নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমার নিরক্ষর কিন্তু বুদ্ধিমতী মায়ের কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলাম,যথাযথ কর্তব্য পালন করেই উপযুক্ত অধিকার আদায় করা সম্ভব। - মহাত্মা গান্ধী

পদাতিক চৌধুরি

হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।

পদাতিক চৌধুরি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজদেওড়ার জঙ্গলে(পর্ব-২)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫১



রাজ দেবনাথ জঙ্গলে (পর্ব-৩)


ক্যানারি হিলসের অপরূপ সৌন্দর্যে আমরা মোহিত হয়ে যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সেদিন যাত্রার শুরুতেই প্রথম সাইটসিনের গন্তব্যস্থল হিসেবে দূর থেকে দেখে যাকে নিতান্ত ধূসর পাহাড় বলে মনে হয়ে মনো রাজ্যে কিঞ্চিত বিরক্তি ও যথেষ্ট ম্যাড়মেড়ে মনে হয়েছিল। অথচ আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে যখন ক্রমশ উপরে উঠতে থাকি তখন মনে হলো প্রকৃতিদেবী যেন তাকে নানান অলংকারে সাজিয়ে অপরূপা সুন্দরী লাস্যময়ী রূপে গড়ে তুলেছেন। সেদিন আবহাওয়াটাও আমাদের মতো আনাড়িদের ট্র্যেকিংয়ের পক্ষে যথেষ্ট অনুকূলে ছিল। সকালে ২২/২৩ ডিগ্রি টেম্পারেচারেও অভিকর্ষের বিরুদ্ধে উপরে উঠতে আমাদের যথেষ্ট শ্বাসকষ্ট শুরু হতে লাগলো। আমরা প্রত্যেকেই যথেষ্ট সময় নিয়ে মাঝে মাঝে থেমে থেমে ক্রমশ এগিয়ে চললাম। যদিও সাময়িকভাবে পথিমধ্যে দু একটি স্থানে গো-বিষ্ঠার উপস্থিতি আমাদেরকে যথেষ্ট ভাবিত এবং সুখানুভূতিতে ছেদ ঘটিয়েছিল। যাইহোক এরমধ্যে সঙ্গে সমানে চলতে থাকল সঙ্গে নিয়ে আসা ক্যামেরার মুহুর্মুহু ফ্লাস বন্দী। বাচ্চারা অবশ্য আমাদের সঙ্গে ধীরগতিতে যেতে রাজি নয়। তারা আমাদেরকে ছেড়ে ততক্ষণে অনেক উপরে পৌঁছে গেছে। ওদের হাসির কলকাকলিই অচেনা পাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে ওদের অবস্থান নির্দেশ করছিল। ক্রমশ একটার পর একটা ধাপ উপরে উঠতে উঠতে নাম না জানা হরেকরকমের ফুল, ছোট-বড় নানান গাছের সমারোহ এবং পাখির কলকাকলিতে এক নৈসর্গিক পরিবেশে আমাদের মনোজগতকে আনন্দ উদ্বেলিত করে তোলে।

ক্যানারি হিলসের সিঁড়িতে কোন একটি স্থানে কিছুটা শ্রান্ত হয়ে এক প্রকৃতি কন্যার সাক্ষাৎ পেয়ে স্নিগ্ধ নয়নে তার শোভা পরখ করছিলাম। হালকা বেগুনি কয়েকটি ফুলের উপস্থিতিতে প্রকৃতি কন্যা যেন নিজের অহংবোধ তুলে ধরেছিল। বাতাসের মৃদুমন্দ গতিতে ছান্দিক ভাবে দুলে দুলে সে অহংবোধ যেন ঠিকরে বেরোচ্ছিল। হঠাৎ পিছন থেকে হুস হুস শব্দের আগমনে কিঞ্চিত ঘাবড়ে গেলাম;ছেদ ঘটলো আমার কল্পনার জগতে। পিছনে তাকিয়ে দেখি পেল্লায় সাইজের একটি কৃষ্ণকায় ধেনুর পথ আগলে আমি বসে থাকায় রুষ্ট হয়ে ক্রমাগত মাথা দোলাচ্ছে। পারলে যেন এখনই শিং বাঁধিয়ে আমাকে ছুড়ে ফেলে পাহাড়ের পাদদেশে। আমি পড়িমড়ি করে সিঁড়ি থেকে একটু নিচে নেমে ওর রাস্তা করে দিলাম। আমার সম্মান প্রদর্শনে বোধহয় উনি খুব প্রসন্ন হলেন। আর হবেন নাই বা কেন, দেবতা বলে কথা! যাইহোক মহাশয়া উৎফুল্ল হয়ে ক্রমশ নিচে নামতে লাগলেন। আমি অবাক নয়নে ওনার পশ্চাৎ গমন নিরীক্ষণ করতে লাগলাম। গো-প্রজাতি যে ট্রেকিং করে সেটা আমার জানা ছিল না।এদিকে আমার সঙ্গী সাথীদের কোন সাড়াশব্দ আর না আসায় বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লাম। নিজের অবস্থান উপলব্ধি করে বুঝলাম যে দলের মধ্যে আমি সবচেয়ে পিছিয়ে পড়েছি। এবার দ্রুত পা চালালাম। অবশেষে সোয়া এক ঘন্টায় আমি পাহাড়ের শিখরদেশে উঠতে সমর্থ হলাম। যদিও দলের বাকি সদস্যরা সকলেই ইতিপূর্বে উপরে পৌঁছে গেছে। জলের খোঁজ করে দেখলাম সঙ্গে আনা কারো বোতলেই সামান্য পরিমাণেও জল অবশিষ্ট নেই। কি আর করার! অগত্যা সকলের মাঝে বসে পড়লাম। তবে বসার স্থানটি নিঃসন্দেহে সুন্দর। দিগন্তবিস্তৃত সবুজ আর সবুজ। দূরে সাপের মতো আঁকাবাঁকা শহুরে রাস্তা। আর আমরা বসে আছি পাহাড়ের চূড়ায় মেঘের দেশে। নিজেকে সাময়িক মিথলজির দেবকুল বলে ভাবতে লাগলাম। সকলের মধ্যে হাসির রোল উঠে গেল।উপস্থিত সকলে আমার স্ত্রীকে পার্বতীর খেতাব দিল। কাজেই আমি হলাম দেবাদিদেব মহাদেব। কিছুক্ষণ পরেই আমাদের মর্তে নামার পালা। তবে সুখানুভূতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না। আশপাশের চোখ বুলিয়ে দেখলাম পলিউশন ক্যানারি হিলসের দেবভূমিতেও আছড়ে পড়েছে। বেশ কিছু দেওয়াল লিখনে, প্রেমের নিদর্শন স্বরূপ নব্য কপোত-কপোতিরা নিজেদের উপস্থিতির জানান দিয়ে গেছে। আরো একঘন্টা পরে আমরা এবার পদদেশে নামতে তৈরি হলাম।

হিলটপে বসার মঞ্চ নিয়ে অদ্ভুত একটি অনুভূতি হয়েছিল। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি, হিল টপের মঞ্চটাকে দূর থেকে মন্দিরের চূড়া বলেই মনে হয়েছিল। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি ভারতবর্ষের বেশিরভাগ পাহাড়ের চূড়ায় কমবেশি মন্দিরের উপস্থিতি থাকায় ক্যানারি হিলসের চূড়াটিকেও আর পাঁচটা সাধারণ মন্দির বলেই আমার মনে হয়েছিল।মন্দির হলে সেখানে কিছু ফরমালিটিজ মেইনটেইন করতে হয়। ব্যক্তিগতভাবে সেগুলোতে আমার আপত্তি থাকায় আমি সাধারণত এসব ক্ষেত্র এড়িয়ে চলি। কিন্তু উপরে ওঠার পর ধারণা পাল্টে যায়। এক্ষণে মন্দিরের পরিবর্তে শুধুমাত্র একটি বেদি মঞ্চ দেখে প্রসন্ন হলাম। মন্দিরের পরিবর্তে শুধুমাত্র বসার মঞ্চের উপস্থিতির কারণ খুঁজতে লাগলাম। জানিনা হাজারীবাগের নৈসর্গিক পরিবেশে অবসর যাপনকালে কবিগুরু এই পাহাড়ের শিখর দেশে পদচারণা করেছিলেন বলেই হিল টপে কোন নির্দিষ্ট দেব মন্দির প্রতিষ্ঠিত না হয়ে অসাম্প্রদায়িক বেদী মঞ্চ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরে হোটেলে এসে জিজ্ঞাসা করলেও যদিও কোনো সদুত্তর পাইনি।


পাহাড় থেকে নেমে আমাদের পরবর্তী গন্তব্যস্থল ছিল হাজারীবাগ ঝিল এবং তৎসন্নিহিত হাজারীবাগ নবায়ন উদ্যান। রাস্তাটি দু-আড়াই কিমির অধিক নয় বলে চালকের নিকট থেকে আগেই জেনেছিলাম। পথিমধ্যে তিন/চারটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের উপস্থিতি চোখে পড়লো। রাস্তাটিও বেশ প্রশস্ত এবং ডেকোরেটেড।এখানেই প্রথম ট্রাফিক পুলিশকে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে দেখলাম। একটু দূরে পরপর সারিবদ্ধ ভাবে বেশ কয়েকটি বহুতল মাথা উঁচু করে যেন সম্মিলিতভাবে শহরের অভিজাত এলাকার সাক্ষ্য বহন করছিল। আরও কিছুক্ষণ পরে আমরা একসময় বহু প্রতীক্ষিত হাজারীবাগ ঝিলে পৌঁছে যায়। ঝিলের পাশেই রাস্তার উল্টো দিকে নবায়ন উদ্যানটি অবস্থিত।

পাশাপাশি অবস্থিত হলেও উভয়ের মধ্যে বিস্তর প্রভেদ বিদ্যমান। উদ্যানটি যতটাই কৃত্তিম, সাজানো-গোছানো, ঝিলটি ঠিক ততটাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বলে অনুভূত হলো। প্রসস্থ ঝিলটি কোন একসময় সম্ভবত একটি বড় জলাশয় ছিল। পরে নগর কর্তৃপক্ষ সৌন্দর্যায়ন করে শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থানে পরিণত করেছেন। কংক্রিটের চাদর দিয়ে গোটা ঝিলের চারদিকে বাঁধানো। ক্লান্ত পথিকের অথবা প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে আরো উপভোগ্য করে গড়ে তুলতে স্থানে স্থানে বৃক্ষরোপণ করা আছে। আছে বসার সুন্দর বেদির ব্যবস্থাও। এহেন ঝিলের মৃদুমন্দ বাতাসে বৃক্ষতলে বসলে নিদ্রাদেবী নিঃসন্দেহে সাড়া দিতে বাধ্য। আমরাও বেশ কিছুক্ষণ বেদিতে বসে রইলাম। যতদূর দৃষ্টি যায় ঝিলের নীল জলরাশির উপর বিস্তৃত শাপলার উপস্থিতি যে তাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে সে কথা বলাবাহুল্য। ঝিলের পাশে পিচের রাস্তা দিয়ে হেঁটে একটু এগিয়ে যেতেই হতোদ্যম হলাম।সদ্য নিরঞ্জন প্রতিমার কাঠামো ও বাসি পূজার উপকরণ ঝিলের হৃদয়ে শহরবাসীর কুঠারাঘাত বলে মনে হল। এতক্ষণে তৈরি হওয়া শহরবাসী সম্পর্কে উচ্চ ধারণা মুহূর্তে বিলীন হয়ে গেল। আর ঝিলের পিছনে সময় না দিয়ে কুড়ি টাকা করে জনপ্রতি টিকিট কেটে উল্টো দিকের উদ্যানে ঢুকে গেলাম।

উদ্যানে ঢুকেই একসঙ্গে একাধিক রাইডের সমাহারে আনন্দের আতিশয্যে বাচ্চাদের মধ্যে হুটোপুটি শুরু হলো।কে কোন রাইড দিয়ে যাত্রা শুরু করবে তা নিজেরাই স্থির করতে না পেরে তিন জন তিন দিকে ছুট লাগালো। আমরাও তৎক্ষণাৎ তিনটি দলে ভাগ হয়ে ওদেরকে অনুসরণ করতে লাগলাম। ফ্রি রাইড গুলো ছেড়ে দিয়ে বাচ্চারা একসময় পেইড রাইড চড়ার বায়না ধরলো। আমরা ওদের দাবি মেটাতে মনস্থির করলাম। সকাল থেকে প্রচুর হাটাহাটি পরিশ্রম হয়েছে। কাজেই নিজেদের মধ্যপ্রদেশে একটু চিনচিন ভাব অনুভূত হওয়ায় মায়েদেরকে ওখানে বসিয়ে দিয়ে আমরা চললাম একটু দূরে অবস্থিত স্টলে স্ন্যাকসের সন্ধানে। হালকা স্ন্যাক্স খেয়ে আমরা একটু রিলাক্স মুডে বসে রইলাম। ওদিকে কচিকাঁচারা মনের শান্তিতে সমস্ত রকম রাইড চড়া সম্পন্ন করে অবশেষে একসময় আমাদের কাছে ধরা দিল। আমরা আর কাল বিলম্ব না করে সঙ্গে সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের উদ্দেশ্যে অতিথি রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।

সেদিন অতিথি রেস্টুরেন্টে ফিরে এসে আমরা বেশ বিপত্তির মধ্যে পড়ি। সকালে মধ্যাহ্নভোজের কথা বলে যাওয়ায় আমরা কিছুটা নিশ্চিন্ত ছিলাম। কিন্তু এসে শুনলাম তাদের রাইস শেষ। তলা কুড়ানো রাইস গুলো একত্রিত করে কোনোক্রমে তিন প্লেট হলো। অথচ আমরা মোট নয় জন। তবে ওদের অবশিষ্ট সব্জি যথেষ্ট থাকায় কোনোক্রমে নয় জনে ভাগ করে উদরপূর্তি করা হয়।সেদিন বিকালে আমরা আর কোথাও বার না হয়ে যে যার রুমে বিশ্রাম নেই। সন্ধ্যা বেলায় আবার আমরা আড্ডা দিতে সহকর্মী রঘুদার রুমে মিলিত হই। হঠাৎ আরেক সহকর্মী নীলাঞ্জনা লক্ষ্য করে যে তার ডান হাতের পোলার মাঝখানের জায়গাটা ফাঁকা।ঐ স্থানে বাঁধানে সোনার রিংটি অদৃশ্য। অথচ পোলাটি চৌদ্দ সালে দেশান্তরী হওয়া স্বর্গীয় বাবার দেওয়া শেষ উপহার। স্বভাবতই নীলাঞ্জনার চোখেমুখে দারুণ বিষন্নতা। আমরা তার মানসিকভাবে বিষণ্নতা কাটাতে আপ্রাণ চেষ্টা করি। বিভিন্ন ভাবে ওকে বোঝাতে থাকি। বিনিময়ে ওর মুখের শুকনো হাসি যে নিদারুণ কষ্টের তা আর বুঝতে বাকি রইলো না। পরে আমরা সকলে দলবেঁধে ওর রুমে গিয়ে তন্নতন্ন করে জিনিসটি খুঁজে খুঁজতে থাকি।

১-হাজারীবাগ ঝিল-

২- ঝিলের অন্য একটি দৃশ্য-

৩-

৪- ক্যানারি হিলসটপ

৫-পরপর কয়েকটি পাহাড়ি ফুল














মোবাইল ফোন থেকে তোলা কয়েকটি ছবি।













রাজদেওড়ার জঙ্গলে (পর্ব-১)



মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: বুদ্ধদেব গুহ আমার সব থেকে প্রিয় লেখক, কেন জানেন? বিভিন্ন জায়গার বর্ননা তার মত কেউ দিতে পারে না বাংলা সাহিত্যে, অবশ্য বিভুতিভুষন এর কথা বাদ দিলে। বর্ননায় ভালো লাগা, আর লাষ্ট ছবিটা দেখাচ্ছে না। মেহেরবানী করে ঠিক করে দিলে পোষ্টের সৌন্দর্য্য আরো বাড়বে।

ভালো থাকুন ভাই।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম কমেন্ট; সু-স্বাগতম আপনাকে।

"প্রেমে পড়লে সব লোকই বোকা হয়ে যায়। সবচেয়ে মজার কথা এই যে সে যে বোকা বোকা ভাব করে তা সে নিজেও তখন বুঝতে পারে এবং পেরে যতই নিজেকে চালাক প্রতিপন্ন করতে যায় ততই সেই চেষ্টার বোকামিটা বেশি করে চোখে পড়ে।"
'একটু উষ্ণতার জন্য'-বুদ্ধদেব গুহ
ছবিটা ঠিক করে দিয়েছি। পরে মোবাইল থেকে আরো কিছু ফটো সংযোজন করলাম।

শুভকামনা জানবেন।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১১

আরোগ্য বলেছেন: ভাইটি ইদানীং ব্লগ পড়তে চোখে একটু সমস্যা হয় তাই বিরতি নিচ্ছি। শুভ রাত্রি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আরোগ্য,

তোমার চোখের সমস্যার কথা শুনে বিষন্ন হলাম। যদি পাওয়ারের কারণে হয়ে থাকে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। তোমার দ্রুত আরোগ্য লাভ কামনা করি।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভ্রমন পোস্ট পড়ার মজাই আলাদা সাথে যদি থাকে সুন্দর সব ছবি। আর আপনার লিখার নতুন করে কি আর তারিফ করবো। ভালো থাকবেন দাদা।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সুজন ভাই,

আপনার আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। আপনার কমেন্টের পর মোবাইল ফোন থেকে আরো কিছু ছবি সংযোজন করেছি। লেখা সম্পর্কে আপনার অনুভূতিতে অনুপ্রাণিত বোধ করছি; কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আপনার জন্যও অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৪৪

ইসিয়াক বলেছেন: নমঃ শিবায় শান্তায় কারুণাত্রায়
হেতবে নিবেদিতামি চাত্মানং ত্বং গত্বিং পরমেশ্বর॥

হা হা হা ভ্রমণকাহিনীতেও রহস্য .....
জানতে ব্যকুল হয়ে রইলাম হারানো সম্পদ উদ্ধার হলো কি হলো না।
পড়তে ভালো লাগলো । সেই সাথে ছবিগুলো চমৎকার ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ইসিয়াক ভাই,

আপনার চমৎকার মন্তব্যে বা যথার্থ শিব বন্দনায় প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। তবে হারানো সম্পদ সম্পর্কে জানতে হলে আরেকটু অপেক্ষা করতেই হবে। পাশাপাশি ক্ষমাপ্রার্থী এভাবে টেনশনে রাখার জন্য।
ছবিগুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০৭

ঝিগাতলা বলেছেন: ফুল আমার খুবই প্রিয়.......

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ভাইজান,

বহুদিন পরে আপনার আগমনে ও ছোট্ট অভিব্যক্তিতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা জানবেন।

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:১৭

হাবিব বলেছেন: ছবিগুলো দারুণ......... ব্লগ পড়িনি। পরে আবার মন্তব্য করবো নি। আগামী রোববার পর্যন্ত ব্লগে আর আসা হবে না। কাজিনের বিয়ের দাওয়াতে যাচ্ছি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় হাবিব ভাই,

পোস্ট না পড়েও ছবি দেখে কমেন্ট করাতেও আনন্দ পেলাম।পরে কোন এক দিন সময় নিয়ে আবার আসবেন আশা করি। হ্যাঁ আপনি বললেন ঠিকই যে সামনে কাজিনের বিয়ে। তবে একটু কম খাবেন। বিশেষ করে মাংস ও মিষ্টি; নতুবা অনুষ্ঠান বাড়িতে খাবারে টান পড়তে পারে।.. হাহা হা....

শুভকামনা প্রিয় হাবিব ভাইয়ের গোটা পরিবারবর্গকে।

৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: ক্যানারি হিলস কোলকাতা থেকে দূরত্ব কত?
যে কোনো স্থানেই, বিশেষ করে যেখানে পর্যটকরা যায় সেখানে প্রেমিক তাদের নাম লিখে রাতে। যেমন রাজীব + সুরভি।
যদিও আমি এই রকম কখনও লিখি নাই। খাবার সাথে করে নিয়ে গেলেন না কেন?

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট ভাই,


কলকাতা থেকে হাজিরবাগ ট্রেনে 10 ঘণ্টার জার্নি। সহমত ভায়ের সঙ্গে যে নব্য প্রেমিক প্রেমিকারা নিজেদের উপস্থিতির সাক্ষ্য রাখতে এমন করে থাকে। ভাই ও ভাইয়ের পরিবারের প্রতি রইলো আমার অফুরান শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
খাবার সঙ্গে সামান্য ছিল, তবে সদ্য লটবহর হোটেলে রেখে জলের বোতল ছাড়া আর কিছু সঙ্গে নিতে ইচ্ছে করে নি। জানতাম কোথায় না কোথায় টুকটাক স্নাকস পেয়ে যাব।
শুভকামনা প্রিয় ছোট ভাইকে।

৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০১

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর, পড়া হয়নি তাই মন্তব্য করলাম না।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় তারেক ভাই,

ছবিগুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা জানবেন।

৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

মুক্তা নীল বলেছেন:
দাদা ,
প্রকৃতি কন্যা, ঝিলের নীল জলরাশি, ক্যানারি হিলসের
সবকিছুর ছবিই অসাধারণ লাগছে । আপনার ফুলের ছবিগুলো সুন্দর । হিলসে উঠতে কতগুলো সিঁড়ি উঠেছিলেন ?
দাদা সব মিলিয়ে আপনার বেড়ানোর বর্ণনা পড়ে ভালো
লাগলো । শুভকামনা রইল আপনার ও আপনার
পরিবারের জন্য ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ছোট বোন,

বোনের কাছে প্রকৃতি কন্যা, ঝিলের নীল জলরাশি, কেন হিংসে সবকিছু অসাধারণ লাগাতে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ প্রিয় ছোট বোনকে। হিলের কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে কোনো সিঁড়ি নেই, স্রেফ পাথুরে মাটি। সেই স্থানগুলোতে যথেষ্ট সাবধানে উপরে উঠতে হয়েছিল। যে কারণে সংখ্যা গুনে সিঁড়ির হিসাব পাওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য দীর্ঘদিন নানা স্থানে ঘুরে বুঝেছি, পাহাড় সমতল বা নদ নালার দেশে ঘুরতে গেলে স্নিকার আবশ্যিক।
বোনের আন্তরিক শুভকামনায় প্রীত হলাম; আবারও ধন্যবাদ জানাই বোনকে।
পোস্টটিকে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই।

শুভকামনা রইল।

১০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: ডান হাতে পোলা কি জিনিস?
ভাবীদের বসিয়ে দিয়ে নিজেরা স্ল্যাক্স মেরে দিলেন? এত ইন-জাস্টিস?
কিছু কিছু শব্দের রকম ফের আছে আমাদের সাথে। ছবিগুলি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় নীল আকাশ ভাই,

হিন্দু সম্প্রদায়ের মহিলারা বিয়ের পর শাঁখা সিঁদুর পলা পরে। এই পলাগুলোতে অনেকে স্বর্ণকারের কাছ থেকে সুন্দর করে সোনার রিং বাঁধিয়ে নেয়। যদিও সৌন্দর্যের জন্য আজকাল বহু মুসলিম মহিলারা বিয়ের পর পলা পরে। গল্পে নীলাঞ্জনার ডান হাতের পলার কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
ভাবিদের বাদ দিয়ে আমারা স্নাক্সস খাইনি। আমরা বিয়ারারের কাজ করেছিলাম। ওরাই আমাদের হাতে করে যেটুকু দিয়েছিল সেটা কি আপনার খুশি হয়েছিলাম। হাহা হা


কিছু শব্দের আঞ্চলিক ভেদে ভিন্নতা তো থাকবেই। ছবিগুলো ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম ধন্যবাদ জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন।


১১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:




মন্তব্য হল: লেখায়,+++

শাখা মন্তব্য হল: পাহাড়ে উঠার দৃশ্য পৃথিবীর সবখানে কি এক রকম? আমরা যখন আমাদের রাঙ্গামাটি জেলার শুভলং পাহাড়ে উঠেছিলাম ঠিক এই রকম দৃশ্য ধরা পড়েছিল ক্যামেরায়!!

প্রশাখা মন্তব্য হল: দাদা নিচের দিকের ছবিগুলো খুব ভাল ক্লিয়ার উঠেনি, তবে ফুলের ছবিগুলো অনেক চমৎকার লাগছে। আপনার লেখার মান নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই, গুনী মানুষেরা গালি দিলেও সুন্দর করে দেয়!!! গালি শুনে রেগে গেলেও ভাষায় মাধুর্য্যে রাগ গলে জল হয়ে যায়!!!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় শাহিন ভাই,

শুরুতেই আপনার মন্তব্য: লেখায় ট্রিপল প্লাসে অনুপ্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানাই।
আপনার শাখা প্রতিমন্তব্যে আপনার অনুভূতির সঙ্গে সহমত পোষণ করছি। ঠিকই বলেছেন মোটামুটি পাহাড়ে উঠার দৃশ্য মোটামুটি একই যদি কিনা খুব বেশি খাঁড়া না হয়। শুভলং পাহাড়ের ওঠার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
প্রশাখা প্রতিমন্তব্য:-নিজের দিকে ছবিগুলি মোবাইল থেকে নেওয়া যে কারণে প্রথমে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ফুলের ছবিগুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। আবারো ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
কমেন্টের শেষ অংশ সম্পর্কে বিমুগ্ধ ভালোবাসা।হাহা হা ...

নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় শাহিন ভাইকে।

১২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন পোস্ট ।
শুভেচ্ছা নিন দাদা।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় লিটন ভাই,

আপনার ছোট্ট আন্তরিক মন্তব্যে প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাই আপনার হার্দিক শুভেচ্ছা গ্রহন করলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার জন্যও রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

১৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৭

ইসিয়াক বলেছেন: আমার মন্তব্যটা বুঝি ভালো হয়নি? হুহ
মাইন্ড খাইলাম।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আরে! আপনার মন্তব্য ভালো হয়নি মানে!আলবৎ ভালো হয়েছে। আমি সেকথা প্রথমেই উল্লেখ করেছি। সাসপেন্স জিইয়ে রাখা সম্পর্কে প্রতিমন্তব্যের পরবর্তী অংশে উল্লেখ করেছি। কাজেই স্যার এই অবোধ বান্দকে বাইরে রোদ্দুরে দাঁড় করিয়ে রাখবেন না প্লিজ।হাহাহাহা...

শুভকামনা নিরন্তর।

১৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৩১

সোহানী বলেছেন: এখনই যেতে ইচ্ছে করছে আপনার বর্ননা আর ছবি দেখে...............

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল আপু,

হাহা হাহা.....তা যা বলেছেন। তাহলে আর দেরি না করে যতদ্রুত এপারে চলে আসুন।বাকি ব্যবস্থা আমিই করে দেব। আশা করি এক নৈস্বর্গিক পরিবেশের সাক্ষাৎ পাবেন।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪০

এমজেডএফ বলেছেন: পদাতিক ভাই, ভ্রমণ কাহিনী বরাবরের মতো ভালো হয়েছে। পাহাড়ে উঠার ছবিটি দেখে খুব খুশি হলাম। আগের পর্বে আপনাদের গ্রুপ ছবি দেখে মনে হয়েছে কারো কারো জন্য পাহাড়ে উঠাটা খুব উপকারে আসবে :)

মন্তব্যে 'শাঁখা সিঁদুর পলা' পড়ে ব্যাপারটি আরেকটু ভালোভাবে জানতে চেষ্টা করলাম। নেটের বিভিন্ন উৎস থেকে পড়ে যা বুঝলাম তা এখানে বর্ণনা করলাম। আপনি অভিজ্ঞ শিক্ষক হিসাবে একটু চোখ বুলিয়ে দেখবেন যা জেনেছি ঠিক জেনেছি কিনা B:-/



শাঁখা
শাঁখা সামুদ্রিক শঙ্খ থেকে তৈরি এবং হাতের বালার মতো এই অলঙ্কার বিবাহিত হিন্দু রমণীরা ব্যবহার করেন। বিবাহের মন্ত্র পড়ার সময় কনের পিতা কনের হাতে দুটি শাঁখা দিয়ে থাকেন, স্বামীও স্ত্রীর জন্য শাঁখা কিনে আনেন। হিন্দু রমণীরা তাদের স্বামীর মঙ্গলকামনায় শাঁখা যত্ন সহকারে ব্যবহার করেন। এ-শাঁখা স্বামীর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসার প্রতীক।

পলা
বিবাহিত হিন্দু মহিলাদের লাল রঙের চুড়ি পলা নামে পরিচিত, যা লাল রঙের প্রবাল পাথর বা রক্ত প্রবাল। হিন্দু শাস্ত্রমতে ১৬ রতি উৎকৃষ্ট পলা ধারণে বিবাহিত মেয়েরা অকাল বৈধব্যের হাত থেকে রক্ষা পায়! এ ছাড়া লাল পলা ধারণে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনায় বাধা, দুর্ঘটনা এবং মামলা-মোকদ্দমা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

সিঁদুর
সিঁদুর বিবাহিত মহিলার প্রতীক যা তারা স্বামীর মঙ্গল কামনা করে পরে থাকে। হিন্দু বিবাহের সময়ে একজন নারীর কপালে প্রথম সিঁদুর দিয়ে চিহ্ন আঁকা হয়। হিন্দু ধর্মে মনে করা হয়, স্ত্রী তার সিঁদুরের শক্তিতে স্বামীকে যেকোনো বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে। তাই হিন্দু ধর্মে বিবাহিত মহিলাদের বিয়ের পর সিঁদুর পরা রীতি। অবিবাহিত মেয়েরা সিঁথিতে সিঁদুর পরে না, কপালে সিঁদুরের টিপ পরে। বিধবাদের সিঁদুর ব্যবহার শাস্ত্রমতে নিষিদ্ধ।

আপনি, আপনার পরিবার এবং আপনার ভ্রমণসঙ্গীদের সবার মঙ্গল কামনা করে আজকের মতো ইতি।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় এমজেডএফ ভাই,
আপনার আগমন ও সুন্দর মন্তব্যে প্রীত হলাম। তবে নেট ঘেটে তথ্য সংগ্রহ করে যেভাবে পরিশ্রমী একটি মন্তব্য রেখে গেলেন তাতে আপ্লুত বোধ করছি; কোন ধন্যবাদ যথেষ্ট নয়।
মন্তব্যে পোলার প্রসঙ্গটি এসেছিল। আপনি তার সঙ্গে যেভাবে শাঁখা সিঁদুরের চমৎকার উপস্থাপন করলেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আশা করব পরবর্তী মন্তব্যকারীদের মধ্যে কারো যদি বিষয়টি সম্পর্কে প্রশ্ন থাকে তাহলে তার যথাযথ উত্তর পেয়ে যাবে। পাশাপাশি আরও একটু জানিয়ে রাখি বিবাহের পর শাঁখা সিঁদুরের পাশাপাশি শাশুড়িরা স্বামী বা র সংসারের মঙ্গল কামনায় নববধূর হাতে নোয়া( লোহার চুড়ি) পরিয়ে দেয়।
সুন্দর তথ্য মূলক মন্তব্য ও পরিশেষে আমি ও আমার পরিবারের মঙ্গল কামনায় প্রীত হলাম। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে। ‌
অফুরান শুভেচ্ছা আপনাকেও।

১৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ।
পোস্টে লাইক করতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানাই।
শুভকামনা প্রিয় কবি ভাইকে।

১৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৬

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ক্যানারি হিলসে নাকি একসময় বাঘ,নেকড়ে থেকে শুরু করে হায়েনাও থাকতো?
দিনকতক পরই রাঙামাটি ঘুরতে যাব। এমন ভ্রমণবৃত্তান্ত পড়ে সেই আনন্দে দোলা লাগার কারণ আছে বৈ কি।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় রূপম ভাই,

হতে পারে যেহেতু হাজারীবাগ মানে হাজার বোনের স্থান। কাজেই তারই একটি পাহাড়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এমন বন্যপ্রাণী থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এখন নগরায়নের ফলে পাহাড় একেবারে ন্যাড়া হয়ে গেছে। বৃহত্তর ছোটোনাগপুর জঙ্গলে এই সমস্ত বন্যপ্রাণীর আবাস স্থানে পরিণত হয়েছে।
আপনার রাঙামাটি ভ্রমণ এমনই উপভোগ্য হয়ে উঠুক কামনা করি। অবশ্যই ভ্রমণ শেষে আমাদের জন্য ছবি ও ভ্রমণকারী লিখবেন.....

পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

শুভকামনা জানবেন।


১৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫

ফয়সাল রকি বলেছেন: পরের পর্ব দিন। ভালোই চলছে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ খুব শীঘ্রই পরের পর্ব দেব। মন্তব্যের জন্য একরাশ মুগ্ধতা।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

১৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৬

সোহানী বলেছেন: আংটিটি কি পাওয়া গেছিল? জাস্ট কৈাতুহল...।

তবে গো-প্রজাতির ট্রেকিং শুনে আমি হাসতে হাসতে ফিট………. ;)

তবুও ভালো তিন প্লেট জুটে ছিল ভুখাতো থাকতে হয়নি….হাহাহা। আমাদের এমন একটি ট্রেকিং কাহিনী আছে খুব ছোটবেলার। তখন মনে হয় ক্লাস ফাইভ এ পড়তাম।

ছবিগুলো যথারীতি অসাধারন। আর ভ্রমণ কাহিনীতো ভালো হবেই স্বয়ং পার্বতী যখন পাশে আছে দেবস্বর কি ভুল করতে পারে ;)

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু পোলা বানানো রিং টা পরে পাওয়া গেছিল। আপনার শৈশবের ট্রেকিং সম্পর্কে আরও একটু অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আবদার করছি আপু।
ছবিগুলো ভালো লাগাতে খুশি হলাম ধন্যবাদ জানবেন। হাহা হা..... পার্বতী তো সারাক্ষণ মাথায় চেপে বসে আছে আপু, সে কথা অস্বীকার করে কি করে।
ক্যাবের কারণে আমাদের শহরের নেট পরিসেবা সরকার থেকে বন্ধ রেখেছে। যে কারণে ব্লগিং করতে পারছিনা।এখন কাজের ফাঁকে একটু ব্লগে ঢুকলেও বেশিক্ষণ থাকার সুযোগ হবে না। যে সংকটের কারণে পরবর্তী পর্বটি পোস্ট করতে দেরি হচ্ছে।
শুভকামনা প্রিয় আপুকে।

২০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফস্কে গেছিল দাদা :P
তাই ৩ পাঠের আগে হাজিরা দিয়ে গেলাম :)

++++++

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,
বিলম্বিত হলেও আপনার আগমনের স্বস্তি পেলাম; পেলাম শান্তিও। আমিও যে কবে থেকে আপনাকে নিরন্তর খুঁজে গেছি। আপনার আগমন যে কারণে আমার কাছে এক খুশির বার্তা বাহক স্বরূপ।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।

অফুরান শুভেচ্ছা প্রিয় কবি ভাইকে।

২১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৫

জুন বলেছেন: পদাতিক লেখাটি পাবলিশ হওয়ার সাথে সাথেই পড়েছি, প্লাসও দিয়েছি কিন্ত কিছু বলা হয়নি। হাজারীবাগ গিরিডি মধুপুর যেন চোখের সামনে ভেসে ভেসে উঠছে সেই শুন বরনারী গল্পের পাতা থেকে। সাথেই আছি। লিখতে থাকুন। ছবিগুলো অসাধারণ তা জায়গাটা অসাধারণ বলেই :)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপু,

হ্যাঁ আপু সেদিনই আপনার লাইক পেয়ে বুঝেছিলাম সময়াভাবে আপনি কমেন্ট করতে পারেননি। অনেক সময় এরকম ব্যস্ততা হয়েই থাকে। গল্পে হাজারীবাগ গিরিডি মধুপুর আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠছে মনে হওয়াতে চমৎকৃত হলাম। এমন আশাজাগানিয়া মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।এই মুহূর্তে আমি মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রামের লোধাশুলির জঙ্গলে আছি। আগামীকাল সারাদিন আমাদের জঙ্গল পরিভ্রমণ করার কথা। এখানে বিষধর সাপ ও হাতি আছে। জানিনা হাতির দেখা পাবো কিনা।
পোস্টটিতে like' করাতে ও সুন্দর ইমোতে অনুপ্রাণিত হলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুকে।

২২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এত পর্ব গেলো গা কোন সময় হুহ

আস্তে আস্তে দেখতে হবে

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যাঁ আপু বোধহয় আপনি খুব ব্যস্ত ছিলেন যে কারণে চোখে পড়েনি। যদি পরে সময় হয় তাহলে আবার আসবেন আশা করি।
শুভকামনা জানবেন।

২৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




ব্লগে আসা অনিয়মিত বলে আপনার ভ্রমনের সাথী হতে পরিনি সময়মতো, লজ্জিত।
উপন্যাসে পড়া জায়গাগুলো আপনার চোখে দেখে আবার স্মৃতির মনিকোঠায় জেগে উঠলো। সেই হাজারীবাগ, গিরিডী, ক্যানারী হিলস সব সব..............

পরপর কয়েকটি পাহাড়ী ফুলের প্রথমটি আমার বারান্দায় আছে , ফুল দিয়েছিলো ৩/৪বার। এখন দেখি, কেমন যেন ঝিমিয়ে গেছে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই,

আশা করি ভালো আছেন। ব্যস্ততার জন্য ব্লগে অনিয়মিত আমরা সবাই কম বেশি হয়ে থাকে তবে আপনি এভাবে বললে যে লজ্জায় পড়ে যায়। হ্যাঁ ঠিকই তো বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন উপন্যাসে ছোটনাগপুর রেঞ্জের এই স্থানগুলি বিভিন্ন হবে চিত্রায়িত। বিভিন্ন লেখকের লেখার ধরণও আলাদা। কিন্তু তার মধ্য দিয়েই স্থানগুলি বছরের-পর-বছর পর্যটকদের কাছে নিজেদের কৌলিন্য বজায় রেখেছে। চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা....
পাহাড়ি ফুলের প্রথমটি আপনার বারান্দা আছে জেনে পুলকিত হলাম। পাহাড়ে এরকম কতইনা প্রাকৃতিক রত্ন বড় অবহেলায় লালিত। আপনার বাসায় এদেরই একজন আশ্রয় পেয়েছে জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

অত্যাধিক গরমে ফুলগুলো দ্রুত নষ্ট হতে পারে বলে আমার মনে হয়। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

শুভেচ্ছা নিয়েন ।





২৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

নিভৃতা বলেছেন: দ্বিতীয় পর্বও পড়ে ফেললাম। যথারীতি অসাধারণ বর্ণনা।

মোহনীয় বর্ণনা পড়ে এবং ছবি দেখে মনে হচ্ছে ক্যানারি হিলস যেন হাত বাড়িয়ে ডাকছে।

নীলাঞ্জনা উনার জিনিসটা খুঁজে পেলেন কিনা পরবর্তী পর্বে জানবো। :)

০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: স্যরি আপু,

দিল্লির ঘটনায় আমরা মর্মাহত;মানসিক ভাবে অসুস্থ। জানিনা এঅবস্থা থেকে কবে কাটিয়ে উঠতে পারবো।

২৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: কয়েকটা পাহাড়ি ফুলের ছবি খুব সুন্দর হয়েছে। সর্পিল পথের ছবিটাও।
ধারা বর্ণনাও চমৎকার।
পোস্টে ভাল লাগা + +।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা স্যার। আশাকরি ভাল আছেন।
সচরাচর বিভিন্ন দিকে গভীর পর্যবেক্ষণ শেষে আপনার কমেন্ট একটু বড় হয়ে থাকে।সেদিক থেকে এই কমেন্টটি একটু ব্যতিক্রম লাগলো। হয়তো আপনি ব্যস্ততার মধ্যে ছিলেন অথবা অন্য কোন কারণে হঠাৎ চলে যাওয়ার তাগিদ ছিল,ফলে কোন ক্রমে লগইন করে কমেন্টটি করেছেন।
কিন্তু তুলনায় ছোট্ট কমেন্টেও কয়েকটি পাহাড়ি ফুলের ও সর্পিল পথের ছবিটি ভালো লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
পোস্টে লাইক ও ডাবল প্লাসে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। কৃতজ্ঞতা আপনাকে।

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.