
-আমিতো এদিক টার তেমন কোন কিছু চিনি না । আপনি নিয়ে চলেন !

ছেলেটাকে আসলেই এখন আর খারাপ ছেলে মনে হচ্ছে না । তার উপর হাসিটাতে কেমন একটা মায়ামায়া ভাব আছে ।
ছেলেটার অনেক কথা বলল । বলল কেন সে ফোন টা ফেরৎ দিয়েছে যদিও খুব ইচ্ছে করছিল ফোন টা মেরে দেওয়ার জন্য কিন্তু মনে শান্তি পেত না বলে পারে নি । সেতুর ব্যাপারেও অনেক কথা জানতে চাইলো । কোথায় পড়ে কোথায় থাকে, বাবা মা কি করে ! এই সব ! খাওয়া শেষে এমন কি বিলটাও সেতুকে দিতে দিল না ! সেতুতো কিছুতেই বিল দিতে দিবে না কিন্তু শেষে হার মানলো !
ছেলেটা একেবারে ওকে উত্তরার গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে তারপর গেল । যখন গাড়ি ছেড়ে দিল তখনই সেতুর মনে হল এতো কথাভল অথচ সে এখনও ছেলেটার নাম পর্যন্ত জানে না ! একটা বারও জানতে চায় নি ! জানলা দিয়ে বার কয়েক খোজার চেষ্টা করলো । কিন্তু কোথায় পেল তাকে । ভিড়ের ভেতরেই হারিয়ে গেছে কোথায় !


হঠাৎ করেই মন খারাপ হয়ে গেল । বাসায় এসেও মন খারাপই রইলো !
ছেলেটার সাথে মনে হয় আর কোন দিন দেখা হবে না । ছেলেটা ওকে ওর হারানো মোবাইল দিয়েই কল করেছিল তাই ছেলেটার নাম্বারও সে জানে না ! মনটা খারাপ হয়েই রইলো !

রাতের বেলা শুয়েশুয়ে ফেসবুকে চালাচ্ছিলো তখনই অবাক হয়ে দেখলো শাফাত রাফি নামে একজন অপরিচিত মানুষের স্টাটাস ওর ওয়ােল ঘুরে বেড়াচ্ছে । নামের উপর ক্লিক করেই দেখলো সে ওর ফ্রেন্ড লিস্টে আছে । কিন্তু ওকে ঠিক মত চিনে না ! আনফ্রেন্ড করে দিতে যাবে তখনই ছবিটা আরও একটু ভাল করে লক্ষ্য করতেই ওর হার্ট বিট বেড়ে গেল !
আরে এই ছেলেটা ওর ফ্রেন্ড লিস্টে এলো কিভাবে ?
সঙ্গে সঙ্গেই নক করলো তাকে !
-আপনি আমার ফ্রেন্ড লিস্টে ঢুকলেন কিভাবে ?
রিপ্লে এলো সাথে সাথেই !
-মেয়ে ভুলে যাচ্ছো কেন ? তোমার ফোন টা আমার কাছেই ছিল ! পুরো একদিন !

সেতু কি বলবে ঠিক খুজে পেলনা ! কেবল অনুভব করলো যে ছেলেটাকে আবার খুজে পেয়ে তার মনে অসম্ভব আনন্দ হচ্ছে ! হয়তো নতুন গল্প শুরু এখান থেকেই.......


তিন

মিমির ইন্ট্রাগ্রামে একাউন্টে ঢুকেই পড়লাম । আমি যতদুর জানি আমাদের ক্লাসের অনেকেই ওর একাউন্ট ফলো করার জন্য রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল কিন্তু ওর কারো রিকোয়েস্ট গ্রহন করে নি ! আমার টা কেন করলো আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না ।

তবে যা হয় ভালর জন্যই হয় ! আমি প্রতিদিন নিয়ম করে ওর একাউন্টে ঢুকি । যত গুলো ছবি আপলোড সেগুলেতে লাইক দিয়ে বের হয়ে আসি ! আর ছবিও কি একখান । মাশাল্লাহ ! এই জন্যই আমি বলি কেন সে ক্লাসে কাউকে এড করে না !
মিমি হল আমাদএর ক্লাসে সবার ড্রিম গার্ল ! কালো রংয়ের একটা পাজেরো করে প্রতিদিন ক্লাসে আসতো, ক্যাম্পাসে পা দেওয়ার সাথে সাথেই সব কিছুই যেন ওকে ঘিরে ঘটতে থাকতো ! ওকে দেখে মনে হত ও মনে হয় এসব উপভোগ করছে !

অন্য সবার মত আমার মনেও সে ছিল, আসলে মিমি এমন একটা মেয়ে ছিল যে তাকে মন থেকে বের করে অন্য কারো কথা ভাবা খুব একটা সহজ কাজ ছিল না ! আমার কাছে মিমির সব থেকে আকর্ষনের জায়গা ছিল ওর ঠোঁট । একাবারে গোলাপী জেলির মত । কেন জানি চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে মন চাইতো ! জীবনে তখন কেবল একটা লক্ষ্যই ছিল যে ওর ঠোটে চুমো খাওয়া !
একদিন মিমি এমন একটা ছবি আপলোড দিলো যে আমি কমেন্ট না করে পারলাম না ! সেই ছবি ! দেখলাম সেই কমেন্টের রিপ্লাইতে সে কেবল একটা হাসির ইমোটিন দিল । তাপর থেকেই টুকটাক কমেন্ট করতাম । কিন্তু ক্লাসে কোন দিন কথা মিমি আমার সাথে কথা বলতো না ! তবে ওর চোখ যে আমার দিকে নিবদ্ধ থাকতো মাঝে মাঝে সেইটা বুঝতে কষ্ট হত না !

খাওয়া দাওয়ার ছবি আপলোড করলে আমি নিচে লিখতাম যে খেতে ইচ্ছে করছে পরদিন কিভাবে যেন আমার ব্যাগের ভেতরে কিছু চলে আসতো ! প্যাকেটে করে একটা টুকরো কেক, চকলেট আরও কত কিছু । এই ভাবে আমাদের সম্পর্কটা আস্তে আস্তে এগুতে লাগলো ! যদিও ওর ফেসবুক একাউন্টে এড ছিলাম তবুও ওখানে খুব বেশি একটিভ দেখতাম না ! কোন স্টাটাস কিংবা ছবি আপলোড করতো না । কালে ভাদ্রে দু একটা ছবি পোস্ট করতো ! আমার কেন জানি মনে হত যে এটা ওর আসল একাউন্ট না ! সত্যি তাই হল । একদিন ওর
আসল একাউন্টের খোজ পেয়ে গেলাম । এডও হয়ে গেলাম !
একদিন তারপর সাহস করে ওকে ইণবক্স করেই ফেললাম !
সাথে সাথেই রিপ্লাই এলো । এরপর চলল ইনবক্সে কথা চালাচালী !

একদিন মিমি আমার কাছে জানতে চাইলো
-তুমি ইনবক্সে এতো কথা বল তাহলে সরাসরি বল না কেন ?
-কারন বাস্তব জীবন টা খুব সহজ না !
-কেন ?
-্তোমার জন্য সহজ কিন্তু আমার জন্য না ! এখানে হয়তো কোন সমস্যা নেই কিন্তু বাস্তবে তোমার আর আমার ক্লাস আলাদা তুমি জানো না ?
-কি রকম ? মানে কি ?
-মানে হল তুমি চল পাজেরোতে আর আমি চলি ৬ নাম্বার বাসে ! এটাই হল পার্থক্য !
-ক্লাস কিন্তু চাইলেই পার করা যায় !
-নাহ ! অত স হজ না ! আমি চাইলেও তোমার লেভেলে উঠতে পারবো না ! তবে তুমি অবশ্য চাইলে আমার লেভেলে নেমে আসতে পারবে ! কিন্তু কতক্ষন থাকতে পারবে সেটাই প্রশ্ন !
তারপরই একদিন প্রথম ওর সাথে কথা হল । আমি বারান্দায় দাড়িয়ে ছিলাম । স্যার ছিল না ক্লাসে ! মিমি খুব সহজ ভাবে আমার কাছে এসে একটা বই এগিয়ে বলল
-এই নাও ! কালকে যেটা পড়তে চেয়েছিলে !

আমি একটু অবাক হল এই দেখে যে মিমি নিজ হাতে বইটা আমার কাছে পৌছে দিতে এসেছে ! অন্যান্য দিনে ও কোন এক ফাকে আমার ব্যাগের ভেতরে রেখে দিত ! আজকে সবার সামনেই এল ! আমি কেবল একটু হাসলাম ! আমার হাসি দেখে ও হাসলো !
এদিকে পুরো ক্লাস আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে । কেউ আসলে ভাবতেই পারছে না মিমি আমার সাথে কথা বলছে তাও আবার কেবল কথা না আমার জন্য কিছু নিয়ে এসেছে !

আরেক দিন ইনবক্সে ওর সাথে এটা ওটা কথা বলতে বলতে হঠাৎই সেই ওর ঠোটের কথাটা বলে ফেললাম ! বলেই মনে হল ভুল করলাম ! এইবারই মনে হয় ভুল করে ফেললাম ! এখনই মনে হয় ও আমাকে ব্লক করে দিবে । যদিও ব্লক করলো তবে আর কথাও হল না !


পরদিন বৃষ্টির ভেতরে ক্লাসে গিয়ে দেখি তেমন কেউ আসে নাই কিন্তু মিমি এসেছে । আমার দিকে কেমন চোখে তাকাতে লাগলো !
ছুটির পরে আমি বৃষ্টি হচ্ছি । আমি দাড়িয়ে রইলাম বারান্দায় ! মিমি পাশে এসে বলল
-বৃষ্টি হচ্ছে ! চল তোমাকে পৌছে দেই !
-না, সমস্যা নেই আমি যেতে পারবো !
-একদিন আমার গাড়িতে উঠলে কি হবে !
-কিছু হবে না ! প্লিজ অনুরোধ কর না !

মিমি কিছু না বলে চলে গেল ! আমি ভেবেছিলাম চলে গেছে কিন্তু যখন বৃষ্টি থামলো আমি গেটের কাছে এসে দেখি ও দাড়িয়ে আছে । আমার জন্যই যে সেটা অবশ্য বলে দিতে হল না !
মিমিকে বলল
-তোমার গাড়ি কোথায় ?
-ছেড়ে দিয়েছি !
-সেকি কেন ? এখন বাসায় যাবে কিভাবে ?
-তুমি যেভাবে যাবে !
আমি হেসে বললাম
-৬ নাম্বার বাসে চড়তে পারবে ?
-পারবো !
ওর বলার ভঙ্গি দেখেই মনে হল ও পারবে !

তবে বাসে উঠলাম না ! রিক্সায় উঠলাম ! বৃষ্টি থেমে গেলেও আকাশের অবস্থা খুব বেশি ভাল ছিল না ! আমরা রিক্সায় উঠে হুড তুলে দিলাম ! মিমির এতো কাছে আমি এর আগে কোন দিন আসি নি, মিমি কেন অন্য কোন মেয়েরও এতো কাছে আমি আসি নি ! অনুভব করলাম বুকের ভেতর কেমন একটা ঢিপঢিপ করছিলো ! একটু পরেই তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল । আমরা পলি নিয়ে কোন রকম বৃষ্টি থেকে বাঁচার চেষ্টা করছিলাম !

মিমির কাছে এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম ! ওর মুখে দিকে তাকিয়ে দেখহি ওর ঠোঁট দুটো একটু কাঁপছে । আমার ভেতরে কি হল আমি ঠিক বলতে পারবো না ! অনেক টা ওকে অবাক করে দিয়েই ওর ঠোঁটে গভীর ভাবে চুম খেলাম ! প্রথমে ও অবাক হলেও ও সামলে নিল ! যখন ওর ঠোঁট থেকে নিজের ঠোঁট সরালাম ও আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-ইঙ্গিত তো দিবা !
-তোমার মনে হয় যে বলে কয়ে এটা আমার পক্ষে করা সম্ভব ছিল !
-আমি ভাবতাম তোমার পক্ষে এটা সম্ভবই ছিল না !
-কিই ই ই !

তারপর আরেক দফা চুমু পর্ব চলল ! চারিদিকে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে এর ভেতরে দুজন ছেমে-মেয়ে রিক্সার ভেতরে একে অপর কে চুম খাচ্ছে ! অন্য কোন দিকে তাদের লক্ষ্য নেই !

তারপর থেকেই আমাদের সম্পর্ক অন্য রকম হয়ে গেল । আস্তে আস্তে সবাই জেনে গেল যে মিমির সাথে আমার কিছু চলছে । ক্লাসে সব ছেলে গুলো আমার দিকে তীব্র ঈর্শার দৃষ্টিতে তাকাতে লাগলো ! আমার অবশ্য এতে ভাল লাগতো ! আমাদের অবশ্য সেদিকে লক্ষ্য কম থাকতো ! আমি তখনও ওর ঠোটে চুমু খেয়েই কূল পাই না !
মাঝে মাঝে মিমি হেসে বলত
-তুমি আসলেই একদিন আমার ঠোঁট টা খেয়েই ফেলবে ! কি আছে এর ভেতর বল তো !
আমি হেসে বলতাম
-সময় থাকতে থাকতে যতটুকু পারা যায় !

আমি হাসলেও মিমি এই কথা শুনে হাসত না ! আমি জানতাম ও ঠিকই বুঝতে পারতো আমি কি বোঝাতে চাইছি ! তবে আমি মানষিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়েই রাখলাম যে কদিন পরেই আমার ব্রেক আপ হয়ে যাবে । হয়তো কদিন পরেই মিমির বাবার পছন্দের কোন আমেরিকা ফেরৎ ছেলের সাথে ওর বিয়ে হয়ে যাবে ! ওর কিছু করার থাকবে না আমারও না !

সেই মানষিক প্রস্তুতি আমি নিয়ে রেখেছিলাম । কিন্তু তেমন টা হল না ! পড়ােলখা শেষে সত্যি সত্যিই মিমির বাবার পছন্দের এক আমেরিকা ফেরৎ ছেলে ওকে দেখতে এল ! মিমি আমাকেও নিয়ে গেল তার সাথে দেখা করতে ! কেন নিয়ে গেল আমি ঠিক জানি না !
ছেলে দেখতে খুব সুদর্শন ! আমি তার কাছে কিছুই না ! ওদের থেকে একটু দুরে টেবিলে বসে ছিলাম । হঠাৎ করেই দেখলাম মিমি
আমাকে হাতের ইশারা করে ডাকছে । ততক্ষনে সুদর্শন পুলার মুখ কেমন কালো হয়ে গেছে !
আমি কাছে যেতেই মিমি আমার হাত ধরে বলল
-একে দেখছেন না ! একে আমি বিয়ে করবো ! যে কোন মূল্যে !

ঠিক তখনই আমি মিমির চেহারার দিকে তাকিয়ে ছিলাম ! ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আমার মনে হল এতো দিন আমি ভুল জেনে এসেছি ! এই মেয়ে নিশ্চয়ই আমাকে বিয়ে করবে । যে কোন মূল্যেই ! কিন্তু ঐদিন যে ও আমাকে বিয়ে করতে চাইবে !
যখন বিয়ে করে কাজী অফিস থেকে বের হলাম তখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না ! এবং অবাক করার বিষয় হচ্ছে আমাদের বিয়ের সাক্ষী হয়েছে মিস্টার সাব্বির, আমেরিকা ফেরৎ ঐ সুদর্শন পুলা !


প্রথম প্রথম মিমির মানিয়ে নিয়ে একটু কষ্ট হত আমি বুঝতাম । কিন্তু বছর খানেকের ভেতরেই আমি বেশ ভাল একটা চাকরী পেয়ে গেলাম ! তবে অবশ্য জানতাম এতে মিমির বাবার হাত ছিল । একটু খারাপ লাগছিল নিজের কাছে তবে মিমির জন্য এতটুকু মেনে নিলাম ! মেয়েটা আমার জন্য এতোকষ্ট করছে এতো ছাড় দিচ্ছে আমিও না নিজের কিছুটা ছাড় দেই ! তবে এতো কিছুর পরেই মিমি ঠোটে চুম খাওয়া বন্ধ হল না ! এমন কি বিয়ের ৫ বছর পা হয়ে গেলেই । প্রতিদিন যেমন ভাত খাই ঠিক তেমনি ভাবে মিমির ঠোঁটে আমার চুম খাওয়া আমার চাই ই চাই ! এমন কি মাঝে মাঝে ও যখন আমার উপর রাগ করে থাকতো তখনও !
রাতের বেলা গম্ভীর মুখ গিয়ে বললাত
-আপাতত যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হোক ! চুমু পর্ব শেষ হলে আবারও রাগ পর্ব শুরু হবে !
-খবরদার না ! তুমি আমার কাছে আসবে না বলে দিলাম !
-আরে মানে কি ! রাগ আছে রাগের জায়গায় ! চুম আছে চুমর জাগায় !

মিমি একটু বাধা দেওয়া চেষ্টা করতো কিন্তু কোন লাভ হত না ! ওকে আমার চুম খাওয়া চাই ই চাই ! চুম খাওয়ার পর অবশ্য ও রাগ ধরে রাখতে পারতো না !


আমি এতোটুকু বলে চুপ করলাম ! আমাকে চুপ থাকতে দেখে মৌ বলল
-তারপর কি হল বাবা ! বল ! আম্মু আর কি কি করতো !
আমি কালো চুল হাত দিয়ে এলোমেলো করে বলতাম
-তারপর তুমি এলে আমাদের জীবনে ! তোমার আম্মু আমার থেকে এখন তোমাকে বেশি আদর কে !


-কি বল এই সব !
তাকিয়ে দেখি মিমি দরজায় দাড়িয়ে আছে । আমার দিকে চোখ গরম করে বলল
-মেয়ের সামনে কি সব গল্প বল না ! লজ্জা শরম কিচ্ছু নাই !
-ইস ! লজ্জা কিসের ! জীবনের সব থেকে চমৎকার গল্পটা আমার মেয়েকে বলছি ! লজ্জা করবে কেন শুনি !

মৌ মাঝ খান দিয়ে বলল
-তাই তো আম্মু ! আব্বুর কেন লজ্জা করবে ? তুমিও তো আমাকে চুমু দাও !
মৌয়ের কথা শুনে আমরা দুজনই হেসে ফেললাম ! মিমি বলল
-হয়েছে ! এবার অনেক রাত ! বাপ বেটির কথা বন্ধ ! মৌ মামনি এসো ঘুমুতে হবে !
-না আম্মু আমি আরও গল্প শুনবো !
-আজকে না ! কালকে ! কাল ছুটির দিক তোমার বাবার থেকে সারা দিন গল্প শুনো !


মিমি মৌকে নিয়ে যায় ওর ঘরে ! আমি অপেক্ষা করতে থাকি ! একটু পরেই মিমি আসবে । আজকে এখনও চুমু পর্ব শুরু হয় নি !

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা, রোজারমজানের দিনে এতো চুমাচুমি হইলে কেম্নে কি :P

১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

অপু তানভীর বলেছেন: জীবনে আর কি ই বা আছে ;););)

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: প্রথমটা পড়েছি X((
ভালই

১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: বাকি দুইটাও পড়িয়া ফালান ! :D

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৪৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: প্রথম দু'টো পড়ার পর আর পড়া হলো না।। ছোট্টবেলার বউটা পড়তে যেয়ে ক্ষনিকের জন্য হলেও উন্মনা হয়ে পড়েছিলাম।। আসলে না থাক।।

১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: উন্মনা !!
সেকি !! B:-)

৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:০০

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: প্রথমটা পড়লাম। স্কুলে পড়ার সময় আমার সাথে আমার আব্বার এক বন্ধুর মেয়ে পড়তো। আমি মনে মনে ভাবতাম আব্বা আবার ঐ রকম কিছু করিয়ে রাখেনিতো???

ভাল লেগেছে মেগা অনু গল্পটা।

১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৫

অপু তানভীর বলেছেন: আজকেই খোজ নেওয়া হোক । আমাদের গ্রামের দিকে এমন ঘটনা ঘটেছিল কিন্তু ;);)

৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪০

শূন্য সুমিত বলেছেন: চুম্মা চুম্মা দে দে, চুম্মা চুম্মা দে দে চুম্মা। গানটা মনে পরে গেলো।
ভালো লাগলো বরাবর এর মতো।

১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: হে হে হে হে হে ;)

৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

জুন বলেছেন: ১নং আর ২নং পড়লাম । মিষ্টি অপু তানভীরিয় টাইপ রোমান্টিক গল্প । তবে খুবই ভালোলাগলো জটিলতাবিহীন সহজ সরল ভাষায় সুলিখিত গল্প দুটো । কিন্ত নাবালিকা বিয়ের দায়ে ধরা না পড়লেই হলো । ৩ নং টা কাল পড়বো ।
+

১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: নাহ ! সেই সম্ভাবনা নেই । আগে কি মানুষ জন এতো কিছু লক্ষ্য রাখতো !

ধন্যবাদ পড়ার জন্য :):):)

৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: ২য় টা পড়ি নি।

১ম টা ভাল হয়েছে তাবে নষ্টালিজিয়া একটু তাড়াই করল। কমন পরেছে তো , তাই


শেষ টার জন্য : চলতে থাকুক ভালবাসার চুমাচুমি

১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

অপু তানভীর বলেছেন: চলতে থাকুক !! কোন স্টপেজ নাই কইলাম ;);)

৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

রিকি বলেছেন:

১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

অপু তানভীর বলেছেন: রেস্পেক্ট ;)

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

ভবঘুরে ভূত বলেছেন: লে হালুয়া!! আপনার এক মেয়ে ফ্যান আছে আমার পরিচিত। সে যদি এই গল্প তিনটা পড়ে তো নিশ্চিত হাতছাড়া হয়ে যাবে আমার কাছ থেকে। মেয়েটা আপনাকে ফেসবুকে ফলো করে ;-)

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

অপু তানভীর বলেছেন: যদি সে আমার ফেসবুকে ফলোয়ার হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চিত ভাবে হাতছাড়া হয়ে গেছে কারন এই গল্প গুলো আমি ওখানেই আগে দিয়েছি ;)

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকুন সব সময়।

শুভ কামনা।

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা রইলো, যদিও একটু দেরি হয়ে গেল । তা বিয়ের দাওয়াত কবে পাচ্ছি ;)

১১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৯

সাইফুল শাকিল বলেছেন: মন খারাপ থাকলে আপনার গল্প পড়তে বসে যাই

২৫ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: আমিও মন খারাপ থাকলে গল্প লিখি !
ধন্যবাদ :)

১২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:০৩

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: ভাইয়াতো দেখছি পুরা প্রেমিক মানুষ। প্রেমের ঘেরাটোপে বন্দী। :P

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:২১

অপু তানভীর বলেছেন: এতো দিন পরে এই খবর জানলে চলবে ......

১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৩০

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: হ্যা, দেরী হয়েছে। সবাই মনে হয় আগে থেকেই জানে

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: সামুর সবাই জানে !

১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার ৩ টা অনু গল্প এক পর্বেই দিয়ে দিলেন ?
আমার মাথা দিয়ে এরকম গল্প বেরুলে আমি একটা দিয়েই ৩ পর্ব করতাম :P :P

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: আমিও তাই ভেবেছিলাম তিনটা আলাদা করে দিব । পরে মনে হল থাক ! কি দরকার ! :)

১৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৬

মহান অতন্দ্র বলেছেন: সুন্দর রোমান্টিক গল্প ।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:১৮

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভালো লাগা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:২৬

সাজ্জাতুল ইমরান ফয়সাল বলেছেন: দ্বিতীয় টা অধিক বাস্তবতা সম্বলিত। তবে ভালো লেগেছে সবগুলাই।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৩৩

অপু তানভীর বলেছেন: ধন্যবাদ :)

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:২৩

আহমদ তালুকদার বলেছেন: চুমাচুমি একটু বেশি হয়ে গেলো না :) :)

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

অপু তানভীর বলেছেন: হোক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.