নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
মরীচিকা (পর্ব-৩১)
সেদিন ইচ্ছে করে কিছুটা খোঁচা দিতেই মিলিদিকে জিজ্ঞাসা করি,
-আচ্ছা মিলিদি, রমেনদাকে তোমার কেমন লাগে?
আমার কথার কোন উত্তর না দিয়ে মিলিদি বরং কিছুটা উদাস ভাবে ম্লান মুখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। বুঝলাম খোঁচাটি সে গ্রহণ করল না। হয়তো কিছুটা ইচ্ছে করেই ধরা দিচ্ছে না ভেবে আমি প্রসঙ্গ বদল করতে,
-জানো মিলিদি আমার মন বলছে হোস্টেলে আমার দিন ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে।
-ওমা সেকি!কেন এমন ভাবছেন দাদা? কেন অন্য কোথাও কি চাকরি-বাকরি পেয়েছেন?
-না না চাকরি চাকরি-বাকরির ব্যাপার নয় বা তোমার এতটা উৎকন্ঠিত হওয়ার মতো বিষয়ও নয়। তবুও আমার মন বলছে এখানে বেশিদিন আর আমার থাকা হবে না। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে একটা কাজ সমাধা করতে না পারলে বাকি জীবনে মনে খেদ থেকে যাবে।
সরল মনে মিলিদি জিজ্ঞাসা করল ,
- কি কাজের কথা বলছেন দাদা? কিসের খেদ আপনার? জীবনে সবাইকে হারিয়ে অবশেষে এইখানে এসে আমি যে আপনাকে খুব আপনজন ভেবেছিলাম। আপনিও শেষ পর্যন্ত আমাকে ছেড়ে চলে যাবেন?
-আমিও ঠিক তোমাকে ততটাই আপন ভাবি মিলিদি। আর একারণেই তোমার প্রতি আমার একটা অধিকারবোধ জন্মেছে। তোমাকে একা ফেলে চলে যেতে পারছিনা বলেই তো একটা বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবছি আর এ কারণেই তোমাকে এখানে ডেকেছি মিলিদি।
-কি ব্যবস্থা দাদা?
- শোনো তাহলে, রমেনদার মায়ের যা অবস্থা তাতে যে কোনো সময় খারাপ কিছু খবর আসতে পারে। বাচ্চা দুটিকে নিয়ে রমেনদা আগামী দিনে আরো বড় সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে। আমি যদি এতোটুকু ভুল না হই তাহলে বলতে পারি আমরা দুজনেই ওর শুভাকাঙ্ক্ষী। অন্যদিকে তোমার জীবনের উপর সুপার সাইক্লোন বয়ে গেছে,যা এখন অনেকটা স্তিমিত। এমতাবস্থায় একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে তোমাদের দুজনের চারটি হাত এক করাই আমার অন্যতম লক্ষ্য। আশাকরি এবার আর তুমি আমার কথার দ্বিমত করবে না।
আমার কথা শেষ না হতেই মিলিদি বাচ্চা শিশুর মতো কাঁদতে লাগলো। ওর এই অপ্রত্যাশিত অভিব্যক্তিতে আমি হতচকিত হলাম। আমিও ওর সঙ্গে সমান আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লাম। মুখে বারকয়েক ওকে শান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম। স্বপ্ন প্রত্যেক মানুষই দেখে। স্বপ্ন বাস্তব হলে আনন্দাশ্রু চোখের বাঁধ মানেনা। মানুষের ক্ষোভ, কষ্ট কান্নার মাধ্যমে পরিস্ফুট হয়। কাজেই কান্না মানুষকে গ্লানিমুক্ত করে; করে তোলে স্বাভাবিক ছন্দময়। আমি পরবর্তী ঘটনার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। একসময় মিলিদির কান্না বন্ধ হল এবং মুখ তুললো আমার দিকে। চোখ দিয়ে তখনও ফোঁটা ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে নাকের দুপাশ থেকে। অথচ মোছার কোন নামগন্ধ নেই। আমি উপযাজক হয়ে আঁচল দিয়ে চোখ মোছার কথা বলতে গিয়েও থেমে গেলাম। আনত মুখে হঠাৎ একটুকরো নির্মল হাসি; যেন শরতের এক পশলা বৃষ্টির পরে প্রকৃতি রাজ্য ধুয়েমুছে সাফসুতরোর মতো হৃদয়ের সোনালী রোদ্দুরকে তুলে ধরলো। বুঝতে পারলাম তার অন্তরে অনুভূতির সুনামি বয়ে চলেছে। কিছু একটা বলার চেষ্টা করেও পারছে না। আচরণের মধ্যে বেশ অস্বাভাবিকত্ব বেরিয়ে আসছে। বেশ কয়েকবার এরকম কিছু বলার চেষ্টা করলেও তা কাশিতে রূপান্তরিত হল। অবশেষে অস্পষ্ট সুরে অত্যন্ত মিহি গলায় বললো,
-দাদা আমাদের সমাজে বিয়ের অনেক নিয়মকানুন আছে। আপনি মানুষটির সঙ্গে কথা বলে নিন। সেই মতো আমাকে জানাবেন।
আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম।দুটি মনের মধুর মিলনে নিজেকে অনুঘটকের ভূমিকা পালন করতে পেরে এক অসম্ভব ভালোলাগার আবেশে পুলকিত হলাম। সেদিন রাতেই মিলিদির সম্মতি নিয়ে রমেনদার সঙ্গে কথা বলি। সেও একই কথা বলল যে আদিবাসীদের মধ্যে বিবাহ সম্পর্কে অনেক নিয়মনীতি আছে। যদিও আমার পাল্টা প্রশ্নে রমেনদা সে সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানাতে পারলো না।সমাজপতি রাগমাঝির সঙ্গে পরামর্শ না করে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিল। বিষয়টা আমার কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় লাগলো।আমি নিজে রাগমাঝির সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিলাম। রমেনদা মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো। সমাজপতির সঙ্গে আসন্ন সাক্ষাতের অপেক্ষায় আমি অধীর হয়ে উঠলাম।
পূর্ব সিদ্ধান্ত মতো পরবর্তী রবিবার খুব ভোরে মিলিদিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম রমেনদার গ্রামের উদ্দেশ্যে। প্রথমে বাস, বাস থেকে নেমে ট্রেন, ট্রেন থেকে নেমে আবার বাস; তারপরে আধা পাহাড়-জঙ্গলের রাস্তা ধরে আমরা ক্রমশঃ এগিয়ে চললাম। একসময় আমরা পড়লাম চারপাশে সুদৃশ্য শাল-পিয়ালের জঙ্গলের মধ্যে। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা সঙ্গে প্রকৃতির এমন নৈসর্গিক দৃশ্যে আমার এতক্ষণে ক্লান্তি মুহূর্তে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেল। জায়গায় জায়গায় শুকনো পাতার উপর তিন জোড়া পায়ের মচমচ শব্দে আমি একেবারে মোহিত হয়ে গেলাম। পথিমধ্যে একটা ছোট্ট দীঘির শান্ত জলরাশিতে পার্শ্ববর্তী বৃক্ষরাজির প্রতিবিম্বের শোভা নিরীক্ষণ করতে লাগলাম। এমন সময় এক্কেবারে পাশে আগত একটি বৃক্ষকে জড়িয়ে ধরলাম। সঙ্গে চারিদিকে কলকাকলির মধুর তানে সমগ্র পরিবেশটির এমন নৈসর্গিক দৃশ্যের অপার সুখ আমার হৃদয়ের প্রকোষ্ঠকে উদ্বেলিত করে তুললো। ইতিমধ্যে রমেনদা অনেকটা দূরে চলে গিয়েছিল।পিছন ফিরে তাকাতে আমি অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি দেখে দুই হাত কোমরে গুজে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো। দূর থেকে একটা মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে এক-পা দু-পা করে আমার পাশে চলে এলো।
-দাদা গাছটির নাম জানেন?
-আরে! আমি কি করে জানবো? আমি কি ইতিপূর্বে কখনো জঙ্গলে এসেছি যে আমি গাছ চিনবো? কি নাম গাছটির?
-এটা হল মহুয়া গাছ।
- হ্যাঁ!এই সেই মহুয়া গাছ!বলে বিস্ময়ে ঘাড় উঁচু করে গাছটির উপর নীচে তাকাতে লাগলাম। মহুয়ার সুঘ্রাণের কথা আমি ইতিপূর্বে শুনেছি।হস্তীকুল পর্যন্ত যে সুঘ্রাণে উদগ্রীব হয়ে ওঠে। যে সুঘ্রাণের উৎস আবিষ্কার করতে না পেরে সময় বিশেষ গজবাহিনী ধ্বংসলীলায়ও মত্ত হয়। হস্তীকুলকে নিবৃত্ত করতে তাই অরণ্যবাসী পরিবারগুলি মহুয়া মরশুমে বাড়ির বাইরে মহুয়ার নির্যাস নির্মিত হাঁড়িয়া তৈরি করে পাত্র ভরে রাখে অতিথিবৃন্দের আপ্যায়নে। হস্তীকুল মনের শান্তিতে পল্লী ভ্রমণে এসে নিজেদের উদরপূর্তি করে এবং সংহার রূপ পরিত্যাগ করে। কথা বলতে বলতে হাঁটতে হাঁটতে একসময় আমরা দূরে কিছু কুটির দেখতে পেলাম। বুঝলাম আমরা একেবারে গন্তব্যে পৌঁছে গেছি। রমেনদার কাছ থেকে জানতে পারলাম অবস্থানগত দিক থেকে ওদের গ্রামটা নাকি জঙ্গলের একেবারে শুরুতেই।সে ক্ষেত্রে কোর জঙ্গল তাহলে আরো কত গভীর হতে পারে; তা ভেবে রীতিমতো শিউরে উঠলাম। গভীর জঙ্গলের মধ্যে বিষধর সাপ, হাতি, শিয়াল ও ভাল্লুকের আনাগোনা আছে বলে রমেনদা জানালো। তবে মাঝে মাঝে লোকালয়েও ওরা এসে পড়ে। যার মধ্যে সাপের আনাগোনাটা একটু বেশি বৈকি। এতক্ষণ যে গতিতে চলছিলাম সাপের কথা শুনতেই আমার হৃদপিণ্ড কম্পমান হয়ে উঠলো। দুরুদুরু বুকে এগিয়ে চলেছি। আর পাল্টা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা হলো না। কুটির গুলো অবশেষে কাছে চলে এলো। দূর থেকে আট-দশটা বলে মনে হলেও এসে দেখলাম ঠিক আট দশটা নয়, একটির আড়ালে আরো অনেকগুলো কুঁড়েঘর পাশাপাশি অবস্থিত। যা দেখে আদিবাসী পল্লীর জনসংখ্যা যথেষ্ট বলেই মনে হল।এতক্ষণ আমরা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে শর্টকাট করে এসেছি। রমেনদার কথায় রাস্তা ধরে এলে নাকি আরো অনেক পথ হাঁটতে হত।
কিন্তু পাড়ায় ঢুকে কেমন যেন খাঁ খাঁ করতে লাগলো। পড়ন্ত বিকেল অথচ গোটা পাড়াটা যেন ঘুমিয়ে আছে। আমরা ঢোকার পর গুটিকয়েক নগ্ন বাচ্চা ছাড়া আর কারো দেখা পেলাম না। বাচ্চাগুলো উৎসুক দৃষ্টিতে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকলেও মুখ দিয়ে কোন শব্দ করলো না। রমেনদাও তাদের দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে ক্রমশ এগিয়ে চললো । ঠিক গুনে গুনে চার-পাঁচটি বাড়ির পাশ কাটিয়ে অবশেষে একটি বাড়ির সামনে এসে রমেনদা ওদের আঞ্চলিক ভাষায় কেমন একটা শব্দ করলো। রমেনদার বর্ণনায় ছেলেদের চেহারার সাথে ইতিপূর্বে পরিচয় থাকার সুবাদে বুঝলাম বড় ছেলে বাড়ির বাইরে এসে আমার ও মিলিদিকে প্রণাম করলো। পিছন পিছনে ছোট ছেলেও দাদাকে অনুসরণ করলো। আমি দুই ভাইকে সৌজন্যে সূচক আশীর্বাদ করে সোজা ঢুকে পড়লাম রমেনদার ঘরের মধ্যে। ঘর বলতে বাঁশের দর্মার উপরে পাশাপাশি দুটি ত্রিপল জোড়া। মাটির মেঝেতে বস্তা বিছিয়ে গুটি মেরে শুয়ে আছেন ওর মা। অত্যন্ত মলিন শাড়িতে হাড্ডিসার চেহারার মানুষটিকে যেন বুভুক্ষু মানুষের প্রতিনিধি বলে মনে হলো । রমেনদা পরিচয় করিয়ে দেওয়াতে মাসিমা আমার দিকে তাকালেন মুখ দিয়ে অস্ফুটে কি যেন একটা শব্দ করলেন। কিন্তু তা আমার কান পর্যন্ত এসে পৌঁছাল না। যদিও ওনার শরীরে, কথা বলার মতো সামর্থ্য আছে বলে আমার মনে হলো না। ইতিমধ্যে অপরাহ্ন এগিয়ে চলেছে, মধ্যপ্রদেশে এবার একটু চিনচিন ব্যাথা অনুভব করলাম। ঘর থেকে বেরিয়ে আসতেই দেখি মিলিদি রমেনদার জৈষ্ঠ্য পুত্র হরেনের সঙ্গে খোলা আকাশের নিচে উনুনে রান্না করতে বসে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানলাম হরেন আগে থেকে সজনে পাতা রান্না করে রেখেছিল। তার সঙ্গে দেশি মুরগির ডিমের ঝোল সহযোগে দারুণ তৃপ্তি করে সেদিন মধ্যাহ্নভোজ সারলাম।
আমার মন পড়েছিল রাগমাঝির কাছে। জঙ্গলের মধ্যে আরও দুই-আড়াই কিমি গেলে নাকি ওনার বাড়ি। এমন অপরাহ্ণে ওখানে যাওয়াটা ঠিক হবে কিনা রমেনদাকে জিজ্ঞাসা করতেই,
-না না দাদা। আমাদের এই জায়গাটায় তেমন কিছুরই ভয় নেই।
রমেনদার কথা বলার ভঙ্গিমায় তেমন ভরসা পেলাম না। তবুও মনে কিছুটা ভয় বা উৎকণ্ঠা নিয়েই আর সময় নষ্ট না করে রমেনদাকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গলের পথে হাঁটা শুরু করলাম। এবারের গন্তব্যস্থল রাগমাঝির বাড়ি। মানুষ ভয় পেলে বোধহয় ছোট্ট পথ দীর্ঘ বলে মনে হয়, কম সময় দীর্ঘক্ষণ বলে অনুভূত হয়।জানিনা তার জন্য কিনা, তবে এবারের রাস্তা যেন কিছুতেই আর শেষ হচ্ছে না; জঙ্গলের মধ্যে হাঁটছি তো হাঁটছি-ই।শুরুতে আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কথা শুনলেও বাস্তবে আমার আরো অধিক বলে মনে হলো। ওদিকে পশ্চিম দিগন্তে রক্তিমদেব অনেকখানি ঢলে পড়েছে। হাঁটতে হাঁটতে বারেবারে হাই উঠছিল;পা ও যেন জড়িয়ে আসতে লাগলো।এমন সময় রমেনদা উত্তেজিতভাবে আমাকে ধাক্কা দিয়ে নিকটবর্তী একটা গাছকে ইশারা করে,
- দাদা দ্রুত গাছটিতে উঠে পড়ুন।
-কেন? সামনে কি কিছু আছে নাকি?
-বলছি পরে। আগে উঠুন, বলে আমার পিছনে চাপ দিতেই আমি ভয়ে হতচকিত হয়ে গাছে উঠে বসলাম। জঙ্গলের অচেনা-অজানা গাছটিতে উঠতে অবশ্য আমার তেমন বেগ পেতে হয়নি। ছোটবেলায় নারকেল গাছে ওঠার অভ্যেসটা আজ দারুণভাবে কাজে এসেছে।সে সময় পায়ে দড়ি দিয়ে, বুকে গামছা বেঁধে নারকেল গাছে উঠতাম। কিন্তু আজ এক অজ্ঞাত কারণে ছেলেবেলার অভ্যেস যে এইভাবে কাজে লেগে যাবে তা কল্পনা করতে পারিনি। যাই হোক গাছের বেশ কিছুটা উপরে উঠে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলাম। মনে মনে ভাবছি চিতাবাঘ জাতীয় যদি কিছু থেকে থাকে তাহলে উপরে উঠলেও সুবিধে হবেনা। অথচ রমেনদা চিতাবাঘের কথা একবারও বলেনি। তাহলে কি আরও হিংস্র কোন জন্তুর খপ্পরে পড়ে গিয়েছি? মনে নানান প্রশ্ন উদয় হতে লাগলো। একইসঙ্গে বাবা-মায়ের মুখচ্ছবি বারে বারে ভেসে উঠতে লাগলো। কি জানি হয়তো আজই জীবনের শেষ দিন হতে চলেছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-
১-উপরের ছবিটি আমার ছাত্র শ্রীমান সুজিত কুমার দাসের আঁকা।
২-একটা টেকনিক্যাল প্রবলেমের জন্য পোস্টটি দিয়েও সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। কিন্তু ততক্ষণে দুজন ব্লগার চমৎকার মন্তব্য করেছিলেন।
@আনমনা:- চমৎকার। আশা করি রাগমাঝি অনুমতি দেবে। তার আগে কি দেখে গাছে উঠলেন জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
@ইসিয়াক:-দাদা আপনি মহুয়ার ফল খেয়েছেন? পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই কিন্তু, সাঁঝবেলাতে গাছে উঠে বসে থাকলে হবেনি কো। আমি আর ধৈর্য ধরতে পারছিনে।
ভালোলাগা ও শুভকামনা।
রাতে ঘুমুতে যাবার আগে পোস্টটা দেখতে পেলাম না। ১১টা পর্যন্ত সম্ভবত: নতুন ব্লগ নিয়ে লিখেছিলেন। পেজটা মনে হয় ৯:৪০এ খুলেছিলেন। লেখার পরে নতুন পেজে কপি পেস্ট করে দিলে লেখাটা মনে হয় আরো উপরের দিকে আসতো। মেহরাব ভাই এর সরি দিপান্বিতার আগে বা পিছে। হা হা হা বেশি বকবক করলাম মনে হয়।
ভালো থাকবেন।
সুপ্রভাত।
পোষ্টটিতে লাইক করেছিলেন-
@আনমনা
@রাকু হাসান
ধন্যবাদ সকলকে।
মরীচিকা (পর্ব-২৯)
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহা....
আপনার পরামর্শ মেনেই পোস্টটিকে ড্রাফটে নিয়ে নতুন করে আবার পোস্ট দিয়েছি। ধন্যবাদ প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।
প্রথম মন্তব্য মানে আলাদা ভালোলাগা। এক্ষেত্রে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩
ইসিয়াক বলেছেন: আগেরবার আমি প্রথম হতে পারিনি কিন্তু এবার আমি প্রথম দ্বিতীয় দুটো ই হবো ....হবোই ।
দাদা হ্যাপি ব্লগিং
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশতো! আপত্তি কিসে? আপাতত আপনিই ফাস্ট, আপনিই সেকেন্ড, আপনিই থার্ড। তবে সমস্যা একটাই দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে আনমোনাআপু এসে গেছেন। উনিও দাবি না ছাড়ার কথা বলে গেছেন। পিছনে আবার প্রিয় আরোগ্য এসে হাজির। সেও তৃতীয় হওয়ার দাবিতে অটল। কাজেই সমস্যা গুরুতর। আপনারাই ঠিক করুন। আমি পালালাম। হাহাহা.....
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৪
ইসিয়াক বলেছেন: +++
তৃতীয়টি ও আমার দখলে ..........
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে....
প্লাস ও মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৫
আনমোনা বলেছেন: আগের বার আমি প্রথম হয়েছিলাম। দাবি ছাড়বোনা।
দেখে আসি কি বদলালেন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যরি আপু পোস্টটি তুলে নেওয়ার জন্য দুঃখিত। নতুন পোস্টে কিছু বদল তো থাকবেই। তবে আপনি কি বদল খুঁজে পেলেন আমিও সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম। হাহাহাহাহা..
পোস্টটিতে লাইক করাতে অনুপ্রাণিত হলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৩
আরোগ্য বলেছেন: না না না মানবো না। আমি তৃতীয়।
ইসিয়াক ভাই দুনম্বরী চলবে না।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহাহা..... তোমাদের সুন্দর রসিকতায় মুগ্ধ হলাম। ইহা পরীক্ষিত সত্য যে তুমি তৃতীয় স্থান অধিকার করিয়াছো। ইসিয়াক ভাই তোমার জন্যই তিন নম্বর সিরিয়ালটি বুক করিয়া রাখিয়াছেন।হাহা হা..
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮
ল বলেছেন: এই কবিতাই আজকের এপিসডের মূলকথা ......
মানুষের মানচিত্র ১ –
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
আহারে বৃষ্টির রা, সোহাগি লো, আমি থাকি দূর পরবাসে।
কান্দে না তোমার বুকে একঝাঁক বুনোপাখি অবুঝ কৈতর?
কেমনে ফুরায় নিশি? বলো সই, কেমনে- বা কাটাও প্রহর?
পরাণ ছাপায়ে নামে বাউরি বাতাস, দারুণ বৃষ্টির মাসে।
যে বলে সে বলে কথা, কাছে বসে, হাতে খিলিপান দিয়ে কয়-
এতো জল ঝরে তবু পরান ভেজে না কেন, কও তো মরদ?
দুয়ারে লাগায়ে খিল যদি কেউ থাকে তারে কে দেবে দরদ।
শরীরের মোহনায় দেখি তার বুনো ঢেউ রক্ত-মাংসময়।
শরীর গুটায়ে রাখি, শামুকের মতো যাই গুটায়ে ভেতরে।
অন্ধকার চিরে চিরে বিজুলির ধলা দাঁত উপহাসে হাসে,
আমি বলি- ক্ষমা দাও, পরান বন্ধুয়া মোর থাকে পরবাসে,
দেহের রেকাবি খুলে পরানের খিলিপান কে খাওয়াবে তোরে।
গতবার আষাঢ়ও পার হয়ে গেলো তাও নামে না বাদল,
এবার জ্যোষ্ঠিতে মাঠে নেমে গেছে কিষানের লাঙল-জোয়াল।
আমাদের মাঝে দেখো জমির ভাগের মতো কতো শত আল্,
এই দূর পরবাস কবে যাবে? জমিনের আসল আদল।
কবে পাবো? কবে পাবো আল্ হীন একখণ্ড মানব-জমিন?
পরবাস থাকবে না, থাকবে না দূরত্বের এই রীতি-নীতি।
মহুয়ার মদ খেয়ে মত্ত হয়ে থাকা সেই পার্বনের তিথি
কবে পাবো? কবে পাবো শর্তহীন আবাদের নির্বিরোধ দিন?
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কবি ভাই,
অসম্ভব সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহের বেশ কিছু কবিতা পড়েছি। কিন্তু কবিতাটি পড়ে ভীষণ ভালোলাগা অনুভূত হলো।নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে কবিতাটি পোষ্টির মান যে বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে সে কথা বলা বাহুল্য। এমন কবিতায় বা প্রতিমন্তব্যে শুধু একটি মাত্র নয় যদি অনেকগুলো লাইক দেওয়া সম্ভব হতো তাহলে দিতাম।
পোষ্টটিতে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: আমার মন পড়েছিল রাগমাঝির কাছে। আমারও...
না জানি রাগমাঝি কি বিধান দেয়! এদিকে হারানের সাথে মিলির ভালোই মিলবে মনে হচ্ছে, অর্থাৎ হারান চমৎকার একজন মা পাবে মনে হচ্ছে। কী জন্তু আক্রমণ করতে এলো, সেটাও তো জানা গেল না!! আশা করি পরবর্তী পর্বে সব প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে। এই পর্বে+++
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আশা করি ভাল আছেন আপু। বাস্তবে আমার মন পড়েছিল রাগমাঝির কাছে। লাইনটি তুলে ধরে নিজের অনুভূতি জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। রাগ মাঝির বিধান জানতে আমিও সমান আগ্রহী। আশা করি পরবর্তী পর্বে তার যথাযথ উত্তর পাবেন। মিলিদির সঙ্গে হারাণের কেমিস্ট্রি ভালো লাগাতে পুলকিত হলাম। আবার ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। আর গাছে ওঠার কারণ জানতে পরবর্তী পর্বের জন্য একটু অপেক্ষা করতেই হবে.. পরবর্তী পর্বের জন্য আপনাকে আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।
পোস্টে লাইক দিয়ে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।
৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৬
আরোগ্য বলেছেন: প্রিয় ভাইটি,
বহুদিন পর মরীচিকা এসেছে। কিন্তু প্রথম হতে পারলাম না।
আজকের শিডিউলটা একটু হেকটিক ছিল, ভাষার ক্লাস আর দেড় ঘন্টার ক্লাসে আসা যাওয়া এক ঘন্টা করে দুই ঘন্টা জ্যামের খেসারত দিতে হয়,। আর তোমার তো সারাদিন পরিশ্রম করতে হয়েছে আবার পোস্ট লিখা অনেক বড় কথা, তাও আবার আজকে কোন পিচ্চি পোস্ট না। সাধুবাদ জানাই।
আপাতত রমেনদা ও মিলিদির বাহ্যিক মিল না হলেও অন্তরের মিলনের জন্য অভিনন্দন। মাস্টারদার মতই অনুঘটক দরকার। এক কোপে সামথিং কিছু একটা বলে মনে নেই।
সজনে পাতার তরকারি? আমরা তো কেবল সজনের তরকারি খাই। সজনের ডাল নানুর খুব প্রিয়।
মহুয়া গাছের ঘ্রাণ মনে হয় আসলেই অনেক সুন্দর। আমাদের এখানে কি আর গাছ কেবল গাড়ির কালো ধোঁয়া আর পেট্রল ডিজেলের গন্ধ তবে ভার্সিটি এলাকায় ক্লাস তাই সবুজের দর্শন আর স্নিগ্ধ ঘ্রাণ পাই।
আমার তো মনে হয় ঐ মাঝি গাছের উপরেই আস্তান গেড়ে বসেছে। আবার কোন ঝামেলা পাকায় কে জানে। আপাতত তা জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
কাজ কতদূর এগোলো /
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,
তোমার আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। মন্তব্য থেকেই বুঝেছি তোমার গতকালের সিডিউলটি যথেষ্ট হেটট্রিক ছিল ।সংসারের নানান দায়িত্ব সামলিয়ে যেভাবে ভার্সিটিতে ভাষা শিক্ষার ক্লাস করছো তাতে তোমার একাগ্রতাকে প্রশংসা করতেই হয়। ঠিকই ধরেছো রমেনদা ও মিলিদির বাহ্যিক মিল না থাকলেও অন্তরের মিল যে ঘটতে চলেছে। তবে সেটা কি পরিমাণে তার জন্য পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকতেই হবে। হাহাহা..... অনুঘটকের জন্য মাস্টারদা আছে। চমৎকার লাগলো তোমার এমন আশ্বাসবাণী।
সজনে পাতার তরকারি বলতে সজনে পাতা শাক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাকেই মিন করা হয়েছে। কচি সজিনা পাতার শাক খেতে ভারি চমৎকার লাগে।তবে বর্ষার প্রারম্ভে প্রজাপতি ডিম্ পারলে তার থেকে শুয়োপোকা হয়ে যায়, তখন আর খাওয়া যায় না।
মহুয়ার ঘ্রাণ আসলেই ভীষণ মিষ্টি। কিন্তু সে ঘ্রাণের শুঘ্রাণ পাওয়ার সুযোগ আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। আর এখানেই শহরের যান্ত্রিকতার সঙ্গে গ্রামের সবুজ প্রকৃতির ব্যাপক ফারাক। কংক্রিটের জঙ্গলে বসে ওসব না খোঁজাই ভালো ।হাহাহাহা।
গাছে ওঠার কারণ ও রাগমাঝির সিদ্ধান্ত জানতে হলে তোমাকে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকতেই হবে। যে জন্য আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।
পোষ্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম, কৃতজ্ঞতা জানবে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।
৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৬
আনমোনা বলেছেন: মন্তব্য করা হয়েছিলো গল্পে, সময় বা URL এ না। সুতরাং আমিই প্রথম মন্তব্যকারী।
কিছু বদল হয়তো আছে। আমার চোখে পরলোনা।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহা আপনার আবার আগমনে পুলোকিত হলাম।ভুলটা আমারই যে কারণে পোস্টটি তুলে নিতে বাধ্য হই। সেদিক থেকে আপনিই প্রথম মন্তব্যকারী এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকতে পারে না হাহাহাহাহা..
আর পূর্বের পোস্ট থেকে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। কিছু স্থানে বাক্যের সামঞ্জস্যতার অভাব অনুভূত হওয়ায় কিছু সংযোজন করেছি। যদিও সেটা বড় বিষয় নয়। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৬
রাকু হাসান বলেছেন:
আগে মন্তব্য করার সুযোগ পাইনি । এভাবে মরীচিকা শেষ হবে ভাবিনি আমি । এ পর্বে প্রকৃতি নিয়ে বাক্য গঠন আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি যেন বিভিূতিভূষণ স্যারের আলতো ছোঁয়া পেলাম পর্বে । তোমার প্রিয় লেখক কে ? মহুয়া ফুলের কথা মনে করিয়ে দিলে । হাতে একটা প্রজেক্ট চলছে ,এখন মহুয়া গাছ কোথায় পাই ? আশে পাশে দেখি না ,নাম ও শুনি না । মরীচিকার সব ক’টা পর্বে ছিলাম । উপভোগ করেছি। আবারও বলি এভাবে ইতিটানা আমার ভাবনার বাইরে ছিল। আশা করি ভালো আছ । শুভরাত্রি । নিশ্চয় নতুন কোনো গল্পে মেতে উঠবো আবার ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই রাকু,
আগে মন্তব্য করার সুযোগ পাও নি, এটা নিয়ে অনুশোচনার কোন কারণ নেই। ব্লগে কারো পক্ষে সর্বদা লগইন থাকা সম্ভব নয়। কাজেই কখন কার পোস্ট আসবে এবং সেইমতো প্রথম কমেন্ট করাটাও আনন্দের বিষয়। আশা করি পরে কোন না কোনদিন প্রথমে মন্তব্য করার সুযোগ পাবে। মরিচিকা শেষ হতে এখনো বেশ বাকি আছে। মরিচিকার প্রতি তোমাদের ভালবাসায় আমি মুগ্ধ।আর বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে আমাকে লজ্জায় ফেলে দিলে। আমি একজন হাতুড়ে লেখক। অন্যকিছু ভাবতে রাজি নই।হাহাহা....
তুমি জানতে চেয়েছ, আমার প্রিয় লেখকের নাম। সমরেশ মজুমদার আমার প্রিয় লেখক। তবে হুমায়ূন আহমেদের সামান্য কিছু পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। সময় পেলে ওনার প্রথম সংকলনটিতে চোখ বুলায়। তোমাকেও বেশি বেশি হুমায়ূন আহমেদ। তোমার প্রোজেক্ট এর কাজ চলছে অথচ মহুয়ার সন্ধান নেই। মহুয়াকে তো সব পাহাড়ে পাওয়া যাবেনা। উষ্ণ প্রকৃতির জঙ্গলমহল ছাড়া ভারতের অন্যত্র মহুয়াকে পাওয়া সম্ভব নয়। গাছটি মূলত শুষ্ক কাকুরে মৃত্তিকার উদ্ভিদ।
মরীচিকার প্রথম থেকেই ছিলে, আজও আছো, আগামীতেও এভাবে পাশে পাওয়ার আশা রাখি।
তোমার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম।
তোমার জন্যও রইলো অফুরন্ত ভালোবাসা ও শুভকামনা।
১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৫
আনমোনা বলেছেন: রাকু ভাই নরীচিকা শেষ বলছেন কেন? অনেক কিছুই যে অজানা থেকে গেলো। পদাতিক ভাই প্লীজ এখানে, এভাবে গাছে উঠিয়ে শেষ করবেনা।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহা হা.... মরীচিকার পর্বাকারে ব্লগে দেওয়াটা কোন একসময় ইতি টেনে ছিলাম। শেষের দিকে কিছু পর্বকে অব্যক্ত রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে সে পর্বগুলো ব্লগা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংসে মরীচিকাকে আবার পোস্ট করতে শুরু করি, যার সর্বশেষ সংখ্যা পর্ব 28। উল্লেখ্য মরীচিকা শেষ হতে এখনও বেশ কিছু পর্ব বাকি আছে। আশা করি আগামীতেও আপনাদের এভাবেই পাশে পাবো।
তবে ছোট ভাই রাকু যে মরীচিকা শেষ হওয়ার কথা বলছে। বুঝতে পারছি না যে ও এরকম কেন দেখল। আপনাদের এমন আন্তরিক মন্তব্য আমার পুরস্কার। কাজেই এই পুরস্কারের লোভে মরীচিকার কোনো কিছুই আর অব্যক্ত রহিবে না।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫৮
রাকু হাসান বলেছেন:
আনমোনা বলেছেন: রাকু ভাই নরীচিকা শেষ বলছেন কেন? অনেক কিছুই যে অজানা থেকে গেলো। পদাতিক ভাই প্লীজ এখানে, এভাবে গাছে উঠিয়ে শেষ করবেনা।--আসলেই তো !!
আমি দেখলাম শিরোানামে । এখনও শেষ শব্দটি লেখা ভাসছে । যা হোক আমি ভুল করছি শিরোানামেই
তাইতো সব উল্টাপাল্টা লাগছে । দুঃখিত ভাই ,মনাপু ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হাহাহাহা..… বুঝতেই পারছি মরীচিকা তোমার কাছে একঘেয়েমি হয়ে উঠেছে। যার ফলশ্রুতিতে তুমি শিরোনামে ওরকম ভুল দেখেছো এবং সে মতো কমেন্ট করেছে। কিন্তু কেন তোমার এরকম দেখাচ্ছে সেইটা ঠিক আমার মাথায় আসছে না।
কমেন্টটি তাহলে আনমোনা আপুর জন্যই যথার্থ। আশা করি আপু সময় পেলে যথাযথ উত্তর দিয়ে যাবেন।
এমন মিথস্ক্রিয়া ব্লগে চলতে থাকুক।
শুভকামনা ও ভালোবাসা ছোট্ট ভাইটিকে।
১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা শুভ সকাল।
বেশ কয়েকদিন আপনাকে ব্লগে দেখিনি।
আমার প্রিয় ধারাবাহিকটি নিয়ে হাজির হলেন। এই ধারাবাহিকটি আপনার খুব মন দিয়ে লিখছেন, পড়লেই বুঝা যায়। সহজ সরল ভাষা। আবেগ আছে। আন্তরিকতা আছে। স্বচ্ছতা আছে।
রমেনদার গ্রামের নাম কি?
শাল পিয়ালের জঙ্গল নামটা খুব সুন্দর।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত। একটা বিশেষ কাজে এতো মাত্রায় জড়িয়ে গেছি যে লগইন করার সময় আর একদমই পাচ্ছিনা। যে কারণে সাম্প্রতিক সময়ে বহু পোস্টে কমেন্ট করতে পারেনি। তবে চেষ্টায় আছি যতটা সম্ভব কমেন্ট করে ব্যবধান কমানোর।
আমার এই সিরিজটি ভাইয়ের ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম।আসলে তাড়াহুড়ো করে পোষ্ট দিলে কিছু টাইপো থাকার সম্ভাবনা থাকে। তবে অস্বীকার করব না যে এই পোস্টটি একটু সময় নিয়ে দেওয়াতে সম্ভবত টাইপো একটু কম হয়ে গেছে। যে কারণে ভাইয়ের এমন মনে হতে পারে।
রমেনদার গ্রামের নামটি পোস্টে অপ্রাসঙ্গিক মনে হওয়াতে উল্লেখ করেনি। তবে আগ্রহ নিরসনের জন্য বললাম' নিয়ালখড়া। ধন্যবাদ ভাইকে।
মধ্য ভারতের মালভূমি অঞ্চলের বনভূমি প্রকৃতিগতভাবে মাটি অত্যন্ত শুষ্ক। ওটা কোন বিশেষ নাম নয়। জঙ্গলে সেই সেই উদ্ভিদের প্রাচুর্যের জন্যই ওরকম নাম।
অফুরান শুভেচ্ছা প্রিয় ছোট ভাইকে।
১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা, নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে কোলকাতা আসবো।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা! খুব ভালো খবর। দারুণ ইন্টারেস্টিং বিষয়। আমি অপেক্ষায় থাকবো। অবশ্য অবশ্যই ভাইকে অনুরোধ করবো বারাসাতে আসার। তবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমি নিজেই একটু বাইরে থাকব। অন্যথায় ভায়ের সঙ্গে তাহলে দেখা হচ্ছেই।
১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনি দারুন লিখেন হে। সুন্দর+
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইরে! আপনার কাছে এটা দারুন লাগলো? হাহা হা...
যাইহোক পোস্টটি সুন্দর মনে হওয়াতে ও লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাকে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
১৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পড়ে নিলাম গল্প
সুন্দরভাবেই আগাচ্ছে
আগামী পর্বের অপেক্ষায়
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য দুঃখিত আপু। আপনার সুন্দর আন্তরিক মন্তব্যের প্রীত হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা জানবেন।
১৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৭
মা.হাসান বলেছেন: ছাত্র অবস্থায় ক্যাম্পাসে প্রথম মহুয়া গাছের সাথে পরিচয় হয়। কোন কোন রাতে তীব্র গন্ধ মাতাল করে দিত। অনেক দিন মহুয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ নেই, আপনার লেখা পড়ে মনে পড়ে গেল।
আদিবাসীদের বাড়ি সাধারণত ন্যাচারাল ম্যাটিরিয়াল দিয়ে তৈরি হতে দেখেছি, ওদের বাসায় ত্রিপল কখনো দেখিনি, বাংলাদেশে এই শ্রেণীর লোকের বাসায় বাঁশের সাথে খড় বা ঘাস ব্যবহার হতে দেখেছি।
রমেনদার মায়ের শরীর যথেষ্ট খারাপ, মন খারাপ করে দেয়ার মতো।
সজনে পাতার ভাজি আমার খুব ভালো লাগে।
বর্ণনার সরলতা মুগ্ধ করে। আপনি আপনার বৈশিষ্ট অনুসারে যায়গা মতো শেষ করেছেন। আবার হুশিয়ারি দিচ্ছি, আগামী পর্বে শেষ প্যারা বাদ দিয়ে পড়বো।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,
আশা করি উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছেন; আমরাও কুশলে আছি। আপনার সঙ্গে মহুয়া গাছের পরিচয় ঘটেছে জেনে আনন্দ পেলাম। ঠিকই বলেছেন যে মহুয়ার গন্ধ মাতাল করা ঘ্রাণ।
আদিবাসীদের বাড়ি সম্পর্কে আপনি সুন্দর তথ্য শেয়ার করলেন। তবে ছাউনি হিসেবে খড়/বিচুলি কখনোই বছর পরে ভালো থাকেনা। প্রবল বর্ষণে আবার মাটির বাড়িগুলি পর্যন্ত ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখনো সম্বল মানুষগুলো নিজেদের প্রচেষ্টায় বাকি বছরের জন্য ছাউনি দিতে ব্যর্থ হলে, সরকারি অর্থানুকূল্যে ত্রিপল জাতীয় কোন জিনিস নিয়ে কোনোক্রমে জীবন ধারণ করে।
সজনে পাতার প্রতি আপনার আসক্তি দেখে চমৎকৃত হলাম ।আমার অন্যতম ফেভারিট একটু শাক।
আর পোস্টের শেষ করা সম্পর্কে আপনার হুঁশিয়ারি মাথা পেতে নিলাম। মনে মনে ভেবেছিলাম আপনি যেহেতু থাকবেন না, থাকবে ন সেই ফাঁকে এমন গাছে তুলে দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। এবারটার মত এই পোলার অপরাধ মঞ্জুর করবেন।হাহা হা....
পরের পর্বে এর কোন অন্যথা হবে না।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
১৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মিলিদি আর রমেনদার মিলনের স্বপ্নে আবার দৌড়ে উঠিয়ে দিলেন গাছে
হা হা হা
নামুন দাদা আমাদের ও জলদি নামান
++++
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি শ্রদ্ধেয় কবি ভাই। হাহাহাহাহা যথার্থই বলেছেন মিলিদি আর রমেনদার স্বপ্নের দৌড়ে আপাতত বক্তার অবস্থান গাছের মগডালে।হাহা হা...
হ্যাঁ জলদি নামতে হবে বৈকি।
পোস্টে লাইক করাতে ও সঙ্গে এতগুলো প্লাসে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা আপনাকে।
১৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৭
রাকু হাসান বলেছেন:
বুঝতেই পারছি মরীচিকা তোমার কাছে একঘেয়েমি হয়ে উঠেছে। --না,সমস্যাটা অন্য জায়গায় । ব্যক্তিগত পর্যায়ে পড়ে।কেন এমনটা হয়েছিল সেটা ধরেছি। কমেন্ট এমন হওয়ার কারণ হলো শেষ কথাটি ভুল করে । আগেও শেষ শব্দটি ব্যবহার করেছিলে।ধরে নিলাম এভাবেই শেষ হলো মরীচিকা । সেই আলোকে আমার মন্তব্য অনুযায়ী আমি সন্তুষ্ট না । অথচ গল্পটা শেষ হয়নি।অপর দিকে যেহেতু শেষ হয়নি সেহেতু লেখকের জন্যেএমন মন্তব্যের জন্য বিব্রতকর হতে পারে।পাঠক হিসাবে এমন শেষ আশা করিনি বলেছি---যা লেখকও করিনি । এখানে হয়তো পাঠক-লেখকের একটা ঐক্যমত্যের জায়গা খোঁজে পেলেও পেতে পার।যাক দোয়া রাখবে । ভালো থাকবে। শুভরাত্রি ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ছোট ভাই,
সাম্প্রতিককালে একটি কাজে এত ব্যস্ত হয়ে গেছি যে ব্লগিং করার মত সময় আর তেমন হয়ে উঠছে না।যে কারণে প্রথমেই বিলম্বিত উত্তর দানের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তোমার মন্তব্য পড়ে আমি বেশি মজা পেয়েছি। পোস্টের 'শেষ' কথাটি যে তোমার এতটা গোলকধাঁধার ফেলবে সেটা আমি ভাবতে পারিনি। না চাইতেও এমন একটু ধাঁধায় ফেলে বেশ পুলকিত হলাম। হাহাহাহা...
তোমার মন্তব্যে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়াতে বেশ লাগছে। তবে সিরিজটি এখনো শেষ হয়নি। এখনো কয়েকটি পর্ব বাকি আছে।
আগামী পর্বগুলোতে দেখা যাক ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়।
তোমার শুভকামনা গ্রহণ করলাম।
তোমার জন্যও রইলো অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
২০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১১
আনমোনা বলেছেন: বাঁচলাম। মরীচিকা শেষ হয়নি।
@রাকু ভাই, ১২ নং কমেন্ট
তবে রাকু ভাই সত্যি মরীচিকা দেখেছেন।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হা হা হা হা......
না মরীচিকা শেষ হয়নি। খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব দেওয়ার ইচ্ছে আছে।
আশা করি ছোট ভাই রাকু আপনার মন্তব্য ইতিমধ্যেই লক্ষ্য করেছে।
দু'জনকেই ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো।
২১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: অনেকদিন পরে পড়তে এসে আগের পর্বের থীম ভুলে গিয়েছিলাম। আগেরটা পড়ে এসে এইখানে আসলাম।
চরিত্র বেশি হবার কারনে মনে রাখতে কষ্ট হচ্ছে।
আমি হলে আলাদা আলদা ঘটনার জন্য আলাদা উপপর্বের নাম দিতাম যেন সহজেই ট্রযাক ডাউন করা যায়।
জঙ্গলের বর্ণনা বিশেষ করে গাছ পালা, মহুয়ার কথা পড়ে ভালো লাগলো।
লাস্টে একটা ট্যুইস্ট রেখে দিলেন তাহলে?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,
হাহাহা আসলে দোষটা আমারই। দুটি পর্বের মধ্যে সময়ের ব্যবধান এত বেশি হয়ে গেছে যে পাঠকদের পক্ষে লিংক পাওয়াটা সত্যিই কষ্টকর। আপনি ইতিমধ্যে সেই কাজটি করার জন্য আমি লজ্জিত; পাশাপাশি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঘটনার স্থানটি বদল হওয়াতে কিছু চরিত্র আসতে বাধ্য। তবে এই সহকারি চরিত্রগুলি খুবই কম সময়ের। আর উপপর্বের নাম প্রসঙ্গে বারেবারে বদল হলে হয়তো পাঠক মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারতো । তেমন একটি ধারণা প্রথমে মনে হওয়াতে এরূপ কিছু ভাবি নি।
জঙ্গলের বর্ণনা, মহুয়া ফলের প্রসঙ্গ ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানাই।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন।
২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাহা! খুব ভালো খবর। দারুণ ইন্টারেস্টিং বিষয়। আমি অপেক্ষায় থাকবো। অবশ্য অবশ্যই ভাইকে অনুরোধ করবো বারাসাতে আসার। তবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে আমি নিজেই একটু বাইরে থাকব। অন্যথায় ভায়ের সঙ্গে তাহলে দেখা হচ্ছেই।
কোলকাতায় এসে আপনাকে ফোন দিবো।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের আবার কমেন্ট পেয়ে ভীষণ আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে। আমি নিরন্তর অপেক্ষায় থাকবো ভায়ের কলকাতা আগমনের। সাধারণত বর্ডারের এ পাশে এলে ফোন যোগাযোগ একপ্রকার সম্ভব হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে ইমেল এড্রেস ব্যবহার করাটাই উত্তম হবে। নভেম্বর মাসে ভাইয়ের আগমনের সেই শুভক্ষণের অপেক্ষায় রইলাম।
২৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০
আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি অভিযোগ করতে এসেছি৷
মরীচিকা পুনরায় প্রশ্ন থেকে পড়তে আরম্ভ করেছি তবে একটা সমস্যা, বারবার পোস্ট আর্কাইভ থেকে লিংক নিতে হয়। যদি প্রতি পর্বে পরের পর্বের লিংক যুক্ত থাকে তবে সহজে পর্ব পর্বে যাওয়া যায়। এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার তবুও সময় নিয়ে করলে পাঠকের জন্য সুবিধা হবে। এই আরকি।
উপরের মন্তব্যটির নিচের অংশের উত্তর পাই নি। বাসার কাজ কতদূর?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,
তোমার অভিযোগটি আমি মাথা পেতে নিলাম। তবে আগে ইতিপূর্বে এমন অভিযোগ পেয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে নিজের পোস্টে লিঙ্ক দেওয়ার মধ্যে যেন নিজের বিজ্ঞাপনের ছবি পায় এমন অনুভূতির কারণে হীনমন্যতায় ভুগি। অবশ্য নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করলাম।যে কারণে আজ পর্যন্ত আমি নিজের পোস্টের কোন লিঙ্ক কোথাও দেইনি।তবে তোমার সুবিধার জন্য বলবো আর্কাইভে না গিয়ে সরাসরি যদি তুমি কোনো একজনের ব্লগে যাও গ্রাজুয়ালি দেখ তাহলে আমার মনে হয় না যে তাতে পুরানো পোস্ট পড়তে অসুবিধা হবে।
বাসার কাজ:-এই মুহূর্তে ভিত লেভেল পর্যন্ত হয়ে গেছে। সাদা বালি ভরাট করার কাজ সামনে। তারপরে মেঝের জন্য রাফ ঢালাই দিয়ে দেয়াল গাঁথুনি শুরু হবে।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবে।
২৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১০
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
মরীচিকা পড়ে সবার দেরিতে মন্তব্য করার জন্য নিজেকে বেশি অপরাধী লাগছে । ভাইরাস জ্বর বেশ তা বুঝেছি এবার । আশাকরি এবার বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
জানেন দাদা ,মহুয়া গাছের ঘ্রাণ নাকি মাতালের মতো । মিলি'দি
এবং রমেন দা'র আগামী জীবন সবমিলিয়ে হয়তো ভালোই কাটবে। কিন্তু গাছে উঠার ব্যাপারটি ভীষণ আগ্রহ নিয়েই অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্বের।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানবেন ।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,
আপনার মন্তব্যটি পড়ে বিষণ্ন হয়েছি আবার হেসেছিও। প্রিয়জনদের পোস্টে দেরীতে মন্তব্য করার জন্য আমার নিজেরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটু অস্বস্তি হয় ঠিকই কিন্তু অপরাধী কেন লাগবে সেটা বুঝতে পারলাম না। যে কারণে বোনের এমন অনুভূতির জন্য নিজেরই খুব অস্বস্তি লাগছে। সর্বদা বোনের নির্মল হাস্যোজ্জ্বল মুখ ও হৃদয়ের অভিব্যক্তি দাদার একমাত্র কাম্য।এর অন্যথা হলে দূর থেকে দাদা যে ভীষণ কষ্ট পাবে।
রমেনদা ও মিলিদির পরবর্তী কাহিনী খুব শিগগিরই প্রকাশিত করবো। ভাইরাল ফিভার থেকে সদ্য আরোগ্য মুক্তি পাওয়া বোনকে আবারো শুভাশিস জানাই।
ভালোবাসা সতত।
২৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০১
ইসিয়াক বলেছেন: সুপ্রভাত
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনাকেও সুপ্রভাত।
আপনার ছন্দোবদ্ধ কবিতায় মন্তব্য করে এসেছি।
শুভেচ্ছা অফুরান।
২৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৪
মাহের ইসলাম বলেছেন: কেন জানি না, ইদানীং আপনার গল্পে বিষাদের পাল্লা ভারী হয়ে উঠছে।
তবে লেখার প্রতি টান কমেনি, এক বিন্দুও।
চিতা বাঘ হবে না, নিশ্চয়। হলে বাঘই আপনাদের এতোক্ষনে খেয়ে ফেলতো।
গাছে উঠার কথা চিন্তার ফুরসত পেতেন কিনা সন্দেহ।
ভালো থাকবেন।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহের ভাই,
এক হিসাবে ঠিকই বলছেন যে বিষাদের পাল্লা ভারী হচ্ছে বৈকি। ঘটনা একেবারে শেষের দিকে কাজেই পরিসমাপ্তি আনতে গেলে হয়তো চিন্তার স্বাধীনতা থাকতে পারে। এই মূহুর্তের সর্বশেষ পর্ব প্রকাশ করেছি। উল্লিখিত প্রাণীটি কি আশাকরি এখানে উত্তর পেয়ে যাবেন।
যাইহোক বিপদ আসতেই পারে। ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করাটাও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তার নামান্তর। এবারে লালগড়ের জঙ্গলে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আগমন ঘটেছিল। যদিও মাসাধিককাল নিজেকে আত্মগোপন করার পর অবশেষে আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাতে তাকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। সমগ্র বিশ্ব সে ঘটনার সাক্ষী। পোস্টটির পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।
২৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: সজনে পাতা রান্না - সেটা কিভাবে হয়েছিল? ঝোল ঝোল, নাকি ভাজা ভাজা, নাকি সেদ্ধ? কথাটা জিজ্ঞেস করছি এজন্য যে অনেক আগে আম্মার মুখে শুনেছিলাম, তিনি কোথায় যেন সজনে পাতার শাক ভাজি খেয়েছিলেন, যা তখনো তার মুখে লেগে ছিল। গল্প পড়ার এই এক গুণ, কখন কিসে যে নিজের জীবনের গল্প মনে পড়ে যায়! অবশ্য আমি কখনো কোথাও সজনে পাতার শাক খেয়েছি বলে মনে পড়ে না।
অনুমান করছি, পোস্টটা সরিয়ে ফেলার টেকনিকাল কারণটা বলা যাবে না, তাই জিজ্ঞাসাও করলাম না।
আনমোনার মত আমিও আশা করছি, রাগমাঝি অনুমতি দিয়ে দিয়েছিলেন বা দিয়ে দেবেন। আর কিসের জন্য রমেনদা আপনাদেরকে গাছে চড়িয়েছিলেন, তাও হয়তো আগামী পর্বে জানতে পারবো।
শাল মহুয়ার বন - কথাটা মনে হয় কোন গানে শুনেছি।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার একটা মন্তব্যে আপনার আম্মার স্মৃতিচারণমূলক অভিজ্ঞতা শেয়ার করাতে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। সজনে পাতা আগে লবণ মিশ্রিত জলে সেদ্ধ করে নিতে হয়।জলটা এমন পরিমাণে দিতে হবে যে সিদ্ধ হবে আবার জলটাও প্রায় শুকিয়ে যাবে। এরপরে নুতন করে তেলে শুকনো মরিচ ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ও দুটি কোয়া রসুন একটু লাল লাল হয়ে গেলে ইতিপূর্বে করা সিদ্ধ পাতাটা ঢেলে দিতে হবে।কড়াইয়ের তলায় যাতে না লাগে সেজন্য খুন্তি দিয়ে মাঝে মাঝে নাড়তে হবে। একটা সময় গোটা পাতাটা কালো কালো হয়ে এলে বোঝা যাবে যে সজনে শাক ভাজা সম্পন্ন হয়েছে।
মন্তব্যের পরবর্তী অংশে আপনার রেখে যাওয়া প্রশ্নের উত্তর দুটি আশা করি পরবর্তী পর্বে পেয়ে যাবেন। স্বভাবতই আপনার কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।
শাল মহুয়ার বন বা শালপিয়ালের জঙ্গল কথাটি দুই মেদিনীপুর পুরুলিয়া ও ঝাড়খন্ডে বহুল প্রচলিত। এই নিয়ে প্রচুর ফোক প্রচলিত আছে।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২১
ইসিয়াক বলেছেন: তাই তো বলি পোষ্টটি গেলো কোথায় ? হা হা হা