নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাই,আমি পদাতিক চৌধুরী।পথেঘাটে ঘুরে বেড়াই।আগডুম বাগডুম লিখি। এমনই আগডুম বাগডুমের পরিচয় পেতে হলে আমার ব্লগে আপনাদেরকে স্বাগত।
হালদার বাবুর কাছ থেকে রায়টের খবরটি শোনার পর সেই মুহূর্তে আমাদের আর কোনো বিকল্প ভাবনার অবকাশ ছিল না। দাদার নির্দেশ মতো একমুহুর্ত সময় নষ্ট না করে শূন্য হাতেই সেদিন আমরা গোলা ছেড়ে বেরিয়ে আসি। শুরুতেই আমাদের চোখে-মুখে ছিল পাহাড়প্রমাণ আতঙ্ক। বয়সে সর্বকনিষ্ঠ হলেও দুশ্চিন্তার বহরে অন্যদের সঙ্গে কোন অংশে কম ছিলাম না। তাই পড়ন্ত বিকেলে পাহাড়প্রমাণ দুর্ভাবনা নিয়ে বড়দের অনুসরণে নিঃশব্দে কেবল হেঁটেই গেছি। জানি না আমাদের পরবর্তী গন্তব্যস্থল কোথায়? কিম্বা রাতে কোথায় থাকতে হবে- মাথার মধ্যে এমন হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খেলেও বিজ্ঞের মতো মাইলের পর মাইল কেবল হেঁটেছি। তবে এত হতাশা এত অনিশ্চয়তার মধ্যেও একটুকরো আশার আলো অবশ্য ছিল, দাদাকে সঙ্গে পাওয়া। সামান্য হলেও এটাই ছিল সেসময়ে আমাদের একমাত্র ভরসা।তাই এমন বিপদে কোন রকম প্রশ্ন করে বিব্রত না করে নীরবে ওনাকে অনুসরণ করতে থাকি। উল্লেখ্য পরের দিকে আমাদের মনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। আমরা আমাদের জড়তা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে সমর্থ হই। মনের মধ্যে হাজারো স্মৃতি উঁকি মারতে থাকে।
পূর্বেই উল্লেখিত আমাদের গ্রামটি ছিল শহর থেকে বহু দূরের অন্তত পাঁচ-ছয় ঘন্টার হাঁটা পথের। যাওয়া-আসার এই দীর্ঘ রাস্তাটা ছিল বিভিন্ন রকম অনুভূতিতে পরিপূর্ণ।পথিমধ্যে বিস্তীর্ণ জঙ্গল, কোথাও বা আবার দিগন্ত বিস্তৃত ফাঁকা মাঠ; স্থানে স্থানে বেশকিছু ডোবা বা জলাভূমি নিয়ে পরিব্যপ্ত ছিল বিস্তৃর্ণ এই গ্রাম্য পথটি। এই জলাভূমির বেশ কিছুটা অংশে শুধু বর্ষাকালেই নয়, বছরের অন্য সময়েও থাকতো জলে পরিপূর্ণ। কতরকমের পাখি বক পানকৌড়ি কাদাখোঁচা এইসব জলাভূমিতে আসর বসাতো। এক অদ্ভুত রকমের জলকেলির সঙ্গে নানান প্রজাতির পাখির কিচির-মিচিরের নয়নাভিরাম দৃশ্য আমার চোখ দুটিকে আবেশে ভরিয়ে দিতো। হাঁটতে হাঁটতে ক্ষনিকের বিরতিতে আমি মুগ্ধপানে তাকিয়ে থাকতাম সেদিকে।একটু দূরে কয়েকজনকে দেখতাম খাপনা জাল দিয়ে কিম্বা হাতড়িয়ে মাছ ধরতেও।দাদার কাছে শুনেছিলাম চ্যাঙ শোল পুঁটি কৈ বেলে চিংড়ি সহ নানান প্রজাতির মাছ নাকি এই পতিত জলাভূমিতে থাকতো।মাছ দেখতে বরাবরই আমার খুব ভালো লাগে।ডোবায় মাছ ধরা দেখে কেবলই মনে হতো আমিও নেমে পড়ি ওদের মতো মাছ ধরতে। একবার দাদাকে বলেছিলাম সে কথা। দাদা শুনে খুব হেসে বলেছিল,
- এই দীর্ঘ রাস্তায় যদি আমরা ডোবায় মাছ ধরতে নামি তাহলে যে সময়ে শহরে পৌঁছাতে পারবোনা দাদাভাই, জঙ্গলেই রাত কাটাতে হবে। সেদিন দাদার এমন সাবধানী সূচক বাণী অনিচ্ছাসত্ত্বেও মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু পরে যতবার ঐ দৃশ্যগুলি দেখেছি খুব অসহায় হয়ে পড়তাম। অবাক হয়ে ক্ষণিক দাঁড়িয়ে মাছ ধরার দৃশ্যগুলো উপভোগ করতাম আর ভাবতাম, দাদাকে না জানিয়ে ঠিক একদিন একাকী এসে আমিও ওদের মতো এমন মাছ ধরতে ডোবায় নামবো। কিন্তু প্রতিবারই কোন না কোন কারণে দাদার সঙ্গ ত্যাগ করা যেমন সম্ভব হয়নি তেমনি সম্ভব হয়নি আমার পক্ষে ডোবায় নেমে মাছ ধরাও।
রাস্তার ধারে শুধু জলাভূমি নয় পথিমধ্যে আরও কয়েকটি বড় বড় জঙ্গল ও বাঁশবাগানকে নিয়েও গড়ে উঠেছিল আমার অভিজ্ঞতার দীর্ঘ স্মৃতিফলক। মনে মনে তাদেরকে একেকটা মাইলস্টোন হিসেবেই কল্পনা করতাম। একটার পর একটা বাগান পার হতাম আর ভাবতাম, এই বুঝি আমরা লক্ষের কাছাকাছি প্রায় চলে এসেছি। বাগানগুলোকে গুনতাম ঠিকই কিন্তু ফাঁকা রাস্তা, ডোবার পাশদিয়ে যাওয়ার সময় যতটা ভালো লাগতো ঠিক ততটাই উৎকন্ঠায় থাকতাম এই বাগানগুলো সামনে চলে এলে। আয়তনে যথেষ্ট বড়বড় এবং ঘন জঙ্গলাকীর্ণ বাগানগুলো ছিল আমার অনুভূতিতে ভীতিকর আঁধারে ভরা।তারি মধ্যে আম-কাঠাল সহ বড়বড় বৃক্ষের সমাবেশে গঠিত বাগানগুলো ততটা ভয়ের উদ্রেক না করলেও বাঁশবাগান গুলো ছিল আমার যাবতীয় দুর্ভাবনার কারণ। আকারেও তারা ছিল একটা পেল্লাই সাইজের। একটা বাঁশ আরেকটার মধ্যে জট পাকিয়ে থাকতো।পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যেন শেষই হতে চাইত না। বাঁশের সংঘবদ্ধতা এতটাই জমাট ছিল যে দিনের বেলাতেও অন্ধকারাচ্ছন্ন লাগতো। এমন গা ছমছমে পরিবেশে প্রাণ হাতে করে হাঁটতে হত। এরইমধ্যে বিভিন্ন পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হলেও হঠাৎ হঠাৎ দু-একটি কাঠঠোকরার ঠকঠকানি কিম্বা একটা গভীর শব্দ কানে এলে হৃদয়ে হাতুড়ি পেটা সদৃশ মনে হতো। সঙ্গে মনে সারাক্ষণই অনুরণিত হতো, বাঁশবাগান মানেই তো কবরস্থান! ভুত-প্রেতের জায়গা। রাস্তায় চলার সময় ওদিকে দেখবো না বলে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেও আড়চোখের দৃষ্টি যেন সে দিকেই চলে যেতো। আর তখনি কোনো বাঁশের করমর শব্দে কিম্বা বাঁশের পাতার সামান্য দুলুনিতে শন শন শব্দেও মনের আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার উপক্রম হতো আর গলা যেত শুকিয়ে।আপ্রাণ চেষ্টা করতাম মুখের মধ্যে জিহ্বটাকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে গলার শুষ্কতা কাটিয়ে কিছুটা স্বাভাবিক রাখতে । আর এসবের মধ্যে নিজের মনকে ব্যস্ত রেখে কোনোক্রমে প্রাণটাকে হাতে নিয়ে আরো দ্রুত পা চালাতাম। লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব বাগান এলাকা অতিক্রম করা।
এমনি পরিবেশে বাড়িতে আসা যাওয়ার পথে বেশ কয়েকবার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে শিয়ালকেও রাস্তা অতিক্রম করতে দেখেছি। ছোটবেলায় তখন দাদি বেঁচে ছিল, মনে পড়ে কেরোসিনের কুপি কিংবা ডিম লাইটের আবছা আলোয় বাইরে নিস্তব্ধ নিশুতে শিয়ালের ডাক আমার ছোট্ট হৃদয়েকে ভয়ার্ত অনুভূতিতে সংকুচিত করে দিত। এক অনিশ্চিত শূন্যতায় গুটিসুটি মেরে আরো কুকুড়ে ছোট হয়ে দাদির কোলে আশ্রয় নিতাম।দাদির কাছেই প্রথম শুনেছিলাম, এই গভীর ডাকটা শিয়ালের। রাতের বেলা শিয়ালের ডাক শোনা নাকি খুবই মঙ্গলজনক। শিয়ালের ডাক শুনলে কি মঙ্গল হয়, দাদিকে পাল্টা জিজ্ঞাসা করলে তাতে অবশ্য দাদি বিরক্ত হতো। সব কিছু যুক্তি-তর্ক দিয়ে বিচার করতে নেই বলে দাদি আমার ছোট্ট শৈশবের উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দিত। যদিও দাদির নির্লিপ্ততা কিম্বা বিরক্তি আমাকে দমাতে পারেনি।আমি অবাক হয়ে কল্পনার ফানুসে ভর করে হাতড়াতাম মঙ্গলজনক কোনো সমাধানসূত্র বার করতে। হঠাৎ হঠাৎ মনে আসা কিছু মঙ্গল কথা দাদিকে জানালে,দাদি ফুৎকারে উড়িয়ে দিত। কিছুটা হতোদ্যম হয়ে সাময়িক খান্ত দিলেও মনে মনে আমার মঙ্গল অন্বেষণ চলতেই থাকতো। তবে কারণ থাকুক বা নাই থাকুক মঙ্গলসূচক এমন প্রাণীটিকে দেখার দুর্নিবার আকর্ষণ তখন থেকেই মনে তৈরি হয়েছিল। তবে অস্বীকার করবো না যে এমন আগ্রহান্বিত হয়েও প্রথমবার চোখের সামনে শিয়ালকে রাস্তা পার হতে দেখে খুবই নিরাশ হয়েছিলাম। বলা ভালো কিছুটা ঘাবড়ে গেছিলাম।
দাদাই প্রথম চিনিয়ে দিয়েছিল যে সামনে দিয়ে রাস্তা পার হওয়া প্রাণীটিকে শিয়াল বলে। ছোটবেলায় কুকুরের বাচ্চা নিয়ে খেলা করেছি। দুটো কুকুরের বাচ্চাকে দুই হাত দিয়ে দুটোকে ধরে একে অপরের মুখে মুখে ঘষে তাদের লড়াই দেখতাম। সরু মিহি গলায় বাচ্চা কুকুররা কেউমেউ করত আর একে অপরের উপর ঝাপিয়ে পড়তো। বেশিক্ষণ স্থায়ী হতো না এ লড়াই... থেমে গেলে আমরা আবার পুনঃ পুনঃ করতাম। উল্লেখ্য বাচ্চা কুকুরের এই লড়াই ছিল আমাদের ছোটবেলায় অন্যতম উপভোগ্য বিষয়। এহেন কুকুরের সঙ্গে শিয়ালকে একাসনে রেখে প্রায়ই যখন বড়দের মুখে শুনতাম শিয়াল-কুকুর একই সাড়িতে। সেই শিয়ালকে প্রথম দিন থেকেই একেবারেই সুবিধার মনে হয়নি।পরে বহুবার চোখের সামনে হুসহাস করে ওদের রাস্তা পার হয়ে যেতে দেখেছি। কিন্তু প্রথম থেকেই জন্তুটিকে নিরীহ বলে মনে তো হয়নি উল্টে বদমেজাজি বলেই ধারণা হয়েছিল। যে কারণে সামনে পড়লে না ঘাটিয়ে সাবধান হয়ে যেতাম। যদিও তার মধ্যেও একবার বিপদে পড়েছিলাম।দুটি বাচ্চা শিয়ালকে সঙ্গে নিয়ে সম্ভবত ওদের মা শিয়াল রাস্তা পার হচ্ছিল। কুকুরের বাচ্চার মতো আকৃতি হলেও বাচ্চা দুটো ছিল খুব ক্ষিপ্র গতির। আমি উৎসাহিত হয়ে মুখ দিয়ে একটা শব্দ করতেই বড় শিয়ালটা ছুটে আসে আমাদের দিকে। দাদার হাতে একটা থলি ছিল। থলি উঁচিয়ে দাদাও গর্জে উঠলে শিয়ালটা থমকে গিয়ে কপট দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আমি ততক্ষণে পাশে থাকা একটা খেজুর গাছ বেয়ে গড়গড় করে বেশ কিছুটা উপরে উঠে ভয়ার্তভাবে তাকিয়ে থাকি। দাদাও ততক্ষনে সমানে হাত উঁচিয়ে থাকে। ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম সেদিন। প্রচন্ড উৎকণ্ঠায় টান টান উত্তেজনা নিয়ে গাছ থেকে চেয়ে থাকি নিচে শিয়ালটার দিকে। বেশ কিছুক্ষণ পর একসময় শিয়ালটি রণে ভঙ্গ দিয়ে পশ্চাৎ অভিমুখে গমন করে। আমিও ততক্ষনে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। উফ! কি ভয়ানক অভিজ্ঞতাটাই না সেদিন হয়েছিল।
মনে এমনো হাজারো স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে শুকনো মুখে যুদ্ধবিধ্বস্ত পরাজিত সৈনিকের ন্যায় কোনক্রমে শরীরটাকে টানতে টানতে অচেনা অজানা মেঠো পথ ধরে আমরা ক্রমশ এগিয়ে চলি। একসময় বুঝতে পারি যে শহরের লোকালয় ছেড়ে আমরা অনেকটা অপরিচিত জঙ্গলাকীর্ণ পথে প্রবেশ করেছি। আলো-আঁধারি জঙ্গলাকীর্ণ পথ হলেও জায়গাটা যে আমাদের গ্রামের রাস্তা নয় সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত ছিলাম। মুখ তুলে দাদাকে জিজ্ঞাসা করি,
-দাদা আমরা এখন কোথায় যাচ্ছি?
দাদা যেন আমার প্রশ্নের জন্য তৈরি ছিল। মুখের কথা খসা মাত্রই একপ্রকার যন্ত্রের মত উত্তর দেয়,
-আগে পৌঁছানো যাক; তারপরে দেখতে পাবি আমরা কোথায় যাচ্ছি।
উত্তর দেওয়ার ধরন দেখে বুঝতে পারি দাদার মতো ঠান্ডা মাথার মানুষও কিছুটা হলেও চিন্তায় আছে। তবে যেখানেই যাই না কেন সে চিন্তা আমাদের নয়; একান্তই দাদার।ইতিমধ্যে বাপজানের সঙ্গে একবার চোখাচোখি হয়। কটমট দৃষ্টিতে চেয়ে থাকায় আমি বুঝি যাই সে চোখের ভাষা। কাজেই অহেতুক প্রশ্ন করে বিরক্ত নয় বরং তাকে আরো ভাবতে দিতেই নীরবে অনুসরণ করতে মনস্থির করি।
সেদিন যেতে যেতে আর একটা যে ভাবনা মাথার মধ্যে চলে আসে। এমন অসময়ে, আসন্ন অন্ধকারে এতটা সমস্যাসংকুল পথে দাদা আমাদের নিজেদের গ্রামে ফিরতে চাইবে না এটা নিশ্চিত হলেও তুলনায় নুরুল চাচার বাড়িটা ছিল অপেক্ষাকৃত কাছেই। মনের মধ্যে একটা সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল এমন বিপদের দিনে নুরুল চাচার বাড়িতে রাতটুকু কাটিয়ে দেওয়াটাই তো অধিক নিরাপদ হত...। যদিও মুখ ফুটে বলার পরিস্থিতি ছিল না। উল্লেখ্য বাপজানের সমবয়সী হলেও চাচা বিয়ে করেছে এই সেদিন। বিয়েশাদী করবে না বলে প্রথম জীবনে পন করেছিল। যেকারণে বিয়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেই বিরক্ত হতো। প্রথমদিকে না করলেও পরের দিকে দাদার লাগাতার চেষ্টায় অবশেষে নুরুল চাচা পন ভেঙে বিয়ে করতে রাজি হয়। পাশের গ্রামেই ছিল চাচির বাপের বাড়ি।চাচা-চাচির দু'জনের বয়সের ব্যবধান একটু বেশিই ছিল। আমরা গোলার সকলেই গিয়েছিলাম সেই বিয়েতে। দারুণ আনন্দ করেছিলাম চাচার বিয়েতে। নুরুল চাচার সঙ্গে বাপের এত মধুর সম্পর্ক ছিল যে তা নিয়ে গোলাতেও মাঝে মাঝে স্বপন কাকা কি একটা বলে ঠাট্টা করত। কথাটা নাকি চাচিই বলতো,যা শুনে স্বপন কাকা বাপজানের সঙ্গে নুরুল চাচাকে ক্ষ্যাপাতো। স্বপন কাকা কথাটি কোনো দিন আমাকে অবশ্য বলতে রাজি হয়নি। বাপ মায়ের সম্পর্কে করা রসিকতা সন্তানদের শুনতে নেই বলাতে আমি আর কখনো স্বপন কাকার কাছে জেদাজেদি করতাম না। তবে বিয়েতে নুরুল চাচা একটা মজার ঘটনা ঘটিয়েছিল যেটা হালদার বাড়ির অনেককেই পরে বলতে শুনেছি।বিয়ের পরের পরের দিন আমি দাদা স্বপন কাকা চলে এলেও বাপজান থেকে গেছিল চাচার একান্ত অনুরোধে।পরে আবার চাচার অনুরোধে বাপজান মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে নুতন শশুরবাড়িতে গিয়েছিল। সেসময় সকলের মুখে মুখে কথাটা লেগে থাকলেও বাপের অপকর্ম আমার বুদ্ধিতে ধরা পড়েনি। অনেক পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে ভিতরে ভিতরে মজা পেলেও পুরানো কথা কেউ উচ্চারণ করলে বাপের জন্য বেশ অস্বস্তি বোধ করতাম। এমনই নানান কথা ভাবতে ভাবতে ক্রমশ অন্ধকার নেমে আসে।বেশ অসুবিধা হচ্ছিল অচেনা জঙ্গল পরিবেষ্টিত প্রায় অন্ধকার রাস্তায় হাঁটতে। রাস্তা তো নয় যেন বাগানের ভিতর দিয়েই হাঁটছি। সামনে দাদা আর আমরা তার পিছন পিছনে। কয়েকবার আমরা সকলেই হুমরি খেয়ে পড়লেও দাদা ঠিক হেঁটে চলেছে। ক্লান্তি হতাশা বিরক্তিতে আমরা তখন চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছে গেছি আর ঠিক তখনই অন্ধকার জঙ্গল পরিবেষ্ঠিত পাঁচিল ঘেরা একটি বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ালাম...
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-পোস্টটিকে নির্বাচিত করায় অনুপ্রাণিত বোধ করছি। কৃতজ্ঞতা জানাই মডারেটর কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইকে।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম কমেন্টে আপনাকে পেয়ে আনন্দিত হলাম। ধন্যবাদ নুরু ভাই আপনাকে।
হ্যাঁ সাংসারিক ও পেশাগত দায়িত্বের যাঁতাকলে কয়েকদিন পিষ্ট হয়েছি। হৃদয়ে ক্ষত এখনও বহমান। কিন্তু এই মুহূর্তে একটু স্বস্তি পেতে আবার আপনাদের খোঁজে আগমন। আশাকরি সবাই ভাল আছেন।
আপনার ভ্রমণ পোস্টটি পড়েছি।সে সময় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলাম। খুব ভালো লেগেছিল। সময় নিয়ে কমেন্ট করে আসবো।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগে রাতে গ্রাম বাংলায় শিয়ালের ডাক শুনা যেতএখন তেমন শুনা যায় না। কেরোসিনের কুপির মত শিয়ালও হারিয়ে যাচ্ছে। আসলে শিয়ালের ডাকে মঙ্গল হয়?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই আপনার মন্তব্যটির জন্য।খাস সল্টলেকেও এখনও শেয়ালের ডাক শোনা যায়। তবে হ্যাঁ ব্যাপক অর্থে শিয়াল এখন লুপ্তপ্রায়। শিয়ালের ডাকও্ আর আগের মত শোনা যায় না।
তবে শিয়ালের ডাক মঙ্গলজনক; প্রচলিত ধারা অনুযায়ী সেটাই বলে।যুক্তি খুঁজলে অবশ্য কোনো কারণ দেখি না।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পশ্চিম বাংলায় বিজেপির কি অবস্থা।মুসলমানরা আলাদা ভোট করে দুই একজন পাশকরে আসতে পারবে।নাকি বিজেপির সুবিধা করে দিবে।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সকালের দিকে একবার লগ ইন করেছিলাম কিন্তু প্রতিমন্তব্য করার সবুজ বাটন আসছিল না।
যাইহোক পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় নুরুল ভাই আপনাকে।
বর্তমান ভারতের গর্ব মোদিজীর সাফল্য প্রচারে, মোদিজীর সাফল্য সাম্প্রদায়িকতায়, মোদিজীর সাফল্য বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়াম নির্মাণে, মোদীজি সাফল্য আকাশে বাতাসে। মোদিজীর সাফল্য মিডিয়াকে ক্রয় করতে পারা।আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে অবশেষে মোদীজি কলকাতাকেন্দ্রিক মিডিয়াগুলিকেও ক্রয় করতে পেরেছেন। ভোটের শেষ 72 ঘণ্টায় উনি যথারীতি কোন মন্দিরে ধ্যানে মগ্ন থাকবেন। 1000000000 ক্যামেরা উনার দিকে সার্চ লাইট অন রাখবে।এহেন মোদিজির ক্যারিশমার কাছে মমতাদি সত্যিই নিস্প্রভ। পশ্চিমবঙ্গে 294 বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি ক্যান্ডিডেট দিতে পারবে 200 কুলটি বিধানসভা কেন্দ্রে। বাকি কেন্দ্রগুলিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। এই কেন্দ্রগুলোতে উথতি নেতা ভাইজান যদি একটা পার্সেন্টেজ ভোট কাটেন তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও সেখানে ও বিজেপির জয় একপ্রকার নিশ্চিত। গত কয়েকদিন আগে এবিপি আনন্দের সমীক্ষায় দেখছিলাম-সংখ্যাতত্ত্বের দিক দিয়ে তৃণমূলের 43% ও বিজেপির 37 শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। বাম-কংগ্রেস ঐক্য মঞ্চের ভোট সেখানে 10 শতাংশেরও কম।কথা হল এই বাম-কংগ্রেস ঐক্য মঞ্চের ভোট যদি 10 শতাংশের উপরে উঠে সেক্ষেত্রে তৃণমূলের ভরাডুবি একপ্রকার নিশ্চিত। আর তখনই মোদিজি গোটা ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকেও বিক্রি করে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য বিক্রি-বাট্টার দিক দিয়ে মোদিজীর সাফল্য চাঁদে গিয়ে পৌঁছেছে।সরকারি ক্ষেত্রগুলোকে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেসরকারিকরণ করে এক অপার বিশ্ব গড়ে তুলতে মোদিজি মরিয়া।ভারতবর্ষের জনগণও ওনার স্বপ্নকে সাফল্যমন্ডিত করতে উনার হাতকে শক্ত করছেন ও করবেন এই আশায় করি।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০০
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ বেশ ভালো লাগলো। বাঁশবাগানে গেলে এখনো ছমছমে ভয়ার্ত একটা অনুভূতি জাগ্রত হয় মনে। ডোবায় মাছ ধরার অভিজ্ঞতা আছে অল্প। যে কয়বার ডোবায় নেমে মাছ ধরেছি প্রতিবারই হাত-পা বা শরীরের কোনো অংশ কেটে গেছে। গত ১৪-১৫ দিন আগে রাজবাড়ী গিয়েছিলাম। সেখানে প্রতিরাতেই রাস্তার ধারের ক্ষেত থেকে শেয়ালের ডাক শুনেছি। শেয়াল আসলেই বিলুপ্তপ্রায়। দাদা শেষ পর্যন্ত কোথায় যায় তার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় তমাল ভাই আপনাকে।'বাঁশবাগানে গেলে এখনো ছমছমে ভয়ার্ত একটা অনুভূতি জাগ্রত হয় মনে। ডোবায় মাছ ধরার অভিজ্ঞতা আছে অল্প। যে কয়বার ডোবায় নেমে মাছ ধরেছি প্রতিবারই হাত-পা বা শরীরের কোনো অংশ কেটে গেছে। গত ১৪-১৫ দিন আগে রাজবাড়ী গিয়েছিলাম।' সহমত আপনার সঙ্গে।শেয়াল সত্যিই এখন লুপ্তপ্রায় হয়ে গেছে। মানুষের বসবাসের জন্য যত বন উজাড় হচ্ছে ততই প্রকৃতির বন্যপ্রানীর বসবাসের জায়গা কমে যাচ্ছে।
পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৩৮
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
যাক, শেষমেশ একটা টাই পাওয়া গেলো। কিছুটা বিশ্রাম নেওয়া যাবে।। আপনাদের নেওয়া বিশ্রামের ফাঁকে আমরা পাঠকেরাও কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারবো। বিষয়টার কৌশল অনেক ভালো লাগলো। অনেক লেখকই গল্পের দীর্ঘতাকে খন্ডে রূপ দিলে এমন জায়গায় বিরতি নেন যেখানে অর্ধেক দম বাহিরে আর ভেতরে আটকে থাকে। যদিও অপাঠক তাদের দলে তবু বলবো তা খুব একটা ভালো না।
আপনার স্মৃতিচারণ আমায় স্মরণ করিয়ে দিলো আপোন স্মৃতি। নিজ স্মৃতিতে থাকা সকল শেয়ালদের স্মৃতিকথা। আমি তখন গ্রামের এক হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করতাম। তখন গভীর রাতে প্রস্রাবের প্রয়োজনে বাহিরে আসলে নিচে দেখতাম তারা খুবই ভাব নিয়া হাটাহাটি করছে। তাদের অবস্থা দৃষ্টে মনে হত, তারা পাহারাদারকে অবচেতনের টেবলেট গিলিয়ে নিজেরা পাহারা দিচ্ছে দাপটের সাথে। ভয়ে তখন একা বেরুতাম না। যদিও সেই হোস্টেলে আমার রুম ছিল তিন তালায়। তবু নিচ থেকে তাদের দেখে লোম দাঁড়িয়ে যেতো। তারা কিন্তু বড্ড হেন্ডসাম ছিল। যদিও পাহারাদারি তাদের জন্য যায় না। তবে কেন যে দাপটের সাথে করতে চাইতো বুঝতাম না! নিচ তলার দরজার সামনে তাদের দু'তিনজন নিরবে বসে বসে কী যেন খাওয়াদাওয়া করতো। বাকিরা চতুর্পাশে ঘুরে বেড়াতো। ভাবেন, কী ভয়ার্ত দৃশ্য!
তারও অনেক বছর পূর্বে যখন নিজ গ্রামে থাকতাম। প্রাইমারি ল্যাবেলে যখন পড়তাম। তখন বাজার করতাম নিজে। মাঝেমধ্যে বাজার থেকে বাজার থেকে আসতে গিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলে একা ফিরতাম না। আমাদের বাড়ির পূর্বে যে বাড়িটা পড়ে সেটা ছিল কিছুটা আম-সুপারি গাছের ঘন ঝোপে আচ্ছন্ন। যা অন্য্রা সহজে অতিক্রম করলেও আমি তার থেকে ১৫০ হাত দূরে থাকতেই আটকে যেতাম। ওপেক্ষায় থাকতাম এ পথ ধরে কেউ যায় কিনা! আসলেই অতীতের স্মৃতিগুলো মুগ্ধতা নিয়ে এখনো ডাকে। আমাদের সময় হয় না তাদের কথা প্রকাশের।
পদাতিক দা, আপনার সাহিত্যের গাঁথুনি আমায় মুগ্ধ করে। আসলেই সাবলীলভাবে প্রকাশ করার সত্ত্বাটি আপনার খুবই চঞ্চল।
শুভকামনা থাকলো নিরন্তর৷
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: 'আমরা পাঠকেরাও কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারবো। বিষয়টার কৌশল অনেক ভালো লাগলো। অনেক লেখকই গল্পের দীর্ঘতাকে খন্ডে রূপ দিলে এমন জায়গায় বিরতি নেন যেখানে অর্ধেক দম বাহিরে আর ভেতরে আটকে থাকে। যদিও অপাঠক তাদের দলে তবু বলবো তা খুব একটা ভালো না।'
'আপনার স্মৃতিচারণ আমায় স্মরণ করিয়ে দিলো আপোন স্মৃতি। নিজ স্মৃতিতে থাকা সকল শেয়ালদের স্মৃতিকথা। আমি তখন গ্রামের এক হোস্টেলে থেকে পড়ালেখা করতাম। তখন গভীর রাতে প্রস্রাবের প্রয়োজনে বাহিরে আসলে নিচে দেখতাম তারা খুবই ভাব নিয়া হাটাহাটি করছে। তাদের অবস্থা দৃষ্টে মনে হত, তারা পাহারাদারকে অবচেতনের টেবলেট গিলিয়ে নিজেরা পাহারা দিচ্ছে দাপটের সাথে। ভয়ে তখন একা বেরুতাম না। যদিও সেই হোস্টেলে আমার রুম ছিল তিন তালায়। তবু নিচ থেকে তাদের দেখে লোম দাঁড়িয়ে যেতো। তারা কিন্তু বড্ড হেন্ডসাম ছিল। যদিও পাহারাদারি তাদের জন্য যায় না। তবে কেন যে দাপটের সাথে করতে চাইতো বুঝতাম না! নিচ তলার দরজার সামনে তাদের দু'তিনজন নিরবে বসে বসে কী যেন খাওয়াদাওয়া করতো। বাকিরা চতুর্পাশে ঘুরে বেড়াতো। ভাবেন, কী ভয়ার্ত দৃশ্য!' - কি ভয়ানক স্মৃতি তুলে ধরেছেন তাজুল ভাই। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। ঠিকই তো সময়ের সারণিতে আমরা এগিয়ে যাই ঠিকই কিন্তু এমনো স্মৃতি আছে যা অম্লান হয়ে রয়ে যায় চিরদিন। চমৎকার একটি কমেন্টের জন্য আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্যের শেষ অংশে,'পদাতিক দা, আপনার সাহিত্যের গাঁথুনি আমায় মুগ্ধ করে। আসলেই সাবলীলভাবে প্রকাশ করার সত্ত্বাটি আপনার খুবই চঞ্চল।'এমন একটা কথায় প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:০২
ইসিয়াক বলেছেন: আপনার সাথে আড়ি
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: না না না মানবো না,... শুধু একটু সময় চাইব। রাগ করিয়েন না। প্লিজ একটু সময় দিন।
৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: এই রায়টের কারনেই ভারত থেকে ব্যবসা গুটিয়ে আমার নানা নানীকে বিক্রমপুর চলে আসতে হয়েছে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাইয়ের এই মন্তব্যটা এই উপন্যাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা সে দিকেই এগোচ্ছি। ধন্যবাদ প্রিয় ছোট ভাইকে।
শুভকামনা রইলো।
৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪২
মা.হাসান বলেছেন: সাংসারিক ও পেশাগত দায়িত্বের যাঁতাকলে কয়েকদিন পিষ্ট হয়েছি।
আপনাকে যাঁতাকলে পেশাপিশির কাজটাও কি ভাবিকে দিয়েই করান ? এত কষ্ট ওনাদের দেবেন না।
এই রকম বদ্ধ পানিতে কই, বেলে, শিঙ, শোল এসব মাছ দেখেছি, তবে পুটি দেখিনি। অবশ্য আমার দেখার অভিজ্ঞতা খুব কম।
বাঁশ ঝাড়ে আরেকটা ভয়- সাপের। আর লম্বা আর ঘন হবার কারণে রাতের বেলা কেনো, দিনের মধ্যেই বাঁশঝাড় অন্ধকার হয়ে থাকে।
পথের ভয়ের ঘটনার রূপকের মধ্যে দিয়ে সামনে যে ভয়ংকর সময় অপেক্ষা করছে তা সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সলীল চৌধুরীর গাঁয়ের বধূর কথা মনে পড়ে গেলো।
পাঠে অনেক মুগ্ধ হলাম।
নিরন্তর শুভকামনা।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আর দুঃখের কথা বলেন না... অনেক সত্য কথা যে মুখে আনা যায়না। কিন্তু কি আর করার.... পিষ্ট হওয়াও তো কম সৌভাগ্যের নয় নাকি আপনি কি বলেন?
'এই রকম বদ্ধ পানিতে কই, বেলে, শিঙ, শোল এসব মাছ দেখেছি, তবে পুটি দেখিনি। অবশ্য আমার দেখার অভিজ্ঞতা খুব কম।'-
আপনারা এমন সরল স্বীকারোক্তিতে আনন্দ পেলাম। আমি অবশ্য এমন বদ্ধ জলাশয়ে ইলিশ মাছ দেখার দাবি করছি না। সামান্য পুঁটি মাছ দেখেছি উল্লেখ করেছি- তাও আপনি এত কুনজর দিচ্ছেন? তবে আপনি যদি এপারে আসেন তবে অন্যান্য পদের সংগে পুঁটি মাছের গাদা বা পেটি দিয়ে তৈরি ফিশ ফ্রাইও না হয় আপনার আপ্যায়নের জন্য রাখবো কথা দিলুম। হেহেহে...
'বাঁশ ঝাড়ে আরেকটা ভয়- সাপের। আর লম্বা আর ঘন হবার কারণে রাতের বেলা কেনো, দিনের মধ্যেই বাঁশঝাড় অন্ধকার হয়ে থাকে।'- সহমত। ভালো বিষয় উল্লেখ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
'পথের ভয়ের ঘটনার রূপকের মধ্যে দিয়ে সামনে যে ভয়ংকর সময় অপেক্ষা করছে তা সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সলীল চৌধুরীর গাঁয়ের বধূর কথা মনে পড়ে গেলো।' -গল্পের পরবর্তী অংশ সম্পর্কে আপনার অনুমান একেবারেই সঠিক। হ্যাঁ গল্প ক্রমশ সেই পথেই এগোচ্ছে। আশাকরি আগামীতেও এভাবে আপনাকে পাশে পাব।
সলিল চৌধুরীর গানটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। এসব গান কখনো পুরানো হয় না। যতবার শুনি ততবারই মুগ্ধ হতে হয়।
পোস্টটিতে like' করাতে ও গল্পটি ভাল লাগাতে প্রীত হলাম; প্রেরণা বোধ করছি; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১০
করুণাধারা বলেছেন: এতদিন পর এই পর্ব পেলাম, ভুলেই গেছি আগের পর্বে কী ছিল!! কিন্তু ভালো লাগলো প্রকৃতির বর্ণনা, আমাদের খুপরি ঘরে থাকতে থাকতে ভুলেই গেছি একসাথে অনেক গাছ দেখতে কেমন লাগে!!
এরপর আবার এই বাড়িতে ঢুকতে কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কে জানে!! আশাকরি শিগগিরই যাঁতাকল থেকে বেরিয়ে আসবেন...
০১ লা মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "এতদিন পর এই পর্ব পেলাম, ভুলেই গেছি আগের পর্বে কী ছিল!! কিন্তু ভালো লাগলো প্রকৃতির বর্ণনা, আমাদের খুপরি ঘরে থাকতে থাকতে ভুলেই গেছি একসাথে অনেক গাছ দেখতে কেমন লাগে!!"- আপু পোস্ট দিতে চুড়ান্ত বিলম্বের জন্য আগের পর্ব ভুলে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।আর এভাবেই আপনাদেরকে বিব্রত করার জন্য লজ্জিত দুঃখিত ক্ষমা প্রার্থী।
"আমাদের খুপরি ঘরে থাকতে থাকতে ভুলেই গেছি একসাথে অনেক গাছ দেখতে কেমন লাগে!!" -পুরানো অভিজ্ঞতা; বহুদিন আগের কথা, ভুলে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
"এরপর আবার এই বাড়িতে ঢুকতে কতদিন অপেক্ষা করতে হবে কে জানে!! আশাকরি শিগগিরই যাঁতাকল থেকে বেরিয়ে আসবেন..."-আপু খুব লজ্জায় পড়েছি। খুব চেষ্টা করছি যাতে পরবর্তী পর্ব তাড়াতাড়ি দিতে পারি।
পোস্টটিতে like' করাতে প্রেরণা পেলাম; কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: নুরুল চাচা চরিত্র টা কি বাস্তব?
০১ লা মার্চ, ২০২১ রাত ১২:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভায়ের আবার কমেন্টে ফিরে আসাতে খুশি হলাম। হ্যাঁ নুরুল চরিত্রটির বাস্তবতা আছে। ধন্যবাদ ভাইকে।
১১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:০২
সোহানী বলেছেন: করুণাধারা আপুর মতোই আমার অবস্থা। এতো পরে দিয়েছেন যে আগে কি পড়েছিলাম তা ভুলে গেছি।
যাই হোক, শিয়ালের ভয়ে খেঁজুর গাছে!!! হায় হায় আর কোন গাছ ছিল না!!
তবে আপনার লিখা এতো ডিটেইলস থাকে বলে পড়তে ভালোলাগে্.....
চলুক, আর আগের পর্বগুলো আবার একটু দেখে আসি।
(অফটপিক: ঠাকুর সাহেবকে দেখেছি লিখা নির্বাচিত পাতায় গেলে ধন্যবাদ টন্যবাদ দিয়ে অস্থির করে তুলেন, এখন আপনাকেও দেখলাম । আসলে এ নির্বাচিত পাতাটি আমার কাছে কেন যেন অনেকটা সাধারন আর ভিআইপি দুই শ্রেনীতে বিভক্ত মনে হয়।)
০১ লা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "করুণাধারা আপুর মতোই আমার অবস্থা। এতো পরে দিয়েছেন যে আগে কি পড়েছিলাম তা ভুলে গেছি।" হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। ক্ষমাপ্রার্থী আপু। বারেবারে আপনাদের বিব্রত করছি এমন দীর্ঘ গ্যাপে পোস্ট দিয়ে। তবে চেষ্টায় আছি সাম্প্রতিক চাপ কাটিয়ে যাতে আরো একটু নিয়মিত হওয়া যায়।
"যাই হোক, শিয়ালের ভয়ে খেঁজুর গাছে!!! হায় হায় আর কোন গাছ ছিল না!!" না আপু তুলনায় খেজুর গাছে উঠা সহজ।আর হাতের কাছে থাকলে খেজুর গাছই কম সময়ে ওঠার পক্ষে উত্তম।
"তবে আপনার লিখা এতো ডিটেইলস থাকে বলে পড়তে ভালোলাগে্....." কিজানি কতটা পারফেক্ট লিখতে পারছি। তবে দেখার ক্ষেত্রে আমি শ্রদ্ধেয় সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারকে ফলো করি।ওনার গল্পগুলো দীর্ঘ হলেও পাতার পর পাতা পড়তে ক্লান্তি লাগে না। যাইহোক অনুভূতি জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অফটপিক: ঠাকুর সাহেবকে দেখেছি লিখা নির্বাচিত পাতায় গেলে ধন্যবাদ টন্যবাদ দিয়ে অস্থির করে তুলেন, এখন আপনাকেও দেখলাম । আসলে এ নির্বাচিত পাতাটি আমার কাছে কেন যেন অনেকটা সাধারন আর ভিআইপি দুই শ্রেনীতে বিভক্ত মনে হয়।)
হ্যাঁ আপু আপনার যুক্তিতে আপনি ঠিকই বলেছেন। আসলে পোস্টে কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই লাইক করলেও যেহেতু কমেন্ট করেন না। তাই কৃতজ্ঞতা বশত এমন উল্লেখ করা। তবে তবে আপনি বিষয়টি আজ উল্লেখ করাতে আগামিতে আর এমন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
১২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:২৩
ইসিয়াক বলেছেন: আশ্রয়হীন অনিশ্চিত জীবনের যে কী জ্বালা তারাই বোঝে যারা সেই সময়টা পার করে এসেছেন। এতো বড় আতঙ্কগ্রস্থ একটা সময়ে বর্ণনাকারীর পুরানো স্মৃতি মনে পড়লো? এ জায়গাটা আমার কাছে কেমন যেন খাপছাড়া লেগেছে, কারণে সে সময়তো মাথাটা নানা দুশ্চিন্তায় ফাঁকা হয়ে থাকার কথা, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
বাঁশবাগানের বর্ণনায় বাতাসের দোলায় অদ্ভুত ভীতিকর ক্যাঁচকুঁচ আওয়াজ,পাতার শনশন শব্দ এই সব আবশ্যক বর্ণনা বাদ পড়ে গেছে। যাহোক,
কুকুরে ছোট হয়ে দাদির কোলে আশ্রয় নিতাম<কুকড়ে ছোট হয়ে দাদির কোলে আশ্রয় নিতাম, হবে । ঠিক করে দিন।
আসছি...
০১ লা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিলম্বিত উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আশা করি এবারের মতো আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।
"আশ্রয়হীন অনিশ্চিত জীবনের যে কী জ্বালা তারাই বোঝে যারা সেই সময়টা পার করে এসেছেন।"-সহমত আপনার সঙ্গে। অত্যন্ত দামী একটি কথা বলেছেন। এ যাতনা তারাই বুঝে যারা ভুক্তভোগী। ধন্যবাদ আপনাকে।
"এতো বড় আতঙ্কগ্রস্থ একটা সময়ে বর্ণনাকারীর পুরানো স্মৃতি মনে পড়লো? এ জায়গাটা আমার কাছে কেমন যেন খাপছাড়া লেগেছে"-মন্তব্যের এই অংশটির জন্যই আপনি আমার এত প্রিয় এত আপন জন। গল্পে বক্তা যতই দাবি করুক না কেন দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হলেও দুশ্চিন্তার বহরে বড়দের মতো কোনো অংশে কম ছিলনা। কিন্তু কাজের বেলায় তার চিন্তা-চেতনায় শিশুসুলভ (child dish নট child-like) মানসিকতা আসাটাই স্বাভাবিক আর তার-ই উল্লেখ বশত তার পুরনো স্মৃতিচারণ উল্লেখ কিম্বা দাদাকে গন্তব্যস্থল জানতে চাওয়া নিয়ে বাপজানের কটমট করে তাকানোও একই চিন্তার ফসল। আসলে ছোটদের চিন্তার গভীরতা কম। যে কোন খারাপ জিনিস তারা বেশিক্ষণ মনে ধারণ করতে পারে না এটাই এই পর্ব রচনায় মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল।
"বাঁশবাগানের বর্ণনায় বাতাসের দোলায় অদ্ভুত ভীতিকর ক্যাঁচকুঁচ আওয়াজ,পাতার শনশন শব্দ এই সব আবশ্যক বর্ণনা বাদ পড়ে গেছে।"-ভালো একটা বিষয় উল্লেখ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। এই অংশটি মুদ্রিত আকারে জন্য পোস্টটিতে সংযোজন করব।
কুঁকড়ে যাওয়া জায়গাটি ঠিক করে দিয়েছি। একরাশ মুগ্ধতা ও ধন্যবাদ আপনাকে।
সবচেয়ে পোস্টটিতে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: একে একে সবগুলো পর্বই পড়েছিলাম, বেশীর ভাগই ফেসবুকে। বাস্তবতার নিরিখে অসাধারন সুন্দর জীবন ঘেষা পোস্ট এর জন্য ধন্যবাদ।
০১ লা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার কমেন্ট পেয়ে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ ভাইজান আপনাকে। এই গল্পটি এটি বিশেষ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রচিত। আমরা এখনো মূল গল্পে প্রবেশ করতে পারেনি। তবে ক্রমশ আমরা সেদিকেই এগোচ্ছি....। আশা করি আপনাকে আগামীতেও এভাবে পাশে পাবো।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৬
ইসিয়াক বলেছেন: গতকাল চমৎকার একটা মন্তব্য করেছিলাম। পোস্ট করে দেখি লগ আউট। যাহোক সংসারের যাতা কলে পিষে যে আটা ময়দা সুজি হননি তাই কত? না হলে হয়তোন দেখা যেতে আপনি আমার নাস্তার টেবিলে। আপনি খাদ্য আমি খাদক হা হা হা।
০১ লা মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
"গতকাল চমৎকার একটা মন্তব্য করেছিলাম। পোস্ট করে দেখি লগ আউট।"
- দুর্ভাগ্য আমার যে চমৎকার একটি মন্তব্য থেকে বঞ্চিত হলাম।
"যাহোক সংসারের যাতা কলে পিষে যে আটা ময়দা সুজি হননি তাই কত? না হলে হয়তোন দেখা যেতে আপনি আমার নাস্তার টেবিলে। আপনি খাদ্য আমি খাদক হা হা হা।"- আর কিছু কমুনা। একটা বই বের করার ইচ্ছা ছিল।তার আগেই আমাকে খাবার টেবিলে!!! হেহেহে... পালালাম....... যে কদিন একটু বাইরে বেঁচেবর্তে থাকা যায় এই আর কি
১৫| ২০ শে জুন, ২০২১ সকাল ৭:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: শেয়ালের ডাক মঙ্গলের আভাস দেয়, এ কথাটা আগে জানতাম না। আমি বরং ভাবতাম উল্টোটা।
ডোবায় মাছ ধরার বর্ণনাটা চমৎকার হয়েছে। নিজ অভিজ্ঞতার সাথে এর মিল খুঁজে পেলাম।
সোহানী এর 'অফটপিক' সাজেশনটা আমলে নিয়েছেন দেখে খুশি হ'লাম। ব্যাপারটা আমার চোখেও ভাল ঠেকছিল না।
পোস্টে 'লাইক।
২১ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শেয়ালের ডাককে মঙ্গলকর হিসেবেই আমাদের এখানে ধরা হয়। গল্পে সেটাই মিন করার চেষ্টা করেছি। তবে আপনাদের ওখানে হয়তোবা উল্টোটার প্রচলন থাকতেই পারে।যা থেকে আপনার ওরকম ধারণা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক।
ডোবায় মাছ ধরার বর্ণনাটা ভালো লাগাতে আনন্দ পেলাম। চমৎকৃত হলাম নিজের শৈশবের মাছ ধরার সঙ্গে গল্পে বর্ননায় সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়াতে। অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
সোহানী আপু বিষয়টি উল্লেখ করাতে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি।আর কখনও এমন লিখবো না স্যার।
পোস্টে লাইক করাতে প্রেরণা পেলাম কৃতজ্ঞতা জানবেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
দাদা অনেক দিন পরে আবার
সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া !!!
ধন্যবাদ আপনাকে আবার
মনে করিয়ে দেবার জন্য।
এক মলাটে পাচ্ছি কবে ?