নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী সাহিত্যিক তথা উপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদের প্রথম সংকলনে হরর ফ্যান্টাসির উপর রচিত উপন্যাস দেবী'র উপর রিভিউ মানে আদার ব্যাপারীর জাহাজের গায়ে ঢুঁ মারার মতো দুঃসাহসীক প্রচেষ্টা। অমার্জনীয় অপরাধ জেনেও এমন একটি অপকর্মের জন্য পাঠককুলের কাছে অগ্রিম ক্ষমাপ্রার্থী।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র রানু প্রায়ই তার আশপাশে অশরীরী উপস্থিতি অনুভব করে। সদ্য বিবাহিতা রানুর অস্বাভাবিকতাকে দ্বিগুণ বয়সের পতিদেবতা মিস্টার আনিস সাহেব প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও অবশেষে তার অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করে অফিসের সহকর্মী কমলেন্দু বাবুর পরামর্শে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালীন অধ্যাপক অসম্ভব যুক্তিবাদী মিস্টার মিসির আলি সাহেবের শরণাপন্ন হন, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লিনিক্যাল সাইক্রিয়াট্রি পড়ান।
প্রথম দর্শনেই মিস্টার আলি রানুর মধ্যে এক্সট্রাসেনসরি পারসেপশনের সন্ধান পান। উল্লেখ্য বিশ্বে খুব নগণ্য সংখ্যক মানুষ এই বিরল প্রতিভার অধিকারী হন। এমন ক্ষমতার অধিকারীরা স্বপ্নে বা অনুমানের উপর নির্ভর করে কী ঘটতে যাচ্ছে বা ঘটবে তা বলতে পারেন। সাইকোলজির একজন শিক্ষক হিসেবে বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা করতে মিস্টার আলি ইতিপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে নোটিশ দিয়েও এমন কারোর মধ্যে এক্সট্রাসেনসরি পারসেপশনের খোঁজ পাননি, সেখানে হঠাৎ রানুকে পেয়ে তিনি আগ্রহান্বিত হয়ে পড়েন এবং খোঁজখবর নিয়ে বুঝতে পারেন রানুর চরিত্রের মধ্যে দুটি বিষয় মিশে আছে। ইএসপির পাশাপাশি সারাক্ষণ অশরীরী উপস্থিতি প্রসঙ্গে তার অডিটরি হ্যালুসিনেশন ঘটেছে।যে বিষয়ে চিকিৎসার জন্য তার পূর্ববর্তী জীবনের পুঙ্খানুপুঙ্খ ঘটনা জানাটা অত্যন্ত জরুরি।
রানুর কাছ থেকে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের পর ঘটনার সত্যতা নিরুপনে মিস্টার আলি তাদের গ্রামে যান। উল্লেখিত ঘটনাগুলোর পাশাপাশি নতুন একটি রহস্যও তিনি উম্মোচন করেন। ছোটবেলায় এক আত্মীয়ের বিয়েতে নদীতে স্নানের সময় যে লাশ তার প্যান্ট টেনে ধরেছিল বলে রানু মিসির আলি সাহেবকে উল্লেখ করেছেন।পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বাডিটিকে নিকটবর্তী নদীর চরে পুঁতে দেওয়া হয়। কিন্তু আসল ঘটনাটা হল বাড়ি থেকে সামান্য দূরে পরিত্যক্ত বিষ্ণু মন্দিরে একদিন দেবী মূর্তিকে দেখানোর নামে রানুকে নিয়ে গিয়ে জালালউদ্দিন তার প্যান্ট খুলে ফেললে, দেবী মূর্তিটি ছুটে এসে রানুর মধ্যে ঢুকে পড়ে। ফলে তার গা থেকে আগুনের হল্কা বেরোই। জালালউদ্দিন কোনোক্রমে পালিয়ে সেদিন নিজেকে রক্ষা করে। সে সময় থেকেই রানু অসম্ভব সুন্দরী হয়ে ওঠে। যদিও মিস্টার আলি বয়ঃসন্ধি থেকে যৌবনোত্তীর্ণ তরুণীর সুন্দরী হওয়াটা স্বাভাবিক বলে যুক্তি দেখান আর মূর্তিটি চুরি হয়ে গেছে বলেও মতামত দেন।
উপন্যাসের অন্য একটি দিকে রানুর ঘর মালিকের মেয়ে নীলু যে নিজের কুৎসিত রূপ নিয়ে রীতিমতো বিব্রত। বিজ্ঞাপন দেখে একাকীত্ব মেটাতে সে একটি ছেলের প্রেমের ফাঁদে পা দেয়। প্রথম দিনেই তার অমায়িক ব্যবহারে নীলু বিগলিত হয়ে পড়ে। তবে দ্বিতীয় ডেটিংয়ে প্রথমে ভালোবাসা অভিনয় করে গাড়িতে তুললেও ক্রমশঃ বহিপ্রকাশ করে ছেলেটি তার আসল চেহারার। নীলুকে সর্বনাশ করতে উদ্ধত হলে একসময় নীলু অসহায় হয়ে পড়ে। ওদিকে বাসায় রানু অতি প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা বুঝতে পারে নীলুর বিপদ আসন্ন। সে উদগ্রীব হয়ে আশপাশে উপস্থিত সকলকে উদ্ধারকাজে নামাতে ব্যর্থ হয়ে একসময় নিরুপায় হয়ে নিজের ঘরে ফিরে আসে এবং অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। গায়ে চলে আসে প্রবল জ্বর যেন পুড়ে যাওয়ার উপক্রম আরকি। আনিস বিহ্বল হয়ে অসুস্থ স্ত্রীর পাশে প্রতিবেশী ভাবিকে বসিয়ে ডাক্তার আনতে ছোটে। কিন্তু তার আসার আগেই রানু চলে যায় পরজগতে।
ওদিকে অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করার সময় নীলু হঠাৎ দেখে একটা ফুলের গন্ধে ঘর ভরে গেছে। একটি অপার্থিব শক্তি দুষ্টু লোকটির দিকে এগিয়ে আসছে। সমস্ত ঘর খিলখিল হাসিতে ভরে উঠলো। লোকটি চাপা গলায় 'আমাকে বাঁচাও' বলে চিৎকারও করলো। কিন্তু কোনো শব্দ করতে পারছে না।
ঘটনার পরে কোন একদিন ক্লাসে মিস্টার আলি অবিকল রানুর মত দেখতে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থাকলেন। বুঝলেন সে আসলে ওনারই ছাত্রী নীলু। যার রহস্যময়ী হাসিতে মিস্টার আলি ক্রমাগত ঘামতে লাগলেন....
পাঠকের প্রতিক্রিয়া:-
গল্পটি পাঠকালে যে প্রশ্নগুলি মনে জেগেছে-
১-রানু ও আনিসের বয়সের ব্যবধানটা দ্বিগুনের বেশি হওয়ার কারণ খুঁজে পেলাম না।
২-যেহেতু হরর ফ্যান্টাসির উপর উপন্যাসটি রচিত সেক্ষেত্রে মাঝরাতে টিপটিপ বৃষ্টি পড়া, দরজার পিছনে অশরীরি ঘুরে বেড়ানো, রান্নাঘরের টুংটুং শব্দগুলো মিলিতভাবেও যথেষ্ট হরর উপযোগী বলে মনে হলো না। তবে নিশুতি রাতে একা একা পড়লে ভৌতিক অভিজ্ঞতা হতে পারে বলে মনে হয়।
৩-বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরতা নীলুফার এতো সহজেই বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দিয়ে জীবন সংকটে জড়িয়ে পড়বে-বিষয়টি খুব যুক্তিযুক্ত লাগলো না।
৪-মিস্টার আলির মুখে একাধিকবার মাথাব্যথার প্রসঙ্গটি অনাবশ্যক লাগলো।
৫-যেহেতু রানু ইএসপি ক্ষমতার অধিকারী সে ক্ষেত্রে তাদের গ্রাম মধুপুরে যাওয়ার খবরটি অনুফার কতৃক চিঠির মাধ্যমে অবগত হওয়াটাও খুব স্বাভাবিক লাগলো না।
৬-সাহিত্য হল সমাজের দর্পণ। লেখকের সাহিত্য সৃষ্টির পিছনে নিঃসন্দেহে একটি মেসেজ থাকবে।সেক্ষেত্রে প্রখর যুক্তিবাদী মিস্টার আলি সাহেব যেভাবে তীক্ষ্ণ ক্ষুরধার যুক্তিতে ঘটনার পরম্পরা নির্মাণ ও ব্যাখ্যা করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু সেই আলি সাহেব যখন রানুর মৃত্যুর পর ছাত্রী নীলুফার মধ্যে অবিকল রানুর অবয়ব চাক্ষুষ ও রহস্যময়ী হাসি প্রত্যক্ষ করেন ও রীতিনীতি ঘামতে থাকেন, তখন প্রকারান্তরে মেনে নিতে হয় যে অতিপ্রাকৃত শক্তি যুক্তিবাদকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। পাঠক হিসেবে যেটা মেনে নিতে বেশ কষ্ট হয়েছে। অথচ মিস্টার আলির যুক্তিকে সবশেষে প্রতিষ্ঠা করবেন, এমনটাই আশা করেছিলাম।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-
১ -পোস্টটি উৎসর্গ করা হলো ব্লগে আমার ভ্রাতৃপ্রতিম অনুজ রাজীব নূরকে, যিনি এই মুহূর্তে কলকাতা পরিভ্রমণে আছেন।
২-টাইপো থাকলে আগামীকাল সময় নিয়ে ঠিক করা হবে।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শাহিন ভাই,
গতরাতে পোষ্টটি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার কমেন্টটা দেখেছিলাম। কিন্তু প্রচন্ড ঘুম চলে আসায় আর প্রতিমন্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। আজও সকাল থেকে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রত্যেকবার কিছু না কিছু সমস্যা থাকায় আর প্রতিমন্তব্য লেখা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আমি এবার লগআউট করিনি যেজন্য দীর্ঘক্ষন আমাকে লগইন দেখাচ্ছে।
মুভির সঙ্গে ছবির কিছু পার্থক্য থাকেই। তবে হুমায়ূন আহমেদের মতো প্রথিতযশা সাহিত্যিক নিশ্চয়ই পরিচালককে আলাদা নির্দেশ দেবেন খুব বেশি না বদলানোর। তবুও বলবো মুভির সঙ্গে সাহিত্যের কিছু পার্থক্য থেকে যায়। উপন্যাস ভালোলাগা সম্পূর্ণ পাঠকের নিজস্ব ব্যাপার। একটি উপন্যাসের অনেকগুলি দিক থাকে, পাঠক কোন দৃষ্টিতে নিচ্ছেন তার উপর ভালোলাগা-মন্দলাগা নির্ভর করে। কাজেই শুধু দেবী নয়, যে কোন উপন্যাস সবারই ভাল লাগবে এমন কোন কথা নেই।
মন্তব্যের শেষ অংশে আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ সহমত। ওনার সম্পর্কে খুব বেশি পড়ার সুযোগ অবশ্য হয়নি। এখনো পর্যন্ত মাত্র তিনটে উপন্যাস পড়েছি। সেই নিরিখে একথা বলা যায় যে উনি চরিত্রের চিত্রায়নে সিদ্ধহস্ত।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অজস্র ধন্যবাদ।
পোস্টটি প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে স্পেশাল থ্যাংকস।
একইসঙ্গে পোস্টটিকে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৮
নীল আকাশ বলেছেন: মোবাইল থেকে লিখেছি দেখে ছোট করে দিলাম।
দেবী একদম প্রথম দিকের বই। এখানে উনার লেখার হাত তখনও এতটা খুলেনি। এখানে আরও বেশ কিছু ভুল আছে।
ইএসপি কার কত বুঝার জন্য স্বীকৃতি পরীক্ষা আছে যা সাইক্রিয়াটিস্ট রা সব সময় নেন।
এটা হাস্যকর যে একজন সাইক্রিয়াটিস্ট শেষ মেষ নীলুকে রানুর প্রতিভূ হিসেবে মেনে নিচ্ছেন। এতো প্রফেশনাল কনট্রাডিকশন, তাই না? মিসির আলি তো এটাকে DID/MPD হিসেবে চিকিৎসা করবেন। উনি কি কবিরাজ যে জ্বীন ভুতের চিকিৎসা করবেন?
আর বললাম না, অনেকে আবার ভুল বুঝবেন। ধন্যবাদ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,
যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আপনি ইতিমধ্যে বেশ কিছু লেখালেখি করেছেন কাজেই এই বিষয়ে আপনি যথেষ্ট ধারণা আছে। ইএসপি টেস্টের জন্য সাইক্রেটিস্টরা যে পদ্ধতি অবলম্বন করেন, উপন্যাসটি রচনা কালে তখনকার পরিবেশের পক্ষে হয়তো এতটা আপডেট ছিল না, যেটা বিজ্ঞানের বদৌলতে আজ অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। আর রানুর মধ্যে অতি প্রাকৃতিক শক্তি যা কিনা পরে নীলুর মধ্যে সঞ্চালিত হয় সেটি যৌক্তিক না হলেও লেখকের একান্ত নিজস্ব উপলব্ধি হতে পারে। তবে আপনার যেমনই লাগুক আমার কিন্ত কয়েকটি জায়গা বাদে বেশ ভাল লেগেছে।
পোস্টে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৬
আরোগ্য বলেছেন: উপন্যাসটি পড়া হয়নি তবে মুভিটা দেখেছি। অনেকটা আমাদের ঘরোয়া চিত্র মনে হচ্ছিল। তুমি হয়তো আমার কথাটির মানে বুঝতে পেরেছো।
আসলে ভাইটি অনেক সময়ই অনেক কিছু ঘটে যা যুক্তির মানদণ্ডে দাঁড় করানো যায় না।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,
উপন্যাসটি পড়নি কিন্তু মুভিটা দেখেছো, তবে বেশকিছু রদবদল হলেও মূল বিষয়টি মুভিতে সাধারণত একই থেকে যায়। সম্ভব হলে মূল উপন্যাসটি পড়তে অনুরোধ করবো।তার ঘরোয়া পরিবেশের ব্যাপারটি তুমি বলাতে বুঝলাম। হ্যাঁ এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে অতটা আবেগপ্রবণ না হয় একটু যুক্তিবাদী হওয়াটা কামনীয়।
পোস্টটি লাইক করাতে প্রেরণা কৃতজ্ঞতা জানবে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা তোমাকে।
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: মিস্টার আলির আর রানুর ভূমিকার মাঝ থেকে
কিছু ভূত ভূত অশরীরী উপস্থিতি আশপাশে অনুভব
আর হ্যালুসিনেশন নিয়ে দেবী
................................................................................
হলে ছবিটা দেখে আমি ও একটা রিভিউ দিয়ে ছিলাম ।
কিন্ত ডিজিটাল যুগের ছেলে মেয়েরা হল ভেঙ্গে ছবিটি
দেখতে যায়নি ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শঙ্খচিল ভাই,
অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। অল্প কথায় উপন্যাসটির একটি দিক তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি যেহেতু ছবিটি দেখেছেন এবং উপন্যাসটিও পড়েছেন কাজেই আপনার রিভিউটি পারফেক্ট হওয়া শতভাগ নিশ্চিত। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে, যে কোনো কারণেই আপনার রিভিউটি আমার চোখের আড়ালে চলে গেছে। পরে সময় মতো এক সময় দেখে আসব।
শুভকামনা জানবেন।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৫
মা.হাসান বলেছেন: এটি আশির দশকে লেখা উপন্যাস, মনে হয় ৮৩-৮৪ সালের দিকে প্রথম বের হয়েছিলো। অবসর প্রকাশনা তখন পেপারব্যাকেও বই বের করতো (নিউজপ্রিন্ট), যতদূর মনে পড়ে বারো বা তের টাকা দিয়ে বইটি কিনেছিলাম। ঐ সময়ে হুমায়ূন আহমেদ এত বিখ্যাত হন নি, কিন্তু এই বইটি ঐ সময়ে বেস্ট সেলার ছিলো।
রানু-আনিসের বয়সের ব্যবধান বলতে গেলে লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের কথা চলে আসে। উনি যখন গুলতেকিন আহমেদকে বিয়ে করেন তখন গুলতেকিন কিশোরি। ওনার অনেক বইয়েই নায়িকা কিশোরি। উনি তখন বুড়ো ছিলেন না, কিন্তু ওনার একাধিক বইয়ে মানসিক দূরত্বের কথা এসেছে। এজন্য ওনার অনেক বইয়েই দেখা যায় নায়ক নায়িকার বয়সের ব্যবধান বেশি।
বইটি হরর ফ্যান্টাসি এরকম কথা আগে শুনিনি। ডঃ আহমেদ এটাকে প্যারাসাইকোলজিকাল উপন্যাস বলেছেন মনে হয়।
এখন যেরকম মেয়েদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হচ্ছে, আশির দশকের বাংলাদেশে এরকম ঘটনা কদাচ ঘটতো (অথবা ঘটতো, কিন্তু মিডিয়া এরকম ছিলো না বলে জানতাম না)। ঐ বয়সের মেয়ের জন্য ঐটুকু রোমান্টিক হওয়া দোষের হবে না।
মাথা ব্যথার কথা স্পষ্ট মনে নেই। যদি মিসির আলীর হয়, তবে ধারণা নেই কেন উনি বলেছেন। যদি রানুর হয় তবে ব্যাখ্যা আছে। ইএসপির সাথে মাথা ব্যথার কোরিলেশন আছে।
একজনের ইএসপি থাকার মানে কিন্তু এই না সব সময়েই, সব বিষয়েই এই ক্ষমতা কাজ করবে
আমাদের মধ্যে অনেক দ্বৈততা কাজ করে। হুমায়ূন আহমেদ নিজে একজন বিজ্ঞানি হয়ে নির্মোহ সত্য খোঁজার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু দেখেছেন দেয়ার আর মোর থিংস ইন হেভেন এন্ড আর্থ। এজন্যই মনে হয় শেষটা ওরকম হয়েছে।
ঋদ্ধ ৩ এর রিভিউ কি শেষ?
আমাদের দেশে কিন্তু আংশিক সময়ের অধ্যাপক বলা হয় না, বলা হয় খন্ডকালীন অধ্যাপক।
ইহা কি বুক রিভিউ ছিল? না কি পাঠকের পাঠোত্তর জিজ্ঞাসা?
হরতাল কিন্তু চলছে।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন একটি অসম্ভব সুন্দর মন্তব্য রেখে দেওয়ার জন্য। পাঠ প্রতিক্রিয়ায় নিজের মনের কৌতুহল গুলো রেখে গেছিলাম। ভাবিনি যে এতগুলো প্রশ্নের উত্তর একসঙ্গে পেয়ে যাব। সে দিক থেকে আমার কৌতূহল নিবৃত্ত করার জন্য আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে। বইটি রচনাকাল ও নিউজপ্রিন্ট সংক্রান্ত বিষয়টি জেনে খুশি হলাম।
রানু-আনিসের বয়সের ব্যবধানটা যে লেখকের নিজের ব্যাক্তিজীবনে এভাবে তুলে ধরবেন ভাবতে পারিনি। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য। পাশাপাশি নিচে কাভা ভাইও চমৎকার একটি বিষয় তুলে ধরেছেন যে সেসময়কার গ্রামীণ শিক্ষিত পরিবারের সন্তানরা বিয়ের সময় কম বয়সী মেয়েদের পছন্দ করতেন।
মেয়েদের রোমান্টিক হওয়া একেবারেই দোষের নয়, কাম্যই বটে। কিন্তু আমি উল্লেখ করতে চেয়েছি যে তারা অন্ধের মত পা না ফেলে একটু চোখ কান খোলা রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পড়ুয়ার কাছে আরো একটু দায়িত্বশীলতা আশা করেছিলাম।
মাথাব্যথার কথাটি মিসির আলি মুখেই একাধিক বার শুনেছি। এখানে আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছি।
ইএসপি প্রসঙ্গে আপনার মন্তব্যটি আমার বেশ মনে ধরেছে।হ্যাঁ ঠিকইতো বিশেষ প্রতিভার অধিকারী হলেও সব সময় যে তাকে সবকিছু ঠিকঠাক বলতে হবে এমন কোন কথা নেই। কাজেই এ প্রসঙ্গে সহমত আপনার সঙ্গে।
পরিশেষে মন্তব্যের আরও একটি বিষয় চমৎকার লাগলো,
"হুমায়ূন আহমেদ নিজে একজন বিজ্ঞানী হয়ে নির্মোহ সত্য খোঁজার চেষ্টা করেছেন,
কিন্তু দেখেছেন দেয়ার আর মোর থিংস ইন হেভেন অ্যান্ড আর্থ।" চমৎকার উপলব্ধি।
ঋদ্ধ ৩ রিভিউ একটা পর্যায় পর্যন্ত করেছি। পরের পর্ব গুলিতে সময় হয়ে ওঠেনি তবে বেশিরভাগই পড়া আছে।
সবশেষে আজকের পোষ্টটি বুক রিভিউ ছিল কিনা বলা যাবেনা, টপ সিক্রেট। হা হা হা...
না এই মুহূর্তে হরতাল একটু কমে গেছে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছি।
আপনার প্রতিমন্তব্যটি করতে বসছি এই মুহূর্ত মেট্রোতে বসে রাজিব নূর ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার পথে।
শুভকামনা জানবেন।
৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫২
ল বলেছেন: পাঠ প্রতিক্রিয়া, মন্তব্যগুলো পড়লুম।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্য পড়লেন কিন্তু আপনার মতামত জানতে পারলাম না। হাহাহাহা
৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:০২
ইসিয়াক বলেছেন: দেবী,নিশীথিনী আমার অসম্ভব প্রিয় সবসময় .....পত্রিকা, বই আকারে দুরকমই পড়া আছে বহুবার ........তখন বয়স অল্প ছিলো ভয় না পেলেও অন্য রকম মজা ছিলো বইয়ের পাতায় এছাড়া নিশাত,কুহক.....সোনালী অতীত ...স্কুলের টিফিনের টাকা বাচিয়ে বই কিনতাম ফার্মগেইট ,নিলক্ষেত হেটে এক করে ফেলতাম....।ফার্মগেটে ওভার ব্রিজের কাছে বইয়ের দোকানে বই কিনতে গিয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ পার হয়ে খামার বাড়ির সামনে বাস চাপা পড়ছিলাম । দু/এক সেকেন্ডের জন্য বেচে গেছিলাম । ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ....।আরো ভয়াবহ আভিজ্ঞতা আছে বই পড়া নিয়ে ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াকভাই,
রাজিব নূর ভাইয়ের সঙ্গে মিট করতে কলকাতার নিউ মার্কেট এসেছিলাম। একটু আগেই ওনাদেরকে বিদায় দিয়ে আমি বাড়ি ফেরার পথে। ফেবুতেও আপনার মন্তব্য পড়লাম। ভীষণ সুন্দর মন্তব্য করেছেন। অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে। দেবী, নিশীথিনীর সঙ্গে আপনার সুন্দর স্মৃতিচারণ ..... পত্রিকা, বই আকারে পড়া। অল্প বয়স ভয় পেলেও মজাই আলাদা..... এছাড়া নিষাত, কুহুক... সোনালী অতীত স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে বই কিনতে যাওয়া মানিক মিয়া এভিনিউ ও ফার্ম হাউজের সামনে দুর্ঘটনার কবলে পড়া... দু-এক সেকেন্ডের জন্য প্রাণে বাঁচা .... আরো ভয়াবহ অভিজ্ঞতা বই পড়া নিয়ে.. .... সবমিলিয়ে আপনার কমেন্ট পড়ে বিমোহিত হলাম। জীবনের রং দিয়ে যখন কোন কাব্য হয়, তখন সে কাব্য শুধু কাব্যকারে সীমাবদ্ধ থাকে না যেন প্রাণ পায়। আবারও ধন্যবাদ জানাই আপনাকে ভয়ঙ্কর সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অফুরান শুভেচ্ছা রইল।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: দেবী পড়া হয়নি, মন্তব্যগুলো পড়ে যা বুঝলাম এটা এটা প্রথম দিকের বই, আপনি মধ্যাহ্ন, অপেক্ষা এইদুটো বই পড়ে দেখতে পারেন খুব ভাল লাগবে আশাকরি।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তারেক ভাই,
অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। দেবী পড়া না হয়ে থাকলে অবশ্যই বইটি পড়ার অনুরোধ করবো। আশাকরি ভিন্ন স্বাদের ফ্লেভার পাবেন।আপনার পরামর্শ মতো মধ্যাহ্ন ও অপেক্ষা বই দুটি সংগ্রহ করে পড়ার চেষ্টা করব।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: দেবী একটি চমৎকার হরর নভেলা। তবে এখানে মিসির আলির মাধ্যমে ইএসপি নামক যে সিউডোসায়েন্সটিকে অলৌকিক ক্ষমতা বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে, তা আপত্তিকর। এ ব্যাপারে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা রাখি।
১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাসান মাহবুব ভাই,
ঋদ্ধ ৩ এর কোন একটি রিভিউতে আপনার মন্তব্য পেয়েছিলাম। তারপর দীর্ঘদিন আপনার সুচিন্তিত মন্তব্য থেকে বঞ্চিত হয়েছি। যে কারণে বহুদিন বাদে আজকের মন্তব্য পেয়ে খুশি হয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
দেবী চমৎকার নভেল এ প্রসঙ্গে আপনার সঙ্গে সহমত তবে হরর পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যক্তিগতভাবে আমার একটু ঘাটতি লাগলো। অবশ্য পাঠক মাত্রেই স্বাদে বৈচিত্র্যময় হবে এমনটিই স্বাভাবিক।
মন্তব্যে আরেকটি দিক উঠে এসেছে,
ইএসপি প্রসঙ্গে সিউডোসায়েন্সটিকে অলৌকিক ক্ষমতা বলে চালিয়ে দেওয়া নিয়ে। বিষয়টা নিয়ে আমারও একটু মনে প্রশ্ন জেগেছিল।ইতিমধ্যে মা.হাসান ভাই ও কাভা ভাইয়ের মন্তব্যে এ বিষয়ে একটা দিক পরিষ্কার হয়েছে। পাশাপাশি আপনার আপত্তির বিষয়টি আরো পরিষ্কার করলে আলোচনার সুযোগ বাড়টো। যদিও আশার যে এ সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত পোস্টের সিদ্ধান্তে আনন্দ পেলাম। আপনার সেই কাঙ্খিত পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম....
শুভকামনা জানবেন।
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অনেক আগে পড়েছিলাম। হুআ এর বেশিরভাগ বইয়ের মতই এ বইয়ের কাহিনীও মনে নেই!
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার,
আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; স্বাগতম আপনাকে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়, বাসি মাংস বেশি ভালো লাগে।অনেক আগে পড়া অনেক কিছুই তেমন মনে না থাকারই কথা। তবে যদি সম্ভব হয় তাহলে দেবীতে আর একবার চোখ বুলাতে পারেন। খুবই ভালো লাগবে।
আমার অন্যান্য পোস্টগুলোও একবার ঘুরে দেখার অনুরোধ করবো।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২১
করুণাধারা বলেছেন: অনেককাল আগে পড়েছিলাম বইটা। একটা বই পড়ে যদি অনেক কিছুই না বুঝি, বা অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হয়, তখন সেই বইটাকে ভালো বইয়ের তালিকায় ফেলতে পারি না। দেবী তেমন একটি বই। যে প্রশ্নগুলো আপনার মনে জেগেছে, সেগুলো আমার মনেও জেগেছিল, কিন্তু উত্তর পাইনি।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু,
মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র গোগ্রাসে পড়েছিলাম। বঙ্কিমচন্দ্র পড়তে গিয়ে প্রচন্ড হোঁচট খাই, ভালো লাগেনি। তাই বলে বঙ্কিমচন্দ্র সাহিত্য রত্না পরিপূর্ণ। উনাকে বুঝতে না পারাটা আমার ব্যক্তিগত ত্রুটি। আপনাকে বলতে দ্বিধা নেই যে আমি 'দুর্গেশ নন্দিনী'কে চার থেকে পাঁচবার হাতে নিয়েও শেষ করতে পারিনি। প্রতিবারই দু/পাঁচটি পাতা উল্টিয়ে আর এগোতে পারেনি। কাজেই একটা বই ভিন্ন পাঠকের কাছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ দিবে এমনটাই স্বাভাবিক। আপনার সাথে সহমত রেখেই বলছি, দেবী উপন্যাসে যে জায়গা গুলিতে পাঠ কালের প্রশ্ন জেগেছিল গত দুদিন একাধিক ব্লগারের সুচিন্তিত মন্তব্যে উত্তরগুলো পেয়ে গেছি। ব্লগ না থাকলে হয়তো প্রশ্নগুলো মনেই থেকে যেত। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২২
ঢাবিয়ান বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের বই এর রিভিউ করেছেন। বেশ সাহসিকতার বিষয় বলা যায়। তার প্রথম দিককার বইগুলো কালজয়ী। যুক্তি দিয়ে সেই কাহিনীগুলো বিচার করা সম্ভব নয়। হুমায়ুন আহমেদ এক দিকে যেমন তৈরী করেছেন মিসির আলীর মত চরিত্র যিনি যুক্তি ছাড়া কোন কিছুতে বিশ্বাস করে না আবার একই সাথে তৈরী করেছেন হিমুর মত চরিত্র যে অতিপ্রাকৃতিক শক্তির অধিকারী। যুক্তি তর্কের অনেক বাইরে এসব চরিত্রের অবস্থান। অনেকটা ম্যজিকাল চরিত্র বলা যায়।
হুমায়ুন আহমেদ বরাবরই প্রকৃতির অজানা রহস্যের ওপড় জোর দিতেন, যে রহস্য মানুষ ভেদ করতে সক্ষম হননি। দেবী বইটিতেও সেটাই ঘটেছে।
সময় যত গড়াবে তত বেশি জনপ্রিয় হবে হুমায়ুন আহমেদ এর বইগুলো। মিসির আলী, হিমু, শুভ্ররা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বেঁচে থাকবে পাঠকের কাছে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৩০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় ঢাবিয়ান ভাই,
মন্তব্য শুরুতে আপনার কথাটি প্রসঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থনে বলি শিশুতোষ হওয়ার কারণেই বোধহয় এমনতর সাহস/অপরাধটি করতে পেরেছি। হ্যাঁ জানি সস্তা রিভিউ বটে। হয়তো বাংলা ভাষার প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের রিভিউ করাটা পাঠকদের গুণগত মান অনুযায়ী সাজেনা। সে ক্ষেত্রে পাঠকদের কগনিটিভ লেভেল কখনো তারকাখচিত সাহিত্যিকদের সমমানের না হওয়ার একটা কারণ হতে পারে। আপনার অবগতির জন্য জানাই ব্যক্তিগত কাজে কয়েকদিন আগে একটু খোঁজ নিতে গিয়ে দেখলাম, ১৯৫২ সালের পাবলিস্ট হওয়া আর্নেস্ট হেমিংওয়ের, দ্য ওল্ড ম্যান এন্ড দ্য সী'গ্রন্থের রিভিউ এখনো অবলীলাক্রমে হয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্যের বাকি অংশ সম্পর্কে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। অল্প কথায় চমৎকার ভাবে লেখক সৃষ্ট চরিত্রগুলোর একটা স্কেচ দিতে পেরেছেন।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদের অসমবয়সী প্রেমের প্রতি বেশ আগ্রহ ছিলো, যেটা তার দ্বিতীয় বিয়ের মাধ্যমেই প্রমানিত হয়। এছাড়াও তাঁর বিভিন্ন গল্পে কিশোরী মেয়ের সাথে তুলনামুলক বয়স্ক লোকের প্রেম কাহিনী দেখা যায়। এটা তৎকালীন সামাজিক ব্যবস্থার একটা প্রতিচ্ছবিও বটে। আমি গ্রামে এমন অনেক পরিবার দেখি যেখানে স্বামীর বয়স ৫০ হলেও স্ত্রীর বয়স হয়ত ত্রিশও পার হয় নি।
সত্যিকার ভৌতিক পরিবেশটা আসলে কেমন এ নিয়ে আমাদের প্রায় কারোই ধারনা নেই। আমরা বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের গল্পে লেখক দ্বারা যে সকল বর্ণনা পড়ি সেইগুলোর আমাদের কাছে ভৌতিক পরিবেশের প্যারিমিটার। ফলে হুমায়ূন আহমেদ ঠিক তাই ব্যবহার করেছেন।
তবে হুমায়ুন আহমেদ সব সময় বিভ্রান্তি তৈরী করতে পছন্দ করেন। বাস্তবের সাথে অবাস্তব মিশিয়ে তিনি আনন্দ পান। যেহেতু এটা কোন সায়েন্স নয়, তাই তিনি পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখতে জেনে শুনেই যুক্তির সাথে অযুক্তি মিশিয়েছন বলেই আমার ধারনা।
তাছাড়া - একটি বিখ্যাত যুক্তি হচ্ছে - এই পৃথিবীর কত কিছুই বা আমরা জানি?
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় কাভা ভাই,
আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সু-স্বাগতম আপনাকে। আপনার অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। সাথে সাথে নিরসন হলো অনেকগুলি অজানা প্রশ্নেরও।
মন্তব্য শুরুতেই সহমত আপনার সঙ্গে যে বেশিরভাগ লেখক,কবিরা তাঁদের ব্যক্তিজীবনের ছাপ লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। জীবনের সঙ্গে সমাজের সামঞ্জস্যতা মিশিয়ে বিভিন্ন গল্পে কিশোরী মেয়েদের সাথে বয়স্ক মানুষদের প্রেম কাহিনীও লেখনীতে মাঝে মাঝে দেখা যায়। আপনার কথার সূত্র ধরেই বলতে পারি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প সাহেব এই মুহূর্তে যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। গ্রাম সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণটিও অমূলক নয়।
মন্তব্যের দ্বিতীয়াংশে ভৌতিক পরিবেশ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়নটি প্রশংসার দাবি রাখে।সহমত আপনার সঙ্গে যে আমরা বিভিন্ন ধরনের লেখক দ্বারা গল্প-উপন্যাসে যে সকল বর্ণনা পড়ি সেগুলো আমাদের কাছে ভৌতিক প্যারামিটার স্বরূপ কাজ করে।এদিক দিয়ে শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক আলোচ্য উপন্যাসে এমনই প্যারামিটার ব্যবহার করেছেন। মন্তব্যে সুন্দর অভিব্যক্তিতে আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্যের সর্বশেষ অংশটি সর্বোকৃষ্ট বা চমকপ্রদ।
"তবে হুমায়ূন আহমেদের সব সময় বিভ্রান্তি তৈরী
করতে পছন্দ করেন। বাস্তবের সাথে অবাস্তব
মিশিয়ে তিনি আনন্দ পান। যেহেতু এটা কোন
সায়েন্স নয়, তাই তিনি পাঠকের আগ্রহ ধরে
রাখতে জেনে শুনেই যুক্তির সাথে অযুক্তি
মিশিয়েছন বলে আমার ধারণা।" - চমৎকার উপলব্ধি! যেন সমস্ত জানা-অজানার জলবিভাজিকা। আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
সবশেষে পোস্টে 19 তম লাইক প্রদান করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
১৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: বই তো পড়েছি স্কুলছাত্র থাকা কালীন। তেমন কিছু মনে নেই, শুধু মনে আছে বইটা ভালো লেগেছিল। তবে আজ রিভিউ ও মন্তব্য পড়ে আরো অনেক কিছু জানলাম! তবে আমার কাছে যেটা মনে হয়, হুমায়ন আহমেদ সাহেব তাঁর মিসির আলী সংক্রান্ত বইগুলোতে কেবলমাত্র সেসব সমস্যা নিয়ে লিখেছেন যেগুলোকে প্রাকৃতিক নিয়মে কোনোভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় না। কাজেই অনেক রহস্য থেকে যাবে। আবার অনেক ব্যাখ্যা বিজ্ঞানসম্মত কিংবা যৌক্তিক মনে হবে না। তবে সুপাঠ্য।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রকি ভাই,
বেশ অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেলাম। আশা করি ভালো আছেন। অনেকদিন আগে বইটি পড়লেও বইটা যে হৃদয় দিয়ে পড়েছেন মন্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট।
" তবে আমার কাছে যেটা মনে হয়, হুমায়ূন আহমেদ সাহেব তাঁর মিসির আলি সংক্রান্ত বইগুলোতে কেবলমাত্র সমস্যা নিয়ে লিখেছেন যেগুলোকে প্রাকৃতিক নিয়মে কোনভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় না।"চমৎকার বলেছেন। হাজার প্রশ্নের এক কথা। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোষ্টটিতে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
১৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: সত্যি বলতে হুমায়ন আহমেদের গুটি কয়েক লেখাবাদে বাকি লেখাতে কোন মেসেজ নেই । তবে তার লেখায় পাঠক ধরে রাখার জাদুকরী গুন আছে
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইমন ভাই,
বহুদিন পর আমার কোন পোস্টে আবার এলেন। আবারো সু- স্বাগতম আপনাকে। অল্প কথায় হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে আপনি যে মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তার সঙ্গে সহমত হতে পারলাম না যদিও পাঠকমাত্রই ভিন্ন দৃষ্টি ও মতামত থাকাটা স্বাভাবিক। সবার লেখা সবার ভালো না লাগারই কথা। যদিও মন্তব্যের শেষ লাইনে পাঠক ধরে রাখার যে জাদুশক্তির কথা বলেছেন, সেটাই অনেক। 100% সহমত আপনার সঙ্গে যে উনি জাদু জানতেন, নইলে বই শেষ না করে ওঠা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।
১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পদাতিক চৌধুরি ভাই,
সমালোচনা করা যাবে? কট্টর সমালোচনা হয়ে যাবে - লোড নিতে পারবেন তো। যদি জানান তাহলে সমালোচনা করছি। আর যদি বলেন এখানেই সমাপ্ত তাহলে সমালোচনা করবো না। অপেক্ষায় রইলাম - - - - -
১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথা বহির্ভূতভাবে আপনার মন্তব্যের আগে উত্তর করছি। গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই সুস্বাগতম।
১৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭
শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: বইটি পড়ে আমার নিজেকে মাঝে মাঝে রানুর মত অলৌকিক কিছু ভর করেছে মনে হত। হুমায়ুন আহমেদ তার অসাধারন কল্পনা শক্তির স্ফূরন ঘটাতে গিয়ে এমন অনেক কিছু লিখতেন যার কোন ব্যাখ্যা নেই শুধু অনুভব আছে। আমার কাছে তিনি একজন সার্থক লেখক। রিভিউ পোস্ট ভাল লেগেছে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য; সুস্বাগতম আপনাকে। সুন্দর অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। বাস্তবে বইটি পড়াকালীন মিসির আলিকে আইকন বলে মনে হয়েছিল। সহমত আপনার সঙ্গে যে হুমায়ূন আহমেদ কল্পনাশক্তির বিচ্ছুরণের এক বিশেষ মাত্রায় পৌঁছে গেছেন উপন্যাসের চরিত্র চিত্রায়নে। শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিককে শতাব্দির বিস্ময় বললেও কম বলা হয়।
রিভিউ পোস্ট ভাল লেগেছে ও পোস্টে লাইক করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০
হাবিব বলেছেন: বইটি আমার পড়া হয়নি। আপনার রিভিও থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। মন্তব্য গুলোও পড়লাম। সব মিলে অনেকটা তৃপ্ত।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,
বইটি পড়া থাকায় অনুরোধ করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বইটি পড়বেন; নিশ্চিত অমৃত পাবেন। পোস্ট পড়লেন, মন্তব্যগুলি পড়লেন; সবমিলিয়ে তৃপ্ত হলেন জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় হাবিব ভাইয়ের পরিবারবর্গকে।
১৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
কিরমানী লিটন বলেছেন: দেবী উপন্যাসটি পড়া হয়নি তবে এর ছায়া অবলম্বনে তৈরি ছবিটি দেখেছি। অনেকেই বলে তাকেন দেবীর ভিতর হুমায়ুন আহমেদ নিজের ছায়াকেই প্রলম্বিত করেছেন।
চমৎকার রিভিউয়ের জন্য আপনি স্পেশাল ধন্যবাদ প্রাপ্য। শুভেচ্ছা আর শুভকামনা জানবেন। ভালোবাসা নিরন্তন।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে খুশি হলাম। উপন্যাসটির না পড়লেও মুভি দেখে আপনি যে অনুভূতি ব্যক্ত করলেন তা অনন্য; ধন্যবাদ আপনাকে।
রিভিউ ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম; ধন্যবাদ আপনাকে ।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
আপনার শুভ কামনা গ্রহণ করলাম। আপনার জন্যও রইল অফুরান শুভেচ্ছা।
২০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সরি দাদা!
এত দারুন একখানা কমেন্টুস লিখেছিলাম! পোষ্ট হচ্ছে না।
কপি করে অন্য কাজ করতে করতে অন্য কপি করে হারিয়ে ফেললাম!!!!
রিফ্রেশ দিয়ে মন্তব্য পেষ্ট করতে গিয়ে দেখি তিনি হাওয়া!!!!!!!
মনটাই খারাপ হয়ে গেল।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।দুর্ভাগ্য আমার যে আপনার সেই কমেন্টটি পেলাম না। তবে যেটা পরে পেলাম সেটাও আনন্দের।আমারও মাঝে মাঝে এরকম হয়, পোষ্ট পাবলিশ করতে গিয়ে দেখি অফলাইন হয়ে গেছে। এমন ঘটনায় দ্বিতীয় মন্তব্যটি স্রেফ নিয়ম-রক্ষার পর্যায়ে পৌঁছায়।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
২১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৯
আখেনাটেন বলেছেন: কলেজে পড়ার সময় গিলেছিলাম বইটি। যদিও হুমায়ুন আহমেদের কোনো বই বাকি ছিল না খাইতে।
অবশ্য তখন মজা পেলেও এখন সুপারন্যাচারাল, হরর-ফরররররর-ঘররররররর ইত্যাদি গল্প, উপন্যাস, ছবি খুব একটা টানে না। তাই অনেকে দেবী ছবিটি দেখার জন্য সাধাসাধি করলেও আর দেখা হয় নাই।
আর আমি মিসির আলী থেকে হিমুকেই ভালা পাই।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আখেনাটেন ভাই,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।সহমত আপনার সঙ্গে যে কলেজে পড়াকালীন গল্প-উপন্যাস পড়ার স্বাদ এক রকম; পরবর্তীকালে যদিও সেই অনুভূতিটা ফিকে হয়ে যায়। চিন্তা ভাবনায় পরিণতবোধ বা পরিপূর্ণতা আমাদের আবেগময় থেকে বাস্তবমুখী করে তোলে, যে জন্য মনের এই ভাবান্তর-বলে আমার বিশ্বাস।
আর এ কারণেই একসময়কার সুপারন্যাচারাল বা হরর উপন্যাস আজ এতটা আকর্ষণ হারিয়েছে।
তো ব্যক্তিগত অভিমত মিসির আলি চরিত্রটিকে আমার অসাধারণ লেগেছে। ওনার প্রখর যুক্তিবোধের পরিচয় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবচেতন মনে নিজের আইকন মনে হয়েছিল। যে কারণে একেবারে শেষে কিছু অলৌকিকত্বের ব্যাখ্যা না পাওয়ার জন্য একটা শূন্যতা অনুভব করি।
পোষ্টটিতে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বইটা প্রথম যখন বেরিয়েছে তখনি পড়েছি। এটা ছিল হুমায়ুন আহমেদের একমাত্র পেপারব্যাক বই।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লিটন ভাই,
বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। ভালো একটা তথ্য শেয়ার করেছেন।
আপনাদের মন্তব্যগুলো থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।
২৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩০
মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
আপনার রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো । আমার দেবী বইটা পড়া হয়নি কিন্তু সিনেমা দেখেছিলাম । তাই আপনার রিভিউ পড়ে
ভালো লাগলো। ভালো কথা মরীচিকা দিচ্ছেন না কেন ?
ব্লগে আগের মত আসা হয় না ঠিকই কিন্তু কিছু কিছু লেখা মিস করতে ইচ্ছে করে না ।
অনেক শুভকামনা ও ভালোলাগা রইলো দাদার জন্য।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,
প্রথমেই ক্ষমাপ্রার্থী বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য।দেবী উপন্যাসটি পড়েননি, কিন্তু সিনেমা দেখেছেন- একদিক দিয়ে দুধের সাধ ঘোলে মিটানোর মতোই বৈকি। যদি সম্ভব হয় তাহলে উপন্যাসটি একবার পড়তে অনুরোধ করবো। মুভির সঙ্গে তো তফাৎ পাবেনই, সঙ্গে পাবেন অসাধারণ যুক্তিবাদী মিসির আলীর সাক্ষাৎকার। উপন্যাসটি পড়াকালীন আমাকে যাকে আইকন বলে মনে হয়েছে।
মরীচিকা না দেওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে পরপর দুই বোনের ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার জন্য এত বেশি ব্যস্ত ছিলাম সঙ্গে পারিবারিক গৃহ নির্মাণের কারণ ও বাবুর চলমান পরীক্ষার জন্য একদম সময় করে উঠতে পারছিনা। আমি নিজেই খুব ব্যস্ত হয়ে উঠেছি, দেখি কবে সময় করতে পারি।
বোনের শুভকামনা গ্রহণ করলাম। ভাইয়ারর পক্ষ থেকেও বোনের জন্য রইল অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
২৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:১৮
এমজেডএফ বলেছেন:
আপনার ব্যতিক্রমধর্মী লেখা "বুক রিভিউ" দেরিতে হলেও চোখে পরেছে। সাহিত্য নিয়ে ছোটকাল থেকে পড়াশুনা শুরু করলেও জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের কোন উপন্যাস আমার পড়া হয় নাই! কয়েকবার লেখকের জনপ্রিয় কয়েকটি বই পড়ার চেষ্টা করেছি। কয়েক অধ্যায় পড়ার পর মনে হয়েছে আমার টেবিলে গুরুত্বপূর্ণ আরো অনেক বই রয়েছে সেগুলো আগে পড়া উচিত। আমার দূর্ভাগ্য হুমায়ুন আহমেদের গল্প-উপন্যাস আমাকে আকর্ষণ করতে পারেনি। তবে তাঁর নাটকগুলোর ভক্ত ছিলাম। নাটকেে সবচেয়ে আকর্ষণ হলো সংলাপ, কিন্তু গল্প-উপন্যাসে সংলাপ ছাড়া আরো অনেক কিছুর প্রয়োজন। জনপ্রিয়তা বেশি হলেই যে বেশি ভালো হবে—তা ঠিক নয়। যেমন বাংলা ছায়াছবির ইতিহাসে সুপারহিট মুভিগুলোর মধ্যে একটি "বেদের মেয়ে জোছনা" আবার সুপারফ্লপ মুভিগুলোর একটি "তিতাস একটি নদীর নাম" ।
দেবী উপন্যাসের সাথে আপনার দেওয়া উপরের ছবিটির (প্রথম) সম্পর্ক কী বুঝি নাই! হুমায়ুন আহমেদের দেবী উপন্যাস পড়ি নাই এবং এর ছায়া অবলম্বনে তৈরি ছবিটিও দেখি নাই। তাই এ ব্যাপারে আমি মন্তব্য করতে পারলাম না। যেহেতু 'বুক রিভিউ' হিসাবে লেখা, তাই আরো কিছু তথ্য থাকলে ভালো হতো। যেমন: লেখক ও বইয়ের পটভূমি; প্রকাশকাল; প্রকাশক; পৃষ্ঠাসংখ্যা; বইয়ের মূল্য এবং আপনার নিজস্ব মতামত। কাহিনী সংক্ষেপ সুন্দরভাবে লিখেছেন, বইয়ের মধ্যে লেখকের স্ববিরোধীতা ও সামঞ্জস্যহীনতা "পাঠকের প্রতিক্রিয়া" হিসাবে তুলে ধরেছেন। 'বুক রিভিউ'-এর নিয়ম অনুযায়ী আপনার নিজস্ব মতামতও তুলে ধরতে পারতেন। মনে হয় হুমায়ুন ভক্তদের বেজাড় না করার জন্য 'ব্যালেন্স' করে রিভিউ লিখেছেন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো। ভালো থাকুন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় এমজেডএফ ভাই,
প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য। শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখনি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামতটা পড়লাম। পাঠকমাত্রই ভিন্ন রুচি বা স্বাধীনতা থাকতেই পারে। সবাইকে সব কিছু ভাল লাগার কথা নয়। যে কারনে আপনার অনুভূতিকে জানাই সম্মান।
হুমায়ূন আহমেদের জীবনের প্রথম লেখনি গুলিকে নিয়েই তৈরি 'প্রথম' সংকলন। যেসব পণ্য পাবেন। যেমন-
প্রথম উপন্যাস: শঙ্খনীল কারাগার ১৫
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস: নন্দিত নরকে ৮৫
প্রথম মিসির আলি: দেবী ১৪১
প্রথম হিমু: ময়ূরাক্ষী ২২৭
প্রথম শুভ্র: দারুচিনি দ্বীপ ২৯৭
প্রথম প্রেমের উপন্যাস: তোমাকে ৩৭৩
প্রথম কল্পবিজ্ঞান: তোমাদের জন্য ভালোবাসা ৪৩৭
প্রথম আত্মজৈবনিক: আমার ছেলেবেলা ৪৮৭
প্রথম মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস: সৌরভ ৫৭৩
প্রথম গল্প সংকলন: নিশিকাব্য ৬৪৭
প্রথম ভ্রমণ উপাখ্যান: হোটেল গ্রেভার ইন ৭০৯
প্রথম নাটক: নৃপতি ৭৭৫
প্রথম আদি ভৌতিক উপন্যাস: ছায়াসঙ্গী ৮১৩
প্রথম কিশোর উপন্যাস: সূর্যের দিন ৯১৩
প্রথম অনুবাদ: অমানুষ ৯৭১
প্রথম রম্যগ্রন্থ: এলেবেলে ১০৮৫
প্রথম কবিতাগ্রন্থ: গৃহত্যাগী জোছনা ১১২৯
প্রথম ঐতিহাসিক উপন্যাস: বাদশাহ নামদার ১১৪১
উপরের ছবিটি প্রথম সংকলনের কভার পেজ।
রিভিউ সম্পর্কে আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। সহমত আপনার সঙ্গে যে, যে ফর্মাটৈ রিভিউ করা হয় সেখানে কিছু অপ্রীতিকর কথাবার্তার আসার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সে আশঙ্কা শুরুতেই আমার ছিলো। হুমায়ূন আহমেদের মতো একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে তার তুল্যমূল্য আলোচনা করে নিজস্ব মতামত দেওয়াটা নিঃসন্দেহে সাহসিকতার পরিচয় বৈকি। যে কারণে প্রথাগত ফর্মাটৈ না গিয়ে প্রথমে ঘটনার সংক্ষিপ্তসার ও পরে পাঠ প্রতিক্রিয়ায় সামান্য কৌতূহলের নিবৃত্ত করতে কিছু প্রশ্ন রেখেছিলাম। যদিও আমার সে প্রত্যাশা অটুট থাকে নি। জনৈক ব্লগারের কাউন্টার পোস্টে বিষয়টি উল্লেখিত হয়েছে।
আপনার শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। আপনার জন্যও রইল আমার অন্তরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
২৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মা.হাসান বলেছেন: ব্লগের অনেকেই হুমায়ূন আহমেদের চেয়ে ভালো লিখেন বলে মনে হচ্ছে। সবার জন্য শুভ কামনা। তবে হুমায়ূন আহমেদ জীবিত থাকা কালে ওনার কোন কোন বই একুশের বইমেলায় ৬০০০০ কপির বেশিও বিক্রি হয়েছে। এখনো মেলার বেস্ট সেলার ৫০টা বইয়ের মধ্যে ওনার বই থাকে। কোন ব্লগার বা দুই বাংলার অন্য কোন লেখক এই রেকর্ড ভেঙেছেন বলে শুনি নি।
জাদিদ ভাইয়ের সাথে একমত না যে ---ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদের অসমবয়সী প্রেমের প্রতি বেশ আগ্রহ ছিলো, যেটা তার দ্বিতীয় বিয়ের মাধ্যমেই প্রমানিত হয়।
৮০র দশকের শেষ থেকে ২০০০ এর কাছাকাছি পর্যন্ত হুমাহূন আহমেদের অনেক বইয়েই তাঁর অসুখী দাম্পত্য জীবনের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। বাজারে ওনার ২য় স্ত্রীর সাথে বিবাহ পূর্ব সম্পর্ক নিয়ে অনেক গসিপ চালু ছিলো এবং আছে। উনি নিজের ওনার একাধিক লেখায় এগুলোকে মিথ্যা বলেছেন।
@ গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই-- নিশীথিনী মনে হয় পেপারব্যাকে বের হয়েছিলো, তবে নিশ্চিত না। কিন্ত এটা নিশ্চিত যে এক্সরসিস্ট সেব প্রকাশনী থেকে পেপারব্যাকে বের হয়েছিলো। এক্সরসিস্ট ছিল উইলিয়াম পিটার ব্লাটির হরর উপন্যাস, অর্থ কষ্টের কারণে হুমায়ূন আহমেদে অনুবাদ করেছিলেন। ওনার নিদারুন অর্থ কষ্টের সময় কাজী আনোয়ার হোসেন সাহেব বিনা বাক্যে ওনার পান্ডুলিপি নিয়ে ওনাকে কিছু টাকা (সম্ভবত ২০০০) দিয়েছিলেন।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মা.হাসান ভাই,
বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। বইমেলায় শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বই সেল সম্পর্কে আপনার সুন্দর তথ্য সরবরাহ করার জন্য অজস্র ধন্যবাদ। 60 হাজার কোটির উপরে বই! অসম্ভব অকল্পনীয় ব্যাপার। শুধু বাংলা সাহিত্যে বলে নয়, আমার মন বলছে বিশ্ব সাহিত্যেও বই বিক্রির এমন নজির আছে কিনা সন্দেহ। কলকাতায় বইমেলায় যে কোন লেখকের বই কোন অবস্থায় এরূপ বিশেষ মাত্রায় পৌঁছাতে পারে না, যেটা পুরো বাংলায় হয়। তার প্রধান কারণ পূর্ব বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি বাস।
আগেও বলেছি, আপনার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আবার বলছি,
জাহিদ ভাই মন্তব্যে একটি ভাল দিক তুলে ধরেছেন। উনার দ্বিতীয় বিয়েটা লেখকের ব্যক্তিগত মনের প্রমাণ দেয়।
দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে ওনার ব্যক্তিগত জীবনকে নিয়ে প্রচলিত গসিপ জানা ছিল না। প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থাকবেই। বিখ্যাতদের নিয়ে আমরা অহেতুক ব্যাক্তি আক্রমন করে তাদেরকে উপহাসের পাত্র করে তুলি। যাইহোক ঘটনার সত্যতা নিয়ে বিষয়টি উনি ওনার মত করে বিভিন্ন লেখনীতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আশাকরি সুধী পাঠক সেখানেই তাদের মনের কৌতুহল নিবৃত্ত করতে পারবেন। অহেতুক ব্যাক্তি আক্রমন যেকোনো মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। সাহিত্যিকের সম্মান তাঁর লেখনীতে, তাঁর চিন্তা ধারায়, তার সৃষ্টিতে: ব্যক্তিগত জীবনকে কালিমালিপ্ত করে নয়।
লিটন ভাইয়ের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার তথ্য যুক্ত উত্তরটি আশাকরি লিটন ভাই দেখে নিয়েছেন।পোস্ট ও মন্তব্যগুলো খুঁটিয়ে পড়ে যথাযথ মন্তব্য করে দিক নির্দেশনা করার জন্য, আপনি ব্লগে ইউনিক। অভিবাদন আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা প্রিয় মা.হাসান ভাইকে।
২৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১২
সোহানী বলেছেন: বইটা পড়েছিলাম সেই ছোটবেলায়। রিভিউতে রাখা আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যে পেয়েগেছেন। তার উপর ঠাকুর ভাই ও দেখলাম পূর্ণাঙ্গ পোস্ট করেছেন। তবে আমার কাছ থেকে উত্তর অনেকটাই কাভা ভাই দিয়েছেন। যে প্রশ্ন করেছেন তা কিন্তু এখনকার বাস্তবতার সাথে মেলাতে পারবেন না। আপনাকে তুলনা করতে হবে সে সময়ের সাথে। তবে এ বইটি একটি কালজয়ী আমার কাছে কারন গ্রামের কিশোরী মেয়েদের উপর পাশবিক নির্যাতনের বিষয়ের সাথে রহস্য সাথে বিজ্ঞান মেলাতে চেস্টা করেছেন লেখক। এবং হুমায়ুন স্যারের সব বইই বলতে গেলে টিন এজ এর জন্য চিন্তার খোরাক। আমার আপনার মতো অতি চিন্তিত প্রাণীদের জন্য কিছুটা খটকা ।.............
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,
বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। যদিও ইতিপূর্বে আপনার সমর্থক মন্তব্যের প্রতিউত্তর ফেবুতে দিয়েছি। বইটি আপনি ছোটবেলায় পড়েছেন। কাজেই এখন অতটা মনে না থাকারই কথা। হ্যাঁ রিভিউতে রাখা প্রশ্নের উত্তরগুলো পেয়ে গেছি। আপনি মনোযোগ দিয়ে বিষয়টি খেয়াল করেছেন, ধন্যবাদ আপু আপনাকে। কাভা ভাই ও মা.হাসান ভাইয়ের দেওয়া উত্তরগুলো আমার কাছে অত্যন্ত বলিষ্ঠ লেগেছে। সহমত আপনার সঙ্গে যে যে প্রশ্নগুলো করেছিলাম বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সেগুলো করাটা অযৌক্তিক। বইটি কালজয়ী হওয়ার কারণ সম্পর্কে আপনি যে যুক্তি তুলে ধরেছেন তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক এবং যুক্তিযুক্ত। কোন দ্বিমত থাকতে পারে না যে সূক্ষ্ম অনুভূতি বোধ থেকে এমন ধারনা আসা স্বাভাবিক। আপনার অনুভূতিকে সম্মান জানাই।
মন্তব্যের শেষ অংশ সম্পর্কে ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে কোন কমেন্ট করতে পাচ্ছিনা।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপু আপনাকে।
২৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আরোগ্য এর মত আমারও উপন্যাসটি পড়া হয়নি তবে মুভিটা দেখেছি। মুভি দেখে এসে হাল্কা মেজাজে একটা পোস্টও (রিভিউ নয়) লিখেছিলাম এখানেঃ দেবী দর্শন এবং তার আগে পরে। সে পোস্টটি আপনিও পড়েছিলেন তখন।
যেহেতু আমি উপন্যাসটি পড়িনি, সেহেতু সে সম্পর্কে কোন মন্তব্য করাও সমীচীন হবে না। তবে এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে বইটা পড়ে আপনি যেভাবে আপনার অভিমত প্রকাশ করেছেন, তা ভাল লেগেছে। একেক জনের মতামত একেক রকমের হতে পারে, এটাই তো স্বাভাবিক।
মা.হাসান (৫ ও ২৫), কাল্পনিক_ভালোবাসা (১৩), এমজেডএফ (২৪) প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে।
টাইপোঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় বাক্যের প্রথম শব্দটি "সধ্য" এর বদলে সদ্য হবে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: রেস্পেক্টেড স্যার,
বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আপনি উপন্যাসটি না পড়লেও মুভিটি দেখে সে সময় একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। লিঙ্ক দিয়ে বিষয়টি উল্লেখও করেছেন।ওই পোস্টে আমার একটা মন্তব্য ছিল। আপনিও খুব সুন্দর প্রতিমন্তব্য করেছিলেন।
আলোচ্য পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে পুলকিত হলাম। 100% সহমত আপনার সঙ্গে, একই জিনিস ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে বাধ্য। ফলে একই বিষয়ের উপরে একেকজনের এক এক অভিমত হওয়াটা স্বাভাবিক।
কমেন্ট দাতাদের মধ্যে মা হাসান (৫ ও ২৫), কাল্পনিক _ভালোবাসা(১৩), এমজেডএফ (২৪) প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে জেনে প্রফুল্ল হলাম। আমিও অন্য সকলের মত ওনাদের মন্তব্যে দেবী উপন্যাসের একাধিক অজানার সন্ধান পেলাম।
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের টাইপোটি উল্লেখ করাতে খুশি হলাম। ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। এখনই ঠিক করে দিচ্ছি।
পোষ্টটিতে লাইক করে অনুপ্রাণিত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা স্যার আপনাকে।
২৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৩৭
জুন বলেছেন: বইটি পড়েছি যেহেতু আমি একজন বুকওয়ার্ম। মিসির আলীর চরিত্রটি মনে দাগ কেটেছে। ভুতের গল্প পড়তে ভালোবাসি
চমৎকার রিভিউ পদাতিক।
+
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,
বিলম্বিত উত্তর প্রদানের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার চমৎকার মন্তব্যে প্রীত হলাম। যদিও আপনার বুকওয়ার্মের কথা ইতিপূর্বে বিভিন্ন পোস্ট থেকেই জেনেছি। সঙ্গে ভ্রমণপিপাসু মন আছে। আমরা ব্লগে যা থেকে রসাস্বাদন করি। মিসির আলি চরিত্রটি সাহিত্যিকের অনন্য সৃষ্টি। উপন্যাসটি পাঠ কালে যে কারণে ওনাকে আমার আইকন মনে হয়েছিল।
পোস্টটি ভাল লাগাতে ও লাইক প্রদান করাতে অনুপ্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুনিকে।
২৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: দাদা পোষ্ট টি আমাকে উতসর্গ করেছেন, এর জন্য আমার আনন্দের শেষ নেই।
লেখায় কোনো ভুলভাল পেলাম না।
এক কথায় চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন।
উপন্যাস টি আমি অনেকবার পড়েছি। হুমায়ূন আহমেদের লেখা মিসির আলীর প্রথম বই দেবী। এই বইটি লেখক আম্রিকাতে বসেই লিখেন। একদিন গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ তার কন্যাকে নিয়ে। তখন গাড়িতে এই গানটি বাঝছিল- ''ক্লোজ ইউর আইস, এন্ড ট্রাই টু সি''। এই গান শুনেই তিনি মিসির আলী চরিত্রটি তৈরি করেন। কিছু দিন আগে বাংলাদেশে এই উপন্যাসটি নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি করা হয়।
দাদা মিসির আলীকে অনেক হুমায়ূন আহমেদ অনেক গুলো বই লিখেন। আমি আপনাকে অনুরোধ করবো সব গুলো বই ই আপনি পড়ুন। আপনার ভালো লাগবে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,
পোস্টটি যাকে নিবেদন করা অবশেষে তার দর্শন পেয়ে মনে আনন্দ পেলাম। ভায়ের মন্তব্য থেকে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম।
"এই বইটি লেখক আফ্রিকাতে বসে লেখেন। একদিন গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ তাঁর কন্যাকে নিয়ে। তখন গাড়িতে এই গানটি বাজছিল-ক্লোজ ইউর আইস এন্ড ট্রাই টু সি। এই গান শুনেই তিনি মিসির আলি চরিত্রটি তৈরি করেন।"চমৎকার শেয়ার। অজস্র ধন্যবাদ ছোট ভাইকে।
আমি ইতিমধ্যে শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিকের আরও দুটি উপন্যাস পড়েছি। 'শঙ্খনীল কারাগার' ও অনুবাদকৃত উপন্যাস 'অমানুষ' আমার খুবই ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে ওনার সাহিত্য সম্ভারে একটু একটু করে রসাস্বাদনের ইচ্ছা আছে।
অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয় ছোট ভাইকে।
৩০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:২৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী,
দেবী আমি প্রথম পড়ে ছিলাম স্কুলে থাকতে বা কলেজের শুরুতে । তখন এতো ভেবে পড়িনি ।কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আপনার ছয় নং প্রতিক্রিয়াটা মিসির আলী সম্পর্কে খুব ভ্যালিড।দেবী সম্ভবত মিসির আলীকে নিয়ে লেখা হুমায়ুন আহমেদের খুবই প্রথম দিকের লেখাগুলোর একটা।দেবীতে মিসির আলীর মধ্যে যুক্তিবাদিতা আর অতি প্রকৃত শক্তির দ্বান্দ্বিকতার যে কথা আপনি বলেছেন সেটা পরের দিকে আর হয়নি বলেই মনে হয়। সম্ভবত মুনতাসির মামুনের বা সৈয়দ শামসুল হকের একটা কথা হুমায়ুন আহমেদ কোথাও বলেছিলেন যে এই দুই জনের কেউ একজন মনে করেন হুমায়ুন আহমেদর উপন্যাসগুলোর টিকে থাকার সম্ভাবনা কম কালের যাত্রায়। টিকে থাকর সম্ভাবনা বেশি মিসির আলী বিষয়ক রচনাগুলোর। আমি অনেকটাই একমত এই মূল্যায়নের সাথে।এক সময় মানে কলেজে থাকতে মিসির আলীর লেখাগুলো খুবই মজা করে পড়তাম। দেবী সিনেমাটা আমি দেখিনি দেশের বাইরে থাকার কারণে।দেশে থাকলেও হয়তো দেখতাম না।প্রিয় উপন্যাসগুলোর কখনোই ভালো সিনেমা হয়না। মনের ভেতর মনে হয় এগুলো নিয়ে চাওয়া থাকে বেশি। যাহোক,দেবী নিয়ে অনেক ভুলে যাওয়া ব্যাপার মনে পড়লো আপনার রিভিউ পড়ে। ছোট রিভিউ ভালোই হয়েছে ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় নাঈমুল ভাই,
বহুদিন পর আমার কোন পোস্টে এলেন। আপনার অসম্ভব সুন্দর মন্তব্যে একরাশ মুগ্ধতা। আপনি যেটা অনুমান করছেন ইতিমধ্যে বেশ কিছু মন্তব্যে বিষয়টি পরিষ্কার যে 'দেবী' হুমায়ূন আহমেদের লেখা একেবারে প্রথম উপন্যাস। মুনতাসির মাহমুদ ও সৈয়দ শামসুল হকের গুরুত্বপূর্ণ মূল্যায়নটি জানা ছিল না। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মিসির আলি সম্পর্কে আপনার কলেজ জীবনের অভিজ্ঞতা পড়ে ভালো লাগলো। আপনি যথার্থই বলেছেন ভাল লাগা উপন্যাস গুলো কখনোই সিনেমায় সুখকর হয়ে ওঠে না। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় 'কাগজের বউ' উপন্যাসটি পড়ে যে তৃপ্তি পেয়েছিলাম, পরে মুভিটি দেখে বিফল মনোরথ হয়েছিলাম। আমি নিশ্চিত মুভিটা দেখলে দেবী উপন্যাস সম্পর্কে আপনার ধারনাও গুলিয়ে যেত।
মোটের উপর পোস্টটি ভাল লাগাতে আনন্দ পেলাম; আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শ্রদ্ধা শুভকামনা জানবেন।
৩১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২
নজসু বলেছেন:
দেবী অনেকবার পড়েছি।
প্রশ্ন থাকলেও হুমায়ূন আহমেদ বলে কথা।
দেবী মুভিটাও দেখেছি।
সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নজসু ভাই,
এতদিন কোথায় ছিলেন?
আমরা আপনাকে খুব মিস করেছি।
আশাকরি এখন থেকে আবার নিয়মিত হবেন।
পোস্ট সংক্রান্ত,
মোটের উপর পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
অফুরান শুভেচ্ছা জানবেন।
৩২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩২
মিরোরডডল বলেছেন: দেবী দিয়েই হুমায়ূন আহমেদের লেখার সাথে আমার প্রথম পরিচয় ।
এক কথায় লেখাটা পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম ।
আমি হুমায়ূন আহমেদের লেখা খুবই পছন্দ করি ।
ইভেন এখনো আগের পড়া বইগুলোও আবার পড়ি ।
শেষের দিকে লেখাগুলো আগের মতন হতোনা হয়তোবা কিন্তু
হুমায়ূন আহমেদের অসংখ্য লেখা আছে যেগুলো হৃদয় স্পর্শ করে ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনি যেমন হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস দেবী পড়ে পাঠকের জীবন শুরু করলেন সে দিক দিয়ে আমার পড়া ওনার প্রথম উপন্যাস শঙ্খনীল কারাগার। আর দেবী পড়ে মুগ্ধ হওয়ারই কথা। তো একদম শুরুতে একটু ধরতে সময় লাগে আরকি। না উনার শেষের দিকে লেখাগুলি সম্পর্কে আমার এখনো তেমন পরিচয় গড়ে ওঠেনি। এবারের বইমেলা থেকে আমি ওনার দুটো খন্ড কিনেছি।
আর ওনার লেখা! সত্যিই যেন যেটা পড়ি সবগুলোই হৃদয় স্পর্শী ধরনের।
সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্য অজস্র ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
৩৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩০
মিরোরডডল বলেছেন: শঙ্খনীল কারাগার অনেক আগে পড়েছি , আবার কিছুদিন আগেও পড়লাম ।
বলতে দ্বিধা নেই প্রতিবারই এই লেখাটা পড়ে চোখ ভিজে উঠে ।
এতো সুন্দর লেখা আর কে লিখবে !!!
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার মন্তব্যে এসে সুন্দর অনুভূতিকে শেয়ার করার জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ শতভাগ সহমত আপনার সঙ্গে যে ওনার যে লেখাটিই পড়িনা কেন, মনে হয় যেন এর চেয়ে ভালো আর কেউ লিখতে পারবেন না। আপনি বেশ গুনি একজন মানুষ। সম্ভব হলে শঙ্খনীল কারাগারের উপর একটি রিভিউ দিতে পারেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৩
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
দেবী ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর উপন্যাসটি আমি পড়েছি, ছবি দেখা হয়নি, কাভা একটি লেখা পড়ে উপন্যাসটি পড়ার প্রতি খুব আগ্রহ হয়েছিল, পড়েও ফেলেছি। আপনার মত করে এত নিঁখুত ভাবতে পারিনি তবে আমার খুব ভাল লেগেছিল বলব না হুয়ায়ুন আমাদের আরো অনেক উপন্যাস পড়েছি সেগুলো তুলনায় এটা অতটা আমাকে আর্কষণ করেনি। এর অবশ্য কিছু কারণ থাকতে পারে যেমন বইটি পড়ার আগে বইটির বিষয় কয়েটি লেখা সামুতে পড়ে বইটির প্রতি অনেক বেশি কিছু আশা করছিলাম কিন্তু অতটা আকর্ষীয় মনে হয়নি।
তবে হুমায়ুন আহমেদ সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হল উনি চরিত্র তৈরি করতে উস্তাদ ছিলেন এবং চরিত্রগুলো মানুষকে তাঁর বইয়ের দিকে টানতে বাধ্য করছে। মিসির আলী তেমনই একটি চরত্রি।