নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মরীচিকা ( পর্ব- ২৬ )

২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:০১



মরীচিকা (পর্ব-২৭)

অবশ্য রাংতামোড়া উপহারটি খুঁজে পেতে শুরুতে ওর একটু অসুবিধা হচ্ছিল। আমি দূরে ঢেউ গুনলেও অপেক্ষার প্রহর যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছিল না। ব্যাগে অনেকগুলো চেন ছিল। বেশ কিছুক্ষণ ধরে শেলী এ চেন ও চেন খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে সুন্দর একটা মলাটবদ্ধ গিফট আমার দিকে এগিয়ে ধরলো,
- এই যে মশাই আপনার জন্য।
শেলী 'তুমি' বলে সম্মোধন করলেও মাঝে মাঝে 'আপনি' বলে একটু বিশেষ সম্মান দেওয়াটা ওর পুরানো স্বভাব। কাজেই আমি সে কথায় কান না দিয়ে,
-আমার জন্য! কিন্তু কি আছে ভিতরে?
-তার জন্য তো একটু কষ্ট করে মলাটটা খুলতে হবে মশাই।
বহুদিন আগে শুনেছিলাম ভালোবাসার মানুষকে কোন জিনিসের বিনিময়ে ধন্যবাদ জানানোর প্রয়োজন হয় না। স্বভাবতই খুশি হয়ে মলাটটা খুলতে লাগলাম।
-কি আমাকে একটা থ্যাংকস দেবে না?
- হ্যাঁ নিশ্চয়ই দেবো! ধন্যবাদ ম্যাডাম আপনাকে। তবে জিনিসটি কি দেখার একটা কৌতূহল ছিল কিনা, বলে একটা হাসি উপহার দিলাম। বেশ কিছুক্ষণ পরে মলাটের একটার পর একটা ভাজ খুলে অবশেষে উদ্ধার করলাম বিদেশি সুদৃশ্য সিগারেটের একটি প্যাকেট। উপরে বড় বড় করে লেখা 'মালবারো'। অসম্ভব সুদৃশ্য প্যাকেটটার দিকে আমি মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকলাম। অস্বীকার করবো না যে সিগারেটের প্যাকেট যে গিফট হতে পারে এটা আমার কল্পনাতেও আসেনি। আমি উল্টেপাল্টে দেখতে লাগলাম বিদেশী প্যাকেটটা হাতে নিয়ে। পাশে বসে স্মিতহাস্যে শেলী তাকিয়ে থাকলো আমার দিকে। মনে হল যেন তৃপ্ত নয়নে উপভোগ করতে লাগলো আমার মুগ্ধতাকে, আমার চোখে-মুখের ভাষাকে।

সিগারেট সেবনের অভ্যাসটি অবশ্য আমার অনেক দিনের পুরানো । মনে পড়ে আমি তখন সবে স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছি সে সময়ে আমার এই বিশেষ প্রশিক্ষণের যাত্রা শুরু হয়েছিল। পরবর্তী ক্লাসের মাঝে টানা তিন মাস ছুটি। বাড়িতে অগ্রিম পড়াশোনা নিয়ে কোনো চাপ ছিল না। এ সময় দিনের বেশিরভাগ সময় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়েই অতিক্রান্ত হত। সিগারেটে আমার হাতে খড়ি হয় এই সময়ে। পরে অবশ্য আমার কলেজ বন্ধুদের কাছে শুনেছিলাম ওদের কারো কারো খাণ্ডবদহনের হাতে খড়ি নাকি আরো ছোট বয়সে হয়েছে এবং ধূম্র সেবন নিয়ে প্রত্যেকেরই নাকি এক একটি স্মরণীয় ঘটনা আছে। তবে আমার মত বাবার হাতে ধরা পড়ার ঘটনা ওদের কারো স্মৃতিতে ছিল না। বয়সন্ধির ওই সময়ে সিগারেট সেবনের মধ্য দিয়ে নিজের পৌরুষত্ব জাহির করার যে সুযোগ এসেছিল তাতে যে বেশ রোমাঞ্চ অনুভব করতাম সে কথা অস্বীকার করতে পারব না। এ সময় আমার একজন গুরু ছিল। কত রকম ভঙ্গিমায় সিগারেট খাওয়া যায় ও ধোঁয়া ছাড়া যায় নিত্যনতুন কলাকৌশল তার কাছ থেকে দেখে পুলকিত হতাম। প্রথমদিকে দিনে একটা দুটো খেলেও পরে সংখ্যাটি ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।নিজেই বুঝতে পারছিলাম যে অভ্যাসটি বন্ধ না করলে যেকোন দিন বাড়িতে ধরা পড়তে পারি।ফলে সদ্য হাতেখড়ি রোমাঞ্চের পাশে কেমন যেন একটা অপরাধপ্রবণতায় ভুগতাম। মা-বাবার সামনে একেবারে স্বাভাবিক হতে পারতাম না। শরীর বা মুখ থেকে সিগারেটের গন্ধ বার হতে পারে বা ওনারা বুঝতে পারেন সেই আশঙ্কা মনের মধ্যে সর্বক্ষণ গ্রাস করেছিল।


এ সময় কোন একদিন কোন বইয়ের ফাঁকে একটি কাগজে মুড়িয়ে দুটি সিগারেট লুকিয়ে রেখেছিলাম। যার কথা পরে আমি বেমালুম ভুলে যায়। বেশ কিছুদিন পর ঈষৎ লাল হয়ে যাওয়া কাগজে মোড়া সিগারেট দুটি আমার পড়ার টেবিলে প্রকাশ্য স্থানে স্থানান্তরিত হওয়ায় সিগারেট দুটিকে মুহূর্তে চিনতে পারি এবং বুকের মধ্যে একটা শীতল স্রোত প্রবাহিত হতে থাকে। বুঝেছিলাম আমার পিতৃদেব কোনভাবে গোপন ডেরা থেকে ওটি উদ্ধার করেছেন। তবে অমূল্য সম্পদটি নষ্ট না করে যাতে আমি সেবন করে যথাযথ মূল্য দেই তাই প্রকাশ্যে স্থানে রেখেছেন। এভাবে সিগারেট আবিষ্কার করাতে মহামান্য পিতৃদেবের সামনে দুই-তিন দিন খুব অস্বস্তিতে থাকলাম। মনে হলো উনি মুখে বললে বা আমাকে একটা শাস্তি দিলে বোধ হয় বেশি খুশি হতাম। অবসান হতো মনের গ্লানির । কিন্তু উনি ও রাস্তায় গেলেন না। ঘটনার কথা যখন ভুলতে বসেছি। ভেবেছি হয়তো উনি এ যাত্রায় বিষয়টি আর সামনে আনবেন না। হঠাৎ একদিন কাছে ডেকে বললেন,
-আমার বিশ্বাস ছিল যে তুমি আমার সঙ্গে মিথ্যা কথা বলো না। ভুল মানুষ মাত্রই করে। তেমনি তুমিও একটা ভুল করেছ। যাক যা হয়ে গেছে
তা ভেবে আর লাভ নেই। আশা করি এখন থেকে তুমি আমার বিশ্বাসের মূল্য দেবে।
কোন বাবা-মা যদি সন্তানকে এমন করে কথা বলে, আশা করি যে কেউ প্রতিউত্তরে রা করতে পারবে না। সেদিন আমার বাবার সামনে আমিও মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে পায়ের বুড়ো আঙ্গুল ঘষতে ঘষতে নিরবে এক প্রকার ক্ষমা প্রার্থনা করে গেছি।
পরে কলেজে পড়াকালীন অফ পিরিয়ডে বা বিশেষ আড্ডার সময়ে ধূমপান নিয়ে বাবার কথা মনে করে বন্ধুদের সমস্ত রকম অনুরোধ সযত্নে এড়িয়ে গেছি। তবে পাশে থেকে ওদেরকে অবশ্য ধূমপানে মদত দিয়ে গেছি। যদিও বিশেষ অনুরোধে মাঝে মাঝে দু-একটি টানও যে দিতাম না তা নয়। কিন্তু নিজে কোন দিন এ সময়ে সিগারেট ধরাই নি। কেমন যেন বাবার কথা বারে বারে চোখের সামনে ভেসে উঠতো।

স্নাতকোত্তর গিয়ে অবশ্য আমার পুরানো বন্ধু সিগারেট আবার আমার জীবনে ফিরে আসে। এর তার কাছে একটা দুটো খেতে খেতে জীবনে প্রথম সদর্থক ভাবে পয়সা দিয়ে কেনার সিদ্ধান্ত নেই। কারণ আগে কিনতাম চুরি করে। উল্লেখ্য এসময় খেতাম হয়তো দু-একটি সিগারেট। কিন্তু ক্রয় করার উদ্দেশ্য ছিল বন্ধুদেরকে সরবরাহ করা। বেশকিছু অত্যাধুনিক লাইটারও এ সময়ে আমি কিনেছিলাম। সুন্দর সুন্দর লাইটারের প্রতি আমার একটা আকর্ষণ এ সময় চলে আসে। সিগারেটের মধ্যে আমাদের পছন্দের ছিল মূলত উইলস ও গোল্ড ফ্লেক। তবে পছন্দ না করলেও চার্মস সিগারেট কেউ না কেউ অফার করলে ফেরাতাম না। কাজেই নিম্নবিত্তের বিনোদনে এই সমস্ত ব্রান্ডের মাঝে কুলীন মালবারোর মত সুদৃশ্য প্যাকেট পেয়ে সেটি না খেয়ে বরং সেটা সংরক্ষণ করার কথা ভেবেছিলাম। মুখ ফুটে সে কথা বলাতে, হাসতে হাসতে শেলী প্যাকেটটি হাতে নিয়ে একটি সিগারেট বার করে,
-নাও আমি নিজে বার করে দিয়েছি। এবার তুমি লাইটার বার করো, বলে আমার ঠোঁটে একটিকে দিল গুঁজে।
আমি পকেট থেকে লাইটার বার করে জীবনের প্রথম অন্য স্বাদের সিগারেটে টান দিলাম। প্রথম বিদেশি সিগারেট খাওয়ার অনাবিল আনন্দে চোখ বুজে সুখানুভূতি উপভোগ করতে লাগলাম। পড়ে যতবার ডেটিং করেছি একটি করে মালবারো বরাদ্দ থাকত। সর্বশেষে খালি প্যাকেটটিকে বহু দিন সযত্নে রেখেছিলাম। পরে সাংসারিক ব্যস্ততার কারণে প্যাকেটটি যে কোথায় মিলিয়ে গেছে তা আর খুঁজে পাইনি।

আমার ধারণা ছিল মেয়েরা ধূম্র সেবন একেবারেই পছন্দ করে না। কাজেই ডেটিংয়ের দিনগুলিতে অত্যন্ত সজাগ থাকতাম। লক্ষ্য ছিল কোন ভাবেই যেন শেলীর কাছে ধরা না পরি। তবে আমার এই লুকিয়ে চুকিয়ে সিগারেট খাওয়াটা ও সম্ভবত বুঝতে পেরেছিল। কেমন যেন একটা হাসি হাসি ভাব আমাকে বেশ সন্ধিগ্ধ করে তুলত। যদিও মুখ ফুটে প্রকাশ করেনি কোনদিন। এহেন শেলীর মালবারো উপহার আমার ধারনাকে সম্পূর্ণ ভ্রান্ত প্রতিপন্ন করে। বেশ কয়েকবার কথা প্রসঙ্গে ও জানিয়েছিল ধূম্র সেবন নাকি পুরুষের সপ্রতিভকে নিঃসন্দেহে বাড়িয়ে দেয়। ওর বাবা ছিল নন-স্মোকার ।বাবার এই অতি ভাল মানুষীকে ও বড্ড ম্যাড়মেড়ে বলে মনে করত। মুখ ফুটে বলতে পারেনি বাবাকে সে কথা কোনোদিন। কিন্তু মনে মনে স্বপ্ন ছিল কাছের মানুষটি যেন বাবার মতো না হয়। সে যেন নিয়মিত সিগারেট সেবন করে। পোড়া সিগারেটের নিকোটিনের গন্ধ ছিল ওর খুব প্রিয়। কেমন যেন উদাসীন ভাবে তাকিয়ে থাকতো স্মোকিং এর সময়। আমি মুখে ধোঁয়া নিয়ে কখনো মাথার উপরে কখনো বা চুলের মধ্যে বিভিন্ন রকম রিং এঁকে দিতাম। নতুন নতুন আকৃতির রিং করার স্বপ্নে আমি নেশাতে বুঁদ হয়ে থাকতাম।

আমি বেশ কয়েকবার জ্বলন্ত সিগারেট ওর দিকে এগিয়ে ধরেছি। তবে সুখটান দিতে ওর ভয়ানক আপত্তি ছিল। এটা নাকি মেয়েদের মুখে একেবারেই শোভা পায় না। পৃথিবীতে কিছু কিছু জিনিস উপরওয়ালা পুরুষের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।ধূমপান তেমনই পুরুষের এক্তিয়ারভুক্ত একটি বিষয়। নিজের আচরণের মধ্যেই বিশ্বাসের পরিচয় দিয়েছিল।তাই দিনের পর দিন পাশে বসে থাকলেও একটি বারের জন্যও কোন দিন সুখটান দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে আমরা নিজেরা কতইনা আবেগপ্রবন হই। তুলে ধরি নিজেদের সরল মানসিকতাকে। আর তখনই কল্পনার সঙ্গে বাস্তব জগতে নিজেদের মধ্যেকার ব্যবধানকে প্রলম্বিত করে তুলি। শেলীরও তেমনি বিশেষ মুহূর্ত গুলোকে আমি কখনো বাস্তবের শেফালী ম্যাডামের সঙ্গে মেলাতে পারিনি।

রূপনারায়ণের চড়ে বসে এভাবেই স্রোতের মতো পার হয়ে যেত রাংতামোড়া আমাদের জীবনের সোনালী দিনগুলি। মাঝে মাঝে শেলী ইট দিয়ে বাঁধানো পাড় ধরে হেলতে দুলতে নেমে যেত নদীর জলস্তর পর্যন্ত। দুই হাতে আঁজলা কেটে জল তুলে বলতো,
-এই জলের মতই আমি তোমার কাছে ধরা দিয়ে বাকি জীবন নিশ্চিন্তে কাটাবো নীল।
নিচ থেকে টলতে-টলতে উপরে এসে আমার হাতে যখন সেই আজলা কাটা জল দিত তখন তা কমে দাঁড়াতো একেবারে যৎসামান্য। আমিও কিছুটা রসিকতার সুরে পাল্টা বলতাম,
-তুমি ইচ্ছা করলেও নিজেকে সম্পূর্ণ উজাড় করে যে আমার হাতে ধরা দিতে পারব না । এই যেমন তোমার হাতের জলের পরিমাণই তার প্রমান দিচ্ছে। দুহাত ভরে জল নিয়েছিলে কতটা কিন্তু বাস্তবে যখন দিচ্ছ আমাকে সেটি কমতে কমতে একেবারে সামান্য পরিমাণে এসে দাঁড়িয়েছে। কাজেই আগামীতে তুমি আমাকে ধরা দেবে বললেও সে ধরার মধ্যে আমি কতটা পাব তা কেবল ভবিষ্যতই বলবে।
-না না! তুমি এর মধ্যে জলের পরিমাণ খুঁজতে যেও না। আমি যে তোমাকে সঁপে দিয়েছি এটাকেই সিংহভাগ ধরবে।
তার চোখে মুখের সাময়িক দুশ্চিন্তা আমাকে মুগ্ধ করতো। কেবল মনে হতো মেয়েদের হৃদয়টা বোধহয় ঝরনার মতই। যার নাগাল পেতে হাজার মাইল অতিক্রম করতে হয়। কিন্তু একবার সন্ধান পেয়ে গেলে সে ঝর্নার স্নিগ্ধতা মনকে শীতল ছায়া দান করে অনন্ত কাল ধরে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:-পোস্টটি উৎসর্গ করা হল প্রিয় মা.হাসান ভাইকে। সঙ্গত কারণেই আজকের পোস্টে কোন সাসপেন্স রাখা হলো না।
মরীচিকা (পর্ব-২৫)

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পোষ্টে লাইক সহ এক দিগন্ত ভালোবাসা। জীবনটাই মরীচিকা আর আমরা ছুটছিও ও মরীচিকার পেছনেই।

২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুজি,

বহুদিন পর আপনার পদার্পণে ধন্য হলাম। তার উপরে তো প্রথম কমেন্ট ভীষণ ভালো লাগা। অস্বীকার করবো না যে আপনার আন্তরিক মন্তব্য বরাবরই আমাকে অনুপ্রেরণা যোগায়। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

২| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে, এ পর্বে সিগারেটের উপরই সবিস্তর আলোচনা, ভালো লাগলো প্রথম সিগারেট খাওয়ার বর্ণনা, আসলে নতুনদের বেলায় তেমনটাই হয়ে যায়। শেলী আপুরে ধন্যবাদ সিগারেটের প্যাকেট উপহার দেয়ার জন্য।

শুভকামনা জানবেন সবসময়

২৭ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় নয়নভাই,

পোস্টটি আপনার ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম ; ধন্যবাদ জানবেন। অনেক খুশি হয়েছি যে পোস্টটি আপনি খুঁটিয়ে পড়েছেন এবং যথাযথই বলেছেন যে আজকের পোস্টটি মূলত সিগারেটের উপরই। নব্য ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে অবশ্য হাজারো সমস্যা। একটু যে নিশ্চিন্তে সুখটান দেবে সে উপায়ের যো থাকে না । ধরা পড়লে তো শাস্তি অবধারিত।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।

৩| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪৬

বলেছেন: পড়লাম ---------লাইক


২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবিভাই,

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; অনুপ্রেরণা জানবেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় লতিফভাইকে।

৪| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়াতে এত কিছু থাকতে সিগারেটের পেকেট উপহার!!!!
কলেজে পড়ার আগেই সিগারেট ধরেছি। আজও খেয়ে যাচ্ছি। হে হে হি হিঃ
সিগারেটের ধোয়া দিয়ে আমি কোনো দিনও রিং বানাতে পারিনি।

এই পর্বে শেফালী ম্যাডামকে পেলাম না।
তবে আজকের পর্ব টি দারুন রোমান্টিক হয়েছে।

২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোটভাই,

হাহাহাহা প্রথমে বক্তার কাছেও সেটাই মনে হয়েছিল। পৃথিবীতে এত কিছু থাকতে শেষ পর্যন্ত কিনা সিগারেটের প্যাকেট গিফট!!!
ভাইকে এবার কিন্তু সিরিয়াসলি বলছি স্মোকিংটা কমাতেই হবে। প্রতিনিয়ত আমরা সবাই কোন না কোন রোগ ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছি ঠিকই, কিন্তু স্মোকিং পরিণত বয়সে সমস্ত অসুবিধার চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়ায়। আজ পর্যন্ত এমন একজন স্মোকারকে দেখলাম না পরিণত বয়সে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বা রোগমুক্ত জীবন কাটাতে।
শেফালী ম্যাডাম আছে তো!! সে তো শেলী হয়ে দিব্যি পোষ্টের মধ্যে বিরাজ করছে।

পর্বটি রোমান্টিক মনে হওয়াতে আনন্দ পেলাম। আবারো ধন্যবাদ ভাইকে।

অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

৫| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:১৪

আরোগ্য বলেছেন: তিন দিন ধরে দেখছি তোমাকে লম্বা সময় লগডইন । তাই আমিও প্রথম মন্তব্য করার জন্য বারবার চেক করতাম কিন্তু পিছিয়ে গেলাম।

শেলি তো বেশ রহস্যময়ী চরিত্র। গিফট হিসাবে সিগারেটের প্যাকেট বলতে হবে । সিগারেটের গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে । সে যাই হোক আমি কিন্তু মাস্টারদার কাছে এই ব্যাপারটা আশা করিনি । ধুমপান বিষপান ।

আজকের পর্বটি বেশ বড় ছিল তার জন্য ধন্যবাদ ভাইটি।

২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

হ্যাঁ! তুমি একদম ঠিকই দেখেছ। গল্প পোস্ট করতে আমার অনেক টাইম লাগে। অথচ একাসনে বসে পোস্ট করার মত সময় হয়ে ওঠে না। যে কারণে লগ ইন করেও তার মধ্যে আমি আমার দৈনিন্দিন কাজে নিজেকে নিযুক্ত রাখি। অন্য কাজে যাওয়ার সময় কখনই লগ আউট হই না। যে কারণে এত দীর্ঘক্ষন ব্লগে তুমি দেখে থাকবে।
পাশাপাশি তোমরা অনুমান একেবারে সঠিক যে এত দীর্ঘক্ষন লগইন মানে নিশ্চিত যে নতুন পোস্ট প্রকাশিত হতে চলেছে হা হা হা হা হা.....

তোমার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জানাই,
বিধিসম্মত সতর্কীকরণ:- ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।
এই পর্বে লুকিয়ে সিগারেট খাওয়া নিয়ে দুটি ঘটনা আছে।
ঘটনা ওয়ান-বাবার হাতে ধরা পড়া ও তার বর্ণনা।
ঘটনা টু- শেলীর কাছে ধরা না দিতে বক্তার স্মোকিং এর নানান কৌশল অবলম্বন করলেও শেলী সেটা বুঝতে পারে। কিন্তু মুখে কিছু না বলে সিগারেটের প্যাকেট উপহার দেওয়ার মাধ্যমে তার সিগারেট খাওয়াকে বৈধতা দান করে।

এবার অফটপিকে বলি,তোমার মাস্টারদাকে নিয়ে তুমি হান্ডেট পার্সেন্ট নিশ্চিত থাকতে পারো যে উনি ধূমপান করেন না। এমনকি প্যাসিভ স্মোকিংও সহ্য করতে পারেন না। হোম মিনিস্ট্রিও সম মনোভাবপন্ন। কাজেই তুমি বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে পারো। এতোটুকু মিথ্যা বলছি না হা হা হা হা হা....

পর্বের আকৃতি নিয়ে,আমিতো জানি তোমার মনের চাহিদার কথা। পর্ব দেওয়ার ব্যাপারে তোমার কথাই মনে ছিল। লক্ষ্য ছিল বারোশো থেকে তেরোশো ওয়ার্ডের মধ্যে রাখা। তোমার কাছে ছোট মনে না হওয়াতে নিশ্চিন্ত হলাম ধন্যবাদ জানবে।

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা রইল।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবে।


৬| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:২১

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা,
খুব ভালো লাগলো মরীচিকা এবার তাড়াতাড়ি দিলেন বলে । লেখাটাআরেকটু বড় করলে মন্দ হত না ।
একটি কথা আমার খুব মনে ধরেছে,

এই জলের মতই আমি তোমার কাছে ধরা দিয়ে বাকি জীবন নিশ্চিন্তে কাটাবো নীল --- এখানেও নীল।

আর শেফালী ম্যাডামের চোখকে ফাঁকি দেওয়া গেল না। বিড়িখুর কে ঠিকই ধরে ফেলেছে ।সিগারেটের গন্ধ আমি কোনদিনই সহ্য করতে পারিনা । অথচ দাদা,আজকের গল্পটি পড়ে খুব রোমাঞ্চিত হলাম। ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন।
দাদা , আর একটি কথা না বললেই নয় @রাজীব ভাই,
আজ খুব সুন্দরভাবে মন্তব্য করেছেন । পড়ে মজা পেলাম।


২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোটবোন,

মরীচিকা খুব ভালো লেগেছে ও অল্প দিনের মধ্যে দেওয়াতে বোনের ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই বোনকে। পোস্ট দিতে গিয়ে সাধারণত আমার বারোশ/ তেরোশ শব্দের লক্ষ্যমাত্রা থাকে। তার বেশি হলে পাঠকের বিরক্তি চলে আসে বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত। লক্ষ্য থাকে যেন পোস্টটি অনাবশ্যক বড় না হয়। আজকের পোস্টটি কিছুটা ছোট মনে হওয়াতে বোনের কিঞ্চিত অতৃপ্তি জনিত কারণে বিচলিত হলাম। আগামীতে এ বিষয়টি মাথায় রাখবো-কথা দিলাম।

হা হা হা নীল আকাশভাইয়ের ছোঁয়া যে বক্তা বহন করে বেড়াচ্ছে। যে নীলের মধ্যে আছে পাহাড় সমান নির্ভরতা, এক আকাশ ভালোবাসা, বুক ভরা আত্মবিশ্বাসের মধুরছোঁয়া সে নীলকে কি কেউ অস্বীকার করতে পারে?
কাজেই নীল, নীলিমায় নিলীমিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। হা হা হা হা হা....
ঠিকই ধরেছেন শেলীর চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি। বিড়িখোরকে ঠিকই ধরে ফেলেছে। বক্তার লজ্জা নিবারণের জন্যই সিগারেটের উপহার দেওয়া।
স্মোকিং বেশিরভাগ মেয়েরা সহ্য করতে পারে না। কাজেই আমার বোনেরও সহ্য না হওয়াটাই স্বাভাবিক। তা সত্বেও গল্পের ধূমায়িত রোমান্টিকতা যে বোনকে ছুঁয়ে গেছে এটাই আমার পরম প্রাপ্তি।
বোনের ধন্যবাদ ও শুভকামনা আনন্দের সাথে গৃহীত হলো।
হ্যাঁ! সহমত বোনের সঙ্গে যে @রাজীব নূর ভাইয়ের কমেন্টও খুব চমৎকার হয়েছে। আমিও ওনার কমেন্ট পড়ে মজা পেয়েছি। প্রতিমন্তব্যে জানিয়েছি সে কথা।

পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোট্ট বোনকে।




৭| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:০৩

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: কাল সকালে পড়বো, আপাতত উপস্থিতি জানান দিলাম।

২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তারেক ভাই,

আপাতত আপনার উপস্থিতির জানান পেয়ে খুশি হলাম। আপনার পূর্ণাঙ্গ কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

৮| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: দাদা আরেকটা কথা বলতে এলাম, আমাদের এখানে তো সিগারেটের দাম বেড়ে গেছে। একটা বেনসন ১৪ টাকা নিচ্ছে। পনের টাকা দিয়ে একটাকা ফেরত দেয় না।

২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের দ্বিতীয়বার কমেন্টে পেয়ে আনন্দ পেলাম। আবারও ধন্যবাদ জানাই। কি আশ্চর্য! 14 টাকা সিগারেট!! আবার 15 টাকা দিলে এক টাকা ফেরতও দেয় না? তার মানে অলিখিতভাবে 15 টাকা দাম নিচ্ছে ? ভারি অন্যায়! স্মোকারদের পক্ষে নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ঘটনা। দাম কমানোর কথা আর কাকেই বা বলব। বরং ছোটভাইকে অনুরোধ করব আস্তে আস্তে অভ্যাসটি চিরদিনের মত বিদায় জানাতে।

শুভকামনা ও ভালোবাসার প্রিয় ছোটভাইকে।

৯| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১২:৫৭

রাকু হাসান বলেছেন:

হুম মনে মনে মন কলা খাওয়াই হলো । রসায়নের রাসানিক ব্রিক্রিয়া ভালোই জমছে । হ্যাঁ ,সেটা তো আনন্দের হবেই ,এত কেয়ার করে সিগারেট বের করে আর কে ধরিয়ে দিবে । এখনকার মেয়েরা তো ধাবরানি দিবে । কপাল লাগে ।
বয়ঃসন্ধি/বয়সন্ধি? দোয়া প্রার্থী । গেলাম ।শ্রদ্ধা ও দোয়া রইলো ।

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্নেহের রাকু,

হা হা হা হা তোমার মন্তব্য পড়ে আমি রীতিমত হেসেছি। মনে মনে মনে কলা খাওয়াই হল আরকি। চেষ্টা করেছি বিক্রিয়াটি করাতে । তবে তোমার কাছে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। ঠিকই তো এত কেয়ার করে সিগারেট আর কেইবা দেবে এ জগতে। পাশাপাশি এখনকার মেয়েদের সম্পর্কে এই ধারণাটি গল্পলেখকের একেবারেই নেই। বড় ভাই হিসেবে পরামর্শ দেব আজকের দিনের মেয়েদের ভাবনাকে সম্মান দিয়ে নব্য সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে। সুন্দর সম্পর্কের মধ্যে এসব বদভ্যাস না আনাই ভালো। দুর থেকে শুভকামনা রইল। হা হা হা হা হা.....
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন স্যার।
বয়ঃসন্ধি কথাটিই সঠিক।
তোমার দোয়া যেন উপরওয়ালা কবুল করেন। ধন্যবাদ তোমাকে। ‌
তোমার জন্য অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইল।



১০| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:১৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বাহ্ কি চমৎকারইনা এবারের গল্পটি। আপনি পেরেছেন এত নিপুণ হাতে গড়তে। সিগারেটের মতো এমন একটা বদ জিনিষ নিয়ে এতো সুন্দর গল্প! যদি প্রশংসা না করি তাইলে কিপটামী হয়ে যায় বেশী। পুরো সিরিজটিতে সময়ে সময়ে এমন বিষয় উপস্থাপন করেছেন যা একটি সার্থক গল্পের নান্দনিকতা প্রতিয়মান হয়।

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই,

আপনার সুন্দর কমেন্টে প্রীত হলাম; ধন্যবাদ আপনাকে। গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আবারো ধন্যবাদ। ঠিকই বলেছেন সিগারেট নিঃসন্দেহে একটি ক্ষতিকারক উপাদান। যারা ধূমপান করেন তারা প্রত্যেকেই সেটা জানেন। তাই বলে প্রবণতা কিন্তু একেবারেই কমে নি বা কমেও না। সাধারণত উঠতি বয়সের ছেলেদের একটি ভয়ঙ্কর আকর্ষণ থাকে ধুম্রপানের প্রতি।
আপনার আন্তরিক প্রশংসাসূচক বাক্যে আমি মুগ্ধ । গোটা সিরিজটাকে সার্থক গল্পের নান্দনিকতার মিশেল মনে হওয়াতে আবারো মুগ্ধতা।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।


১১| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:৩০

মা.হাসান বলেছেন: প্রথমে দুঃখ প্রকাশ করি দেরিতে আসার জন্য। দিনে অনেক ব্যস্ততা ছিল, আসার সুযোগ পাইনি । পোস্টটি আমাকে উৎসর্গ করায় অনেক কৃতজ্ঞতা।
আমি কিন্তু প্রথমে সত্যিই শেষের প্যারাটা বাদ দিয়েই পড়েছিলাম, পরে কৌতুহলের ধাক্কা সামলাতে না পেরে পড়তে যেয়ে চমক পেলাম।

আপনি ম্যাডামকে শেলী বলে সম্বোধন করেন, কিন্তু ম্যাডাম আপনাকে কি বলে ডাকেন এই বিষয়ে একটু কৌতূহল ছিল যা আজ নিবারণ হলো।

আসলেই, ভালোবাসার পরিমাপ করতে নেই। যেটুকু পাওয়া যায় তাকে সিংহভাগ ধরে নেওয়াই ভালো। ভালোবাসার জলে অবগাহনের জন্য কেউ কেউ হয়তো হাজার মাইল পথও পাড়ি দেয়। পরিনাম?
বাংলাদেশের এক প্রিয় কবির কাছ থেকে ধার করে কটি কথা বলতে হয়ঃ

বালক জানে না তো পুষবে অনুরাগ
হৃদয়ে কতদিন, কার বা চলা-পথে
ছড়াবে মুঠো-মুঠো বকুল ফুলগুলো;
কোথায় যেতে হবে, যাবে না কোন দিকে,
ব্যাপক হাঁটাহাঁটি করবে কোন পথে!


বালক জানলো না—মানুষ ম্লানমুখে
কেন যে তারা গোনে; পায়ের নীচে কার
কেন যে ফুল ঝরে, কতটা ফুল ঝরে!


অনেক শুভ কামনা।

২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসানভাই,

না না দুঃখ প্রকাশের প্রসঙ্গ একেবারে অবান্তর। আপনার উদ্দেশ্যে নিবেদন, আপনি এসেছেন এটাই আমার পরম প্রাপ্তি। ব্লগিং টা তো প্রত্যেকে তাদের অফ টাইমে করে থাকেন। কাজেই সময় সুযোগে ব্লগে আসবেন এটাই কাম্য।
আপনার ব্যস্ততা সম্পর্কে পরিচিত। এত ব্যস্ততার মধ্যেও কি করে ব্লগিং করেন মাঝে মাঝে সেকথা ভেবে আমি বরং অবাক হই। শেষ প্যারা বা সাসপেন্স নিয়ে আজ আর কিছু বলতে চাই না। মূলত আপনার উদ্দেশ্যে আজকে সাসপেন্স মুক্ত পোস্ট দিলাম। তবে শেষে যে আপনি চমকে উঠলেন এটা দেখে আমি কিন্তু বেশ আনন্দ পেয়েছি হা হা হা হা...

গত পোস্টে উল্লেখিত হয়েছিল শেলী ও নীলের মিথস্ক্রিয়া। কোন কারণে হয়তো আপনি ভুলে গিয়ে থাকবেন। তবে আজ যে আপনার কৌতুহল নিবৃত্ত হল নীলের পরিচয় পাওয়াতে তাতে আমি চিন্তা মুক্ত হলাম।
" আসলেই, ভালোবাসার পরিমাপ করতে নেই।"একেবারে হান্ডেট পার্সেন্ট সহমত আপনার সঙ্গে। ভালবাসা কখনোই পরিমাপের যোগ্য নয়। সেটা উপলব্ধি করতে হয় অন্তরের অন্তস্থল থেকে। ভালোবাসা মানুষের বন্ধনকে স্থায়িত্ব দেয়। কিন্তু ঠুনকো বা মেকি ভালোবাসা অচিরেই ফিকে হয়ে আসে।

কবিতাটি ভীষণ সুন্দর। শেয়ার করার জন্য অজস্র ধন্যবাদ। তবে কবির নামটি জানতে ভীষণ ইচ্ছে করছে। কবিতায় ভালো লাগা রইল ++ ।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার জন্যও রইল অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।


১২| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সকাল ১১:২১

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: প্রেমিকার হাত থেকে পাওয়া একটি সিগারেট যেন স্বর্গীয় রক্ত গোলাপ।

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পবিত্রভাই,

সংক্ষেপে পোস্টটির নির্যাস তুলে ধরেছেন। হা হা হা হা হা...... এক প্যাকেট সিগারেট যেন যথার্থই স্বর্গীয় রক্ত গোলাপ।
সুন্দর কমেন্টের ধন্যবাদ আপনাকে ।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৩| ২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

নীল আকাশ বলেছেন: পোস্ট দেখে গেলাম। পড়ার পর পুর্ণ মন্তব্য করে যাব আবার।
ধন্যবাদ।

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশভাই,

আপাতত আপনার উপস্থিতিতেই আমি খুশি। সময় পেলে মন্তব্য করবেন সেই আশায় আছি।
পোস্টে লাইক করতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

১৪| ২৭ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২

নতুন নকিব বলেছেন:



লাইকসহ উপস্থিতি জানিয়ে গেলাম। সময় নিয়ে পড়ার ইচ্ছে। শুভকামনা অশেষ।

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নকিব ভাই,

অনেকদিন পরে আপনার কমেন্ট পেয়ে ভীষণ আনন্দ পেয়েছি। আপনার লাইক ও কমেন্টেই আমি খুশি। সময় পেলে পূর্ণাঙ্গ মন্তব্য করবেন আশা করি।
আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১৫| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: দাদা আরেকটা কথা বলতে এলাম, আমাদের এখানে তো সিগারেটের দাম বেড়ে গেছে। একটা বেনসন ১৪ টাকা নিচ্ছে। পনের টাকা দিয়ে একটাকা ফেরত দেয় না। এই শুনি রাজীব নুরের চাকুরী নাই, আবার দেখি ১৫ টাকা দিয়ে সিগারেটও খায়। দিনে কয়টা খায়? এতো টাকা পায় কই, জিজ্ঞেস করেন। দুই নাম্বারী কোন ধান্ধা শুরু করে নাই তো আবার!!! :P

আপনার এটা বই আকারে বের করার কোন পরিকল্পনা আছে? বই আকারে বের হলে আমার জন্য খুবই সুবিধা হতো। বিশেষভাবে চিন্তা করেন। :)

মাঝখান থেকে একটুখানি পড়ার কোন মানে নাই। পোষ্টে আসলাম যেহেতু, না পড়েই একটা 'লাইক' ঠুকে দিলাম। =p~

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মফিজভাই,

@রাজীব নূর ভাই অত্যন্ত সরল মনের একজন মানুষ বলে আমার বিশ্বাস। পোস্ট পড়ে আমিও ওনার কর্মহীনতা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আজ 6 মাস যাবত উনি কর্মহীন। সামান্য কিছু টাকা আগে সঞ্চয় করে রেখেছিলেন। এমন অনেকে আছেন হাজার দুঃখের মধ্যেও একটা সুখটান দিয়ে নিজের ব্যথা যন্ত্রণা ভুলতে চান। উনি এমনই একজন মানুষ বলে আমার বিশ্বাস। ওনার এই কঠিন পরিস্থিতির দ্রুত অবসান ঘটুক -কামনা করি।
মলাটবন্ধ করার বা বইয়ের স্বপ্ন আছে বৈকি। তবে আমি যেহেতু ব্লগে বেশিদিন আসিন । কাজেই আরো একটু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ধীরে চলার নীতিতে বিশ্বাসী।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৬| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পোষ্টে আমিও লাইক দিলাম।

পদাতিক নামটা আমার কাছে যেন এক বীর সৈনিকের মতো।
শুভকামনা সুহৃদ পদাতিক ভাইয়ের জন্য।

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদুরভাই,

পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে। পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।

১৭| ২৭ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: রাইতে পড়ুম মোবাইলে

২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ঠিক আছে আপু। আপনার পূর্ণাঙ্গ কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।

পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৮| ২৭ শে জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আকাশ মূখ কাল করে বসে আছে। যে কোন সময় কান্না করবে এমন!
বারান্দায় আরামেস ধূমপানে মগ্ন! হঠাৎ নক নক!
এই অসময়ে আবার কে এল?
দরোজা খূলেই অবাক! প্রায় ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল মুন্নি। আর বাইরের ঘুমোট ছেড়ে হঠাৎ করেই যেন ঝড়ো বাতাসের ঝাপটাও শুরু হলো। দ্রুত দরজা জানালা গুলো আটকে বসলাম।
ততক্ষনে তিনি নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে আরামসে পড়ার টেবিলের চেয়ারে বসে মিটিমিট হাসছেন।

এই অসময়ে?
রহস্যপূর্ন হাসি আরো বিস্তৃত হলো। বিশেষ ভঙ্গিমায় ঠোটের কোনটা আলতো কামড়ে ধরল।
এটা যখন করে এত আবেদনময়ী লাগে... কোথায় যেন সিরসির করে ওঠে!
বিছানায় এস্ট্রেটা নিয়ে নতুন আরেকটাতে আগুন ধরাতে যাবো!
-এটা ছেড়ে দেয়া যায় না? কেমন আকুতি ঝরলো কন্ঠে!
বেশ দুষ্টুমি ভঙ্গিতে সিগারেটটা নাড়িয়ে চাড়িয়ে বললাম- হুম! খুব ছাড়া যায়! বিকল্প পেলে! ;)
মানে?
এটাতো নেশা! এমন নেশা যা এটাকে ভুলিয়ে দিতে পারে!
বলতে বলতেই আগুন জ্বালিয়ে সূখটানে চোখ বুঝেছি-

চেয়ার সরার শব্দে তাকালাম!
কেমন ঘোর লাগা দৃষ্টি! রহস্যময় চাহনি! যেন কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে
এগিয়ে আসছে। ঠোট থেকে ছো মেরে সিগারটা টেনে নিল! এক ঝটকায় বারান্দায় ছুেড় ফেললো!
আমি পরবর্তী কান্ড দেখায় অপেক্ষায় মিটিমিটি হাসছি। বাইরে বাতাসের তান্ডব বাড়ছে।
শো শো শব্দে ডালগুলো যেন শুয়ে পড়ছে! আবার জেগে উঠছে!
দু হাতে আমার মূখটা চেপে ধরলো! আমি হাসছি মিটিমিটি!
তারপর! ঝাড়া দুই মিনিট! পৃথিবীর সব কিছু যেন থেমে গেল।
ফ্রেন্চ নাম শুনেছি! বুঝিনি! ভিডিও দেখেও যা ধারনা -বাস্তবতায় আকাশের সীমা ছাড়িয়ে গেল!
স্বর্গের সিড়ি যেন হাতের নাগালে! অমৃত স্বাদ বুঝি একেই বলে!সময় যেন থির দিয়ে অনন্ত! আহা সময় যদি আর না চলতো! পৃথিবী এখনই থেমে গেলে কার কি ক্ষতি?

যেমন হঠাৎ এলো তেমনি হঠাৎ ছেড়ে চেয়ারে বসেই উড়নিতে মূখ লুকাল!
যেন রাজ্যের লজ্ব্বা এসে গ্রাস করেছে। ধরনী দ্বিধা হও আমি লুকোই টাইপ! বিস্ময়ের ঘোরে মন্ত্রমুগ্ধের মতো চেয়ে রই।
লাজুকতা যেন সোন্দর্যকে হাজার গুনে বাড়িয় দিল। দেখছি আর দেখছি।
ইশারা করতেই কাছে এল। বুকের মাঝেই যেন পরম আশ্রয় লুকানোর।
আমি আস্তে কানে কানে বললাম- হুম। ছেড়েতো দিতেই হবে। অমৃত রেখে কে বিষ পান করে!
খুশি হয়ে নাকটা টেনে দিল আলতো করে।
কিন্তু কথা আছে একটা ! শুনেই অবাক হয়ে তাকাল-চোখে প্রশ্ন!
সারাদিনেতো গোটা দশেক খাই! তার কি হবে?
ইশশশ সখ কতো! বলেই উঠে দৌড়ে পালাল . . . . .

ধুর ! দাদা কি কল্লেন দেখেন দেখি ;) আপনার ধূমপানে স্মৃতির ঘরে কেমন তুফান উঠালো! মন্তব্যতো নয় ছোট গপ্পইতো হয়ে গেল দেখচি ;) হা হা হা

দারুন লাগলো্। হুম ধূমপানকে স্মার্টলি নেয় এমন মেয়েও আছে। নিকোটিনের গন্ধে দারুন সূখ পায়!
গল্পের নায়কের সাথে নায়িকার রসায়নে বেশ রোমান্টিকতা ছুঁয়ে গেল।

চলুক প্রেম কাহানি!

++++++++

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

আমি ভাবছিলাম হয়তো আপনি কোন কবিতা পোস্ট করেছেন। নিঃসন্দেহে গদ্য কবিতা সুন্দর হয়েছে। পাশাপাশি যদি জীবনের অনুভূতি হয়ে থাকে তাহলে অসম্ভব ভালো লাগার অনুভূতি প্রকাশ করলাম। এই 'কবিতার' কি প্রতিমন্তব্য হবে - আমার জানা নেই। যদি কিছু না মনে করেন তাহলে একটু অনুরোধ করবো মন্তব্যটি ব্লগে পোস্ট আকারে দিতে। আপনার কাছে আমার আজ এই অনুরোধটিই হল প্রতিমন্তব্য।
এই মুহূর্তে কবিতাটিকে ( আমি কবিতাই বলব) আমি এক সহকর্মীর কাছে আবৃত্তি করে শোনালাম। ও শুনে অত্যন্ত খুশি হল। মুখে প্রকাশও করল সে কথা। ওর অনুভূতিটি আমি আপনার সামনে তুলে ধরলাম,
-বাহ কি সুন্দর! তুমি খুব ভালো আবৃত্তি করেছ।কার লেখা কবিতাটি?
-আমর এক ব্লগার বন্ধুর, বলে আপনার নামটি দেখালাম।
ও অবাক নয়নে আমার দিকে চেয়ে থাকলো। আবার বলতে লাগল,
-এখানে আমি দু'জনকে অনুকরণ করার কথা ভাবি। একজন অনুপদা (আমার এক সহকর্মী যার ফটোগ্রাফি ফ্যাসিনেশন।সারাবছর সুযোগ পেলেই ক্যামেরা হাতে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায় )। আর দ্বিতীয়জন তুমি।
-ছিঃ ছিঃ ছিঃ ছিঃ ছিঃ আমার এই ব্লগিং করার মতো অপকর্ম তোমার এত ভালো লাগছে জেনে আমি লজ্জিত। তুমি ভয় আমার পথে এসো না। অর্পিতা (বন্ধু পত্নী) তাহলে তোমাকে গৃহছাড়া করেই ছাড়বে।
-না না এই মুহূর্তে যে কবিতাটা পাঠ করলে নিঃসন্দেহে স্যালুট পাওয়ার যোগ্য।

সুতরাং বুঝতেই পারছেন এতোটুকু বিকৃতি না করে আলোচনাটি তুলে ধরলাম । আশা করি আপনি আমার সহকর্মীর অভিবাদন গ্রহণ করবেন।

পোস্টটিতে like' করাতে ও সঙ্গে এত্তগুলো প্লাসে দারুণ অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

১৯| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



গুরুজি, শুভেচ্ছা রইলো।
মরীচিমরীচিকার প্রতিটি পর্ব একটি নতুন উচ্চতায় আরোহন করছে। আমার সবচেয়ে ভালো লাগে খুটিনাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে আপনার পর্বগুলোতে। এগুলো পাঠকের মনে দোল দেয়, ভাবায়। এটাই একজন লেখকের সার্থকতা। এ পর্বে সিগারেট নিয়ে চমৎকার লুকোচুরি করলেন! মুগ্ধ হওয়ার মতো।

কাহিনী এগিয়ে যাক। আর অনেক রহস্য আর অজানা অধ্যায় জানা হবে।

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় গুরুদেব,

অনেকদিন পরে আপনার মন্তব্য পেয়ে যেন নবজীবন লাভ করলাম।
শুরুতেই আপনার শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

আপনি এই মুহূর্তে সাহিত্য জগতে নবাগতা স্টার।আগামী বইমেলার জন্য আপনাকে অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল। আপনি একজন প্রতিষ্ঠিত সুলেখক। আর এ কারণেই আপনার আগমন আমার কাছে বিশেষ আকাঙ্ক্ষার । বরাবরের মতো সুন্দর কমেন্টে মুগ্ধ হলাম। মরীচিকার খুঁটিনাটি বিষয় আপনার সূক্ষ্ম অনুভূতিতে ধরা পড়ায় আনন্দ পেলাম। সিগারেটের লুকোচুরিতে আনন্দ পেয়েছেন জেনে ধন্য হলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
জানি আগামীতে আপনার আরো ব্যস্ততার সময় আসছে। কতটা ব্লগে পাবো সন্দেহ। সে কথা মাথায় রেখেও পরবর্তী পর্বগুলোতে আপনাকে পাশে পাবো আশা রাখি।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় গুরুদেবকে।


২০| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: শেলী নামের চেয়ে শেফালী নামটাই বেশি সুন্দর।

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা হা ..... আনন্দ পেলাম শুনে। আবার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ছোট ভাইকে।

অফুরান শুভেচ্ছা রইল।

২১| ২৭ শে জুন, ২০১৯ রাত ৯:০২

করুণাধারা বলেছেন: এই পর্বে মাস্টারদা আর শেলীর প্রেম আরও গভীরতা পেল। এর পর কী হয় জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

মাস্টারদার বাবা ছেলের সিগারেট খাওয়া পছন্দ করতেন না, এই অপছন্দ করাটা এবং এ নিয়ে বাবা ছেলের কথোপকথন খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ভালো লাগলো শেলীর কথন- জলের মতো সে নীলের কাছে ধরা দিতে চায়। সবকিছু মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।

লাইক না দেবার কোনোও উপায় থাকলো না!!

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া অপুনি,

হাহাহা .... কি যে বলেন? গল্পের মাস্টারদা-শেলীর প্রেম পর্ব গভীরতা পেয়েছে জেনে আনন্দ পেলাম। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় আছেন জেনে চমৎকৃত বোধ করলাম । ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

বাবা - ছেলের সিগারেট খাওয়ার কথোপকথন ও শেলী জলের মতো সে নীলের কাছে ধরা দিতে চায়- ভালো লাগাতে আবার মুগ্ধতা।
কমেন্টের একেবারে শেষে এমন আন্তরিক লাইক প্রধানের অভিব্যক্তিতে পুলকিত হলাম। পেলাম অনুপ্রেরণাও। কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

২২| ২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ১:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগা রেখে গেলাম ।
বাকি পর্বগুলি পড়তে হবে ।
শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আলী ভাই,

বহুদিন পরে আপনার মন্তব্য পেয়ে আনন্দ পেলাম। পোস্টটি ভাল লাগাতে ও লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বাকি পর্বগুলি সময় সুযোগ মত পড়ে মন্তব্য করবেন- অপেক্ষায় রইলাম।

আপনার শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম।

আপনার জন্যও রইল শ্রদ্ধা ও শুভকামনা।

২৩| ২৮ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো লেখা ও সেইসাথে মন্তব্যগুলো ।
++
শুভকামনা

২৮ শে জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় পরি আপু,

আপনার ছোট্ট আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিকে লাইক করাতে ও ডাবল প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভকামনা গ্রহণ করলাম।

আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।

২৪| ২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

মা.হাসান বলেছেন: শরীরে ক্লান্তি নিয়ে আপনার আগের পোস্টটি পড়েছিলাম। তা থেকেই মনেহয় ভুল। ভুলের জন্য আন্তরিক দুঃখিত।

কবিতাটি বাংলাদেশের কবি রফিক আজাদের লেখা। উনি প্রায় তিন বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। কবিতাটির নাম ' বালক ভুল করে নেমেছে ভুল জলে'। কাব্যগ্রন্থের নাম 'পরিকীর্ণ পানশালা আমার স্বদেশ'। তবে ওনার সর্বশ্রেষ্ঠ বই সম্ভবত ' চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া'। 'বালক ভুল করে নেমেছে ভুল জলে' কবিতাটি আরো বড় । কপিরাইট সংক্রান্ত কারণে এখানে পুরো কবিতাটি তুলে দেইনি। গুগোল এ নাম লিখে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন।

অনেক শুভকামনা।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,

প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য। যদিও সেই বিলম্বে আমার অবদান আছে ঠিকই কিন্তু দুর্ভাগ্য জনিত সমস্যা অনেক বেশি দায়ী। কবি রফিক আজাদের কবিতার সঙ্গে আমার ইতিপূর্বে পরিচয় আছে। 'ভাত দে হারামজাদা' শীর্ষক একটি কবিতায়,
" অযৌক্তিক লোভ নেই, এমন-কি, নেই যৌন ক্ষুধা-
চাইনি তো: নাভিনিম্নে পরা শাড়ি, শাড়ির মালিক;
যে চায় সে নিয়ে যাক-যাকে ইচ্ছা তাকে দিয়ে দাও-
জেনে রাখ: আমার ওসবের কোনো প্রয়োজন নেই।
যদি না মেটাতে পারো আমার সামান্য এই দাবী,
তোমার সমস্ত রাজ্যে দক্ষযজ্ঞ কান্ড ঘটে যাবে।"
সুতরাং বুঝতেই পারছেন কেমন স্পষ্ট কথার মানুষ
উনার প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে গেল। সময় পেলে ওনার কাব্যগ্রন্থে সার্চ দিয়ে দেখে নেব।


শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
"

২৫| ২৮ শে জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩৭

বলেছেন: প্রিয় দাদা,

সিগারেটের মতো এমন নেশার উজ্জ্বল মুহূর্তগুলো গল্প এত নিপুনভাবে তুলে এনেছেন তাতে আমি চমকিত হলাম।

সিগারেট নিয়ে আমার কথা ছিলো - যাহা শরীরের ক্ষতি করে তাহা সেবন করিবো না --; এখনো তেমনি তবে আপনার গল্প শুনে নিজের অভিজ্ঞতা বলতে হচ্ছে হলো -

কলেজে পড়ার সময় একবার লন্ডন থেকে আগত এক আত্মীয়কে দেখতে গিয়েছিলাম - তখন আমার সিডিআই হোন্ডা নিয়ে তাদের বাসায় উপস্থিত হই আসার সময় হাতে একটা গিফট তুলে দেন। গিফট খুলে দেখি বিদেশি ব্যান্ডের সিগারেট যা পরে বন্ধুকে দিতে হয়েছিল।।

আপনার লেখার এজটি লাইন মনে গেথে গেলো --- মেয়েদের হৃদয়টা হলো ঝর্ণার মতো যার নাগাল পেতে হাজার ক্রোশ অতিক্রম করতে হয় কিন্তু একবার সে ঝর্ণার সিন্ধতা পেয়ে গেলে অনন্তকাল তা মনকে শীতল ছায়া দান করে।।

অসম্ভব ভালোলাগা।।।।


০৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লতিফ ভাই,

বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। মন্তব্যের একদম শুরুতে উঠে এসেছে আপনার মনের সুন্দর অনুভূতি। আপনার চমক মানে আমার অনুপ্রেরণা; আমার আগামীর দিশারী; অভিবাদন জানাই আপনাকে।
পাশাপাশি নিন্দনীয় একটি কুঅভ্যাসের মধ্যেও ছোট্ট একটা অভিজ্ঞতা লুকিয়ে আছে সেটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আসলে আমাদের জীবনে এরকম হাজারো অভিজ্ঞতার সমষ্টি নিয়েই তৈরি। বিভিন্ন সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সেগুলো মনে করি । ভালো লাগা অনুভূতি আমাদেরকে এক অনাবিল আনন্দে ভরিয়ে দেয়,আর খারাপ অনুভূতি আমাদেরকে বেদনাবিধুর করে তোলে। আপনার সুন্দর অভিজ্ঞতায় আনন্দ পেলাম। আবারও ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।

মন্তব্যের একেবারে শেষে কোট করা অংশে ভালো লাগাতে মুগ্ধ হলাম। এইজন্যই সামুতে আমাদের লেখার সার্থকতা। সত্যি কথা এমন মাদকতা মেশানো মন্তব্য পেলে, কলম যে চলতে বাধ্য তা অস্বীকার করে কি করে হা হা হা হা হা......
পৌষ্টিটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

২৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

হাবিব বলেছেন: অনেক দিন থেকে আপনার পোস্টে আসা হয়না, অনেকটা ব্যস্ততায়। আপনার দুই পর্ব বাকি রয়ে গেছে, পড়বো সময় করে। সামু মুক্ত হওয়ার খবর দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,

হ্যাঁ আমি জানি আপনি এখন প্রচন্ড ব্যস্ত। ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা যে সেই ব্যস্ততাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সে কথা বলা বাহুল্য। আশাকরি দ্রুত আপনার ব্যস্ততার অবসান ঘটুক। একই সঙ্গে সময় পেলে বাকি দুটো পর্ব পড়ে কমেন্ট করবেন সেই আশা রাখি।
সময় আমাদের প্যাশান, আমাদের ভালোবাসা, আমাদের হৃদয়। তার অবরুদ্ধতে সত্যিই হৃদয় যেন হৃদয় খান খান হয়ে গেছিল। সেজন্য এর ফিরে পাওয়ার আনন্দ এতটা বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ময়।


পরিবার পরিজনদের সঙ্গে সুখে থাকুন উপরওয়ালার কাছে এই দোয়াই করি।



২৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার প্রতিমন্ত্বব্যে মাথা নত অভিবাদন।

আপনার বন্ধুকে আমার শুভেচ্ছা জানাবেন। নিশ্চয়ই উনার হৃদয় খুব অনুভূতিপ্রবণ।
অনুভবকে ধারন করতে পারে যারা তারাই রসাস্বদন করতে পারে গভীর থেকে।

আর আপনার অনুেরাধ শিরোতাজ হয়ে রইল।
নিশ্চয়ই দিয়ে দেব।
:)
অনেক অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা প্রিয় দাদা

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,

হাহাহাহা প্রতিমন্তব্যে না হেসে পারলাম না। বাস্তবে একদিন অনুভূতিশীল মানুষ খুঁজে নেন আর একজন অনুভূতিপ্রবণ মানুষকে। আমার সহকর্মী সত্যিই খুব অনুভূতিশীল। একজন বড় মনের মানুষ। ওকে নিয়ে আমার একটি গোটা গল্প লেখার উদ্দেশ্য আছে। বাকিটা যদি কোনদিন পোস্ট দিই সেদিন না হয় দেখে নেবেন হাহাহাহাহা .....


আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম। ‌

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

২৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮

আরোগ্য বলেছেন: কি খবর ভাইটি?
এতো তাড়াতাড়ি তোমাদের সাথে আবার কথা হবে তা কিন্তু ভাবিনি। আমি তো ভেবেছিলাম ব্লগ বুঝি এবার গেল। আমার কি হবে আমি তো ফেসবুকও ব্যবহার করি না। ব্লগিংটাই এখন হবি। এ কয়দিনে টেনসন আপ-ডাউন হত। ভাগ্যিস সব ঠিক আছে। তোমার কেমন গেল?

০৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

আশাকরি তোমরা সকলে ভালো আছো। আমরাও উপরওয়ালার ইচ্ছায় কুশলে আছি।
ব্লগ বন্ধ হওয়ার খবরে যে ব্যথা পেয়েছি তা বলে বোঝাতে পারব না। ফেসবুকে আইডি ছিল। কয়েকজন আগে থেকেই আমার ফেবুর বন্ধু ছিলেন। শ্রদ্ধেয় ভৃগুভাই ওই ক্লান্তিজনিত সময়ে আমাকে সামুর ফেসবুক গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। ব্লগের কোন বিকল্প নেই জেনেও বলছি ওই কঠিন সময়ে ফেসবুকে গ্রুপ পেজে থাকাটা যে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর মত হয়েছিল তা অস্বীকার করতে পারি না। আমি আগে থেকেও ফেসবুক পছন্দ করতাম না। কিন্তু ঐ তিন দিনে বুঝেছিলাম কিছু না থাকার চেয়ে ঔটুকু থাকার আনন্দ অনেক। তোমাকেও এজন্য অনুরোধ করবো অন্তত একটি ফেসবুক আইডি খুলে রাখার।‌ যাতে যুদ্ধের সময় আমরা নিজেদের মধ্যে অন্তত যোগাযোগ রাখতে পারি। উল্লেখ্য প্রায় সাড়ে 400 জন ব্লগার আমরা ঐ তিন দিনে সামুর ফেসবুক পেজে শামিল হয়েছিলাম। তোমাকে, মুক্তা আপু, রাকু সহ অনেকেই বিভিন্ন জনের কাছে খোঁজ নিয়েও সন্ধান না পেয়ে নিরাশ হয়েছি। আশা করবো এবার বিষয়টি নিয়ে পজেটিভলি একটু ভাববে।

অফটপিক,ইতিমধ্যে পৌরসভার কাউন্সিলর মিটিং সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের জমির মিউটেশন হয়ে গেছে। সামনের সপ্তাহে আশা করি ইঞ্জিনিয়ার প্ল্যান জমা দেবে। সেক্ষেত্রে আর এক দেড় মাসের মধ্যে বাড়িতে হাত দেবো বলে নিয়ত আছে।

অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসি জানবে।


২৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০০

মাহের ইসলাম বলেছেন: শেলী নামটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
তবে, নীল নামটা তেমন ভালো লাগেনি।

কী আর করা?
মেনে নিতে হচ্ছে।

বিভিন্ন কারণে, কিছুটা অনিয়মিত হয়ে পড়েছিলাম। আপনার লেখা এক নিঃশ্বাসে পড়েই তবে শান্তি পেলাম।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:৫০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় মাহির ভাই। যাদের মন্তব্য না পেলে মনে অতৃপ্তি থেকে যায় আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম। ব্লগে নিয়মিত নিয়মিত হন সে কর্মব্যস্ততা থাকতেই পারে, কিন্তু আপনার শারীরিক ও মানসিক সুখানুভুতির প্রশ্নে ব্লগে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত মনে সন্দেহ থেকে যায়। আশা করি উপরওয়ালার কৃপা কুশলে আছেন। আপনার পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে অধ্যায়ন অব্যাহত আছে।
পোস্ট প্রসঙ্গে, শেলী নামটি ভালো লেগেছে শুনে আনন্দ পেলাম কিন্তু নীল নামটি ভালো না লাগাতে কিঞ্চিৎ হতাশ হলাম তবে সব জিনিস সব সময় সবার ভালো লাগে না। আগামী চেষ্টা করব নামের নবায়ন ঘটিয়ে আপনাদের অনুভূতির যথাযথ মূল্য দিতে।
গল্পটি এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলেছেন জেনে আবারো আনন্দ পেলাম; ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইলো অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও ভালবাসা।

৩০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০১

আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি,
কি খবর? আশা করি তৈমুর চৌধুরী ইঞ্জিনিয়ারের সাথে ঠিকমত আলোচনা করেছে । আর দেরি নয় তাড়াতাড়ি বাড়িটা করে ফেল। আমার হিল্লে হয়ে গেলে তোমার ওখানে বেড়াতে যাবে। জয় শ্রী রাম আজেন্ডা থেকে আমাকে বাচিও কিন্তু ।

আর তোমরা সামুর দুর্দিনে অন্যনীড়ে উড়ে গিয়ে বসেছিল। হুম কাজটি কিন্তু ভালো নয়। আমি কিন্তু সব ইনভেসটিগেশন করেছি। আর তোমাকে একটা এ্যাড্রেস দিচ্ছি, তৈমুর চৌধুরীর বোনের। ডিলিট করে দিও।

আজকে মরীচিকায় ১ম হয়েছি। যাই পড়ে মন্তব্য করবো।

শুভ রাত্রি।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সর্বনাশ! এবার তো আমাকে পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে।
হ্যাঁ গেছিলাম ওখানে। ফালতু ব্লগ। ফটোও দেইনি । সেই ক'দিন আবার সামুর ফেসবুক গ্রুপে চলে আসি। ঠিকানাটা দিচ্ছ কোথায়? আমি অপেক্ষায় রইলাম। আজ মরীচিকার 25 পর্বে প্রথম হয়েছ। আমি আনন্দিত যে অনেকদিন পর তোমাকে প্রথমে পেলাম। ধন্যবাদ তোমাকে।
সকলকে নিয়ে সুখে ও আনন্দে কাটাও চিরকাল।

৩১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




রূপনারায়ণের মতো জীবনটাও যে মাঝেমাঝে রূপ বদলে রঙীন হয়ে ওঠে তারই বয়ান এ পর্বে।
সাসপেন্স না থাকলেও রূপনারায়ণের ঢেউ ছিলো...................

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,

আপনার পাঠ ও মন্তব্যে আনন্দ পেলাম।
"রূপনারায়ণের মত জীবনটাও যে মাঝেমাঝে রূপ বদলে রঙিন হয়ে ওঠে।" সুন্দর কমেন্টে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন কালারফুল মন্তব্যের আশায় যে আপনার জন্য পথপানে চেয়ে থাকা....
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় ভাইজানকে।

৩২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: পিতৃদেবের সামনে মাথা নীচু করে পায়ের বুড়ো আঙুল ঘষতে ঘষতে ক্ষমা প্রার্থনার দৃশ্যটি সুন্দর এঁকেছেন, যেন চোখের সামনেই দেখতে পেলাম।
পোস্টটি মা. হাসান এর মত একজন সক্রিয় এবং উৎসাহী ব্লগারকে উৎসর্গ করায় খুশী হ'লাম।
পোস্টে ভাল লাগা + +।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,

পিতৃদেবের সামনে বিশেষ ঘটনাটির পরিপেক্ষিতে পায়ের বুড়ো আঙ্গুল ঘষতে ঘষতে ক্ষমা প্রার্থনা দৃশ্যটি আপনার কাছে নিখুঁত মনে হওয়াতে অনুপ্রেরণা পেলাম। উল্লেখ্য আপনার এমন কমেন্টেই আমার পোস্টটি যেনো পরিপূর্ণতা পেল। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটি কৃতজ্ঞতায় ভালো লাগাতে আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
সবশেষে পোস্টে ভালোলাগা, ডাবল প্লাস ও পোস্টে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

৩৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর কাহিনী, ভালো লাগল। ধন্যবাদ পদাতিক দা

২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই। বহুদিন পর আপনাকে পেয়ে খুশি হয়েছি।
আশাকরি বাকি পর্বগুলোতেও সময় করে আসবেন।

শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.